ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
দিল্লির লাল কেল্লায় বিস্ফোরণ: তদন্ত চলছে, সীমান্তে সতর্ক ভারতীয় বাহিনী
দিল্লি হামলাকে ‘ষড়যন্ত্র’ আখ্যা মোদির, তদন্তে সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ ভারতীয় পুলিশের
যে কোনো দেশের পারমাণবিক পরীক্ষা হলে রাশিয়া ‘সমানভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে’: ল্যাভরভ
পাকিস্তানে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে আরেক বাংলাদেশী জঙ্গির মৃত্যু
বাংলাদেশকে ঘাঁটি করে ভারতে হামলার ছক হাফিজ সইদের, কাশ্মীরের নামে মহিলা আত্মঘাতী বাহিনী গড়ছে জৈশ
রাশিয়ার গচ্ছিত সম্পদ জব্দে বেলজিয়ামকে রাজি করাতে ব্যর্থ ইইউ, মস্কোর হুঁশিয়ারি জারি
ক্যাপিটাল হিল থেকে শেখ হাসিনার ফোনালাপ: বিবিসির ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন
গাজার ত্রাণ সংস্থায় কেন এত বড় সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রের
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামের একটি ত্রাণ সংস্থাকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে।
তবে এই সংস্থাটি ঘিরে রয়েছে ব্যাপক বিতর্ক ও প্রশ্নচিহ্ন। গাজায় মানবিক সহায়তার প্রয়োজন অজস্র, কিন্তু কেন এই সংস্থার প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এত বড় সহযোগিতা?
উল্লেখ্য, জিএইচএফ নিজেকে একটি মানবিক সংস্থা হিসেবে দাবি করলেও, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে এটি ইসরায়েলি সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ ও তদারকিতে পরিচালিত হয়। অর্থাৎ, এটি প্রকৃত অর্থে মানবিক নয়, বরং গাজায় ইসরায়েলের রাজনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষার একটি ‘সফট পাওয়ার টুল’ হিসেবে কাজ করে।
এই সংস্থা সাধারণত প্রচারণার মাধ্যমে ইসরায়েলকে গাজার জনগণের কল্যাণে কাজ করছে এমন ভ্রান্ত ধারণা ছড়ায়। অথচ
বাস্তবতা হলো গাজা বর্তমানে অবরুদ্ধ, বিধ্বস্ত এবং খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রীর তীব্র সংকটে। সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর প্রধান বাধা ইসরায়েলই। ফিলিস্তিনের মানবাধিকার সংগঠনগুলো জিএইচএফকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করে না। তাদের মতে, এই সংস্থা প্রকৃত নিরপেক্ষ ত্রাণ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এবং গোপনে ইসরায়েলের গোয়েন্দা নজরদারিতে সহায়তা করে। ত্রাণ বিতরণে তারা রাজনৈতিক আনুগত্য নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দেয়, যা মানবিক নীতির পরিপন্থি। জিএইচএফের কার্যক্রম বেশিরভাগই মিডিয়া ফোকাসড। অল্প কিছু খাদ্য বা ওষুধ দিয়ে বড়সড়ো প্রচার চালানো হয়, যেন ইসরায়েল মানবিক রাষ্ট্র। তবে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন নিরপেক্ষ সংস্থা বলছে, গাজার জনগণের বেঁচে থাকার জন্য যা ত্রাণ দরকার, ইসরায়েল তা ঢুকতে দিচ্ছে না। বেশ কয়েকবার অভিযোগ উঠেছে যে, জিএইচএফ মানবিক
সহায়তার ছদ্মবেশে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ ও বর্বরতার চিত্র ঢাকতে চায়। এই ‘ওয়াশিং মেশিন’ কৌশল আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র টমি পিগট বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বলেন, জিএইচএফের গুরুত্বপূর্ণ কাজকে তারা সমর্থন দিচ্ছে এবং অন্যান্য দেশকেও অনুরোধ জানাচ্ছে। তবে এই অনুদানের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থ রয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। চলতি বছর মে মাসে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা শুরু থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েছে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো জিএইচএফের সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা বলেন, জিএইচএফ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভাড়া করা সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মীদের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করে, যা মানবিক নীতির পরিপন্থি। সবমিলিয়ে, গাজার এই বিতর্কিত ত্রাণ সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের এই বড়
অনুদান মানবিক না কৌশলগত, তা নিয়ে প্রশ্ন ও বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। সূত্র : আলজাজিরা, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্ট
বাস্তবতা হলো গাজা বর্তমানে অবরুদ্ধ, বিধ্বস্ত এবং খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রীর তীব্র সংকটে। সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর প্রধান বাধা ইসরায়েলই। ফিলিস্তিনের মানবাধিকার সংগঠনগুলো জিএইচএফকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করে না। তাদের মতে, এই সংস্থা প্রকৃত নিরপেক্ষ ত্রাণ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এবং গোপনে ইসরায়েলের গোয়েন্দা নজরদারিতে সহায়তা করে। ত্রাণ বিতরণে তারা রাজনৈতিক আনুগত্য নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দেয়, যা মানবিক নীতির পরিপন্থি। জিএইচএফের কার্যক্রম বেশিরভাগই মিডিয়া ফোকাসড। অল্প কিছু খাদ্য বা ওষুধ দিয়ে বড়সড়ো প্রচার চালানো হয়, যেন ইসরায়েল মানবিক রাষ্ট্র। তবে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন নিরপেক্ষ সংস্থা বলছে, গাজার জনগণের বেঁচে থাকার জন্য যা ত্রাণ দরকার, ইসরায়েল তা ঢুকতে দিচ্ছে না। বেশ কয়েকবার অভিযোগ উঠেছে যে, জিএইচএফ মানবিক
সহায়তার ছদ্মবেশে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ ও বর্বরতার চিত্র ঢাকতে চায়। এই ‘ওয়াশিং মেশিন’ কৌশল আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র টমি পিগট বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বলেন, জিএইচএফের গুরুত্বপূর্ণ কাজকে তারা সমর্থন দিচ্ছে এবং অন্যান্য দেশকেও অনুরোধ জানাচ্ছে। তবে এই অনুদানের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থ রয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। চলতি বছর মে মাসে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা শুরু থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েছে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো জিএইচএফের সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা বলেন, জিএইচএফ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভাড়া করা সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মীদের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করে, যা মানবিক নীতির পরিপন্থি। সবমিলিয়ে, গাজার এই বিতর্কিত ত্রাণ সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের এই বড়
অনুদান মানবিক না কৌশলগত, তা নিয়ে প্রশ্ন ও বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। সূত্র : আলজাজিরা, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্ট



