ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ঢামেকে জুলাই অভ্যুত্থানের ৬ শহীদের লাশ
ঠাকুরগাঁওয়ে গভীর রাতে ‘ইত্যাদি’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে কী হয়েছিল
দেশে ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত
সবজি চাষিদের অস্বস্তি, ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি
ঠাকুরগাঁওয়ে ইত্যাদি অনুষ্ঠানে ভাঙচুর-মারামারি, অনুষ্ঠান স্থগিত
অর্ধশত যাত্রী রেখে নির্ধারিত সময়ের আগেই চলে গেল ট্রেন, স্টেশন মাস্টার অবরুদ্ধ
কমিশনারসহ সন্দেহভাজন দুই র্যাব সদস্য হেফাজতে
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু খুন হয়েছেন। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সি-গাল পয়েন্টের ঝাউবনে অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারীরা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াছ খান। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা (১৮/১৮-২০২৫) দায়ের করেছেন নিহতের ভগিনীপতি মো. ইউনুস আলী সেখ (৫৯)।
শুক্রবার দুপুরে নথিভুক্ত হওয়া মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন- ভিকটিম গোলাম রব্বানী টিপু (৫৫) আমার স্ত্রী নুরজাহান বেগম হ্যাপির আপন মেজো ভাই।
গোলাম রব্বানী টিপুর কক্সবাজার জেলায় আগে থেকেই চিংড়ি মাছের ঘেরের ব্যবসা ছিল। গত ৮ জানুয়ারি রাত ১১টার গ্রিন লাইন
বাসে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন টিপু। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বেলা দেড়টার দিকে টিপুর সঙ্গে বোন হ্যাপির (বাদীর স্ত্রী) মোবাইলে যোগাযোগ হয় এবং কক্সবাজারে বেড়াতে আসার কথা জানায়। পরবর্তীতে একই দিন রাত প্রায় ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে খবর পায় গোলাম রব্বানী টিপুকে কক্সবাজার পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের সুগন্ধা পয়েন্টে হোটেল সি-গালের পশ্চিম পার্শ্বে ফুটপাতের উপর দুর্বৃত্তরা মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, স্থানীয় লোকজন ভিকটিম টিপুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মৃত ঘোষণা করেন। কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ লাশ সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতের পর মর্গে প্রেরণ করে। শুক্রবার
সকালে বাদী ও পরিবারের লোকজন লাশ শনাক্ত ও হত্যার বিষয়ে স্থানীয় লোকজনদের কাছে বিস্তারিত জানতে পারেন। আমাদের ধারণা ৯ জানুয়ারি রাত অনুমান সোয়া ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যবর্তী সময়ে দুর্বৃত্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গোলাম রব্বানী টিপুকে মাথায় গুলি করে খুন করে। নিহত গোলাম রব্বানী টিপু (৫৫) খুলনার দৌলতপুরের দেয়ানা উত্তরপাড়ার বাসিন্দা গোলাম কবিরের ছেলে। তিনি খুলনা সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতির পদে ছিলেন। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যার আলামত সংগ্রহের চেষ্টা চালায়। নিহত টিপুর সঙ্গে তার সহকর্মী সাবেক এক কাউন্সিলর কক্সবাজার এসেছেন এবং তারা একসঙ্গে একটি হোটেলে যান বলে জানতে পারেন তারা।
এরপর র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সদস্যরা সেই কাউন্সিলর ও কক্সবাজারে টিপুর কাছের হিসেবে পরিচিত এক যুবককে হেফাজতে নিয়ে তথ্য জানার চেষ্টা করছেন। তাদের সঙ্গে খুলনার এক নারী শিক্ষার্থীও এসেছেন- এমনটি প্রচার পাওয়ায় তার অবস্থান নিশ্চিতের চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী- এমনটি জানিয়েছে জেলা পুলিশের সূত্র। টিপুকে রক্তাক্ত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া অটোরিকশাচালক জানান, রাত পৌনে ৯টার দিকে সৈকতের সি-গাল পয়েন্টের কাঠের সাঁকোর পাশের ঝাউবনে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। অকস্মাৎ হওয়া এ আওয়াজ গুলির শব্দ বুঝতে পেরে অনেকে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন। তারা দেখতে পান এক ব্যক্তিকে গুলি করে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় গুলিবিদ্ধের চিৎকার শুনে এগিয়ে যান তিনি। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে
উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকজন লোক মোটরসাইকেলযোগে এসে তাকে কপালে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পর্যাপ্ত লাইটিং না থাকায় গুলি করে পালিয়ে যাওয়াদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরীর মতে, প্রাথমিকভাবে এটি ছিনতাইয়ের ঘটনা নয় বলে মনে হচ্ছে। আমরা তদন্ত করছি। বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছি। বিকালে ময়নাতদন্তের পর লাশ স্বজনরা নিয়ে গেছেন বলে জানান ওসি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যবসায়িক কাজে প্রায়ই কক্সবাজারে অবস্থান করতেন টিপু। মহেশখালীর বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে শেয়ারে লবণ চাষ ও চিংড়ি
ঘেরের ব্যবসা করতেন তিনি। মেরিন ড্রাইভ সড়কে জমিও ছিল তার। কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে টিপুর বেশ সখ্য ছিল। কক্সবাজারে এলে অবস্থান করতেন ঝাউতলার হোটেল সাগরগাঁওয়ে। তবে সাগরগাঁও হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, এক সময় তিনি পারমানেন্ট সাগরগাঁও হোটেলে থাকতেন। তবে ২০১৮ সালের পর থেকে আর থাকছেন না। স্থানীয়দের মতে, মাথায় যেভাবে গুলি করা হয়েছে তাতে অনুমান করা যাচ্ছে পরিকল্পিতভাবে তাকে সৈকতে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু হত্যার ক্লু বের করার চেষ্টায় খুলনার সাবেক কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার ও কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার নুরুল কবির ভুট্টোকে হেফাজতে নিয়েছে র্যাব-১৫। বৃহস্পতিবার রব্বানী, ইফতেখার এবং রুমি নামে এক নারী একইসঙ্গে কলাতলীর
হোটেল গোল্ডেন হিলে কক্ষ বুক করেন বলে প্রচার পায়। তবে তারা একসঙ্গে হোটেলে উঠেননি। কক্ষ বুকিংয়ের সময় রব্বানী তাদের তিনজনের পরিচয় দেন বলে হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে মাস্ক পরা এক নারীকে রব্বানীর সঙ্গে হোটেল থেকে বের হতে দেখা যায়। রুমি খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী বলেও প্রচার পেয়েছে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রব্বানীর সঙ্গে বের হওয়া রুমি নামে ওই নারীকে খুঁজছে। হত্যার পর রাত ১টার দিকে র্যাব হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বলে জানা গেছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতে, সৈকতের বেলাভূমির তীর ঝাউবন এলাকা ও সড়কে পর্যাপ্ত লাইটিং না থাকার সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এর আগেও রাতে অন্ধকার থাকা এসব এলাকায় অস্ত্র, মাদক হস্তান্তর, ডাকাত ও ছিনতাইকারীরা জড়ো হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও র্যাব একাধিকবার এ স্থান হতে ডাকাত, ছিনতাইকারী ও অস্ত্র সরবরাহকালে কয়েকজন কারবারিকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছিল। বেলাভূমির বিভিন্ন অনুষঙ্গ ভাড়া দিয়ে বার্ষিক কয়েক কোটি টাকা ফান্ড পায় বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি। এসব টাকায় বিচ এলাকায় পর্যাপ্ত লাইটিং ও পরিচ্ছন্ন চলাচলের পথ সৃষ্টি এবং সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ করা যায়; কিন্তু কমিটির ফান্ড তসরুপ করে বিচ এলাকাটাকে অনিরাপদ করে রাখা হয়। এতে পর্যটনের সমূহ ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
বাসে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন টিপু। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বেলা দেড়টার দিকে টিপুর সঙ্গে বোন হ্যাপির (বাদীর স্ত্রী) মোবাইলে যোগাযোগ হয় এবং কক্সবাজারে বেড়াতে আসার কথা জানায়। পরবর্তীতে একই দিন রাত প্রায় ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে খবর পায় গোলাম রব্বানী টিপুকে কক্সবাজার পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের সুগন্ধা পয়েন্টে হোটেল সি-গালের পশ্চিম পার্শ্বে ফুটপাতের উপর দুর্বৃত্তরা মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, স্থানীয় লোকজন ভিকটিম টিপুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মৃত ঘোষণা করেন। কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ লাশ সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতের পর মর্গে প্রেরণ করে। শুক্রবার
সকালে বাদী ও পরিবারের লোকজন লাশ শনাক্ত ও হত্যার বিষয়ে স্থানীয় লোকজনদের কাছে বিস্তারিত জানতে পারেন। আমাদের ধারণা ৯ জানুয়ারি রাত অনুমান সোয়া ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যবর্তী সময়ে দুর্বৃত্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গোলাম রব্বানী টিপুকে মাথায় গুলি করে খুন করে। নিহত গোলাম রব্বানী টিপু (৫৫) খুলনার দৌলতপুরের দেয়ানা উত্তরপাড়ার বাসিন্দা গোলাম কবিরের ছেলে। তিনি খুলনা সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতির পদে ছিলেন। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যার আলামত সংগ্রহের চেষ্টা চালায়। নিহত টিপুর সঙ্গে তার সহকর্মী সাবেক এক কাউন্সিলর কক্সবাজার এসেছেন এবং তারা একসঙ্গে একটি হোটেলে যান বলে জানতে পারেন তারা।
