ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
১৪ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় যমুনাপাড়ের শহর সিরাজগঞ্জ
‘আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করলেও কাজ করেছে, এরা শুধুই পকেট ভরেছে’—সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়লেন রিকশাচালক
‘বিদেশি হাতের ছায়ায়’ নির্বাচনের ছক, দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইউনূস: সজীব ওয়াজেদ
সুদানের আবেইতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আহত ১৪ সেনার মধ্যে ৬ জন মারা গেছেন
১৪ ডিসেম্বর: বুদ্ধিজীবী হত্যার রক্তাক্ত ইতিহাসে আজও উদাস বাংলা
হাদির ওপর হামলা কি পূর্বপরিকল্পিত ‘সাজানো নাটক’? নেপথ্যে বিশ্বাসভাজন ‘গুপ্ত’ বন্ধু ও ইমেজ সংকটের সমীকরণ
সাঈদীকে ‘জিন্দা কাফের’ ও ‘বিশ্ব টাউট’ আখ্যা দিলেন বনি আমিন: ওয়াজে ভুয়া ধর্মান্তরের নাটক সাজানোর অভিযোগ
খাকি পোশাকের আড়ালে এক ‘পিশাচের’ উত্থান: ২৮তম বিসিএস-এর ‘মীরজাফর’ ডিসি সামী
৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর দেশ যখন একটি কলুষমুক্ত পুলিশ প্রশাসনের স্বপ্ন দেখছে, ঠিক তখনই ডিএমপির ওয়ারী বিভাগে খাকি পোশাকের আড়ালে এক ভয়ঙ্কর দানবীয় রাজত্ব কায়েম করেছেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী। রক্ষকের মুখোশ খুলে তিনি আবির্ভূত হয়েছেন এক নির্মম ভক্ষক হিসেবে। যার লোলুপ দৃষ্টি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নিজের ব্যাচমেট বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ২৮তম বিসিএস-এর এই কর্মকর্তার এক ‘রাক্ষসী ক্ষুধা’র চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগ উঠেছে, তিনি নিজের আখের গোছাতে ‘হাজার কোটি টাকার মিশনে’ নেমেছেন, আর এই পথের কাঁটা সরাতে তিনি বেছে নিয়েছেন বিশ্বাসঘাকতার এক জঘন্য পথ—বন্ধুদের সর্বনাশ।
সিভিল সার্ভিসের ইতিহাসে এমন নজির
বিরল, যেখানে একজন কর্মকর্তা নিজের ব্যাচমেটদের টার্গেট করে একের পর এক মামলা ঠুকে দিচ্ছেন। ডিসি সামী যেন ২৮তম বিসিএস ব্যাচের ‘মীরজাফর’। অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনি তার নিজ ব্যাচের প্রায় ১৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মামলা সাজিয়েছেন। নুরুল আমিন, হাসান আরাফাত, জুয়েল রানা, নাজমুল ইসলাম, সাহেন সাহ, তানভির ইমন, রহমত উল্লাহ—এরা কেউ ডিসি সামীর শত্রু ছিলেন না, ছিলেন সহকর্মী ও বন্ধু। কিন্তু সামীর অনৈতিক আবদার ও চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোই কাল হয়েছে তাদের জন্য। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৫-৬টি করে ভুয়া মামলা দিয়ে কাউকে পাঠিয়েছেন কারাগারে, কাউকে বাধ্য করেছেন দেশত্যাগে। বর্তমানে তার প্রতিহিংসার আগুনে পুড়ে ৮ জন ব্যাচমেট মানবেতর
জীবনযাপন করছেন। সহকর্মীদের অভিযোগ, সামীর কাছে বন্ধুত্ব বা সহমর্মিতার কোনো মূল্য নেই, আছে কেবল টাকার নেশা। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়কে ডিসি সামী তার চাঁদাবাজির মৎসব উৎসবে পরিণত করেছেন। তার কৌশল অত্যন্ত ধূর্ত ও ঘৃণ্য। ব্যবসায়ী ও বিত্তশালীদের টার্গেট করে তিনি প্রথমে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ ট্যাগ দেন। জুলাই আন্দোলনের ছাত্র জনতার হত্যা মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে দরকষাকষি। এক সময় ওয়ারী বিভাগের অলিগলিতে এখন একটাই আতঙ্ক ছিল—ডিসি সামীর ‘মামলা-বাণিজ্য’। ভুক্তভোগীদের দাবি, গ্রেপ্তার ও গায়েবী মামলা এড়াতে সামীকে দিতে হয় কোটি কোটি টাকা। টাকা না দিলে কপালপ জুড়ে জুলাই আন্দোলনের হত্যা মামলা আত্মীয়-স্বজনের জমি দখল করে নেওয়ার মতো জঘন্য কাজ করতেও তার হাত
কাঁপে না। গুলশান বিভাগের সাবেক এক ডিসির সঙ্গে আঁতাত করে তিনি যে বদলি বাণিজ্যের সিন্ডিকেট গড়েছিলেন, সেখান থেকেও তিনি মাসিক ১ কোটি টাকা মাসোহারা তুলতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ডিসি সামীর রাজনৈতিক অবস্থান যেন সুবিধাবাদের এক নিকৃষ্ট উদাহরণ। অনুসন্ধানে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাবার এক প্রভাবশালী বন্ধুর সুপারিশে তিনি চাকরি বাগিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি ছিলেন ক্ষমতার পূজারী। অথচ পটপরিবর্তনের সাথে সাথেই তিনি গিরগিটির মতো রং বদলে ফেলেছেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, দিনের আলোতে তিনি পুলিশি দায়িত্ব পালন করলেও, রাতের আঁধারে তিনি বিএনপি অফিসে বসে নিরপরাধ মানুষদের ফাঁসানোর নীল নকশা তৈরি করেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন তার কাছে কেবল ‘মানুষ শিকার’ ও অর্থ উপার্জনের
একটি নতুন সুযোগ মাত্র। নিজেকে সাধু সাজিয়ে তিনি মূলত ব্যক্তিগত শত্রুতা উদ্ধার ও পকেট ভারী করছেন। কেবল আর্থিক দুর্নীতিই নয়, ডিসি সামীর বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর নৈতিক স্খলনের অভিযোগ। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি বহু নারীর সম্ভ্রমহানি ও জীবন বিষিয়ে তুলেছেন বলে ভুক্তভোগীদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে। খাকি পোশাকের মর্যাদাকে ধুলোয় মিশিয়ে তিনি পুলিশ বাহিনীকে কলঙ্কিত করেছেন। পুলিশ প্রশাসনে চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে আনার এই ক্রান্তিলগ্নে ডিসি সামীর মতো একজন ‘মাফিয়া’ কর্মকর্তার পদে থাকা পুরো বাহিনীর জন্য এক অশনি সংকেত। ভুক্তভোগী সহকর্মী, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের এখন একটাই দাবি—অবিলম্বে এই দুর্বৃত্ত কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে তার হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও অপকর্মের সুষ্ঠু তদন্ত করা
হোক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
বিরল, যেখানে একজন কর্মকর্তা নিজের ব্যাচমেটদের টার্গেট করে একের পর এক মামলা ঠুকে দিচ্ছেন। ডিসি সামী যেন ২৮তম বিসিএস ব্যাচের ‘মীরজাফর’। অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনি তার নিজ ব্যাচের প্রায় ১৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মামলা সাজিয়েছেন। নুরুল আমিন, হাসান আরাফাত, জুয়েল রানা, নাজমুল ইসলাম, সাহেন সাহ, তানভির ইমন, রহমত উল্লাহ—এরা কেউ ডিসি সামীর শত্রু ছিলেন না, ছিলেন সহকর্মী ও বন্ধু। কিন্তু সামীর অনৈতিক আবদার ও চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোই কাল হয়েছে তাদের জন্য। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৫-৬টি করে ভুয়া মামলা দিয়ে কাউকে পাঠিয়েছেন কারাগারে, কাউকে বাধ্য করেছেন দেশত্যাগে। বর্তমানে তার প্রতিহিংসার আগুনে পুড়ে ৮ জন ব্যাচমেট মানবেতর
