আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কে এই ‘লৌহমানবী’ – ইউ এস বাংলা নিউজ




আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কে এই ‘লৌহমানবী’

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৪:৪২ 47 ভিউ
আফ্রিকার দেশ আইভরি কোস্টে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন সাবেক ফার্স্ট লেডি সিমিওনি বাগবো। ৭৬ বছর বয়সী এই নারীনেত্রী দেশটিতে পরিচিত ‘লৌহমানবী’ নামে। কখনো স্বামীর সঙ্গে বাংকারে লুকিয়েছেন, কখনো খেটেছেন জেলখানায়, আবার বিচ্ছেদের পর নতুন দল গড়ে তুলেছেন। এতসব নাটকীয় ঘটনার পরও তিনি এবার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আলাসানে উয়াতারার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছেন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫ অক্টোবর। ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন সিমিওনি বাগবোর সাবেক স্বামী লরেন বাগবো। কঠোর ব্যক্তিত্বের কারণে তখন থেকেই সিমিওনি ‘আয়রন লেডি’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সমর্থকেরা ‘মমতাময়ী’ বললেও অন্যদের কাছে তিনি ছিলেন ভয়ংকর এক কর্তৃত্বের প্রতীক। সত্তরের দশকে শিক্ষকতা করতেন সিমিওনি। ইতিহাস ও ভাষাতত্ত্বে স্নাতক

এই নারী সক্রিয় ছিলেন দেশটির শ্রমিক আন্দোলনে। সেই সূত্রেই পরিচয় লরেনের সঙ্গে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স হউফুয়ের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে একাধিকবার কারাবন্দীও হয়েছিলেন তাঁরা। ১৯৮২ সালে লরেন বাগবোর সঙ্গে যৌথভাবে আইভরিয়ান পপুলার ফ্রন্ট (এফপিআই) নামে একটি দল গঠন করেন সিমিওনি। ২০০০ সালে লরেন বাগবো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে সিমিওনি হয়ে ওঠেন রাষ্ট্রক্ষমতার অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক। তাদের আমলে দেশটিতে বিভাজন বাড়তে থাকে এবং শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। বিদ্রোহ দমন, নির্বাচনী জালিয়াতি, বিরোধীদের দমন—সব জায়গায় সিমিওনির প্রভাব ছিল স্পষ্ট। ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে নানাভাবে চেষ্টা চালান লরেন বাগবো। নানা অজুহাতে নির্বাচন পিছিয়ে শেষে ২০১০ সালে নির্বাচন দেন। পরাজিত হয়েও ক্ষমতা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে শুরু হয় ভয়াবহ সংঘাত। প্রাণ হারান

তিন হাজার মানুষ। উয়াতারার সমর্থকেরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ঘিরে ফেললে স্বামীর সঙ্গে বাংকারে আশ্রয় নেন সিমিওনি। সেখান থেকেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে ২০ বছরের কারাদণ্ড হয় সিমিওনির। তবে ২০১৩ সালে ‘জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে’ প্রেসিডেন্ট উয়াতারা তাকে সাধারণ ক্ষমা করে দিলে মুক্ত হন। গৃহযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ২০১২ সালে বাগবো দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি)। সিমিওনির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হলেও লরেনকে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত এই আদালতের হেফাজতে কাটাতে হয় সাত বছর। ২০২১ সালে লরেন দেশে ফিরেই সিমিওনির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। বিচ্ছেদের পরও সিমিওনি দমে যাননি। নিজের একটি রাজনৈতিক দল গঠনে কাজ শুরু করেন। সাবেক স্বামীর দল

এফপিআই থেকে আলাদা হয়ে গড়ে তোলেন মুভমেন্ট অব ক্যাপাবল জেনারেশনস (এমজিসি) নামের নতুন দল। এবার সেই দল থেকেই তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন। জয়ী হলে তিনিই হবেন আইভরি কোস্টের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
আবারও পশ্চিমবঙ্গে মেডিকেল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম রাজধানীতে জাপা নেতাকর্মীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ‘ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জন সেনা হেফাজতে’ নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণার আগেই ফাঁস! তদন্তে কর্মকর্তারা সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ মেক্সিকোতে আকস্মিক বন্যায় মৃত বেড়ে ২৮, নিখোঁজ অনেকে ৬ বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৪১৩ ‘আমাদের বিয়ে আগামী বছর একটি উপযুক্ত সময়ে ইনশাআল্লাহ’ উদ্ধারে গিয়ে উদ্ধারকারী ট্রেনটিও গেল উল্টে স্বামীকে কিডনি দিতে এক মুহূর্তও দেরি করলেন না তরুণী র‍্যাবের গাড়ি-বাসের সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৩ জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে অ্যাকশনে পুলিশ গাজা ছেড়ে আরেক দেশে ইসরায়েলের হামলা মারিয়া কোরিনা কি নিজ ভুবনে শান্তিতে আছেন? ১০ দিনে হাসপাতালে ভর্তি ৬ হাজার, মৃত্যু ২৬ জনের স্বর্ণ কিনবেন? জেনে নিন আজকের বাজারদর স্বর্ণ ও রুপা আজ কত দামে বিক্রি হচ্ছে, জেনে নিন অনলাইন জুয়া চক্রের শীর্ষ এজেন্ট লিপু গ্রেপ্তার