ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলবনা।
একাত্তরে তাঁদের সাহস, দৃঢ়তা আর সংকল্প আমাদের এনে দিয়েছিল স্বাধীনতা
১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থান হানাদারমুক্ত হয়
ডেঙ্গুতে চার শতাধিক মৃত্যুর দায় কার
‘ব্রেন ডেথ’ কী, এটা থেকে কখনো সেরে ওঠা যায়?
মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে ভুমিকা রেখেছিল নদী
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর
স্বস্তির রাষ্ট্র থেকে অস্থিরতার বাংলাদেশ,এক ব্যর্থ শাসনের নির্মম বাস্তবতা
বিগত পনেরো বছর বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবনে ছিল একটি সুস্পষ্ট ধারাবাহিকতা। মানুষ তখন আয়–রোজগার নিয়ে ব্যস্ত ছিল, ব্যবসা–বাণিজ্য বিস্তারের চিন্তায় মগ্ন ছিল। সন্তানের ভবিষ্যৎ, উন্নত চিকিৎসা, প্রয়োজনে বিদেশ ভ্রমণ এসব ছিল মধ্যবিত্ত জীবনের স্বাভাবিক অংশ। পরিবার নিয়ে ঘোরাঘুরি, উৎসব, সংস্কৃতিৎমানুষ বেঁচে থাকার আনন্দ খুঁজে পাচ্ছিল। সামাজিক জীবনে টানাপোড়েন ও নিরাপত্তাহীনতা তুলনামূলকভাবে ছিল কম।
দেশের ভেতরেই গড়ে উঠছিল বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প। সেতু, মেট্রোরেল, বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিল্পাঞ্চল উন্নয়নের দৃশ্যমান চিত্র মানুষ নিজ চোখে দেখেছে। তরুণরা নতুন নতুন উদ্যোক্তা ভাবনায় আগ্রহী হচ্ছিল, বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনের পরিবেশ তৈরি হচ্ছিল। তখন সাধারণ মানুষের কাছে রাষ্ট্রের বৈদেশিক সম্পর্ক ভালো না খারাপ এসব বড় ইস্যু ছিল না। কারণ
রাষ্ট্র পরিচালনার মূল লক্ষ্য ছিল অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন। এই স্থিতিশীলতার পেছনে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে বড় কোনো দ্বিধা ছিল না। শেখ হাসিনার দক্ষতা, প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নমুখী সিদ্ধান্ত নিয়ে সমর্থক সমালোচক নির্বিশেষে একটি বাস্তব স্বীকৃতি ছিল রাষ্ট্র জানে সে কোন পথে যাচ্ছে। কিন্তু এই ধারাবাহিকতা হঠাৎ করেই ভেঙে পড়ে। ক্ষমতার পালাবদলের মধ্য দিয়ে শুধু একটি সরকার নয়, ভেঙে পড়ে মানুষের নিরাপত্তা ও আস্থার কাঠামো। ইউনুস সরকারের অধীনে রাষ্ট্র পরিচালনায় যে শূন্যতা ও অদক্ষতা তৈরি হয়েছে, তা আজ আর গোপন নয় এটি প্রতিদিন মানুষের জীবনে বাস্তব অভিজ্ঞতায় রূপ নিচ্ছে। আজ মানুষ আতঙ্কে বাস করছে। সন্ত্রাসী হামলার ভয়, ছিনতাই ও ডাকাতির ভয়, মব সন্ত্রাসের ভয়,
উগ্রবাদী শক্তির প্রকাশ্য তৎপরতা সব মিলিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। রাষ্ট্র যে নাগরিককে নিরাপত্তা দেবে এই মৌলিক চুক্তিটিই যেন কার্যত বাতিল হয়ে গেছে। ব্যবসা–বাণিজ্য স্থবির। কলকারখানা বন্ধ হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা পিছিয়ে যাচ্ছে। কর্মসংস্থান কমছে। তরুণদের সামনে ভবিষ্যৎ অন্ধকার। উন্নয়ন থেমে গেছে, অথচ বিকল্প কোনো সুসংহত পরিকল্পনাও দৃশ্যমান নয়। রাষ্ট্র পরিচালনায় সিদ্ধান্তহীনতা ও অদক্ষতা এক ভয়াবহ শূন্যতা তৈরি করেছে। এই শাসনামলে সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হলো স্বাধীনতাবিরোধী ও উগ্রবাদী শক্তির পুনরুত্থান। যারা একসময় রাষ্ট্রের প্রান্তে ছিল, তারা আজ প্রকাশ্যে সাহসী। সামাজিক সহনশীলতা ভেঙে পড়ছে, সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তার ওপর আঘাত আসছে। এটি কেবল রাজনৈতিক ব্যর্থতা নয়—এটি রাষ্ট্রের আদর্শিক ভাঙন। মানুষ প্রশ্ন করছে এই ব্যর্থতার দায় কে নেবে?
