ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
এবার বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যে নালিশ
এজলাস কক্ষে ডিম ছুড়ে মারার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
এবার বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
আ‘লীগকে রাজনীতি করতে দেয়ার পক্ষে ৫৭% মানুষ
জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার
আইনজীবী আলিফ হত্যার ভিডিও দেখে ৬ জনকে আটক
‘ইসকন’ বিশ্বের যেসব দেশে নিষিদ্ধ
গুমের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে ১১ অভিযোগ
২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গুম হওয়া ১২ জনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১১টি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে অপহৃত ১০ ব্যক্তির পক্ষে ৯টি এবং বাংলাদেশ গুম পরিবার নামের সংগঠনের আহ্বায়ক বেলাল হোসেন একটি এবং আইনজীবী সোহেল রানা অপর একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
তবে ১২ জনের মধ্যে ১০ জন এখনো ফিরে আসেননি। ভুক্তভোগী ও নিখোঁজদের পক্ষে পরিবারের সদস্যরা এসব অভিযোগ দাখিল করেন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার মন্ত্রিসভার সদস্য এবং র্যাব কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে।
বুধবার ট্রাইব্যুনালে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় গুম থেকে ফেরত আসা দুই ব্যক্তিসহ বাকি ১০ জনের পরিবারের
সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম ও আনিসুর রহমানকে ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর র্যাব অপহরণ করে। মুন্সীগঞ্জ থেকে সোহেল মিয়াজীকে ২০১৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয়। ২০১১ সালের ১০ জুলাই বনানী থেকে আব্দুল্লাহ নিখোঁজ হন। একই বছরের ৩ ডিসেম্বর ইকবাল হোসেনকে আগারগাঁও থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে যায়। আইনুল ইসলামকে মদনপুর চৌরাস্তা থেকে ২০২০ সালের ৪ জুলাই উঠিয়ে নেওয়া হয়। ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট মোহাম্মদ সাজুকে মোহাম্মদপুর থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কুদ্দুসর রহমান চৌধুরীকে ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর মিরপুর-১ থেকে তুলে নেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল মো. কাইয়ুমকে গাবতলী থেকে
উঠিয়ে নেওয়া হয়। ভাসানটেক থেকে মো. মোস্তফাকে ২০২০ সালের ৬ জুন উঠিয়ে নেওয়া হয়। আজ পর্যন্ত তাদের স্বজনেরা জানেন না এরা কোথায় আছে। জীবিত নাকি মৃত। তিনি জানান, ‘বাংলাদেশ গুম পরিবার’ নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ৬৪টি ঘটনার তালিকা দেওয়া হয়েছে। এগুলো গ্রহণ করেছি। যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা করব। বেশিরভাগ অভিযোগে তৎকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওই সংগঠনের আহ্বায়ক বেলাল হোসেনকে ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর উঠিয়ে নেওয়া হয়। পরে একই সালের ২ নভেম্বর তাকে একটা জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়। তিনিও ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন। এছাড়া ৬ মাস ৩ দিন গুম করে রাখার অভিযোগে আইনজীবী সোহেল রানাও ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন। আইনজীবী সোহেল
রানা বলেন, ৬ মাস গুম করে রাখার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর এ অভিযোগ করেন তিনি। আসামিরা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ও র্যাবের ২০-২৫ জন অজ্ঞাত সদস্য। আইনজীবী সোহেল রানা বলেন, ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আমাকে উত্তরা থেকে র্যাব সদস্যরা তুলে নিয়ে ৬ মাস গুম করে রেখেছিল। গুম থাকা দিনগুলোতে আমাকে অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নতুন রেজিস্ট্রার : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এমএলবি মেছবাহ উদ্দিন আহমেদকে বদলি করা
হয়েছে। তাকে ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক পদে পদায়ন করা হয়েছে। এই পদে নিয়ে আসা হয়েছে ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ আবু সালেহ মোহাম্মদ রুহুল ইমরানকে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ। এতে ১৪ জন জেলা জজ পদমর্যাদার বিচারককে বদলি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলি করে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদে ও কর্মস্থলে নিয়োগ বা বদলি করা হলো। এসব জেলা জজদের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দায়িত্বভার অর্পণ করে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদানের
জন্য বলা হয়েছে।
সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম ও আনিসুর রহমানকে ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর র্যাব অপহরণ করে। মুন্সীগঞ্জ থেকে সোহেল মিয়াজীকে ২০১৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয়। ২০১১ সালের ১০ জুলাই বনানী থেকে আব্দুল্লাহ নিখোঁজ হন। একই বছরের ৩ ডিসেম্বর ইকবাল হোসেনকে আগারগাঁও থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে যায়। আইনুল ইসলামকে মদনপুর চৌরাস্তা থেকে ২০২০ সালের ৪ জুলাই উঠিয়ে নেওয়া হয়। ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট মোহাম্মদ সাজুকে মোহাম্মদপুর থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কুদ্দুসর রহমান চৌধুরীকে ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর মিরপুর-১ থেকে তুলে নেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল মো. কাইয়ুমকে গাবতলী থেকে
উঠিয়ে নেওয়া হয়। ভাসানটেক থেকে মো. মোস্তফাকে ২০২০ সালের ৬ জুন উঠিয়ে নেওয়া হয়। আজ পর্যন্ত তাদের স্বজনেরা জানেন না এরা কোথায় আছে। জীবিত নাকি মৃত। তিনি জানান, ‘বাংলাদেশ গুম পরিবার’ নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ৬৪টি ঘটনার তালিকা দেওয়া হয়েছে। এগুলো গ্রহণ করেছি। যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা করব। বেশিরভাগ অভিযোগে তৎকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওই সংগঠনের আহ্বায়ক বেলাল হোসেনকে ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর উঠিয়ে নেওয়া হয়। পরে একই সালের ২ নভেম্বর তাকে একটা জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়। তিনিও ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন। এছাড়া ৬ মাস ৩ দিন গুম করে রাখার অভিযোগে আইনজীবী সোহেল রানাও ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন। আইনজীবী সোহেল
রানা বলেন, ৬ মাস গুম করে রাখার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর এ অভিযোগ করেন তিনি। আসামিরা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ও র্যাবের ২০-২৫ জন অজ্ঞাত সদস্য। আইনজীবী সোহেল রানা বলেন, ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আমাকে উত্তরা থেকে র্যাব সদস্যরা তুলে নিয়ে ৬ মাস গুম করে রেখেছিল। গুম থাকা দিনগুলোতে আমাকে অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নতুন রেজিস্ট্রার : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এমএলবি মেছবাহ উদ্দিন আহমেদকে বদলি করা
হয়েছে। তাকে ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক পদে পদায়ন করা হয়েছে। এই পদে নিয়ে আসা হয়েছে ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ আবু সালেহ মোহাম্মদ রুহুল ইমরানকে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ। এতে ১৪ জন জেলা জজ পদমর্যাদার বিচারককে বদলি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলি করে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদে ও কর্মস্থলে নিয়োগ বা বদলি করা হলো। এসব জেলা জজদের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দায়িত্বভার অর্পণ করে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদানের
জন্য বলা হয়েছে।