গাজার ত্রাণ সংস্থায় কেন এত বড় সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রের – ইউ এস বাংলা নিউজ




গাজার ত্রাণ সংস্থায় কেন এত বড় সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রের

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৮ জুন, ২০২৫ | ৫:০৭ 10 ভিউ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামের একটি ত্রাণ সংস্থাকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে। তবে এই সংস্থাটি ঘিরে রয়েছে ব্যাপক বিতর্ক ও প্রশ্নচিহ্ন। গাজায় মানবিক সহায়তার প্রয়োজন অজস্র, কিন্তু কেন এই সংস্থার প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এত বড় সহযোগিতা? উল্লেখ্য, জিএইচএফ নিজেকে একটি মানবিক সংস্থা হিসেবে দাবি করলেও, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে এটি ইসরায়েলি সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ ও তদারকিতে পরিচালিত হয়। অর্থাৎ, এটি প্রকৃত অর্থে মানবিক নয়, বরং গাজায় ইসরায়েলের রাজনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষার একটি ‘সফট পাওয়ার টুল’ হিসেবে কাজ করে। এই সংস্থা সাধারণত প্রচারণার মাধ্যমে ইসরায়েলকে গাজার জনগণের কল্যাণে কাজ করছে এমন ভ্রান্ত ধারণা ছড়ায়। অথচ

বাস্তবতা হলো গাজা বর্তমানে অবরুদ্ধ, বিধ্বস্ত এবং খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রীর তীব্র সংকটে। সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর প্রধান বাধা ইসরায়েলই। ফিলিস্তিনের মানবাধিকার সংগঠনগুলো জিএইচএফকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করে না। তাদের মতে, এই সংস্থা প্রকৃত নিরপেক্ষ ত্রাণ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এবং গোপনে ইসরায়েলের গোয়েন্দা নজরদারিতে সহায়তা করে। ত্রাণ বিতরণে তারা রাজনৈতিক আনুগত্য নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দেয়, যা মানবিক নীতির পরিপন্থি। জিএইচএফের কার্যক্রম বেশিরভাগই মিডিয়া ফোকাসড। অল্প কিছু খাদ্য বা ওষুধ দিয়ে বড়সড়ো প্রচার চালানো হয়, যেন ইসরায়েল মানবিক রাষ্ট্র। তবে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন নিরপেক্ষ সংস্থা বলছে, গাজার জনগণের বেঁচে থাকার জন্য যা ত্রাণ দরকার, ইসরায়েল তা ঢুকতে দিচ্ছে না। বেশ কয়েকবার অভিযোগ উঠেছে যে, জিএইচএফ মানবিক

সহায়তার ছদ্মবেশে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ ও বর্বরতার চিত্র ঢাকতে চায়। এই ‘ওয়াশিং মেশিন’ কৌশল আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র টমি পিগট বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বলেন, জিএইচএফের গুরুত্বপূর্ণ কাজকে তারা সমর্থন দিচ্ছে এবং অন্যান্য দেশকেও অনুরোধ জানাচ্ছে। তবে এই অনুদানের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থ রয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। চলতি বছর মে মাসে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা শুরু থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েছে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো জিএইচএফের সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা বলেন, জিএইচএফ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভাড়া করা সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মীদের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করে, যা মানবিক নীতির পরিপন্থি। সবমিলিয়ে, গাজার এই বিতর্কিত ত্রাণ সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের এই বড়

অনুদান মানবিক না কৌশলগত, তা নিয়ে প্রশ্ন ও বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। সূত্র : আলজাজিরা, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্ট

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
আরো একবার চীনের কূটনৈতিক বার্তা: আসল হুমকি কে? স্থলপথে বাংলাদেশী কাপড়-পাট-সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের ছাত্র সংগঠনের অফিসে প্রেম নিবেদন, রাজি না হওয়ায় ধর্ষণ নেতার বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ৬৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত তিন দিনে গাজায় ১৫ ইসরাইলি সেনা নিহত খামেনিকে ‘হত্যার পরিকল্পনা’র কথা স্বীকার ইসরাইলের হলুদের ঝলক: সোশ্যাল মিডিয়ায় সোনালি আলোর নতুন ট্রেন্ড হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করলো বিমান মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন আজ ঐতিহাসিক পলাশী ট্র্যাজেডি দিবস ডিভোর্সের গুঞ্জনে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া বাংলাদেশ থেকে ৩ পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জিতল কে? আগামী ৩ দিনের বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা অস্থায়ী মণ্ডপ অপসারণের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা গাজার ত্রাণ সংস্থায় কেন এত বড় সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু এশিয়ায় বাড়ছে উত্তাপ, হুমকির মুখে মানুষ-প্রকৃতি সাগর পর্যন্ত শুকিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানকে টার্গেট করে পূর্ণ প্রস্তুতিতে ছিল ভারতের বাহিনী