গোল গাছের বাণিজ্যিক চাষ:সুস্বাদু গুড়ের কদরে গোল চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা – ইউ এস বাংলা নিউজ




গোল গাছের বাণিজ্যিক চাষ:সুস্বাদু গুড়ের কদরে গোল চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:১১ 75 ভিউ
গোলগাছ ভারত মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের উপকূলীয় এবং মোহনা এলাকার এক প্রকার পাম জাতীয় উদ্ভিদ। যা নিপা পাম নামে পরিচিত। এটি পামের একমাত্র প্রজাতি, যা ম্যানগ্রোভ অঞ্চলে পাওয়া যায়। একটি অর্থকরী ফসল। উপকূলীয় সাগরপাড়ের এ জনপদে গোল গাছ সকল শ্রেণির মানুষের কাছে পরিচিত। বহুমুখী ব্যবহারে এর বিকল্প নেই। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে গোল গাছ রয়েছে। তবে নীলগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে গুড় সংগ্রহের জন্য কয়েকটি গোলগাছের বাগান রয়েছে। বিশেষ করে নবীপুরের চাষীরা গোলবাগানের বিশেষ পরিচর্যা করেন। গোল গাছ দেখতে গোল নয়। এর পাতা নারিকেল গাছের মতো লম্বা হয়। ১০ ফুট থেকে কোন কোন উর্বর জায়গায় ১৫-১৬ ফুট দীর্ঘ গোলগাছ দেখা যায়। বিশেষ

করে শীত মৌসুমের আগেই গোল গাছে ফল ধরে। একটি কান্ডে ফল ধরে। যাকে স্থানীয় ভাষায় গাবনা বলা হয়। তাল গাছের ডগার মতো গোলের কান্ডে এই গাবনা বা ফল ধরে। এমন ফলওয়ালা কান্ড কেটে রস সংগ্রহ করা হয়। নির্দিষ্ট সময় ছড়াসহ গাবনাটি কোন এক পূর্ণিমায় পায়ের লাথিতে কান্ডসহ নিচের দিকে বাঁকা করা হয়। কেউ কেউ কাদা মেখে রাখেন। গোল চাষীদের ধারনা বা বিশ্বাস নির্দিষ্ট গোনে গাবনাসহ কান্ডটি নিচের দিকে বাকা করলে বেশি রস পাওয়া যায়। এরপরে ফলটি থোকাসহ এক কোপে কেটে কান্ডটি তালের রস সংগ্রহের মতো অল্প অল্প কেটে গোলের রস সংগ্রহ করতে থাকে। গুণগত কারণে গোলের এবং খেজুরের গুড় সহজভাবে

আলাদা করা যায়। এরপরে খেজুর গুড়ের মতো আগুনে জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করা হয়। কিছুটা নোন্তা-মিঠার মিশ্রণ এই গুড়। ডায়াবেটিসের রোগীতে খেতে পারে বলে গুড় সংগ্রহকারীদের মতামত। আবার খেজুরের রসের মতো এই রস খেতেও সুস্বাদু। স্বাদের পাশাপাশি গোলের গুড়ের ঔষুধী গুণ রয়েছে। কথিত রয়েছে, গোলের গুড় কিংবা রস খেলে পেটের কৃমি বিনাশ হয়। আবার বাসি রস খেলে তাড়ির মতো নেশা হয়। কলাপাড়া উপজেলার প্রাক্তন স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার জানান, এই গুড়ের এক ধরনের ভিন্নতর স্বাদ রয়েছে। আর যেহেতু এই গুড়ে খনিজ লবণ রয়েছে। যেটি মানুষের জন্য অনেক ক্ষেত্রে উপকারী। একটি কান্ড (ডাটি) থেকে প্রতিদিন ২৫০-৫০০ গ্রাম পর্যন্ত রস সংগ্রহ

করা যায়। এই রস আগুনে জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করা হয়। মঙ্গলবার কলাপাড়ার সাপ্তাহিক হাঁটের দিনে ৩০-৪০ মণ গোলের গুড় বিক্রি হয়। এসব চাষীদের তথ্যমতে ফি বছর অন্তত ৪৫-৫০ লাখ টাকার গোলের গুড় কলাপাড়ায় উৎপাদন হয়। বর্তমানে গোল গাছ অর্থকরি সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে কৃষকের কাছে। কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন জানান, গোল চাষীদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া গোলের চাষ আরও কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বনবিভাগ কলাপাড়া সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে আন্ধারমানিকসহ বিভিন্ন নদী তীরে প্রায় ৬০ হাজার গোল গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। আরও ব্যাপকভাবে গোলবাগান করার পরিকল্পনার কথা জানা

গেছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ভুয়া এনআইডি দিয়ে পাসপোর্ট গিয়ে ৩ রোহিঙ্গা আটক ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে আমেরিকা: ট্রাম্প বাংলাদেশের রেকর্ড হলো, আবার হলোও না গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত মিনিকেট নামে চাল সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ ভোক্তা অধিকারের মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বন্ধ এক ম্যাচ পরই তিন বদল বাংলাদেশ দলে এ সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না: জাপা মহাসচিব উড্ডয়নের পরই যুক্তরাজ্যে প্লেন বিধ্বস্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত আদালতে আত্মসমর্পণ অপু বিশ্বাসের, পেলেন জামিন ট্রাই-ফোল্ড স্মার্টফোন আনছে স্যামসাং বাড্ডায় পোশাকশ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার এবার একাই চার চরিত্রে আল্লু অর্জুন নিহত সোহাগের পরিবারের পাশে বিএনপি, খুনিদের ফাঁসির দাবি শেরপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় তিন মাদ্রাসাছাত্র নিহত লিটনের ফিফটিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং স্কোর বিয়ের ধারণাটা আমার কাছে ভয়ংকর: শ্রুতি আয়ারল্যান্ডে গণকবরের সন্ধান, গোপন চেম্বারে ৭৯৬ শিশুর সমাধি চবি ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