আমার ছেলে হত্যার বিচার করবে কে – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
     ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ

আরও খবর

মেট্রোরেলের রক্ষণাবেক্ষণে নেই বরাদ্দ, দুর্ঘটনার দায় ঠিকাদারদের ঘাড়ে চাপালেন এমডি

নিরাপত্তাহীনতার কারণে একে একে বাতিল হচ্ছে ক্রয়াদেশ, আরও অসংখ্য কারখানা বন্ধের শঙ্কা

প্রধান উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানে পদোন্নতির নামে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কোরামপ্রীতি: বঞ্চিত ৮৭৯ চিকিৎসক

বিএনপির নয়নকে ‘বুড়িগঙ্গার পানি’ দিয়ে ধোয়ার মন্তব্যে ঝড়, এনসিপির পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

জামায়াত কি আদৌ মওদুদীর ‘বিকৃত আকিদা’ ঝেড়ে ফেলতে পেরেছে? নাকি আগের পথেই আছে?

মহিলা পরিষদ: অক্টোবরে ২৩১ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন-সহিংসতার শিকার

জেলহত্যা দিবস: শেখ হাসিনার বাণীতে কলঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রতিজ্ঞা

আমার ছেলে হত্যার বিচার করবে কে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৭:০৮ 138 ভিউ
‘আমার ছেলে যোগ দিয়েছিল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। তার কোনো অপরাধ ছিল না, সে অপরাধীও নয়। সবার ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সে আন্দোলন করছিল। কিন্তু পুলিশ আমার নির্দোষ ছেলেকে নির্মমভাবে গুলি করে মেরেছে। আমার ছেলে হত্যার বিচার করবে কে? কে দেবে ক্ষতিপূরণ?’ ছেলের ছবি বুকে নিয়ে আর্তনাদ করে জানতে চান শেখ রাকিবের (২৩) মা সুইটি আক্তার। বৃহস্পতিবার ছেলের একটি ছবি নিয়ে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন সন্তানহারা অসহায় মা সুইটি আক্তার। তিনি বলেন, ‘১৯ জুলাই যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের রাস্তায় ছাত্র-জনতার মিছিলে রাকিবও যোগ দিয়েছিল। তখন বিকাল ৫টা। দুপুরের দিকে রাকিব ফোন করে বলেছিল, মা আন্দোলনে যাচ্ছি, চিন্তা করিও না-মরব না, বীরের মতো

বাঁচব।’ কিন্তু বিকাল ৫টার পর পরিবারের কেউ আর রাকিবের খোঁজ পাচ্ছিলেন না। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। বুক চাপড়ে মা বলেন, ‘আমার সন্তানসহ লাখ লাখ ছাত্র-জনতা অধিকার আদায়ে লড়াই করেছে। সেই লড়াইয়ে পাখির মতো গুলি করে তাদের মারা হয়েছে। আমার বুক খালি করা হয়েছে। আমার শূন্য বুক কে পূরণ করবে?’ এমন সব মায়ের আর্ত চিৎকারকে সম্বল করে বাংলাদেশের তরুণ কবি সাহাত হোসাইন লিখেছেন, ‘যে মায়ের চোখ, সমুদ্র শোক, কন্যার শ্বাস... সে মায়ের কোল, শূন্য আঁচল, ভরে যাবে কীসে?’ শেখ রাকিব রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডস্থ যমুনা-বসুন্ধরা সড়কের পাশের একটি ওয়েল্ডিংয়ের দোকানে শ্রমিকের কাজ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জের কামারখোলা চুড়াইন গ্রামে। তার বাবার নাম মো.

হুমায়ুন কবি ওরফে মিজানুর রহমান। অভাবের সংসারে রাকিব ছিলেন অন্যতম অবলম্বন। শ্রমিকের কাজ করে তিনি পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতেন। এখন রাকিব নেই, আর্থিক টানাপড়েনে চলছে তাদের সংসার। সুইটি আক্তার বলেন, ‘২৩ বছরের ছেলে আমার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলনে শহিদ হয়েছে। কিন্তু ছেলেকে কি এ দেশ, দেশের মানুষ মনে রাখবে? রাকিবের গলায়-বুকে একাধিক গুলি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর বন্ধু-পথচারীরা মিলে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই প্রাণ হারায় রাকিব। ওই দিন কিছুতেই রাকিবের লাশ পাওয়া গেল না। এক রকম জোর করেই তারা লাশ মর্গে ঢুকিয়ে ফেলে।’ তিনি বলেন, ‘একদিকে ছেলের লাশ পড়ে আছে মর্গে। অন্যদিকে রাজধানীজুড়ে আন্দোলন চলছে।

সেই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছিল হাসিনা সরকার।’ ছেলের লাশ কিছুতেই দিচ্ছিল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ছেলের লাশ পেতে দিশেহারা হয়ে পড়েন মাসহ পরিবারের লোকজন। কোনো উপায় না পেয়ে অবশেষে তারা লাশ পেতে যোগাযোগ করেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের সঙ্গে। পারিবারিক জীবনে যে কোনো আপদ-বিপদে পড়লে-তার সঙ্গেই তারা যোগাযোগ করেন। রাকিবের ভাই শেখ সাকিব বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে যখন আমরা কোনোভাবেই লাশ বের করতে পারছিলাম না-তখন আমাদের এমপি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ম্যাডামের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওই সময় ম্যাডামসহ তার বড় মেয়ে দ্রুত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশকে বলে দেন। পরে ওই

দিনই রাকিবের লাশ দ্রুত সময়ের মধ্যে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়। ওই হাসপাতাল মর্গ থেকে রাকিরের লাশ হস্তান্তর করে ২২ জুলাই।’ মা সুইটি আক্তার বললেন, ‘ছেলেকে সারা জীবনের মতো আমার বুক থেকে কেড়ে নিয়েছে খুনিরা। আমার মতো শত শত মা-বাবা সন্তানহারা হয়েছেন। অপেক্ষায় আছি, হয়তো কোনো এক ভোরে কোনো উপদেষ্টা বা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কেউ ডেকে বলবে, ‘শহিদ রাকিবের মা কি ঘরে আছেন-আমরা এসেছি।’ নতুন সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের হত্যাকারীকে যেন ফাঁসি দেওয়া হয়।’ ছেলে হত্যার জন্য তিনি যথাযথ ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাড়ি নির্মাণে বাধা দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি যুবদল কর্মীদের, প্রতিবাদ করায় প্রবাসীকে পিটুনি মেট্রোরেলের রক্ষণাবেক্ষণে নেই বরাদ্দ, দুর্ঘটনার দায় ঠিকাদারদের ঘাড়ে চাপালেন এমডি নিরাপত্তাহীনতার কারণে একে একে বাতিল হচ্ছে ক্রয়াদেশ, আরও অসংখ্য কারখানা বন্ধের শঙ্কা ট্রাম্পের নির্দেশ: নাইজেরিয়ায় ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সামরিক প্রস্তুতির আহ্বান রাজনৈতিক কৌশলে পরাজিত বিএনপি কি জামায়াতকে নিষিদ্ধের পথে হাঁটবে! প্রধান উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানে পদোন্নতির নামে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কোরামপ্রীতি: বঞ্চিত ৮৭৯ চিকিৎসক দেশে হিন্দু ৩ কোটি হলেও বিএনপির মনোনয়ন পেলেন মাত্র ২ জন, বাদ পড়লেন অনেক হিন্দু নেতা বিএনপির নয়নকে ‘বুড়িগঙ্গার পানি’ দিয়ে ধোয়ার মন্তব্যে ঝড়, এনসিপির পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা জামায়াত কি আদৌ মওদুদীর ‘বিকৃত আকিদা’ ঝেড়ে ফেলতে পেরেছে? নাকি আগের পথেই আছে? মহিলা পরিষদ: অক্টোবরে ২৩১ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন-সহিংসতার শিকার জেলহত্যা দিবস: শেখ হাসিনার বাণীতে কলঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রতিজ্ঞা তুলসি গ্যাবার্ডের ঘোষনা ‘ওয়াশিংটনের পুরানো রেজিম চেঞ্জের যুগ শেষ’ অপসো স্যালাইনের প্রায় ৬শ শ্রমিক ছাঁটাই: পোশাক খাতের পর খড়গ এবার ওষুধ শিল্পের ওপর বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের বিবৃতি ১ কোটি টাকায় বিক্রি হতে পারে সরকারি চাকরি: নতুন প্রশ্ন ফাঁস সিন্ডিকেটের উত্থানে তীব্র উদ্বেগ, প্রতিবাদে নামার আহ্বান হাসান জাহিদের প্রশ্নফাঁস ইস্যুতে সরকারকে কড়া সমালোচনা, যোগ্য প্রার্থীদের জন্য ন্যায্যতার দাবি মালয়েশিয়ায় কর্মী রফতানিতে চরম ধস: শেখ হাসিনার আমলে ৩.৫ লাখের বিপরীতে ইউনুসের সময়ে গেলেন মাত্র ২,৬৭০ জন পর্দার আড়ালে দরকষাকষি: শর্ত নতুন সংবিধান প্রণয়ন জাতীয় চার নেতার অবদান ও জেলহত্যা দিবস নিয়ে স্মৃতিচারণ বিটিএমএ সভাপতি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল উন্মাদের মতো কথা বলেন