ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
মাদক ও নারী সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে এনসিপি নেতা মোতালেব গুলিবিদ্ধ
মাথাব্যথা সারাতে মাথা কাটার পরামর্শ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের
রাজাকারের উত্তরাধিকারীরা পায় উন্নত চিকিৎসা, মুক্তিযোদ্ধারা মারা যায় বিনা চিকিৎসায়
হিন্দুদের জ্যান্ত পোড়ানোর পরিকল্পনা, জামায়াত-শিবিরের আগুনে তটস্থ বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ইউনূসকে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের স্পষ্ট বার্তা
সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে মার্কিন কংগ্রেস
দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামার আহ্বান শেখ হাসিনার
প্রশাসনের সর্বত্র আদর্শের ছায়া,একদলীয় দখলের অভিযোগ দলীয় পরিচয় থাকলে আইন দরকার হয় না কাজ হয়ে যায়
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামো নিয়ে এক ভয়াবহ অভিযোগ ঘুরে বেড়াচ্ছে—রাষ্ট্র নয়, আদর্শই নাকি এখন নিয়ন্ত্রক। সংবিধান, আইন, বিধিমালা—সবই কাগজে আছে, কিন্তু বাস্তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে আদর্শিক পরিচয়ের ভিত্তিতে। অভিযোগের সারকথা একটাই: জামায়াতি আদর্শ থাকলে আইন লাগে না; বেআইনিও হয়ে যায় নিয়ম।
দেশে বর্তমানে ৬৮ জন জেল সুপার আছেন। সমালোচকদের দাবি, এর মধ্যে ৪৯ জন সরাসরি জামায়াতে ইসলামের রিক্রুট। অর্থাৎ জেলখানার গেটে ঢোকার সময় কয়েদির আগে ঢুকে পড়ে আদর্শ, তারপর পড়ে তালা। শাস্তির জায়গা হয়ে ওঠে পুনঃশিক্ষার কেন্দ্র—কিন্তু তা রাষ্ট্রীয় আইনের নয়, রাজনৈতিক বিশ্বাসের। কার জন্য কতটা আইন প্রযোজ্য হবে, তা নাকি নির্ধারিত হয় পরিচয়ের ওপর।
৪৯৫ জন ইউএনওর মধ্যে অভিযোগ
অনুযায়ী ৩২২ জন সরাসরি জামায়াতপন্থী। উপজেলা অফিসে ঢুকলে এখন ফাইলের চেয়ে দোয়া বেশি পাওয়া যায়। নথির ভাষাও নাকি বদলে গেছে— “প্রস্তাব অনুমোদিত, ইনশাআল্লাহ।” আইন ও প্রশাসনের ভাষা যেখানে সংবিধানের হওয়ার কথা, সেখানে আদর্শিক বাক্য ঢুকে পড়া কি কাকতালীয়? নাকি এটি স্পষ্ট বার্তা—আইনের চেয়ে পরিচয় বড়? পুলিশ প্রশাসনের অবস্থাও প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। দেশে ৬৪ জন পুলিশ সুপার (এসপি)। অভিযোগ রয়েছে, ৪৭ জনই সরাসরি জামায়াতের রিক্রুট। থানায় জিডি করতে গেলে নাকি এখন অপরাধের বিবরণ নয়, আগে পরিচয় জানতে চাওয়া হয়— “ভাই, আপনি কোন লাইনের?” অপরাধ নয়, পরিচয়ই যেন বিচার নির্ধারণ করে দেয়। ৬৪ জন জেলা প্রশাসকের মধ্যে ৪১ জনকে একই আদর্শিক লাইনের বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের
সভায় উন্নয়ন পরিকল্পনার আগে আদর্শিক আনুগত্য যাচাই হয়—এমন অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। কে গোলাম আজমের আদর্শের লোক, কে নয়—সেটাই নাকি মুখ্য বিবেচ্য। ফাইল পাশ হয় আইন দেখে নয়, দেখে কে ফাইল এনেছে। আইনশৃঙ্খলার নিচের স্তরেও চিত্র একই। ৬৩৯ জন ওসির মধ্যে ৪১৮ জনকে সরাসরি রিক্রুট বলা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা এখন এতটাই ‘শৃঙ্খলাবদ্ধ’ যে অপরাধীও বিভ্রান্ত—কাকে সালাম দিলে মামলা থাকবে, আর কাকে দিলে ফাইলই খুলবে না। সবশেষে বিচার বিভাগ। দেশে ২৫০ জন জেলা জজের মধ্যে ১৭৮ জনকে একই আদর্শিক বলয়ের অংশ বলে অভিযোগ উঠেছে। আদালতে এখন রায় দেওয়ার আগে মামলার ফাইল নয়, ইতিহাস দেখা হয়— ‘৭১–এ কোন পক্ষে ছিলেন?’ আইনের চোখ বাঁধা থাকার কথা। কিন্তু যদি সেই
চোখ খুলে আদর্শ বাছাই শুরু করে, তবে বিচার আর থাকে কোথায়? সবচেয়ে ভয়াবহ অভিযোগটি এখানেই—আইনের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। লিখিত আদেশের বদলে মৌখিক নির্দেশে চিঠি ইস্যু হয়, বিধি না মেনেই ফাইল পাশ হয়। কারণ একটাই—যদি আদর্শ সঠিক হয়, তবে আইন বাধা নয়। সব মিলিয়ে সমালোচকদের ভাষায়, দেশটা যেন একটি দলের বিশাল প্রশাসনিক হোস্টেল। পদ আছে, চেয়ার আছে, টেবিল আছে—আইনও আছে বইয়ে। কিন্তু বাস্তবে প্রশ্ন একটাই: দলীয় পরিচয়ই যদি শেষ কথা হয়, তবে রাষ্ট্রের প্রয়োজন কী?
