খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা – ইউ এস বাংলা নিউজ




খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২ অক্টোবর, ২০২৪ | ৭:৫৫ 126 ভিউ
পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে এবার শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণের অভিযোগ’ তুলে আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা নামে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষক সোহেল রানা প্রতিষ্ঠানটির বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন ও সেফটি বিভাগের চিফ ইনস্ট্রাক্টর ছিলেন। আর যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, সে একই প্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঘটনাটির পর পুলিশ সোহেল রানার মরদেহ খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরই মধ্যে এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। একটি ভিডিওতে ‘ধর্ষণের শিকার’ দাবি করা ছাত্রীকে বলতে শোনা যায়, সকালে জামা কিনে দেওয়ার কথা বলে অভিযুক্ত শিক্ষক তাকে রুমে

আসতে বলেন। পরে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এসময় অভিযুক্তকে অধ্যক্ষের রুমে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। আরেক ভিডিওতে দেখা যায়, অধ্যক্ষের রুমে ১০-১৫ জন পাহাড়ি কিশোর-যুবক অভিযুক্ত শিক্ষক সোহেল রানাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করা খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা বলেন, হাসপাতালে আনার আগে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত বক্তব্য পাওয়া যায়নি। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে

তিনি ঘটনায় নিজে আহত জানিয়ে কল কেটে দেন। ঘটনাটি সম্পর্কে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভোরে চোর সন্দেহে খাগড়াছড়িতে মো. মামুন (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এরপর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সহিংসতা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। পরে পরিবেশ কিছুটা শান্ত হলে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
১০ মিনিটে মানসিক চাপ কমাতে পারে ৬ অভ্যাস বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বড় ছাঁটাই আসছে বাজারে সবজির সেঞ্চুরি: ১০০ টাকার নিচে মিলছে না কিছুই রাজনৈতিক অস্থিরতায় রপ্তানিতে ধাক্কা, বিনিয়োগে স্থবিরতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি: ভয়াবহ সংকটে অর্থনীতি পুলিশি বাধায় চারুকলার পর গেণ্ডারিয়াতেও পণ্ড ‘শরৎ উৎসব’: ১৯ বছরের ধারাবাহিকতায় ছেদ তালেবান মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কাবুলে দূতাবাস চালুর ঘোষণা ভারতের, ভারতকে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ আখ্যা আওয়ামী লীগ কি সশস্ত্র সংগ্রাম করবে? কারাবন্দীদের উপর নির্যাতন: সংবিধান ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন দেশের সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি বেবিচকের এ কেমন সংস্কার! দুদকের মামলার একদিন পরই আসামী উল্টো পুরস্কৃত, পেলেন আরও বড় দায়িত্ব নৃশংস বর্বরতা আর নরকীয়তার ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল – নূরুল মজিদ হুমায়ূনের নিথর দেহে হাতকড়া লাগিয়ে। ন্যায়বিচারের পথে এক ধাপ এগোল বাংলাদেশ ট্রাম্প নয় শান্তিতে নোবেল পেলেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া ট্রাম্পকে হারিয়ে নোবেল জেতা কে এই মাচাদো? শিশুদের ‘নোবেল’ শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত সাতক্ষীরার তরুণ সুদীপ্ত শাহজালাল বিমানবন্দরে ৬৫ ভরি স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার ২ টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ ১৯ বছর ধরে ইসরায়েলে বন্দি কে এই ‘দ্বিতীয় ইয়াহিয়া সিনওয়ার’? হংকংয়ের কাছে হেরেও যে সমীকরণে এশিয়ান কাপে খেলবে বাংলাদেশ মিরপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণ, শিশু আহত