জীবনযাপন করছেন। সহকর্মীদের অভিযোগ, সামীর কাছে বন্ধুত্ব বা সহমর্মিতার কোনো মূল্য নেই, আছে কেবল টাকার নেশা। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়কে ডিসি সামী তার চাঁদাবাজির মৎসব উৎসবে পরিণত করেছেন। তার কৌশল অত্যন্ত ধূর্ত ও ঘৃণ্য। ব্যবসায়ী ও বিত্তশালীদের টার্গেট করে তিনি প্রথমে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ ট্যাগ দেন। জুলাই আন্দোলনের ছাত্র জনতার হত্যা মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে দরকষাকষি। এক সময় ওয়ারী বিভাগের অলিগলিতে এখন একটাই আতঙ্ক ছিল—ডিসি সামীর ‘মামলা-বাণিজ্য’। ভুক্তভোগীদের দাবি, গ্রেপ্তার ও গায়েবী মামলা এড়াতে সামীকে দিতে হয় কোটি কোটি টাকা। টাকা না দিলে কপালপ জুড়ে জুলাই আন্দোলনের হত্যা মামলা আত্মীয়-স্বজনের জমি দখল করে নেওয়ার মতো জঘন্য কাজ করতেও তার হাত
কাঁপে না। গুলশান বিভাগের সাবেক এক ডিসির সঙ্গে আঁতাত করে তিনি যে বদলি বাণিজ্যের সিন্ডিকেট গড়েছিলেন, সেখান থেকেও তিনি মাসিক ১ কোটি টাকা মাসোহারা তুলতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ডিসি সামীর রাজনৈতিক অবস্থান যেন সুবিধাবাদের এক নিকৃষ্ট উদাহরণ। অনুসন্ধানে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাবার এক প্রভাবশালী বন্ধুর সুপারিশে তিনি চাকরি বাগিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি ছিলেন ক্ষমতার পূজারী। অথচ পটপরিবর্তনের সাথে সাথেই তিনি গিরগিটির মতো রং বদলে ফেলেছেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, দিনের আলোতে তিনি পুলিশি দায়িত্ব পালন করলেও, রাতের আঁধারে তিনি বিএনপি অফিসে বসে নিরপরাধ মানুষদের ফাঁসানোর নীল নকশা তৈরি করেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন তার কাছে কেবল ‘মানুষ শিকার’ ও অর্থ উপার্জনের
একটি নতুন সুযোগ মাত্র। নিজেকে সাধু সাজিয়ে তিনি মূলত ব্যক্তিগত শত্রুতা উদ্ধার ও পকেট ভারী করছেন। কেবল আর্থিক দুর্নীতিই নয়, ডিসি সামীর বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর নৈতিক স্খলনের অভিযোগ। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি বহু নারীর সম্ভ্রমহানি ও জীবন বিষিয়ে তুলেছেন বলে ভুক্তভোগীদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে। খাকি পোশাকের মর্যাদাকে ধুলোয় মিশিয়ে তিনি পুলিশ বাহিনীকে কলঙ্কিত করেছেন। পুলিশ প্রশাসনে চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে আনার এই ক্রান্তিলগ্নে ডিসি সামীর মতো একজন ‘মাফিয়া’ কর্মকর্তার পদে থাকা পুরো বাহিনীর জন্য এক অশনি সংকেত। ভুক্তভোগী সহকর্মী, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের এখন একটাই দাবি—অবিলম্বে এই দুর্বৃত্ত কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে তার হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও অপকর্মের সুষ্ঠু তদন্ত করা
হোক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।