এরপর র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সদস্যরা সেই কাউন্সিলর ও কক্সবাজারে টিপুর কাছের হিসেবে পরিচিত এক যুবককে হেফাজতে নিয়ে তথ্য জানার চেষ্টা করছেন। তাদের সঙ্গে খুলনার এক নারী শিক্ষার্থীও এসেছেন- এমনটি প্রচার পাওয়ায় তার অবস্থান নিশ্চিতের চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী- এমনটি জানিয়েছে জেলা পুলিশের সূত্র। টিপুকে রক্তাক্ত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া অটোরিকশাচালক জানান, রাত পৌনে ৯টার দিকে সৈকতের সি-গাল পয়েন্টের কাঠের সাঁকোর পাশের ঝাউবনে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। অকস্মাৎ হওয়া এ আওয়াজ গুলির শব্দ বুঝতে পেরে অনেকে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন। তারা দেখতে পান এক ব্যক্তিকে গুলি করে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় গুলিবিদ্ধের চিৎকার শুনে এগিয়ে যান তিনি। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে
উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকজন লোক মোটরসাইকেলযোগে এসে তাকে কপালে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পর্যাপ্ত লাইটিং না থাকায় গুলি করে পালিয়ে যাওয়াদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরীর মতে, প্রাথমিকভাবে এটি ছিনতাইয়ের ঘটনা নয় বলে মনে হচ্ছে। আমরা তদন্ত করছি। বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছি। বিকালে ময়নাতদন্তের পর লাশ স্বজনরা নিয়ে গেছেন বলে জানান ওসি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যবসায়িক কাজে প্রায়ই কক্সবাজারে অবস্থান করতেন টিপু। মহেশখালীর বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে শেয়ারে লবণ চাষ ও চিংড়ি
ঘেরের ব্যবসা করতেন তিনি। মেরিন ড্রাইভ সড়কে জমিও ছিল তার। কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে টিপুর বেশ সখ্য ছিল। কক্সবাজারে এলে অবস্থান করতেন ঝাউতলার হোটেল সাগরগাঁওয়ে। তবে সাগরগাঁও হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, এক সময় তিনি পারমানেন্ট সাগরগাঁও হোটেলে থাকতেন। তবে ২০১৮ সালের পর থেকে আর থাকছেন না। স্থানীয়দের মতে, মাথায় যেভাবে গুলি করা হয়েছে তাতে অনুমান করা যাচ্ছে পরিকল্পিতভাবে তাকে সৈকতে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু হত্যার ক্লু বের করার চেষ্টায় খুলনার সাবেক কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার ও কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার নুরুল কবির ভুট্টোকে হেফাজতে নিয়েছে র্যাব-১৫। বৃহস্পতিবার রব্বানী, ইফতেখার এবং রুমি নামে এক নারী একইসঙ্গে কলাতলীর
হোটেল গোল্ডেন হিলে কক্ষ বুক করেন বলে প্রচার পায়। তবে তারা একসঙ্গে হোটেলে উঠেননি। কক্ষ বুকিংয়ের সময় রব্বানী তাদের তিনজনের পরিচয় দেন বলে হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে মাস্ক পরা এক নারীকে রব্বানীর সঙ্গে হোটেল থেকে বের হতে দেখা যায়। রুমি খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী বলেও প্রচার পেয়েছে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রব্বানীর সঙ্গে বের হওয়া রুমি নামে ওই নারীকে খুঁজছে। হত্যার পর রাত ১টার দিকে র্যাব হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বলে জানা গেছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতে, সৈকতের বেলাভূমির তীর ঝাউবন এলাকা ও সড়কে পর্যাপ্ত লাইটিং না থাকার সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এর আগেও রাতে অন্ধকার থাকা এসব এলাকায় অস্ত্র, মাদক হস্তান্তর, ডাকাত ও ছিনতাইকারীরা জড়ো হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও র্যাব একাধিকবার এ স্থান হতে ডাকাত, ছিনতাইকারী ও অস্ত্র সরবরাহকালে কয়েকজন কারবারিকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছিল। বেলাভূমির বিভিন্ন অনুষঙ্গ ভাড়া দিয়ে বার্ষিক কয়েক কোটি টাকা ফান্ড পায় বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি। এসব টাকায় বিচ এলাকায় পর্যাপ্ত লাইটিং ও পরিচ্ছন্ন চলাচলের পথ সৃষ্টি এবং সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ করা যায়; কিন্তু কমিটির ফান্ড তসরুপ করে বিচ এলাকাটাকে অনিরাপদ করে রাখা হয়। এতে পর্যটনের সমূহ ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।