
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

উত্তরায় ফিল্মি স্টাইলে র্যাব পরিচয়ে কোটি টাকা ছিনতাই

আরও ৩৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৫৯

কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

নাট্যকার সমু চৌধুরীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

চট্টগ্রামে নেই ন্যূনতম প্রস্তুতি

বোতল ব্যবসায়ীকে হত্যার পর খণ্ড-বিখণ্ড করে বালিচাপা
ঈদের ছুটির শেষ মুহূর্তে রমনায় দর্শনার্থীদের বাঁধভাঙা আনন্দ

রাজধানী ঢাকার ব্যস্ত, কোলাহলময় শহরজীবনের ফাঁকে যখন ঈদ আসে, নগরবাসীর হৃদয়ে ভেসে ওঠে এক টুকরো স্বস্তির আকাঙ্ক্ষা। সেই স্বস্তির পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটে যেন রমনা পার্কে গিয়ে। ঈদের ছুটির শেষ মুহূর্তে ঢাকার বিনোদনের অন্যতম এই দেখা গেল দর্শনার্থীদের বাঁধভাঙা আনন্দ।
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে রমনা পার্কে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে হাজারো মানুষের ভিড়। শিশু থেকে বৃদ্ধ— সব বয়সিরা যেন প্রকৃতির কোলে ফিরে পেয়েছেন স্বস্তি, শান্তি আর ঈদের পূর্ণতা।
লম্বা গাছের সারি, ঘন ছায়ায় ঢাকা হাঁটার পথ, ফুলেল গালিচা ও সুমধুর ঘ্রাণ, সঙ্গে পাখির কলকাকলি— সব মিলিয়ে রমনার চিরচেনা রূপ যেন ঈদের ছোঁয়ায় আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। শহরের রুক্ষতা আর যান্ত্রিকতার বাইরে এই সবুজ
ঠিকানায় এসে নগরবাসীর মুখে ফিরে এসেছে প্রশান্তির হাসি। পল্টন থেকে আসা রোকেয়া বেগম (৪৮) বলেন, ‘ঈদের দিনে মেয়েদের রান্নাঘরেই দিন কেটে যায়। আজ ছেলেমেয়েদের নিয়ে একটু বের হয়েছি। রমনাতে এলে মনে হয় ঢাকাতেও প্রাণ আছে।’ পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল রোকেয়া বেগেমের ৮ বছর বয়সি নাতি শান্ত। হাতে বেলুন, মুখে রঙ, চোখে চঞ্চলতা। ঈদের উচ্ছ্বাস যেন ওর সারা শরীরে। রমনা শুধু ঢাকাবাসীর নয়, ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন জেলা থেকেও অনেকে ঢাকায় আসেন আত্মীয়-স্বজনের বাসায়। অনেকেই তখন পরিবারের সঙ্গে রমনাতে ঘুরতে আসেন। গাজীপুর থেকে আসা কলেজছাত্রী তাসফিয়া আক্তার বলেন, ‘ঈদের পাঁচ দিন পর বোনের বাসায় বেড়াতে এসেছি। রমনাতে এসে মনে হচ্ছে, গ্রামের আমগাছের ছায়ায় বসে আছি। মনটা শান্ত
হয়ে গেছে।’ কুমিল্লা থেকে আসা মিনহাজুল হক বলেন, ‘বাচ্চাদের ঢাকায় কোথাও বেড়াতে নিতে চাচ্ছিলাম। সকালে জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘুরেছি। বিকেলে রমনাতে এলাম। রমনায় সবচেয়ে ভালো লেগেছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশটা।’ ঈদের আনন্দ মানেই তো বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা। রমনাতে বসে অনেকেই তাদের ছোটবেলার স্মৃতি রোমন্থন করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বাস্তব সাক্ষাতে যে আন্তরিকতা হারিয়ে যাচ্ছে, তা যেন ঈদ আড্ডায় রমনায় ফিরিয়ে আনেন নগরের তরুণরা। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবু কাউসার বলেন, ‘বন্ধুবান্ধব একসঙ্গে বিকেলটা সুন্দর করে কাটাতে এখানে এলাম। এখানে মাঝেমধ্যেই আসা হয়। এখানকার পরিবেশটা অবশ্যই সুন্দর।’ রমনার প্রতিটি কোণ যেন একেকটি ছোট উৎসব। ছোট ছোট শিশুদের জন্য রঙিন বেলুন, প্লাস্টিকের খেলনা ও বিনোদনের নানা আয়োজন
ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষত শিশুদের কর্ণারে এক ভিন্ন আমেজের ছোঁয়া রয়েছে। ফার্মগেট থেকে আসা আলম হোসেন তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘পুরো ঈদের ছুটিতে ঢাকায় ছিলাম। বাচ্চারা বাইরে ঘোরার জন্য কান্নাকাটি করছিল। রমনা ছাড়া ঢাকায় বাচ্চাদের সঙ্গে শান্তিতে ঘোরা যায়, এমন জায়গা আর কোথায়?’ আলম হোসেনের ৫ বছর বয়সি কন্যা আসফিয়া হেসে বলল, ‘আমি আজ বেলুন কিনেছি, আইসক্রিম খেয়েছি, দোলনায় খেলেছি। আজ অনেক অনেক মজা করেছি।’ রমনাতে আসা দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, এই উদ্যান শুধু ঘুরতে আসার জায়গা নয়, বরং এটি সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করার এক আবেগঘন প্রেক্ষাপট। অনেক দম্পতি বহুদিন পর হাতে হাত রেখে হাঁটছেন, ভাইবোন
