ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান ব্রিটিশ এমপি বব ব্ল্যাকম্যানের
দিল্লির লাল কেল্লায় বিস্ফোরণ: তদন্ত চলছে, সীমান্তে সতর্ক ভারতীয় বাহিনী
দিল্লি হামলাকে ‘ষড়যন্ত্র’ আখ্যা মোদির, তদন্তে সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ ভারতীয় পুলিশের
যে কোনো দেশের পারমাণবিক পরীক্ষা হলে রাশিয়া ‘সমানভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে’: ল্যাভরভ
পাকিস্তানে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে আরেক বাংলাদেশী জঙ্গির মৃত্যু
বাংলাদেশকে ঘাঁটি করে ভারতে হামলার ছক হাফিজ সইদের, কাশ্মীরের নামে মহিলা আত্মঘাতী বাহিনী গড়ছে জৈশ
রাশিয়ার গচ্ছিত সম্পদ জব্দে বেলজিয়ামকে রাজি করাতে ব্যর্থ ইইউ, মস্কোর হুঁশিয়ারি জারি
ইরান চায় “যুদ্ধবিরতি”; ডোনাল্ড ট্রাম্পের লক্ষ্য “প্রকৃত সমাপ্তি”
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সামরিক সংঘাতের পঞ্চম দিনে ইরান যুদ্ধবিরতির জন্য জরুরি আহ্বান জানিয়েছে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সংঘাতে যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে “প্রকৃত সমাপ্তি”র ওপর জোর দিচ্ছেন। ইরান কাতার, ওমান ও সৌদি আরবের মাধ্যমে ট্রাম্পের কাছে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ করতে চাপ প্রয়োগের অনুরোধ করেছে, বিনিময়ে পারমাণবিক আলোচনায় নমনীয়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি এক্স-এ লিখেছেন, “ট্রাম্প যদি কূটনীতিতে আন্তরিক হন এবং যুদ্ধ বন্ধ করতে চান, তবে পরবর্তী পদক্ষেপগুলো গুরুত্বপূর্ণ। ইসরায়েলকে তার আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে, অন্যথায় আমাদের প্রতিক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।” তিনি জানান, ইসরায়েলের হামলা বন্ধ হলে ইরান পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ এক থেকে তিন বছরের জন্য স্থগিত করতে এবং আন্তর্জাতিক
পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) কঠোর পরিদর্শন মেনে নিতে প্রস্তুত। ওমান এই যুদ্ধবিরতির জন্য একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করছে, যা ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক অধিকারের স্বীকৃতি এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি অন্তর্ভুক্ত করে। অন্যদিকে, ট্রাম্প কানাডার জি৭ সম্মেলন থেকে তড়িঘড়ি ওয়াশিংটনে ফিরে এসে সাংবাদিকদের বলেন, “আমি যুদ্ধবিরতির দিকে তাকিয়ে নেই, আমরা এর চেয়ে ভালো কিছু চাই—একটি প্রকৃত সমাপ্তি।” তিনি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ বন্ধের শর্তে “ইরানের সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ” চান। ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “আমি ইরানের সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য কোনো উদ্যোগ নিইনি। তারা আমার দেওয়া চুক্তি গ্রহণ করলে অনেক জীবন বাঁচত।” তিনি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দাবি—যে ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির জন্য জি৭ ত্যাগ করেছেন—খণ্ডন করে বলেন,
তার উদ্দেশ্য “এর চেয়ে অনেক বড়।” ট্রাম্পের অবস্থানে দ্বৈততা লক্ষ্য করা গেছে। তিনি ইসরায়েলের হামলার আগে কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে ছিলেন এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা নাকচ করেছিলেন। তবে, হামলা শুরু হওয়ার পর তিনি ইসরায়েলের পক্ষে সমর্থন জানান, যদিও তিনি মার্কিন সরাসরি হামলায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার কথা বলেছেন। তিনি তেহরানের বাসিন্দাদের “অবিলম্বে শহর ছাড়ার” আহ্বান জানান, যা তেহরানে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। রাস্তায় ভারী যানজট ও জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের ভাগ্যের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা তেহরানে ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার আলী শাদমানিসহ বেশ
কয়েকজন কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে এবং ইরানের আকাশসীমার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে, আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রসি জানিয়েছেন, ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রে ব্যাপক ক্ষতি হলেও ফোর্ডো কেন্দ্রে তেমন ক্ষতি হয়নি, এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ ধ্বংস করা সম্ভব হয়নি। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন, যখন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে ২৪ জন নিহত হয়েছেন। ইরানের রেভলুশনারি গার্ডস দাবি করেছে, তারা তেল আবিবে ইসরায়েলের মোসাদ ও সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। এক্স-এ পোস্টগুলোতে দেখা যায়, ট্রাম্পের তেহরানবাসীদের শহর ছাড়ার হুঁশিয়ারি তেহরানে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, এবং অনেকে ট্রাম্পের পারমাণবিক চুক্তি ভাঙার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন। তবে, ট্রাম্পের সমর্থকরা তার “সর্বোচ্চ
চাপ” নীতিকে সমর্থন করছেন, যা তারা মনে করেন ইরানকে আলোচনায় বাধ্য করবে। ইরানের যুদ্ধবিরতির আহ্বান এবং ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাম্পের অস্পষ্ট কৌশল এবং ইসরায়েলের আগ্রাসী হামলা সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) কঠোর পরিদর্শন মেনে নিতে প্রস্তুত। ওমান এই যুদ্ধবিরতির জন্য একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করছে, যা ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক অধিকারের স্বীকৃতি এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি অন্তর্ভুক্ত করে। অন্যদিকে, ট্রাম্প কানাডার জি৭ সম্মেলন থেকে তড়িঘড়ি ওয়াশিংটনে ফিরে এসে সাংবাদিকদের বলেন, “আমি যুদ্ধবিরতির দিকে তাকিয়ে নেই, আমরা এর চেয়ে ভালো কিছু চাই—একটি প্রকৃত সমাপ্তি।” তিনি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ বন্ধের শর্তে “ইরানের সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ” চান। ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “আমি ইরানের সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য কোনো উদ্যোগ নিইনি। তারা আমার দেওয়া চুক্তি গ্রহণ করলে অনেক জীবন বাঁচত।” তিনি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দাবি—যে ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির জন্য জি৭ ত্যাগ করেছেন—খণ্ডন করে বলেন,
তার উদ্দেশ্য “এর চেয়ে অনেক বড়।” ট্রাম্পের অবস্থানে দ্বৈততা লক্ষ্য করা গেছে। তিনি ইসরায়েলের হামলার আগে কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে ছিলেন এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা নাকচ করেছিলেন। তবে, হামলা শুরু হওয়ার পর তিনি ইসরায়েলের পক্ষে সমর্থন জানান, যদিও তিনি মার্কিন সরাসরি হামলায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার কথা বলেছেন। তিনি তেহরানের বাসিন্দাদের “অবিলম্বে শহর ছাড়ার” আহ্বান জানান, যা তেহরানে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। রাস্তায় ভারী যানজট ও জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের ভাগ্যের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা তেহরানে ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার আলী শাদমানিসহ বেশ
কয়েকজন কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে এবং ইরানের আকাশসীমার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে, আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রসি জানিয়েছেন, ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রে ব্যাপক ক্ষতি হলেও ফোর্ডো কেন্দ্রে তেমন ক্ষতি হয়নি, এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ ধ্বংস করা সম্ভব হয়নি। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন, যখন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে ২৪ জন নিহত হয়েছেন। ইরানের রেভলুশনারি গার্ডস দাবি করেছে, তারা তেল আবিবে ইসরায়েলের মোসাদ ও সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। এক্স-এ পোস্টগুলোতে দেখা যায়, ট্রাম্পের তেহরানবাসীদের শহর ছাড়ার হুঁশিয়ারি তেহরানে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, এবং অনেকে ট্রাম্পের পারমাণবিক চুক্তি ভাঙার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন। তবে, ট্রাম্পের সমর্থকরা তার “সর্বোচ্চ
চাপ” নীতিকে সমর্থন করছেন, যা তারা মনে করেন ইরানকে আলোচনায় বাধ্য করবে। ইরানের যুদ্ধবিরতির আহ্বান এবং ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাম্পের অস্পষ্ট কৌশল এবং ইসরায়েলের আগ্রাসী হামলা সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।



