কিস্তি ছাড়ের সমঝোতা হয়নি, আলোচনা চলবে – ইউ এস বাংলা নিউজ




কিস্তি ছাড়ের সমঝোতা হয়নি, আলোচনা চলবে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৭ এপ্রিল, ২০২৫ | ১১:৪৯ 10 ভিউ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে এ দফায় সমঝোতা হয়নি বাংলাদেশের। ফলে চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ পাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত জানায়নি সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল। আইএমএফ বলেছে, এ বিষয়ে আলোচনা আরও চলবে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দুই কিস্তির অর্থ পাওয়া যেতে পারে আগামী জুনের শেষদিকে। খেলাপি ঋণের বিষয়ে আইএমএফ বলেছে, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এটি কমিয়ে আনতে আরও মনোযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রসঙ্গত, ঋণ পেতে আইএমএফ-এর শর্ত ছিল সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশ এবং বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার। যদিও বর্তমানে সরকারি ব্যাংকে খেলাপি

ঋণের গড় প্রায় ৪৩ শতাংশ এবং বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের গড় প্রায় ১৬ শতাংশ, যা খুবই অস্বাভাবিক। বৃহস্পতিবার দুই সপ্তাহের পর্যালোচনার পর আইএমএফ আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এ ব্রিফিংয়ে আইএমএফ-এর গবেষণা বিভাগের উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি শাখার প্রধান (মিশনপ্রধান) ক্রিস পাপাজর্জিওসহ অন্য ৯ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে। এ বৈঠক হবে ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল। পাপাজর্জিও মনে করেন, বাংলাদেশের রিজার্ভের পাশাপাশি বিনিময় হারও স্থিতিশীল। রিজার্ভের পরিমাণ এমনকি তাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার আরও নমনীয় হলে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বাড়বে। কর ব্যবস্থার সংস্কারের বিষয়ে

গুরুত্ব দিয়ে আইএমএফ বলেছে, কর নীতি ও প্রশাসনের মধ্যে পরিষ্কার পার্থক্য থাকা উচিত। এছাড়া করছাড় কমাতে হবে, কর নীতিকে সহজ করতে হবে এবং রাজস্ব বৃদ্ধির টেকসই পথ খুঁজে বের করতে হবে। ব্যাংক খাতের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে আইনগত সংস্কার ও কার্যকর সম্পদ মান যাচাই এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও সুশাসন জোরদারের প্রতিও গুরুত্বারোপ করে আইএমএফ। সংস্থাটি বলেছে, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার জোরালো অগ্রগতি দরকার। মিশনটি ৬ এপ্রিল থেকে বুধবার পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ বিভাগের পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ ইত্যাদি

দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ৬ ও ১৬ এপ্রিল এ মিশন বৈঠক করেছে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গেও। এর আগেও কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আইএমএফ মিশন এসেছিল। মিশন শেষে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি ‘স্টাফ লেবেল’ চুক্তি হয়েছিল। এটি আসলে কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে প্রাথমিক ইতিবাচক মনোভাবের প্রকাশ। এবার এ ধরনের স্টাফ লেবেল চুক্তি হয়নি বলে জানা গেছে। আইএমএফ-এর সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে পাওয়া গেছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুনে পাওয়া গেছে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ তিন কিস্তিতে

আইএমএফ থেকে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ঋণের ২৩৯ কোটি ডলার। বিপত্তি দেখা দেয় চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড়ের বেলায়। অন্তর্বর্তী সরকারের আশা, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পাওয়া যাবে আগামী জুনে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কট্টর হিন্দুত্ববাদী আরএসএস ‘প্রচারকরা’ কেন বিয়ে করতে পারেন না? আজকের খেলা: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ আফগানিস্তানে পরিত্যক্ত মার্কিন অস্ত্র এখন জঙ্গিদের হাতে গাজার যুদ্ধাহত শিশুর ছবি বিশ্বসেরা জোট সরকারে থাকছেন না বিলাওয়াল আসাদকে সিরিয়ায় প্রত্যার্পণে রাশিয়ার অস্বীকৃতি টানা ৫ দিন বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস রক্তক্ষরণজনিত জন্মগত রোগ মেসির তিন ছেলে কে কোন ফুটবলারের ভক্ত বিদ্রোহী ৮ নারী ফুটবলারও আসছেন চুক্তির আওতায় রুশ নাগরিকের মুক্তিতে হামাসের ভূমিকার প্রশংসা করলেন পুতিন হাট ইজারা নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০ দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে আ. লীগ নেতা, যা বলছে জামায়াত ইরাকে প্রবল বালুঝড় : অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩ হাজার ৭ শতাধিক পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ : ভারত বাজারে কাঁকরোলের কেজি ১৪০, বেগুনের সেঞ্চুরি চেকপোস্ট ব্যারাক থেকে পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার রাষ্ট্র পরিবর্তনের জন্য লড়াই বিশ্বের ইতিহাসে বিরল: নজরুল এবার প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা আলম