‘আমাকে বাঁচাও’ লিখে প্রেমিকার মেসেজ, এরপরই মিলল মরদেহ – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৪ আগস্ট, ২০২৫
     ৫:২৫ অপরাহ্ণ

‘আমাকে বাঁচাও’ লিখে প্রেমিকার মেসেজ, এরপরই মিলল মরদেহ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৪ আগস্ট, ২০২৫ | ৫:২৫ 63 ভিউ
প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন এক তরুণী। কিন্তু এতে ছিল বাড়ির আপত্তি। শেষ পর্যন্ত সেই প্রেমই হয়ে উঠল তার মৃত্যুর কারণ। প্রেমিককে পাঠানো আতঙ্ক-ভরা শেষ মেসেজের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিললে ওই তরুণীর মরদেহ। সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের গুজরাটের বানাসকাঁঠা জেলায়। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর, প্রথমে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হলেও, পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে শ্বাসরোধ করে হত্যার তথ্য। অভিযোগের আঙুল উঠেছে তরুণীর বাবা ও চাচার দিকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত তরুণীর নাম চন্দ্রিকা চৌধুরী (১৮)। তার প্রেমিক হরিশ চৌধুরীর সঙ্গে সম্পর্ক মানতে নারাজ ছিলেন পরিবারের লোকজন। তারা চাইছিলেন চন্দ্রিকার বিয়ে অন্যত্র দিতে। কিন্তু মেয়েটি সেই বিয়েতে রাজি ছিল না। তাকে পরিবারের লোকজন মেরে

ফেলতে পারে, এ কথা আগেই প্রেমিককে জানিয়েছিলেন তিনি। গত ২৪ জুন গভীর রাতে ইনস্টাগ্রামে হরিশকে তরুণী বলেন, আমাকে নিয়ে যাও, নয়তো বাড়ির লোক জোর করে বিয়ে দেবে। বিয়েতে রাজি না হলে মেরে ফেলবে। আমাকে বাঁচাও। এর কয়েক ঘণ্টা পরই দান্তিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তার মরদেহ। প্রথমে আত্মহত্যার খবর ছড়ালেও, পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন হরিশ। বানাসকাঁঠার সহকারী পুলিশ সুপার সুমন নালা জানান, প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, চন্দ্রিকার মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। মৃত্যুর পর ডাক্তার দেখানো হয়নি, তড়িঘড়ি দাহ করে দেয়া হয়। পরিবারের ঘনিষ্ঠ কাউকে খবর দেওয়া হয়নি, পালানপুরে পড়াশোনা করা ভাই পর্যন্ত কিছু জানতে পারেনি। এতে পুলিশের সন্দেহ আরও বাড়ে। তদন্তে উঠে

এসেছে, ঘটনার কয়েক দিন আগে হরিশের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন চন্দ্রিকা। তবে পরিবারের অভিযোগে পুলিশ তাদের খুঁজে বের করে এবং চন্দ্রিকাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু ২৪ জুন রাতে যদি চন্দ্রিকা বিয়েতে রাজি না হন, তবে তাকে খুন করার ছক কষেছিলেন বাবা সেধাভাই প্যাটেল ও চাচা শিবাভাই প্যাটেল। পুলিশের দাবি, তিন ধাপে সেই খুনের পরিকল্পনা কার্যকর করা হয়। প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ওয়া হয় চন্দ্রিকাকে, পরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় এবং সবশেষে দেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার খবর ছড়ানো হয়। রাতে যারা মরদেহ দেখেছিলেন, তারা ভেবেছিলেন আত্মহত্যা। কিন্তু সকালে পরিবার দাবি করে, এটি অস্বাভাবিক মৃত্যু। প্রযুক্তিগত তথ্য, পরিস্থিতিগত প্রমাণ এবং বয়ান বিশ্লেষণ করে পুলিশ

নিশ্চিত হয়, এটি একটি ‘পরিকল্পিত ও সাজানো খুন’। থানারদ থানায় খুনের মামলা দায়ের হয়। চন্দ্রিকার চাচাসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তার বাবা এখনও পলাতক।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
পপি সিড খাবার নাকি মাদক? জামায়াতের ক্ষমা প্রার্থনা: তিন আমির, তিন ভাষা প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মসূচি ‘আপাতত’ স্থগিত নিমন্ত্রণে জানভি কাপুরের মতো সাজতে চান, রইল উপায় ইংরেজি উচ্চারণ নিয়ে দীপিকাকে কটাক্ষ! যে জবাব দিলেন অভিনেত্রী ধসের মুখে ভারতের চিংড়ি রপ্তানি শিল্প গাজায় গণহত্যার প্রমাণ ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করেছিল বাইডেন প্রশাসন বিএনপির মনোনয়ন পাননি নেতা, প্রতিবাদে দুই কিলোমিটার জুড়ে মানববন্ধন সমর্থকদের মেট্রোরেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ছুটি বাতিল খাগড়াছড়ি কারাগার থেকে পালাল দুই আসামি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে দেয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা’র আজকের সাক্ষাৎকার মালয়েশিয়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি প্রাথমিক শিক্ষকদের এবার শীত নামবে কবে? দ্বাদশ শ্রেণির নির্বাচনি পরীক্ষা স্থগিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা ৫২২ ঘণ্টা অনশন করলেও কিছু করার নেই— তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব বিএনপি-গণঅধিকারের ৬৪ নেতাকর্মীর জামায়াতে যোগদান বাংলাদেশিসহ মালয়েশিয়া-থাই সমুদ্রসীমায় ৯০ অভিবাসীকে নিয়ে নৌকাডুবি আরএসএফ হামলার মুখে এল-ফাশর ছাড়ল ৩২৪০ পরিবার