
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
ইলিশ ছুঁতে ভয়, অন্য মাছে বৈশাখ উদযাপনের প্রস্তুতি

দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলা নতুন বছর। বর্ষপঞ্জিকায় যোগ হতে যাচ্ছে ‘বাংলা নববর্ষ-১৪৩২’। পহেলা বৈশাখ মানেই বাঙালির উৎসব। এ উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ হল পান্তা-ইলিশ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই চিত্র বদলে গেছে। আগের মতো বৈশাখে এখন আর সবার পাতে ইলিশ ওঠে না। এর অন্যতম কারণ, ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।
ইলিশ ছুঁয়ে দেখা না গেলেও পহেলা বৈশাখ তো উদযাপন করতে হবে। অনেকে তাই ভিন্ন ইলিশ দিয়েই এ উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাজধানীর একটি বাজারে ইলিশ কিনতে আসা এক তরুণীর ভাষ্য, ‘প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে পান্তাভাত আর ইলিশ মাছ ভাজা খাওয়ার আলাদা একটা আনন্দ ছিল। কিন্তু এবার তো বাজারে ঢুকে দেখি ইলিশের কেজি
৩ হাজার টাকা! এত দামে কীভাবে কিনব? শেষমেশ ছোট মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছি। ইলিশ খাওয়া এখন যেন স্বপ্ন হয়ে গেছে।’ রাজধানীর হাতিরপুল বাজারে ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন আকারের ইলিশের দাম বিভিন্ন রকম। বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩-৪চার হাজার টাকায়। আকারভেদে ছোট থেকে বড়গুলোর দাম ১ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা কেজি। জানা গেছে, এ বছর সরকার ইলিশ রক্ষায় কিছু নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় কমিয়ে ৫৮ দিন করা হয়েছে এবং তা ভারতের সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখা হয়েছে। ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। ফলে পহেলা বৈশাখের পরদিন থেকেই শুরু হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা। একদিকে
যেমন নিষেধাজ্ঞা চলছে, অন্যদিকে জাটকা শিকার বন্ধে কড়াকড়ি থাকায় বাজারে মাছ কম এসেছে। ইলিশ মাছ কিনতে আসা মো হাফিজুর রহমান জানান, ‘অনেক আগে থেকে ইলিশের প্রতি সবার আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু দামের কারণে তো মানুষ এখন পারে না। মাছ ধরা বন্ধ, হয়তো এজন্যই দামটা একটু বেশি।’ ইলিশের এ আকাশচুম্বী দামের কারণে বৈশাখে পান্তা-ইলিশের ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে অন্য খাবার দিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন। ব্যবসায়ীরাও বলছেন, দাম এমন থাকলে ভবিষ্যতে হয়তো বৈশাখে ইলিশ খাওয়াটাই হবে বিলাসিতা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতার সংখ্যা কম। এ অবস্থাতে অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা। হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, ‘বেচাকেনা একেবারে কম। ইলিশ মাছর
পহেলা বৈশাখ পাঁচ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। আগের মতো পহেলা বৈশাখে এখন আর ইলিশ বিক্রি হয় না।’ আরেক বিক্রেতা মো. নয়নের ভাষ্য, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশের দাম একটু বেশি। আকার বুঝে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। সবাই তো আর ২ হাজার ২৫শ’ টাকার মাছ কিনতে পারছে না।
৩ হাজার টাকা! এত দামে কীভাবে কিনব? শেষমেশ ছোট মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছি। ইলিশ খাওয়া এখন যেন স্বপ্ন হয়ে গেছে।’ রাজধানীর হাতিরপুল বাজারে ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন আকারের ইলিশের দাম বিভিন্ন রকম। বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩-৪চার হাজার টাকায়। আকারভেদে ছোট থেকে বড়গুলোর দাম ১ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা কেজি। জানা গেছে, এ বছর সরকার ইলিশ রক্ষায় কিছু নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় কমিয়ে ৫৮ দিন করা হয়েছে এবং তা ভারতের সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখা হয়েছে। ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। ফলে পহেলা বৈশাখের পরদিন থেকেই শুরু হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা। একদিকে
যেমন নিষেধাজ্ঞা চলছে, অন্যদিকে জাটকা শিকার বন্ধে কড়াকড়ি থাকায় বাজারে মাছ কম এসেছে। ইলিশ মাছ কিনতে আসা মো হাফিজুর রহমান জানান, ‘অনেক আগে থেকে ইলিশের প্রতি সবার আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু দামের কারণে তো মানুষ এখন পারে না। মাছ ধরা বন্ধ, হয়তো এজন্যই দামটা একটু বেশি।’ ইলিশের এ আকাশচুম্বী দামের কারণে বৈশাখে পান্তা-ইলিশের ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে অন্য খাবার দিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন। ব্যবসায়ীরাও বলছেন, দাম এমন থাকলে ভবিষ্যতে হয়তো বৈশাখে ইলিশ খাওয়াটাই হবে বিলাসিতা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতার সংখ্যা কম। এ অবস্থাতে অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা। হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, ‘বেচাকেনা একেবারে কম। ইলিশ মাছর
পহেলা বৈশাখ পাঁচ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। আগের মতো পহেলা বৈশাখে এখন আর ইলিশ বিক্রি হয় না।’ আরেক বিক্রেতা মো. নয়নের ভাষ্য, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশের দাম একটু বেশি। আকার বুঝে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। সবাই তো আর ২ হাজার ২৫শ’ টাকার মাছ কিনতে পারছে না।