ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ধুনটে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বউমেলা
বগুড়ার ধুনটে দুর্গাপূজার সমাপনী উপলক্ষ্যে এবারও বসেছিল শত বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বউমেলা। দশমীর দিন বিকালে পৌর এলাকার সরকারপাড়ায় ইছামতি নদীর তীরে মেলার আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো। মেলায় বিক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন নারী। মেলায় পুরুষদের প্রবেশাধিকার না থাকায় মেলাটি বউমেলা হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরাই নয়; অন্য ধর্মের মানুষদেরও মিলনমেলায় পরিণত হয়। পুরুষ না থাকায় নারীরা স্বাচ্ছন্দে কেনাকাটা করেন।
নারী ও পুরুষ ব্যবসায়ীরা মেলায় হরেক রকম শিশুতোষ খেলনা, চুড়ি, দুল, ফিতা, আলতা, মাটির তৈজসপত্র, বাঁশের নানা সামগ্রী ও গৃহস্থালির জিনিসপত্র কেনাবেচা করেন। এসব ছাড়াও চিনি ও গুড়ের জিলাপি, হরেক রকমের মিষ্টিও বিক্রি হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিচালনা কমিটি ও
আনসার সদস্যদের ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। মেলায় আসা সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখি গ্রামের বিলাসী রানী পোদ্দার ও মুক্তি রায়, মালা সাহা বলেন, এটা শুধু পূজা উপলক্ষ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের মেলা নয়। মেলাটি সার্বজনীন হয়ে উঠেছে। মেলায় নারীদের প্রসাধনী সামগ্রী ক্রয় করা খুব সহজ ও মনের মতো করে কেনাকাটা করা যায়। তাই প্রতি বছরের কেনাকাটায় তারা বউমেলায় আসেন। তারা চুড়ি, ফিতা, দুল, ক্লিপ ও বাচ্চাদের জন্য খেলনা কিনেছেন। ধুনটের চৌকিবাড়ির চিথুলিয়া গ্রামের অঞ্জলী রায় বলেন, প্রতি বছর মেলায় আসি ও কেনাকাটা করি। দেখা হয় অনেক বান্ধবীদের সঙ্গে। শেরপুর উপজেলা থেকে আসা দোকানি চন্দনা রানী বলেন, প্রতি বছরই মেলায় আসি। বিক্রি হয় অনেক। মেলার
পরিবেশ ভালো। আরেক দোকানি চর ধুনটের ফুলরানী জানান, শিশুদের খেলনাই বেশি বিক্রি হয়। এই মেলার জন্য অপেক্ষায় থাকি একটি বছর। ধুনট মাস্টারপাড়া নাজমা খাতুন জানান, বউমেলা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হলেও সেখানে তারাও প্রতি বছর কেনাকাটা করতে আসেন। সরকারপাড়া গ্রামের আইনজীবী উত্তম কুমার জানান, বড়মেলার ঐতিহ্য অনেক পুরোনো। শহরে থাকলেও পুজোয় বউমেলায় কেনাকাটা করার জন্য স্ত্রী, সন্তানরা পাগল হয়ে যায়। তাই ছুটে আসি পূজোয় গ্রামের বাড়িতে। আমার মতো অনেকেই যারা বাইরে থাকে তারাও বউমেলা উপভোগ করতে চলে আসেন গ্রামে। মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি নিতাই চন্দ্র দেব ও সাধারণ সম্পাদক লালন সরকার বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রায় একশ’ বছরের বেশি সময় ধরে একদিনের জন্য বসানো
হয় এই বউমেলা। সকালে মেলা শুরু হলেও সন্ধ্যায় প্রতীমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এর সমাপ্তি ঘটে। ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বসানো এ মেলায় আগে থেকেই যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল।
আনসার সদস্যদের ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। মেলায় আসা সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখি গ্রামের বিলাসী রানী পোদ্দার ও মুক্তি রায়, মালা সাহা বলেন, এটা শুধু পূজা উপলক্ষ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের মেলা নয়। মেলাটি সার্বজনীন হয়ে উঠেছে। মেলায় নারীদের প্রসাধনী সামগ্রী ক্রয় করা খুব সহজ ও মনের মতো করে কেনাকাটা করা যায়। তাই প্রতি বছরের কেনাকাটায় তারা বউমেলায় আসেন। তারা চুড়ি, ফিতা, দুল, ক্লিপ ও বাচ্চাদের জন্য খেলনা কিনেছেন। ধুনটের চৌকিবাড়ির চিথুলিয়া গ্রামের অঞ্জলী রায় বলেন, প্রতি বছর মেলায় আসি ও কেনাকাটা করি। দেখা হয় অনেক বান্ধবীদের সঙ্গে। শেরপুর উপজেলা থেকে আসা দোকানি চন্দনা রানী বলেন, প্রতি বছরই মেলায় আসি। বিক্রি হয় অনেক। মেলার
পরিবেশ ভালো। আরেক দোকানি চর ধুনটের ফুলরানী জানান, শিশুদের খেলনাই বেশি বিক্রি হয়। এই মেলার জন্য অপেক্ষায় থাকি একটি বছর। ধুনট মাস্টারপাড়া নাজমা খাতুন জানান, বউমেলা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হলেও সেখানে তারাও প্রতি বছর কেনাকাটা করতে আসেন। সরকারপাড়া গ্রামের আইনজীবী উত্তম কুমার জানান, বড়মেলার ঐতিহ্য অনেক পুরোনো। শহরে থাকলেও পুজোয় বউমেলায় কেনাকাটা করার জন্য স্ত্রী, সন্তানরা পাগল হয়ে যায়। তাই ছুটে আসি পূজোয় গ্রামের বাড়িতে। আমার মতো অনেকেই যারা বাইরে থাকে তারাও বউমেলা উপভোগ করতে চলে আসেন গ্রামে। মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি নিতাই চন্দ্র দেব ও সাধারণ সম্পাদক লালন সরকার বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রায় একশ’ বছরের বেশি সময় ধরে একদিনের জন্য বসানো
হয় এই বউমেলা। সকালে মেলা শুরু হলেও সন্ধ্যায় প্রতীমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এর সমাপ্তি ঘটে। ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বসানো এ মেলায় আগে থেকেই যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল।