ইসরাইলের বেড়ায় পশ্চিম তীরের শহর এখন ‘কারাগার’ – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইসরাইলের বেড়ায় পশ্চিম তীরের শহর এখন ‘কারাগার’

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৬ জুলাই, ২০২৫ | ৮:১৪ 49 ভিউ
ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি শহর সিনজিল এখন কার্যত একটি উন্মুক্ত কারাগার। কারণ, শহরটির পূর্বপ্রান্তে পাঁচ মিটার উঁচু ধাতব বেড়া দিয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। আর এই বেড়ার একটি মাত্র প্রবেশপথ খুলে রেখে সবদিক সিল করে দেওয়া হয়েছে। একমাত্র গেটটি আবার ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কঠোর নজরদারির মধ্যে রয়েছে। শুক্রবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উটে এসেছে। সাত সন্তানের জনক স্থানীয় ৫২ বছর বয়সী মুসা শাবানেহ বলেন, সিনজিল এখন একটা বড় কারাগার। নিজের নার্সারিতে গাছের চারা লাগিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন মুসা। বেড়াটি এখন সেই নার্সারির মাঝখান দিয়েই গেছে। তিনি বলেন, সব গাছ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরাইলি চেকপোস্ট ও দেওয়ালের

সঙ্গে পশ্চিম তীরের প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি অনেক আগে থেকে পরিচিত। কিন্তু গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর এই ধরনের প্রতিবন্ধকতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। বহু শহর ও গ্রাম এখন স্থায়ী অবরোধের মধ্যে রয়েছে। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বলছে, সিনজিলের পাশে থাকা রামাল্লাহ-নাবলুস মহাসড়ক সুরক্ষিত রাখতেই বেড়া তোলা হয়েছে। তবে শুধু একটি পথ খোলা থাকায় যাতায়াতে কোনো অসুবিধা নেই বলেই দাবি করেছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। কিন্তু বাস্তবতা হলো-শহরটির বাসিন্দাদের সরু ঘুরপথ দিয়ে গাড়ি বা পায়ে হেঁটে বের হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। শহরের ডেপুটি মেয়র বাহা ফোকা জানিয়েছেন, নতুন বেড়াটি ৮ হাজার মানুষকে মাত্র ১০ একরের মধ্যে আটকে ফেলেছে। অথচ এই শহরের বাসিন্দাদের মালিকানাধীন ২ হাজার

একর জমি রয়েছে বাইরের দিকে। সেখানে যাওয়া এখন কার্যত নিষিদ্ধ হয়ে পড়েছে। ডেপুটি মেয়র বলেন, এটি দখলদার বাহিনীর ভয়ভীতি প্রদর্শনের কৌশল, ফিলিস্তিনিদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা। তবে ইসরাইল বলছে, এ ধরনের বেড়া ও চেকপয়েন্ট পশ্চিম তীরে থাকা প্রায় ৭ লাখ ইসরাইলি বসতির বাসিন্দাদের রক্ষার জন্য অপরিহার্য। তারা দাবি করে, সিনজিলের লোকজন সড়কের অপর পাশের ইহুদি বসতিগুলোর বাসিন্দাদের লক্ষ্য করে প্রায়ই পাথর ও পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে। তবে বেশিরভাগ দেশ ১৯৬৭ সালে দখল করা ফিলিস্তিনি জমিতে ইসরাইলি এই বসতিগুলোকে অবৈধ বলে মনে করে। জানা গেছে, যুদ্ধপরবর্তী সময় পশ্চিম তীরে ইসরাইলের সামরিক উপস্থিতি বেড়ে যায়। রাতারাতি মাটি, বোল্ডার ও লোহার গেট দিয়ে বহু ফিলিস্তিনি

রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ‘ফ্লাইং চেকপয়েন্ট’ বা আকস্মিক চেকপয়েন্টও সেখানে এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিনজিলের বাসিন্দা সানা আলওয়ান বলেন, ‘আগে রামাল্লায় যেতে আধা ঘণ্টা লাগত। এখন তিন ঘণ্টাও লেগে যায়। ফলে আমি আমার ক্লায়েন্টদের কাছে সময়মতো পৌঁছাতে পারি না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের জীবনের অর্ধেকটাই রাস্তায় কেটে যাচ্ছে।’ ইসরাইলি হামলার কারণে গাজা যতটা বিধ্বস্ত, পশ্চিম তীর ততটা না হলেও জীবন সেখানে মারাত্মক অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। বহু ফিলিস্তিনি ইসরাইলে শ্রমিক হিসাবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এখন সেই রাস্তাও বন্ধ হয়ে গেছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ মনে করে, এসব দমননীতি ইচ্ছাকৃত। প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা বলেন, ‘তারা আমাদের জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে তুলতে চাইছে।’ এতে বিপরীত

প্রতিক্রিয়া হতে পারে বলেও মনে করেন তিনি, অনেক তরুণ এতে বিদ্রোহীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ডিম ও সবজির দামে অস্বস্তি লিপুর আবেগ বলছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হবে, যুক্তিতে পথটা ‘দুর্গম’ আমাকেও বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে: অমর্ত্য সেন ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, সবাই ঢাকার আঘাতের চিহ্ন নেই সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহে, স্বজনের কাছে হস্তান্তর টেকনাফ সীমান্তে ফের গোলার শব্দ, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর বিজিবি নির্বাচক লিপুর দৃষ্টিতে সাইফ একের ভিতর চার কুমিল্লায় বাবা-মা ও ২ সন্তান নিহত: বন্ধ হচ্ছে বিপজ্জনক সেই ইউটার্ন উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার ১ মাস পর আরেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু ভাড়াটিয়া সেজে গৃহকর্ত্রীকে খুন, পরে মামলা তুলে নিতে হুমকি নিউমার্কেটে ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১০ শ্বশুরবাড়িতে মদপানে জামাইয়ের মৃত্যু ‘প্রযুক্তি সরঞ্জাম সংকট, আইন প্রয়োগে ধীরগতি’ মোমেনকে নিয়ে হজম করতে চেয়েছিলেন ডিসি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে নতুন উদ্যোগ ঋণপ্রবাহের গতি সর্বনিম্ন নিরাপদ ক্যাম্পাসের প্রতিশ্রুতি প্রার্থীদের লাগামহীন খেলাপি ঋণ, কমছে সম্পদের পরিমাণ রাজধানীতে নামে-বেনামে অর্ধশতাধিক ‘সিসা বার’ আজকের মুদ্রার রেট: ২৩ আগস্ট ২০২৫