ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
নেদারল্যান্ডের হেগে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের সামনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ
বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান ব্রিটিশ এমপি বব ব্ল্যাকম্যানের
দিল্লির লাল কেল্লায় বিস্ফোরণ: তদন্ত চলছে, সীমান্তে সতর্ক ভারতীয় বাহিনী
দিল্লি হামলাকে ‘ষড়যন্ত্র’ আখ্যা মোদির, তদন্তে সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ ভারতীয় পুলিশের
যে কোনো দেশের পারমাণবিক পরীক্ষা হলে রাশিয়া ‘সমানভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে’: ল্যাভরভ
পাকিস্তানে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে আরেক বাংলাদেশী জঙ্গির মৃত্যু
বাংলাদেশকে ঘাঁটি করে ভারতে হামলার ছক হাফিজ সইদের, কাশ্মীরের নামে মহিলা আত্মঘাতী বাহিনী গড়ছে জৈশ
চিকিৎসার অবহেলায় ধর্ষিত শিশুর মৃত্যু, উত্তাল ভারত
ভারতের বিহারে পাটনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসায় দেরি হওয়ায় ধর্ষণের শিকার ১০ বছর বয়সি এক দলিত মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
Advertisement
গত রোববার সকালে মেয়েটি হাসপাতালেই মারা যায়। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, শনিবার অ্যাম্বুলেন্সে প্রায় চার ঘণ্টা অপেক্ষার পর মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো গিয়েছিল।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ভর্তি করাতে কোনো বিলম্ব হয়নি।
মেয়েটি গত ২৬ মে ধর্ষণের শিকার হয়। মোজাফফরপুরে মেয়েটির খালার বাড়ির কাছে বাস করা এক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করে। বাড়ির বাইরে খেলার সময় মেয়েটি নিখোঁজ হয়।
পরে তার পরিবারের লোকজন রাস্তার ধারে তাকে খুঁজে পায়। পুলিশ সাংবাদিকদের জানিয়েছে, মেয়েটির দেহে ছুরির কয়েকটি ক্ষত ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে মেয়েটিকে
মুজাফফরপুরের শ্রী কৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিত্সার জন্য পাটনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (পিএমসিএইচ) নেওয়া হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে বেড পাওয়ার জন্য তাদেরকে ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। এরপর চিকিত্সা শুরু হলেও মেয়ের মৃত্যু হয়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, চিকিৎসায় বিলম্ব হয়েছে বলে পরিবারের দাবি ভিত্তিহীন। তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। জড়িত সব বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছিল এবং আইসিইউতেও মেয়েটির চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছিল। তবে মেয়েটির মৃত্যুর ঘটনা জাতীয় পর্যায়ে গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো নিয়ে বিরোধীদল কংগ্রেস পার্টির এক সদস্যের হাসপাতাল স্টাফের সঙ্গে বচসা করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপরই শিশুটির দুর্ভোগ নিয়ে
গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হতে থাকে। মেয়েটির মৃত্যুর পর থেকে বিরোধীদলগুলো বিহার রাজ্যে কয়েকটি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী উদ্বেগ প্রকাশ করে লেখেন, অত্যন্ত লজ্জাজনক বর্বরতা। যদি তাকে সময়মতো চিকিৎসা দেওয়া যেত, তাহলে বাঁচানো যেত। কিন্তু সরকার তার জীবন বাঁচাতে অবহেলা করেছে, তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তো দূরের কথা। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল রাষ্ট্রীয় জনতা দল এক্সে লিখেছে, ধর্ষণের শিকার শিশুটি পাটনা হাসপাতালের বাইরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভর্তি হওয়ার অপেক্ষা করেছিল। তবে ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও জেডি (ইউ) দলের নেতারা অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিজেপি-এর মুখপাত্র অনামিকা সিং প্যাটেল শিশুটির মৃত্যুকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেছেন। তিনি বলেন, আমি নিজে একটি হাসপাতাল
চালাই। আমি জানি হাসপাতালে শয্যা পাওয়া সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। আমাদের সরকারের লোকেরা দায়িত্বশীলভাবে কাজ করছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনা ভারতে বিহার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিয়ে সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুরবস্থাকে সামনে নিয়ে এসেছে। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা পরিকাঠামোর দুরবস্থার খবর দেশের গণমাধ্যমে আলোচিত হয়েছে। ভারতে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষরা সবচেয়ে নিগৃহীত। দলিতদের সুরক্ষায় ভারতে আইন থাকলেও তারা ব্যাপকভাবে খারাপ আচরণের শিকার হয়। ধর্ষণের শিকার দলিত শিশুটির দুর্ভোগ ও মৃত্যুর ঘটনার সমালোচনা করেছে জাতীয় মানবাধিকার ও মহিলা কমিশন। তারা এ ঘটনায় হাসপাতালের ভূমিকা তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছে।
মুজাফফরপুরের শ্রী কৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিত্সার জন্য পাটনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (পিএমসিএইচ) নেওয়া হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে বেড পাওয়ার জন্য তাদেরকে ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। এরপর চিকিত্সা শুরু হলেও মেয়ের মৃত্যু হয়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, চিকিৎসায় বিলম্ব হয়েছে বলে পরিবারের দাবি ভিত্তিহীন। তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। জড়িত সব বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছিল এবং আইসিইউতেও মেয়েটির চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছিল। তবে মেয়েটির মৃত্যুর ঘটনা জাতীয় পর্যায়ে গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো নিয়ে বিরোধীদল কংগ্রেস পার্টির এক সদস্যের হাসপাতাল স্টাফের সঙ্গে বচসা করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপরই শিশুটির দুর্ভোগ নিয়ে
গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হতে থাকে। মেয়েটির মৃত্যুর পর থেকে বিরোধীদলগুলো বিহার রাজ্যে কয়েকটি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী উদ্বেগ প্রকাশ করে লেখেন, অত্যন্ত লজ্জাজনক বর্বরতা। যদি তাকে সময়মতো চিকিৎসা দেওয়া যেত, তাহলে বাঁচানো যেত। কিন্তু সরকার তার জীবন বাঁচাতে অবহেলা করেছে, তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তো দূরের কথা। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল রাষ্ট্রীয় জনতা দল এক্সে লিখেছে, ধর্ষণের শিকার শিশুটি পাটনা হাসপাতালের বাইরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভর্তি হওয়ার অপেক্ষা করেছিল। তবে ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও জেডি (ইউ) দলের নেতারা অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিজেপি-এর মুখপাত্র অনামিকা সিং প্যাটেল শিশুটির মৃত্যুকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেছেন। তিনি বলেন, আমি নিজে একটি হাসপাতাল
চালাই। আমি জানি হাসপাতালে শয্যা পাওয়া সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। আমাদের সরকারের লোকেরা দায়িত্বশীলভাবে কাজ করছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনা ভারতে বিহার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিয়ে সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুরবস্থাকে সামনে নিয়ে এসেছে। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা পরিকাঠামোর দুরবস্থার খবর দেশের গণমাধ্যমে আলোচিত হয়েছে। ভারতে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষরা সবচেয়ে নিগৃহীত। দলিতদের সুরক্ষায় ভারতে আইন থাকলেও তারা ব্যাপকভাবে খারাপ আচরণের শিকার হয়। ধর্ষণের শিকার দলিত শিশুটির দুর্ভোগ ও মৃত্যুর ঘটনার সমালোচনা করেছে জাতীয় মানবাধিকার ও মহিলা কমিশন। তারা এ ঘটনায় হাসপাতালের ভূমিকা তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছে।