একসঙ্গে ছবি তুলছেন, বাবা-মেয়ে গল্প করছেন প্রিয় কোনো গাছের নিচে। রমনা যেন ঈদের ছুটিতে ঢাকার হৃদয়ের স্পন্দনে পরিণত হয়। এই পার্ক কেবল একটি বৃক্ষাচ্ছন্ন এলাকা নয়, এটি একটি মানসিক আশ্রয়স্থল, যেখানে নাগরিক জীবনের ক্লান্তি ধুয়ে যায়। রমনাকে কেন্দ্র করে এই বাঁধভাঙা আনন্দ যেন প্রমাণ করে, শহরে যদি একটু পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা ও সবুজের সুযোগ থাকে, তবে মানুষ সেই সুযোগে ভালোবাসা, হাসি আর আনন্দকে ছড়িয়ে দিতে জানে।
ঠিকানায় এসে নগরবাসীর মুখে ফিরে এসেছে প্রশান্তির হাসি। পল্টন থেকে আসা রোকেয়া বেগম (৪৮) বলেন, ‘ঈদের দিনে মেয়েদের রান্নাঘরেই দিন কেটে যায়। আজ ছেলেমেয়েদের নিয়ে একটু বের হয়েছি। রমনাতে এলে মনে হয় ঢাকাতেও প্রাণ আছে।’ পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল রোকেয়া বেগেমের ৮ বছর বয়সি নাতি শান্ত। হাতে বেলুন, মুখে রঙ, চোখে চঞ্চলতা। ঈদের উচ্ছ্বাস যেন ওর সারা শরীরে। রমনা শুধু ঢাকাবাসীর নয়, ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন জেলা থেকেও অনেকে ঢাকায় আসেন আত্মীয়-স্বজনের বাসায়। অনেকেই তখন পরিবারের সঙ্গে রমনাতে ঘুরতে আসেন। গাজীপুর থেকে আসা কলেজছাত্রী তাসফিয়া আক্তার বলেন, ‘ঈদের পাঁচ দিন পর বোনের বাসায় বেড়াতে এসেছি। রমনাতে এসে মনে হচ্ছে, গ্রামের আমগাছের ছায়ায় বসে আছি। মনটা শান্ত
হয়ে গেছে।’ কুমিল্লা থেকে আসা মিনহাজুল হক বলেন, ‘বাচ্চাদের ঢাকায় কোথাও বেড়াতে নিতে চাচ্ছিলাম। সকালে জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘুরেছি। বিকেলে রমনাতে এলাম। রমনায় সবচেয়ে ভালো লেগেছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশটা।’ ঈদের আনন্দ মানেই তো বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা। রমনাতে বসে অনেকেই তাদের ছোটবেলার স্মৃতি রোমন্থন করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বাস্তব সাক্ষাতে যে আন্তরিকতা হারিয়ে যাচ্ছে, তা যেন ঈদ আড্ডায় রমনায় ফিরিয়ে আনেন নগরের তরুণরা। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবু কাউসার বলেন, ‘বন্ধুবান্ধব একসঙ্গে বিকেলটা সুন্দর করে কাটাতে এখানে এলাম। এখানে মাঝেমধ্যেই আসা হয়। এখানকার পরিবেশটা অবশ্যই সুন্দর।’ রমনার প্রতিটি কোণ যেন একেকটি ছোট উৎসব। ছোট ছোট শিশুদের জন্য রঙিন বেলুন, প্লাস্টিকের খেলনা ও বিনোদনের নানা আয়োজন
ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষত শিশুদের কর্ণারে এক ভিন্ন আমেজের ছোঁয়া রয়েছে। ফার্মগেট থেকে আসা আলম হোসেন তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘পুরো ঈদের ছুটিতে ঢাকায় ছিলাম। বাচ্চারা বাইরে ঘোরার জন্য কান্নাকাটি করছিল। রমনা ছাড়া ঢাকায় বাচ্চাদের সঙ্গে শান্তিতে ঘোরা যায়, এমন জায়গা আর কোথায়?’ আলম হোসেনের ৫ বছর বয়সি কন্যা আসফিয়া হেসে বলল, ‘আমি আজ বেলুন কিনেছি, আইসক্রিম খেয়েছি, দোলনায় খেলেছি। আজ অনেক অনেক মজা করেছি।’ রমনাতে আসা দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, এই উদ্যান শুধু ঘুরতে আসার জায়গা নয়, বরং এটি সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করার এক আবেগঘন প্রেক্ষাপট। অনেক দম্পতি বহুদিন পর হাতে হাত রেখে হাঁটছেন, ভাইবোন
একসঙ্গে ছবি তুলছেন, বাবা-মেয়ে গল্প করছেন প্রিয় কোনো গাছের নিচে। রমনা যেন ঈদের ছুটিতে ঢাকার হৃদয়ের স্পন্দনে পরিণত হয়। এই পার্ক কেবল একটি বৃক্ষাচ্ছন্ন এলাকা নয়, এটি একটি মানসিক আশ্রয়স্থল, যেখানে নাগরিক জীবনের ক্লান্তি ধুয়ে যায়। রমনাকে কেন্দ্র করে এই বাঁধভাঙা আনন্দ যেন প্রমাণ করে, শহরে যদি একটু পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা ও সবুজের সুযোগ থাকে, তবে মানুষ সেই সুযোগে ভালোবাসা, হাসি আর আনন্দকে ছড়িয়ে দিতে জানে।