গোল গাছের বাণিজ্যিক চাষ:সুস্বাদু গুড়ের কদরে গোল চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা – ইউ এস বাংলা নিউজ




গোল গাছের বাণিজ্যিক চাষ:সুস্বাদু গুড়ের কদরে গোল চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:১১ 81 ভিউ
গোলগাছ ভারত মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের উপকূলীয় এবং মোহনা এলাকার এক প্রকার পাম জাতীয় উদ্ভিদ। যা নিপা পাম নামে পরিচিত। এটি পামের একমাত্র প্রজাতি, যা ম্যানগ্রোভ অঞ্চলে পাওয়া যায়। একটি অর্থকরী ফসল। উপকূলীয় সাগরপাড়ের এ জনপদে গোল গাছ সকল শ্রেণির মানুষের কাছে পরিচিত। বহুমুখী ব্যবহারে এর বিকল্প নেই। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে গোল গাছ রয়েছে। তবে নীলগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে গুড় সংগ্রহের জন্য কয়েকটি গোলগাছের বাগান রয়েছে। বিশেষ করে নবীপুরের চাষীরা গোলবাগানের বিশেষ পরিচর্যা করেন। গোল গাছ দেখতে গোল নয়। এর পাতা নারিকেল গাছের মতো লম্বা হয়। ১০ ফুট থেকে কোন কোন উর্বর জায়গায় ১৫-১৬ ফুট দীর্ঘ গোলগাছ দেখা যায়। বিশেষ

করে শীত মৌসুমের আগেই গোল গাছে ফল ধরে। একটি কান্ডে ফল ধরে। যাকে স্থানীয় ভাষায় গাবনা বলা হয়। তাল গাছের ডগার মতো গোলের কান্ডে এই গাবনা বা ফল ধরে। এমন ফলওয়ালা কান্ড কেটে রস সংগ্রহ করা হয়। নির্দিষ্ট সময় ছড়াসহ গাবনাটি কোন এক পূর্ণিমায় পায়ের লাথিতে কান্ডসহ নিচের দিকে বাঁকা করা হয়। কেউ কেউ কাদা মেখে রাখেন। গোল চাষীদের ধারনা বা বিশ্বাস নির্দিষ্ট গোনে গাবনাসহ কান্ডটি নিচের দিকে বাকা করলে বেশি রস পাওয়া যায়। এরপরে ফলটি থোকাসহ এক কোপে কেটে কান্ডটি তালের রস সংগ্রহের মতো অল্প অল্প কেটে গোলের রস সংগ্রহ করতে থাকে। গুণগত কারণে গোলের এবং খেজুরের গুড় সহজভাবে

আলাদা করা যায়। এরপরে খেজুর গুড়ের মতো আগুনে জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করা হয়। কিছুটা নোন্তা-মিঠার মিশ্রণ এই গুড়। ডায়াবেটিসের রোগীতে খেতে পারে বলে গুড় সংগ্রহকারীদের মতামত। আবার খেজুরের রসের মতো এই রস খেতেও সুস্বাদু। স্বাদের পাশাপাশি গোলের গুড়ের ঔষুধী গুণ রয়েছে। কথিত রয়েছে, গোলের গুড় কিংবা রস খেলে পেটের কৃমি বিনাশ হয়। আবার বাসি রস খেলে তাড়ির মতো নেশা হয়। কলাপাড়া উপজেলার প্রাক্তন স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার জানান, এই গুড়ের এক ধরনের ভিন্নতর স্বাদ রয়েছে। আর যেহেতু এই গুড়ে খনিজ লবণ রয়েছে। যেটি মানুষের জন্য অনেক ক্ষেত্রে উপকারী। একটি কান্ড (ডাটি) থেকে প্রতিদিন ২৫০-৫০০ গ্রাম পর্যন্ত রস সংগ্রহ

করা যায়। এই রস আগুনে জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করা হয়। মঙ্গলবার কলাপাড়ার সাপ্তাহিক হাঁটের দিনে ৩০-৪০ মণ গোলের গুড় বিক্রি হয়। এসব চাষীদের তথ্যমতে ফি বছর অন্তত ৪৫-৫০ লাখ টাকার গোলের গুড় কলাপাড়ায় উৎপাদন হয়। বর্তমানে গোল গাছ অর্থকরি সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে কৃষকের কাছে। কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন জানান, গোল চাষীদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া গোলের চাষ আরও কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বনবিভাগ কলাপাড়া সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে আন্ধারমানিকসহ বিভিন্ন নদী তীরে প্রায় ৬০ হাজার গোল গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। আরও ব্যাপকভাবে গোলবাগান করার পরিকল্পনার কথা জানা

গেছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
মোহাম্মদপুরে বুনিয়া সোহেলের আস্তানায় অভিযান ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা পাইলটদের পুরস্কৃত করল পাকিস্তান বিএনপি চাঁদাবাজের দল: ফয়জুল করীম ওয়েস্টিন: সকালের নাস্তা ৪ হাজার টাকা, রাতের খাবার ৮ হাজার ৪৫০ টাকা খাবারের অভাবে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা নদীর পানিতে বন্দি ১৩ পরিবার ‘ভিউ বাণিজ্যের জন্য আর কত নিচে নামবেন’— প্রশ্ন হৃদয়ের রাজধানীতে মুলার কেজি ৮০ টাকা পাইপলাইনে তেল সরবরাহে নতুন যুগে ঢুকছে বাংলাদেশ একাত্তর-পচাত্তর-চব্বিশ একই সুতোয় গাঁথা বাংলাদেশ জাসদ: শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অবস্থানের জন্য বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ন্যায্যতা পায় না ডেঙ্গু জ্বর যা জানা দরকার ভোরে নীলা মার্কেটে হাঁসের মাংস খেতে যান আসিফ মাহমুদ, বন্ধ থাকলে যান ওয়েস্টিনে উজানে অতিবৃষ্টি, উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলা প্লাবিত পূজার ছুটির কারণে পেছাল টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি বিপিএল থেকে চিটাগং কিংস বাদ, পাওনার হিসাব দিল বিসিবি ৫ আগস্টের পরে অপুর সঙ্গে আমার দেখা হয়নি: আসিফ মাহমুদ বিয়ের আগেই শর্ত, বিচ্ছেদ হলে জর্জিনাকে মাসে কোটি টাকা দেবেন রোনালদো শচীনের ঘরে বিয়ের শানাই, ছেলে অর্জুনের আংটি বদল সুদানে কলেরার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে, প্রাণহানি অন্তত ৪০