এশিয়ায় বাড়ছে উত্তাপ, হুমকির মুখে মানুষ-প্রকৃতি – ইউ এস বাংলা নিউজ




এশিয়ায় বাড়ছে উত্তাপ, হুমকির মুখে মানুষ-প্রকৃতি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৮ জুন, ২০২৫ | ৫:০৫ 11 ভিউ
এশিয়া মহাদেশ এখন বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হারে উষ্ণ হচ্ছে। এ তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে চরম আবহাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবেশগত বিপর্যয় দিন দিন বাড়ছে। ২০২৪ সালের জলবায়ু পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) ‘স্টেট অব দ্য ক্লাইমেট ইন এশিয়া ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সাল ছিল এশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ অথবা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উষ্ণ বছর। এ সময়ে দীর্ঘমেয়াদি তাপপ্রবাহ এবং ভয়াবহ সমুদ্র তাপমাত্রার কারণে এ অঞ্চলের অর্থনীতি, বাস্তুতন্ত্র ও সমাজে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এশিয়ায় ভূমির পরিমাণ বিশাল এবং তা আর্কটিক পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ায় উষ্ণতা বৃদ্ধির হারও বেশি। স্থলভাগে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার সাধারণত সমুদ্রের চেয়ে

বেশি হয়, ফলে মহাদেশটি দ্বিগুণ হারে উত্তপ্ত হচ্ছে। ২০২৪ সালে এশিয়ার সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা ছিল রেকর্ড পরিমাণ। এ সময় সমুদ্রপৃষ্ঠ প্রতি দশকে ০.২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হারে বেড়েছে, যা বৈশ্বিক গড়ের প্রায় দ্বিগুণ। বিশেষ করে উত্তর ভারত মহাসাগর ও পূর্ব চীন সাগরসহ সমুদ্রের বিস্তীর্ণ অংশে এই উষ্ণতা লক্ষ করা গেছে। এতে উপকূলীয় নিচু এলাকাগুলো ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে পড়েছে। হিমালয় ও তিব্বত মালভূমি ঘিরে থাকা হাই-মাউন্টেন এশিয়া অঞ্চলে ২০২৩-২৪ সালে ২৪টির মধ্যে ২৩টি হিমবাহে বরফ কমেছে। শীতকালে তুষারপাত কম হওয়া এবং গ্রীষ্মে চরম গরমের কারণে বরফ গলার হার বেড়েছে। এই অঞ্চলকে ‘বিশ্বের তৃতীয় মেরু’ বলা হয়, যেখানে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম মিঠা পানির হিমবাহ (পোলার অঞ্চল

বাদে)। হিমবাহ গলা শুধু সমুদ্রপৃষ্ঠ বাড়ায় না, বরং তা আঞ্চলিক জলচক্র, কৃষি ও গ্লেসিয়াল লেক বিস্ফোরণের মতো বিপদও ডেকে আনে। ২০২৪ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে সমুদ্রের প্রায় ১৫ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার অংশ চরম সামুদ্রিক তাপপ্রবাহে আক্রান্ত হয়। এই পরিমাণ পুরো পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠের এক-দশমাংশের সমান। এই সময় উত্তর মেরু মহাসাগরের বড় অংশে বরফ গলে গিয়ে বরফ রেখা উত্তর দিকে সরে গেছে। খরা ও অতিবৃষ্টির মধ্য দিয়ে চলে গেছে এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল। রাশিয়ার লাপতেভ সাগর, লেনা নদীর আশপাশে এবং আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে, কাজাখস্তান ও দক্ষিণ রাশিয়ায় ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এতে অন্তত ১

লাখ ১৮ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৪ ঘণ্টায় ২৫৯.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়, যা ১৯৪৯ সালের পর সর্বোচ্চ। চরম বৃষ্টিপাত ও ঘূর্ণিঝড় অনেক দেশে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মহাসচিব সেলেস্টে সাওলো বলেন, চরম আবহাওয়া ইতোমধ্যে সমাজ, অর্থনীতি ও পরিবেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করছে। জীবন ও জীবিকা রক্ষায় জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ এখন আরও বেশি জরুরি। প্রতিবেদনে নেপালের একটি উদাহরণ তুলে ধরা হয়, যেখানে আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি থেকে সাধারণ মানুষ নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছে। এটি প্রমাণ করে, সময়মতো ব্যবস্থা নিলে বিপর্যয়ের প্রভাব অনেকটাই কমানো সম্ভব। তথ্যসূত্র : ডন

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
আরো একবার চীনের কূটনৈতিক বার্তা: আসল হুমকি কে? স্থলপথে বাংলাদেশী কাপড়-পাট-সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের ছাত্র সংগঠনের অফিসে প্রেম নিবেদন, রাজি না হওয়ায় ধর্ষণ নেতার বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ৬৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত তিন দিনে গাজায় ১৫ ইসরাইলি সেনা নিহত খামেনিকে ‘হত্যার পরিকল্পনা’র কথা স্বীকার ইসরাইলের হলুদের ঝলক: সোশ্যাল মিডিয়ায় সোনালি আলোর নতুন ট্রেন্ড হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করলো বিমান মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন আজ ঐতিহাসিক পলাশী ট্র্যাজেডি দিবস ডিভোর্সের গুঞ্জনে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া বাংলাদেশ থেকে ৩ পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জিতল কে? আগামী ৩ দিনের বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা অস্থায়ী মণ্ডপ অপসারণের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা গাজার ত্রাণ সংস্থায় কেন এত বড় সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু এশিয়ায় বাড়ছে উত্তাপ, হুমকির মুখে মানুষ-প্রকৃতি সাগর পর্যন্ত শুকিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানকে টার্গেট করে পূর্ণ প্রস্তুতিতে ছিল ভারতের বাহিনী