সীমান্তের দুই পারেই আতঙ্কে মানুষ – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৪ মে, ২০২৫
     ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

সীমান্তের দুই পারেই আতঙ্কে মানুষ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ মে, ২০২৫ | ৫:১২ 126 ভিউ
কাশ্মীরের পাহাড়ঘেরা প্রান্তরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে যুদ্ধের আশঙ্কা। পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। প্রতিশোধের হুমকি, সেনা মোতায়েন, গোলাবর্ষণের সম্ভাবনা সব মিলিয়ে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোয় এখন যেন এক অঘোষিত যুদ্ধ পরিস্থিতি। সীমান্তের দুই পারেই মানুষ রাত কাটাচ্ছেন আতঙ্কে। জেগে থাকছেন অনিশ্চয়তার মধ্যে। যুদ্ধাতঙ্কে চুরান্ডা থেকে চকোঠি, সাইন্থ থেকে ত্রেওয়া-প্রতিটি সীমান্তবর্তী গ্রামের ঘরে ঘরেই এখন গড়ে উঠছে বাঙ্কার। জরুরি রসদ মজুত করছেন সেখানেই। প্রতিদিনের জীবনযাপন চালিয়ে যাচ্ছেন ভয় আর দুশ্চিন্তার ছায়ায়। রয়টার্স। যুদ্ধ এখনো শুরু হয়নি। কিন্তু তার আগেই যুদ্ধের প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছেন সীমান্তের দুই পাশের বাসিন্দারা। উরি সেক্টরের কাছাকাছি ভারতীয় গ্রাম চুরান্ডার মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ায়

নিজ বাড়িতেই বাঙ্কার তৈরি করছেন তারা। গ্রামটিতে ১,৫০০ জন মানুষের জন্য মাত্র ছয়টি বাঙ্কার রয়েছে। স্থানীয় যুবক আবদুল আজিজ বলেছেন, ‘যুদ্ধ শুরু হলে আমরা কোথায় যাব? এই গ্রাম সবথেকে বেশি বিপদে।’ এজন্য বাড়িতেই বাঙ্কার তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের চাকোঠি গ্রামেও একই দৃশ্য। গ্রামবাসীরা নিজেদের বাড়িতেই বাঙ্কার বানিয়ে নিচ্ছেন। ফয়জান আনায়াত নামে এক যুবক জানিয়েছেন, ‘গোলাগুলির শব্দ শোনা গেলেই সবাই বাঙ্কারে ঢুকে পড়েন।’ অন্যদিকে, ৭৩ বছর বয়সী মোহাম্মদ নাজির বলেছেন, ‘আমরা কিছুতেই ভয় পাই না। আমাদের প্রতিটি সন্তান যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।’ জম্মু অঞ্চলের সীমান্তবর্তী সাইন্থ গ্রামে বেশিরভাগ পরিবার নিরাপদ স্থানে সরে গেছে। ওই গ্রামের স্কুল শিক্ষক বিক্রম সিংহ বলেছেন,

‘১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের সময়ও আমাদের গ্রামে গোলাবর্ষণ হয়েছিল। তখনও আমরা ভয় পেয়েছিলাম, এখনো ভয় পাচ্ছি।’ জম্মুর আরেকটি সীমান্তবর্তী গ্রাম ত্রেওয়াতেও ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। গ্রামটির বাসিন্দারা বলেছেন, যদিও এখনো পরিস্থিতি শান্ত। তবুও আমরা বাঙ্কার পরিষ্কার করছি এবং জরুরি প্রস্তুতি নিচ্ছি। গ্রামের বাসিন্দা বলবীর কউর বলেছেন, ‘বহুবার মর্টার শেল পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তাই এখন থেকেই আমরা প্রস্তুত হচ্ছি।’ উলে­খ্য, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত তিন হাজার ৩২৩ কিলোমিটার বিস্তৃত। এর মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের ৭৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত রয়েছে সীমান্ত। যাকে সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। ১৯৪৯ সালে জাতিসংঘের তরফে একে ‘সিজফায়ার লাইন’ বা যুদ্ধবিরতি রেখা হিসাবে

ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দুই দেশই সিমলা চুক্তির অধীনে একে নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলওসি নাম দেয়। জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া সংলগ্ন সীমান্তকে ভারত ‘ইন্টারন্যাশানাল বর্ডার’ বলে আখ্যা দেয় আর পাকিস্তান সেটাকে ‘ওয়ার্কিং বাউন্ডারি’ বলে। সাম্বা, কাঠুয়া, জম্মু, আরএস পুরা, রাজৌরি এবং জম্মুর পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে অবস্থিত বসতি অঞ্চলে ১৯ হাজারেরও বেশি পাকা ভ‚গর্ভস্থ বাঙ্কার নির্মাণ করে ভারত সরকার। এখন উত্তেজনা এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে এখানকার মানুষ সমস্ত কাজ ছেড়ে এখন বাঙ্কার পরিষ্কার করছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি হত্যা : নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর দেশে এখন কিসের রাজত্ব চলছে? ঝিনাইদহ শত্রুমুক্ত: পশ্চিমাঞ্চলীয় রণাঙ্গনে যৌথবাহিনীর জয়যাত্রা অব্যাহত চরম প্রতিকূলতাতেও অটুট জনসমর্থন: আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন চায় না দেশের ৬৯ শতাংশ মানুষ আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির মারপ্যাঁচ: ঢাকায় মার্কিন যুদ্ধ-বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতি মাদারীপুরে ৬ বছরের মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘ফ্যাসিবাদ’ ও ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েমের অভিযোগ পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক সখ্য: জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনীতি চরম ঝুঁকির মুখে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর ছয় বছরের শান্তি, মাত্র ছয় মাসেই নরক : নোবেলজয়ী ইউনুস সরকারের আরেকটি অর্জন সুন্দরবনে! সুদখোরের দেশে রিকশাচালকের মৃত্যু : যে লোক নোবেল পেয়েছিল গরিবের রক্ত চুষে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতৃত্বকে দুর্বল করতে পরিকল্পিত আগুন–সন্ত্রাস? জামায়েতকে ভোট না দিলে পিঠের চামড়া থাকবে না —ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন প্রার্থীরা বহুদিন ধরে বিএনপি–জামায়াত এবং সুশীল সমাজের একটি অংশ ২০১৩ সালের ৫ মে আওয়ামী লীগ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দিনেদুপুরে মা মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা GSOMIA এবং ACSA চুক্তি সরাসরি নাকচ, ফলে আমেরিকার সাথে পূর্ণ দ্বৈরথ শেখ হাসিনার! ‘দেশ ধ্বংস করে ফেলছে এই স্টুপিড জেনারেশন’—জুলাই থেকে চলমান অরাজকতায় অতিষ্ঠ জনতা, ভাইরাল নারীর ক্ষোভ ঢাকার ডেমরায় ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা মাইকিং নিষিদ্ধ, রাতের আঁধারে তড়িঘড়ি দাফন: তবুও দমানো গেল না যুবলীগ নেতা রেজাউলের জানাজার জনস্রোত ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১