গোল গাছের বাণিজ্যিক চাষ:সুস্বাদু গুড়ের কদরে গোল চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা – ইউ এস বাংলা নিউজ




গোল গাছের বাণিজ্যিক চাষ:সুস্বাদু গুড়ের কদরে গোল চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:১১ 8 ভিউ
গোলগাছ ভারত মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের উপকূলীয় এবং মোহনা এলাকার এক প্রকার পাম জাতীয় উদ্ভিদ। যা নিপা পাম নামে পরিচিত। এটি পামের একমাত্র প্রজাতি, যা ম্যানগ্রোভ অঞ্চলে পাওয়া যায়। একটি অর্থকরী ফসল। উপকূলীয় সাগরপাড়ের এ জনপদে গোল গাছ সকল শ্রেণির মানুষের কাছে পরিচিত। বহুমুখী ব্যবহারে এর বিকল্প নেই। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে গোল গাছ রয়েছে। তবে নীলগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে গুড় সংগ্রহের জন্য কয়েকটি গোলগাছের বাগান রয়েছে। বিশেষ করে নবীপুরের চাষীরা গোলবাগানের বিশেষ পরিচর্যা করেন। গোল গাছ দেখতে গোল নয়। এর পাতা নারিকেল গাছের মতো লম্বা হয়। ১০ ফুট থেকে কোন কোন উর্বর জায়গায় ১৫-১৬ ফুট দীর্ঘ গোলগাছ দেখা যায়। বিশেষ

করে শীত মৌসুমের আগেই গোল গাছে ফল ধরে। একটি কান্ডে ফল ধরে। যাকে স্থানীয় ভাষায় গাবনা বলা হয়। তাল গাছের ডগার মতো গোলের কান্ডে এই গাবনা বা ফল ধরে। এমন ফলওয়ালা কান্ড কেটে রস সংগ্রহ করা হয়। নির্দিষ্ট সময় ছড়াসহ গাবনাটি কোন এক পূর্ণিমায় পায়ের লাথিতে কান্ডসহ নিচের দিকে বাঁকা করা হয়। কেউ কেউ কাদা মেখে রাখেন। গোল চাষীদের ধারনা বা বিশ্বাস নির্দিষ্ট গোনে গাবনাসহ কান্ডটি নিচের দিকে বাকা করলে বেশি রস পাওয়া যায়। এরপরে ফলটি থোকাসহ এক কোপে কেটে কান্ডটি তালের রস সংগ্রহের মতো অল্প অল্প কেটে গোলের রস সংগ্রহ করতে থাকে। গুণগত কারণে গোলের এবং খেজুরের গুড় সহজভাবে

আলাদা করা যায়। এরপরে খেজুর গুড়ের মতো আগুনে জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করা হয়। কিছুটা নোন্তা-মিঠার মিশ্রণ এই গুড়। ডায়াবেটিসের রোগীতে খেতে পারে বলে গুড় সংগ্রহকারীদের মতামত। আবার খেজুরের রসের মতো এই রস খেতেও সুস্বাদু। স্বাদের পাশাপাশি গোলের গুড়ের ঔষুধী গুণ রয়েছে। কথিত রয়েছে, গোলের গুড় কিংবা রস খেলে পেটের কৃমি বিনাশ হয়। আবার বাসি রস খেলে তাড়ির মতো নেশা হয়। কলাপাড়া উপজেলার প্রাক্তন স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার জানান, এই গুড়ের এক ধরনের ভিন্নতর স্বাদ রয়েছে। আর যেহেতু এই গুড়ে খনিজ লবণ রয়েছে। যেটি মানুষের জন্য অনেক ক্ষেত্রে উপকারী। একটি কান্ড (ডাটি) থেকে প্রতিদিন ২৫০-৫০০ গ্রাম পর্যন্ত রস সংগ্রহ

করা যায়। এই রস আগুনে জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করা হয়। মঙ্গলবার কলাপাড়ার সাপ্তাহিক হাঁটের দিনে ৩০-৪০ মণ গোলের গুড় বিক্রি হয়। এসব চাষীদের তথ্যমতে ফি বছর অন্তত ৪৫-৫০ লাখ টাকার গোলের গুড় কলাপাড়ায় উৎপাদন হয়। বর্তমানে গোল গাছ অর্থকরি সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে কৃষকের কাছে। কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন জানান, গোল চাষীদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া গোলের চাষ আরও কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বনবিভাগ কলাপাড়া সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে আন্ধারমানিকসহ বিভিন্ন নদী তীরে প্রায় ৬০ হাজার গোল গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। আরও ব্যাপকভাবে গোলবাগান করার পরিকল্পনার কথা জানা

গেছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কানাডায় এক মাস পর বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার নিক্সন চৌধুরী গ্রেফতারের গুঞ্জন স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় আসছে বড় পরিবর্তনের সুপারিশ দাড়ি-গোঁফ জুব্বায় ইন্টারনেটে ভাইরাল শামীম ওসমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ কন্যা ইস্যুতে তুমুল আলোচনায় পাকিস্তান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাঙ্কার নির্মাণ: এবিপি বোম, বোম, বোম, ফুটিয়ে দেব বাংলাদেশকে সীমান্তে প্রতিপক্ষের বুলিং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে জয় শ্রী-রামের জবাবে আল্লাহু আকবার এই সরকারের আমলেও নিরাপদ নই?: ফারুক গোল গাছের বাণিজ্যিক চাষ:সুস্বাদু গুড়ের কদরে গোল চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ দাম বাড়বে উড়োজাহাজের টিকিটের ৪০ লাখ টাকার ইলিশ মিলল এক ট্রলারে পলাতক ওসিকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারি ফের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের চেষ্টা বিএসএফের, বিজিবির বাধা দুর্নীতির অভিযোগ মাল্টার নাগরিকত্ব চেয়েও পাননি তারিকের স্ত্রী-কন্যা দাবানলে পুড়ছে মাইলের পর মাইল, সঙ্গে লুটতরাজ লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন যেসব হলিউড তারকারা প্রতিশ্রুতি ভুলে ট্রাম্পের সেই আগ্রাসী হুঙ্কার নিন্দা জানিয়ে সিবিআইয়ের বিবৃতি, ন্যায়বিচার দাবি