কট্টর হিন্দুত্ববাদী আরএসএস ‘প্রচারকরা’ কেন বিয়ে করতে পারেন না? – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
     ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ

কট্টর হিন্দুত্ববাদী আরএসএস ‘প্রচারকরা’ কেন বিয়ে করতে পারেন না?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ | ৯:৪২ 93 ভিউ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাবেক সভাপতি দিলীপ ঘোষ শুক্রবার সন্ধ্যায় বিয়ে করেছেন দলীয় সহকর্মী রিঙ্কু মজুমদারকে। দিলীপের বিয়ের খবর সামনে আসার পর থেকে দুদিন ধরে আলোচনা চলছে গণমাধ্যম এবং সামাজিকমাধ্যমে। এর একটা কারণ দিলীপ প্রায় ৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন। অন্য কারণটি হলো হিন্দু পুণরুত্থানবাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বা আরএসএসের প্রচারক হিসাবে কাজ করা দিলীপ ঘোষ বিয়ের পিঁড়িতে বসেন! দ্বিতীয় কারণটি নিয়েই আলোচনা চলছে, যেহেতু আরএসএসের প্রচারক থাকাকালীন বিয়ে করার নিয়ম নেই। তবে দিলীপ ঘোষ ১৯৮৪ সাল থেকে আরএসএসের প্রচারক থাকলেও তাকে যখন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি হিসাবে পাঠিয়েছে সঙ্ঘ, তখন থেকেই তিনি আর প্রচারক পদে ছিলেন না। পশ্চিমবঙ্গে আরএসএসের নেতা ড. জিষ্ণু বসু বলেন,

প্রচারকরা বিয়ে করতে পারবেন না, এটাই সঙ্ঘের নিয়ম। সেই গুরুজী গোলওয়ালকরের আমল থেকেই এ নিয়ম চলে আসছে। তার কথায়, দিলীপদার বিয়ে নিয়ে সঙ্ঘের কেউ বিস্মিত হয় নি। সংবাদমাধ্যমেই বেশি আলোচনা দেখছি। যেসব গণমাধ্যম বছরে একবারও সঙ্ঘের খবর ছাপে না, তারাই দেখছি দিলীপদার বিয়ে নিয়ে সবথেকে বেশি উৎসাহিত। বিয়ে কেন্দ্রিক সঙ্ঘের নানা নিয়ম নিয়ে লেখা হচ্ছে! বিজেপি ও আরএসএস ঘনিষ্ঠ বিজেপির একাধিক নেতা বলেছেন, দিলীপ ঘোষের অশীতিপর মায়ের অনেক দিন ধরেই ইচ্ছা যে, তার রাজনীতিবিদ পুত্র বিয়ে করে সংসারী হন। বছর চারেক ধরেই দিলীপ দার মা ছেলেকে বিয়ের কথা বলছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি যে, তিনি ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রীর খোঁজও করেছিলেন। তখনই দিলীপদার

সঙ্গে রাজনীতির ময়দানেই রিঙ্কু মজুমদারের আলাপ পরিচয় এবং তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। দিলীপদার বিয়ের ব্যাপারটা আমরা জানতে পারি চার-পাঁচদিন আগে। দলের কেউই কিন্তু বিস্মিত হন নি বিষয়টি নিয়ে। শুক্রবার কলকাতা লাগোয়া নিউটাউনে অতি ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের উপস্থিতিতে আইনি এবং বৈদিক মতে তাদের বিবাহ হয় বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দিলীপ ঘোষের বাসভবনে যান সুকান্ত মজুমদারসহ সিনিয়র নেতারা। সেখানে তিনি বলেন, ‌‘বহু রাজনৈতিক নেতাই অনেক বেশি বয়সে বিয়ে করেন। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সিও তো অনেক বয়সে বিয়ে করেছিলেন। সিপিআই নেতা ইন্দ্রজিত গুপ্তরও অনেক বয়সে বিয়ে হয়। আসলে রাজনীতি করতে এসে বা সামাজিক জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়ার

ফলে বিয়ে করার সময়টাই হয় ওঠে না অনেকের।’ তারা দলের তরফ থেকে দিলীপ ঘোষ এবং তার নববধূকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছেন। কেন আরএসএস প্রচারকরা বিয়ে করেন না? আরএসএসের নিয়ম অনুযায়ী একজন প্রচারককে সম্পূর্ণ সময়টাই সংগঠনের কাজে দিতে হয়। পরিবার প্রতিপালনের জন্য যদি সময় বের করতে হয়, তাহলে সংগঠনকে পুরো সময় দেওয়া সম্ভব নয় বলেই প্রচারকদের বিয়ে করার নিয়ম নেই। বাংলা, ওড়িশা, সিকিম ও আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে আরএসএসের যে ক্ষেত্র, তারই সহ-ক্ষেত্র প্রচার প্রমুখ। ড. জিষ্ণু বসু বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘একজন প্রচারককে পুরো সময়টাই সঙ্ঘের কাজে দিতে হয়। তাই আলাদা করে পরিবারকে দেওয়ার মতো সময় প্রচারকের থাকে না। সেজন্যই দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক গুরুজী মাধব গোলওয়ালকরের সময় থেকেই