কেন রাষ্ট্র তার মৌলিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ? কেন প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ? কেন জনগণের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব প্রতিদিন বাড়ছে? ইউনুস সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হলো তারা রাষ্ট্র পরিচালনার বাস্তবতা বুঝতে পারেনি, কিংবা বুঝেও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। একটি রাষ্ট্র কেবল তাত্ত্বিক নৈতিকতা দিয়ে চলে না রাষ্ট্র চলে দক্ষতা, দৃঢ়তা ও সাংবিধানিক কর্তৃত্ব দিয়ে। এই তিনটিরই ঘাটতি আজ প্রকট। যে বাংলাদেশ একসময় উন্নয়নের উদাহরণ হিসেবে আলোচিত হচ্ছিল, আজ সেই বাংলাদেশ ধীরে ধীরে অস্থির ও অনিশ্চিত রাষ্ট্রের তালিকায় ঢুকে পড়ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে সামাজিক সংঘাত, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা এবং দীর্ঘমেয়াদি সংকট অনিবার্য হয়ে উঠবে এই আশঙ্কা মানুষ আজ আর লুকোচ্ছে না। এটি কোনো
দলীয় অভিযোগ নয়; এটি নাগরিক অভিজ্ঞতার প্রতিফলন। মানুষ আজ শুধু প্রশ্ন করছে না মানুষ আস্থা হারাচ্ছে। আর রাষ্ট্র যখন জনগণের আস্থা হারায়, তখন সেটাই সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে ইতিহাসে লেখা থাকে।
রাষ্ট্র পরিচালনার মূল লক্ষ্য ছিল অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন। এই স্থিতিশীলতার পেছনে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে বড় কোনো দ্বিধা ছিল না। শেখ হাসিনার দক্ষতা, প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নমুখী সিদ্ধান্ত নিয়ে সমর্থক সমালোচক নির্বিশেষে একটি বাস্তব স্বীকৃতি ছিল রাষ্ট্র জানে সে কোন পথে যাচ্ছে। কিন্তু এই ধারাবাহিকতা হঠাৎ করেই ভেঙে পড়ে। ক্ষমতার পালাবদলের মধ্য দিয়ে শুধু একটি সরকার নয়, ভেঙে পড়ে মানুষের নিরাপত্তা ও আস্থার কাঠামো। ইউনুস সরকারের অধীনে রাষ্ট্র পরিচালনায় যে শূন্যতা ও অদক্ষতা তৈরি হয়েছে, তা আজ আর গোপন নয় এটি প্রতিদিন মানুষের জীবনে বাস্তব অভিজ্ঞতায় রূপ নিচ্ছে। আজ মানুষ আতঙ্কে বাস করছে। সন্ত্রাসী হামলার ভয়, ছিনতাই ও ডাকাতির ভয়, মব সন্ত্রাসের ভয়,
উগ্রবাদী শক্তির প্রকাশ্য তৎপরতা সব মিলিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। রাষ্ট্র যে নাগরিককে নিরাপত্তা দেবে এই মৌলিক চুক্তিটিই যেন কার্যত বাতিল হয়ে গেছে। ব্যবসা–বাণিজ্য স্থবির। কলকারখানা বন্ধ হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা পিছিয়ে যাচ্ছে। কর্মসংস্থান কমছে। তরুণদের সামনে ভবিষ্যৎ অন্ধকার। উন্নয়ন থেমে গেছে, অথচ বিকল্প কোনো সুসংহত পরিকল্পনাও দৃশ্যমান নয়। রাষ্ট্র পরিচালনায় সিদ্ধান্তহীনতা ও অদক্ষতা এক ভয়াবহ শূন্যতা তৈরি করেছে। এই শাসনামলে সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হলো স্বাধীনতাবিরোধী ও উগ্রবাদী শক্তির পুনরুত্থান। যারা একসময় রাষ্ট্রের প্রান্তে ছিল, তারা আজ প্রকাশ্যে সাহসী। সামাজিক সহনশীলতা ভেঙে পড়ছে, সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তার ওপর আঘাত আসছে। এটি কেবল রাজনৈতিক ব্যর্থতা নয়—এটি রাষ্ট্রের আদর্শিক ভাঙন। মানুষ প্রশ্ন করছে এই ব্যর্থতার দায় কে নেবে?
কেন রাষ্ট্র তার মৌলিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ? কেন প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ? কেন জনগণের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব প্রতিদিন বাড়ছে? ইউনুস সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হলো তারা রাষ্ট্র পরিচালনার বাস্তবতা বুঝতে পারেনি, কিংবা বুঝেও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। একটি রাষ্ট্র কেবল তাত্ত্বিক নৈতিকতা দিয়ে চলে না রাষ্ট্র চলে দক্ষতা, দৃঢ়তা ও সাংবিধানিক কর্তৃত্ব দিয়ে। এই তিনটিরই ঘাটতি আজ প্রকট। যে বাংলাদেশ একসময় উন্নয়নের উদাহরণ হিসেবে আলোচিত হচ্ছিল, আজ সেই বাংলাদেশ ধীরে ধীরে অস্থির ও অনিশ্চিত রাষ্ট্রের তালিকায় ঢুকে পড়ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে সামাজিক সংঘাত, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা এবং দীর্ঘমেয়াদি সংকট অনিবার্য হয়ে উঠবে এই আশঙ্কা মানুষ আজ আর লুকোচ্ছে না। এটি কোনো
দলীয় অভিযোগ নয়; এটি নাগরিক অভিজ্ঞতার প্রতিফলন। মানুষ আজ শুধু প্রশ্ন করছে না মানুষ আস্থা হারাচ্ছে। আর রাষ্ট্র যখন জনগণের আস্থা হারায়, তখন সেটাই সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে ইতিহাসে লেখা থাকে।



