ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
যে দেশে একাত্তরে তিরিশ লাখ মানুষ শহীদ হলো, সেখানে এখন পাকিস্তানের পতাকা কীভাবে ওড়ে?
নজরুল-জয়নুল-কামরুল বনাম ছাপড়ি টোকাই হাদি: এ লজ্জা কোথায় রাখি!
প্রেস সচিব শফিকের উস্কানিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম সংকটে
মার্কিন পরিকল্পনায় নির্বাচন বানচালের দ্বারপ্রান্তে জামায়াত
যারা লুটপাট, হাত কাটা, পা কাটা, চোখ তোলা, নির্যাতন করে, নারীদের ধর্ষণ করে তারা কি বেহেশতে যাবে?” –জননেত্রী শেখ হাসিনা
হাদির হত্যাকারী ভারতের পালিয়ে গেছে এমন কোনো প্রমাণ নেই।
অবৈধ সরকারের উপদেষ্টা, সমন্বয়ক,রাতারাতি তারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে কোটিপতি হয়ে গেছে
উগ্রপন্থী ওসমান হাদির কফিনে পতাকা থাকলেও ছিল না সুদানে নিহত সেনাদের কফিনে
বাংলাদেশে আজ এক নজিরবিহীন ও বেদনাদায়ক বৈষম্যের সাক্ষী হলো পুরো জাতি। একদিকে উগ্র জাতীয়তাবাদ আর চরমপন্থার অভিযোগে অভিযুক্ত বিতর্কিত ওসমান হাদির মরদেহ যখন রাষ্ট্রীয় মর্যাদার আদলে লাল-সবুজ পতাকায় মুড়িয়ে দাফন করা হচ্ছে, ঠিক তখনই বিদেশের মাটিতে দেশের সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারানো বাংলাদেশি সেনাদের মরদেহ ফিরেছে অযত্ন আর অবহেলায়।
সেনাদের কফিনে ছিল না পতাকা, হাদির কফিনে জয়জয়কার
শনিবার সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বাংলাদেশি বীর সেনাদের মরদেহ যখন ঢাকায় পৌঁছায়, তখন এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা যায়। দেশের জন্য জীবন দেওয়া এই সূর্যসন্তানদের কফিনে ছিল না কোনো জাতীয় পতাকা। অথচ একই দিনে আলোচিত ও বিতর্কিত সংগঠন ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র ওসমান হাদির
কফিনকে জাতীয় পতাকা দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়। প্রশ্ন উঠেছে, রাষ্ট্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করা সেনাদের চেয়ে কি একজন বিতর্কিত রাজনৈতিক কর্মী বড় হয়ে গেল? কেন বিতর্কিত এই ওসমান হাদি? ওসমান হাদির কর্মকাণ্ড নিয়ে জনমনে এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মাঝে রয়েছে তীব্র ক্ষোভ। তার বিতর্কিত হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো: উগ্র জাতীয়তাবাদ: ভারত-বিরোধী আবেগ কাজে লাগিয়ে দুই দেশের মানুষের মাঝে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ভৌগোলিক অস্থিরতা: কোনো বাস্তব ভিত্তি ছাড়াই ভারতের অংশ বিশেষকে নিয়ে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ বা অখণ্ড বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শন করে তিনি আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। গণমাধ্যমে হামলা: তার অনুসারীদের দ্বারা ‘প্রথম আলো’ ও ‘ডেইলি স্টার’ এর মতো শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের অফিসে হামলা ও
অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, যা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত। জনদুর্ভোগ: দাবি আদায়ের নামে সচিবালয় ঘেরাও ও রাস্তা অবরোধ করে জনজীবন অতিষ্ঠ করার অভিযোগও রয়েছে তার সংগঠনের বিরুদ্ধে। ক্ষুব্ধ জনতা ও প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসন দেশের জন্য জীবন দেওয়া সেনাদের প্রতি এমন অবজ্ঞা এবং একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় সম্মানের আদলে বিদায় জানানোয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বর্তমান সেনাপ্রশাসন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা ও দূরদর্শিতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে গভীর ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলছেন—যাঁরা পতাকার মান রক্ষায় জীবন দিলেন তাঁরা কেন পতাকা পেলেন না, আর যিনি দেশকে অস্থিতিশীল করার কারিগর হিসেবে পরিচিত, তিনি কেন পতাকা পেলেন? পুরো বিষয়টি বর্তমান প্রশাসনের জন্য একটি বড় ‘লজ্জা’
হিসেবে দেখা দিচ্ছে, যা জাতীয় সংহতির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কফিনকে জাতীয় পতাকা দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়। প্রশ্ন উঠেছে, রাষ্ট্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করা সেনাদের চেয়ে কি একজন বিতর্কিত রাজনৈতিক কর্মী বড় হয়ে গেল? কেন বিতর্কিত এই ওসমান হাদি? ওসমান হাদির কর্মকাণ্ড নিয়ে জনমনে এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মাঝে রয়েছে তীব্র ক্ষোভ। তার বিতর্কিত হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো: উগ্র জাতীয়তাবাদ: ভারত-বিরোধী আবেগ কাজে লাগিয়ে দুই দেশের মানুষের মাঝে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ভৌগোলিক অস্থিরতা: কোনো বাস্তব ভিত্তি ছাড়াই ভারতের অংশ বিশেষকে নিয়ে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ বা অখণ্ড বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শন করে তিনি আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। গণমাধ্যমে হামলা: তার অনুসারীদের দ্বারা ‘প্রথম আলো’ ও ‘ডেইলি স্টার’ এর মতো শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের অফিসে হামলা ও
অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, যা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত। জনদুর্ভোগ: দাবি আদায়ের নামে সচিবালয় ঘেরাও ও রাস্তা অবরোধ করে জনজীবন অতিষ্ঠ করার অভিযোগও রয়েছে তার সংগঠনের বিরুদ্ধে। ক্ষুব্ধ জনতা ও প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসন দেশের জন্য জীবন দেওয়া সেনাদের প্রতি এমন অবজ্ঞা এবং একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় সম্মানের আদলে বিদায় জানানোয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বর্তমান সেনাপ্রশাসন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা ও দূরদর্শিতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে গভীর ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলছেন—যাঁরা পতাকার মান রক্ষায় জীবন দিলেন তাঁরা কেন পতাকা পেলেন না, আর যিনি দেশকে অস্থিতিশীল করার কারিগর হিসেবে পরিচিত, তিনি কেন পতাকা পেলেন? পুরো বিষয়টি বর্তমান প্রশাসনের জন্য একটি বড় ‘লজ্জা’
হিসেবে দেখা দিচ্ছে, যা জাতীয় সংহতির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।



