ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
গাজায় গণহত্যার প্রমাণ ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করেছিল বাইডেন প্রশাসন
আরএসএফ হামলার মুখে এল-ফাশর ছাড়ল ৩২৪০ পরিবার
ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন ‘ফাং-ওয়ং’, সরানো হলো ১ লাখ বাসিন্দাকে
যুক্তরাষ্ট্রে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় ৪ জনের প্রাণহানি
লেবাননে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত ৩
ঐতিহাসিক সফর: ৫১ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানি যুদ্ধজাহাজ, উষ্ণ অভ্যর্থনা
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটিশ লর্ড কার্লাইলের গভীর উদ্বেগ: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান
ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতা বিশ্ব দরবারে লুকিয়ে রাখতেই সাংবাদিকদের হত্যা : শিফা পরিচালক
ইসরায়েলি বিমান হামলায় আল জাজিরার পাঁচজন সাংবাদিক নিহত হওয়ার পর, শিফা হাসপাতালের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু সালমিয়া জানিয়েছেন, ‘ইসরায়েল এবার গাজায় এক ভয়াবহ গণহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছে- কিন্তু এবার তা হবে চিত্র ও শব্দহীন।’
শনিবার (১০ আগস্ট) গাজা সিটির শিফা হাসপাতালের কাছাকাছি একটি সাংবাদিক ক্যাম্পে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন আল জাজিরার খ্যাতনামা সাংবাদিক আনাস আল-শরীফ, মোহাম্মদ কুরাইকে, এবং তিনজন চিত্রগ্রাহক ইব্রাহিম জাহের, মোআমেন আলিওয়া ও মোহাম্মদ নৌফাল।
ড. আবু সালমিয়া তুরস্কের আনাদোলু সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
‘দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটিতে একটি বড় ধরনের গণহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এবার তা ঘটবে আনাস, মোহাম্মদ, আল জাজিরা বা অন্য কোনো মিডিয়ার উপস্থিতি ছাড়াই।’
আল জাজিরা
জানিয়েছে, তাদের সাংবাদিকদের হত্যা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। তারা বলেছে, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল গাজা দখলের সময় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে লুকিয়ে রাখা। ইসরায়েলি বাহিনী অবশ্য দাবি করেছে যে, নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে কেউ ‘হামাসের সাথে সম্পৃক্ত’ ছিল—তবে এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে আল জাজিরা ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংস্থাগুলো। গাজা দখলের পরিকল্পনা একইসাথে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা গাজা সিটি সম্পূর্ণরূপে দখলের জন্য একটি সামরিক পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এই পরিকল্পনার আওতায় প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণে জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যেখানে তাদের জন্য তথাকথিত ‘মানবিক ক্যাম্প’ তৈরি করার কথা। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এই ক্যাম্পগুলোকে ‘আধুনিক কনসেনট্রেশন ক্যাম্প’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। সাংবাদিক সংগঠনগুলোর প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিক
সাংবাদিক সংগঠনগুলো ইসরায়েলের এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি ছিল সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সরাসরি লঙ্ঘন। কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (CPJ) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই আক্রমণ স্পষ্টভাবে সাংবাদিকদের চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’ মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, গাজার মানুষ যখন ইসরায়েলি দখল ও ঘন ঘন হামলার মুখে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, তখন সাংবাদিকদের হত্যা করে বাস্তবতা গোপন রাখার চেষ্টা গোটা মানবজাতির বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
জানিয়েছে, তাদের সাংবাদিকদের হত্যা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। তারা বলেছে, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল গাজা দখলের সময় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে লুকিয়ে রাখা। ইসরায়েলি বাহিনী অবশ্য দাবি করেছে যে, নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে কেউ ‘হামাসের সাথে সম্পৃক্ত’ ছিল—তবে এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে আল জাজিরা ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংস্থাগুলো। গাজা দখলের পরিকল্পনা একইসাথে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা গাজা সিটি সম্পূর্ণরূপে দখলের জন্য একটি সামরিক পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এই পরিকল্পনার আওতায় প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণে জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যেখানে তাদের জন্য তথাকথিত ‘মানবিক ক্যাম্প’ তৈরি করার কথা। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এই ক্যাম্পগুলোকে ‘আধুনিক কনসেনট্রেশন ক্যাম্প’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। সাংবাদিক সংগঠনগুলোর প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিক
সাংবাদিক সংগঠনগুলো ইসরায়েলের এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি ছিল সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সরাসরি লঙ্ঘন। কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (CPJ) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই আক্রমণ স্পষ্টভাবে সাংবাদিকদের চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’ মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, গাজার মানুষ যখন ইসরায়েলি দখল ও ঘন ঘন হামলার মুখে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, তখন সাংবাদিকদের হত্যা করে বাস্তবতা গোপন রাখার চেষ্টা গোটা মানবজাতির বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।