প্রচারকদের বিয়ে না করার নিয়ম রয়েছে। ড. বসু আরও বলেন, ‘আবার সঙ্ঘের মাসিক অর্থায়নেই তার দৈনন্দিন খরচ চলে। তাই কোনো প্রচারককে যখন রাজনীতি করতে পাঠানো হচ্ছে, তখন তো তিনি আর সঙ্ঘের কাজ করছেন না, তার দৈনন্দিন খরচও সেই রাজনৈতিক দলকেই দিতে হবে। তাই প্রচারকও আর তিনি থাকতে পারবেন না। এই নিয়ম অনুযায়ীই দিলীপ ঘোষকে যখন বিজেপির সভাপতি হিসাবে পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হয় ২০১৫ সালে, তখন থেকেই তিনি আর সঙ্ঘের প্রচারক নন। তার পরে তিনি ২০১৬ সাল থেকে বিধানসভার সদস্য ও ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন, সেখান থেকে ভাতা পেতেন তিনি। অন্য কোনোভাবে অর্থের সংস্থান তৈরি হলেও প্রচারক থাকা যায় না। বিজেপির

রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যোগ করলেন, ‘সঙ্ঘ থেকে যাদের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক করে পাঠানো হয়, তারা আর প্রচারক থাকতে পারেন না। তবে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক – সংগঠন হয়ে যারা আসেন, তারা প্রচারকই থাকেন।’ ‘তাই দিলীপদার তো বিয়ে করতে কোনো বাধা ছিল না,’ বলছিলেন আরএসএস এবং বিজেপির একাধিক নেতা। বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অটল বিহারী বাজপেয়ী, প্রথম তিন সাধারণ সম্পাদকের অন্যতম লাল কৃষ্ণ আদবাণী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিনজনই আরএসএসের প্রচারক ছিলেন। বাজপেয়ী এবং মোদি বিয়ে করেন নি। ড. জিষ্ণু বসু জানান, ‘তবে লাল কৃষ্ণ আদবাণী সংসার জীবনে প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই তিনি প্রচারকের জীবন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। এরকম বহু উদাহরণ আছে

যারা সঙ্ঘের প্রচারক থেকে সংসারী জীবনে ফিরে গেছেন।’ তার কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গে হয়তো সংখ্যাটা কম, কিন্তু মহারাষ্ট্র বা ওড়িশার মতো রাজ্যে এরকম উদাহরণ কয়েকশো। তারা একটা সময়ে প্রচারক হিসাবে সঙ্ঘে থেকেছেন, তারপরে মনে হয়েছে সংসার করবেন, তাই তারা প্রচারকের দায়িত্ব থেকে সরে গেছেন।’ বিবাহ বা সংসারের ব্যাপারে নিয়মগুলো কিন্তু শুধুমাত্র পুরুষদের ক্ষেত্রেই, কারণ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে কোনো নারী সদস্য নেই। নারীদের জন্য রাষ্ট্র সেবিকা সমিতি নামে সমান্তরাল একটি সংগঠন আছে। সূত্র : বিবিসি

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
শেখ হাসিনার রায়কে ‘পাত্তা’ দিল না ভারত, বিবৃতির পরতে পরতে কূটনৈতিক বার্তা অবৈধ আইসিটি ট্রাইব্যুনালের রায় প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণা বঙ্গোপসাগরে নিরাপত্তা জোরদার: বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগের জেরে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে নজরদারি বাড়াচ্ছে ভারত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রায় ‘ক্যাঙ্গারু কোর্টের প্রহসন’, প্রত্যাখ্যান ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের আমি ক্ষুব্ধ, আমি কষ্ট পাচ্ছি: শেখ হাসিনার আইনজীবী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফেসবুক স্ট্যাটাস অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূসের অবৈধ আইসিটি ট্রাইব্যুনালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রদত্ত রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ‘ক্যাঙ্গারু কোর্টের রায় মানি না’, ট্রাইব্যুনালের রায় প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগের শাটডাউন ঘোষণা রায়ের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন শেখ হাসিনা মানিকগঞ্জের শিবালয়ে গ্রামীণ ব্যাংক অফিসে আগুন, দুর্বৃত্তদের খুঁজছে পুলিশ ফ্যাসিস্ট ইউনুসের প্রশাসনিক মব সন্ত্রাসের শিকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা – কর্মীরা। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ইউনুসের শাসনামলে কতটুকু শান্তিতে আছে দেশের মানুষ? ৩২ নম্বরে উত্তেজনা, সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের কারাদণ্ড আবারও বিতর্কিত মন্তব্য কঙ্গনার ৩২ নম্বরে বুলডোজার নিয়ে যাওয়া দলকে ‘রাজাকার’ আখ্যা শাওনের এলজিবিটি কমিউনিটিকে ব্যবহার করে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, আলোচনায় একাধিক নাম বিচারক ও নারীর মন বোঝা কষ্টকর: অ্যাটর্নি জেনারেল চীনে সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় স্বর্ণের খনি আবিষ্কার ঢাকাসহ ৪ জেলায় বিজিবি মোতায়েন