অনুযায়ী ৩২২ জন সরাসরি জামায়াতপন্থী। উপজেলা অফিসে ঢুকলে এখন ফাইলের চেয়ে দোয়া বেশি পাওয়া যায়। নথির ভাষাও নাকি বদলে গেছে— “প্রস্তাব অনুমোদিত, ইনশাআল্লাহ।” আইন ও প্রশাসনের ভাষা যেখানে সংবিধানের হওয়ার কথা, সেখানে আদর্শিক বাক্য ঢুকে পড়া কি কাকতালীয়? নাকি এটি স্পষ্ট বার্তা—আইনের চেয়ে পরিচয় বড়? পুলিশ প্রশাসনের অবস্থাও প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। দেশে ৬৪ জন পুলিশ সুপার (এসপি)। অভিযোগ রয়েছে, ৪৭ জনই সরাসরি জামায়াতের রিক্রুট। থানায় জিডি করতে গেলে নাকি এখন অপরাধের বিবরণ নয়, আগে পরিচয় জানতে চাওয়া হয়— “ভাই, আপনি কোন লাইনের?” অপরাধ নয়, পরিচয়ই যেন বিচার নির্ধারণ করে দেয়। ৬৪ জন জেলা প্রশাসকের মধ্যে ৪১ জনকে একই আদর্শিক লাইনের বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের
সভায় উন্নয়ন পরিকল্পনার আগে আদর্শিক আনুগত্য যাচাই হয়—এমন অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। কে গোলাম আজমের আদর্শের লোক, কে নয়—সেটাই নাকি মুখ্য বিবেচ্য। ফাইল পাশ হয় আইন দেখে নয়, দেখে কে ফাইল এনেছে। আইনশৃঙ্খলার নিচের স্তরেও চিত্র একই। ৬৩৯ জন ওসির মধ্যে ৪১৮ জনকে সরাসরি রিক্রুট বলা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা এখন এতটাই ‘শৃঙ্খলাবদ্ধ’ যে অপরাধীও বিভ্রান্ত—কাকে সালাম দিলে মামলা থাকবে, আর কাকে দিলে ফাইলই খুলবে না। সবশেষে বিচার বিভাগ। দেশে ২৫০ জন জেলা জজের মধ্যে ১৭৮ জনকে একই আদর্শিক বলয়ের অংশ বলে অভিযোগ উঠেছে। আদালতে এখন রায় দেওয়ার আগে মামলার ফাইল নয়, ইতিহাস দেখা হয়— ‘৭১–এ কোন পক্ষে ছিলেন?’ আইনের চোখ বাঁধা থাকার কথা। কিন্তু যদি সেই
চোখ খুলে আদর্শ বাছাই শুরু করে, তবে বিচার আর থাকে কোথায়? সবচেয়ে ভয়াবহ অভিযোগটি এখানেই—আইনের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। লিখিত আদেশের বদলে মৌখিক নির্দেশে চিঠি ইস্যু হয়, বিধি না মেনেই ফাইল পাশ হয়। কারণ একটাই—যদি আদর্শ সঠিক হয়, তবে আইন বাধা নয়। সব মিলিয়ে সমালোচকদের ভাষায়, দেশটা যেন একটি দলের বিশাল প্রশাসনিক হোস্টেল। পদ আছে, চেয়ার আছে, টেবিল আছে—আইনও আছে বইয়ে। কিন্তু বাস্তবে প্রশ্ন একটাই: দলীয় পরিচয়ই যদি শেষ কথা হয়, তবে রাষ্ট্রের প্রয়োজন কী?



