হিজড়াদের আবাসনে দুর্বৃত্তের হামলার পরও খোঁজ নেয়নি প্রশাসন – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৮ জানুয়ারি, ২০২৫
     ৭:০২ পূর্বাহ্ণ

হিজড়াদের আবাসনে দুর্বৃত্তের হামলার পরও খোঁজ নেয়নি প্রশাসন

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৮ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৭:০২ 521 ভিউ
অযত্ন আর অব‌হেলায় খুঁড়ি‌য়ে খুঁড়ি‌য়ে চল‌ছে শেরপু‌রের তৃতীয় লি‌ঙ্গের জন‌গোষ্ঠীর ‌একমাত্র আবাসন কেন্দ্র। সম্প্রতি রাজ‌নৈ‌তিক পটপরিবর্তনের পর দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় প‌ল্লি‌টি‌তে। এতে আবাসন কেন্দ্রটির অনেক জি‌নিসপত্র খোয়া গেছে বলে অভিযোগ করেন সেখানে বসবাসরত হিজড়ারা। ২০২১ সা‌লের ৭ জুন শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের আন্ধারিয়া সুতিরপাড় এলাকায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২ একর জ‌মির ওপর নির্মিত হয় এই আবাসন পল্লী। সেই সময় হিজড়া জনগোষ্ঠীর ৪০ জনের মাঝে জমিসহ ঘর বু‌ঝি‌য়ে দেন তৎকা‌লীন জেলা প্রশাসক আনারক‌লি মাহবুব। সেখানে বসবাসরত হিজড়ারা জানায়, পর গত ৪‌ সে‌প্টেম্বর দুর্বৃত্তরা হামলা করে ঘরের আসবাবপত্র, গ্যাসের চুলা, টিউবওয়েলসহ সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। এরপর লুট হওয়া মালামাল ফেরত এবং দুর্বৃত্তদের

বিচার চেয়ে মাঠে নামে হিজড়া সম্প্রদায়। তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন, মিছিল করেও কোনো প্রতিকার পাননি। পরবর্তীতে বিষয়টি তৎকালীন শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর নজরে আসলে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে হিজড়াদের পুনরায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেন। এরপরেও বর্তমানে অনেক কষ্টে বসবাস কর‌তে হ‌চ্ছে তাদের। আবাসন পল্লীর বাসিন্দা আঁখি আক্তার বলেন, ‘আমরা ভিক্ষাবৃত্তি করে নয়। কাজ করে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের যেন এই সুযোগ দেওয়া হয় এটাই সরকারের কাছে দাবি।’ শেরপুর জেলা হিজড়া কল্যাণ সমিতির সভাপতি নিশি সরকার বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের আবাসনের ব্যবস্থা করে দিলেও ৪ সেপ্টেম্বর দুর্বৃত্তদের হামলার পর প্রশাসন থেকে কোনো খোঁজ নেয়নি।

বিএনপি নেতা হযরত আলী দায়িত্ব নিয়ে পুনরায় আমাদের আবাসনে ফিরিয়ে এনেছেন। কিন্তু একসময় আমরা সরকারি যে সব সুযোগ-সুবিধা পেতাম এখন আর পাচ্ছি না। সরকার যেন আমাদের পুনরায় সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সহযোগিতা করেন। শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী বলেন, হিজড়াপল্লীতে দুর্বৃত্তদের হামলার খবরটি শোনার পর আমি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তাদের পুনরায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছি। আসবাবপত্র কিনে দিয়েছি এবং নগদ টাকাও দিয়েছি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত তাদের স্থায়ীভাবে কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন, আবাসন কেন্দ্রটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। এটি প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তৃতীয় লিঙ্গের কেউ যদি সমস্যাগুলো লিখিতভাবে প্রশাসন বরাবর জানায়

তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নয়া বন্দোবস্তের বাংলাদেশে জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে জামাতময় বিজয় উৎসব! তারেকের দেশে ফেরার আগে লন্ডনে জামায়াত আমির: সমঝোতা নাকি গোপন ষড়যন্ত্রের ছক? ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ধ্বংসের মুখে, ইউনূস শাসনে অর্থনীতি ধ্বস! শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইসিটির রায় ‘আইনগতভাবে অবৈধ’: মোহাম্মদ আলী আরাফাত একজন বিদেশি বীরপ্রতীকের গল্প Bangladesh’s Export Downturn: Four Months of Decline সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের লুটপাট : জুলাইয়ের খুনিদের আসল চেহারা বিজয় দিবসে বীর বাঙালীর কণ্ঠরোধ,স্বাধীনতার বিজয় আজ হুমকির মুখে *শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জামাত নেতাদের হীন উদ্দেশপ্রণোদিত ঘৃণ্য মন্তব্যের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি* রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে তদন্ত অব্যাহত হাজারীবাগে এনসিপি নেত্রী জান্নাত আরা রুমির মরদেহ উদ্ধার চিকেন’স নেক’ সুরক্ষায় মিজোরামে চতুর্থ সেনাঘাঁটির ভাবনা ১৯ ডিসেম্বর সীমান্তবর্তী পারভা ও সিলসুরি পরিদর্শনে ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি-ইন-সি বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা হুমকি: সাম্প্রতিক ঘটনা ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বিজয়ের দিনে মামলা ছাড়াই যুবলীগ নেতা গ্রেফতার জুড়ীতে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্রিটিশ সংসদে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা অবাধ নির্বাচন ও সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাংবাদিক আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার: মুক্তির আহ্বান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ‘দেখামাত্র গ্রেপ্তার’ নির্দেশ: ইউনুস সরকারের নগ্ন ফ্যাসিবাদ পদত্যাগের পর রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগের ঘটনায় চাপের মুখে প্রশাসন, ব্যাখ্যা নেই দুই সাবেক উপদেষ্টার ! ‘ভ্যালুলেস সোনাদিয়া-সেন্টমার্টিনের গুরুত্ব বাড়িয়েছে মালাক্কা প্রণালী’ চৌধুরী মুজাহিদুল হক সৌরভ মায়ের বয়সী নারীকে ধানমন্ডি ৩২ এর রাস্তায় হে/নঃস্তা করা এনসিপি নেত্রী রুমির ঝু/ল/ন্ত ম/র/দেঃহ উদ্ধার: ফেনী সদর: শর্শদি বাজার শাখায় গ্রামীণ ব্যাংকে অগ্নিসংযোগ, তিন মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই