ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
যে দেশে একাত্তরে তিরিশ লাখ মানুষ শহীদ হলো, সেখানে এখন পাকিস্তানের পতাকা কীভাবে ওড়ে?
উগ্রপন্থী ওসমান হাদির কফিনে পতাকা থাকলেও ছিল না সুদানে নিহত সেনাদের কফিনে
নজরুল-জয়নুল-কামরুল বনাম ছাপড়ি টোকাই হাদি: এ লজ্জা কোথায় রাখি!
প্রেস সচিব শফিকের উস্কানিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম সংকটে
মার্কিন পরিকল্পনায় নির্বাচন বানচালের দ্বারপ্রান্তে জামায়াত
যারা লুটপাট, হাত কাটা, পা কাটা, চোখ তোলা, নির্যাতন করে, নারীদের ধর্ষণ করে তারা কি বেহেশতে যাবে?” –জননেত্রী শেখ হাসিনা
হাদির হত্যাকারী ভারতের পালিয়ে গেছে এমন কোনো প্রমাণ নেই।
বাংলাদেশের সংস্কৃতির মেরুদণ্ড ভাঙার এক নির্লজ্জ প্রচেষ্টা
ছায়ানট আর উদীচীতে যে আগুন জ্বলেছে, সেটা শুধু কাগজ আর বাদ্যযন্ত্রের আগুন নয়। এটা এই ভূখণ্ডের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে পুড়িয়ে দেওয়ার একটা সুপরিকল্পিত চেষ্টা। যে দেশে একদিন গান গেয়ে স্বাধীনতা এসেছিল, সেই দেশে আজ গানের স্কুলে আগুন দিতে হচ্ছে কাদের? কোন মানসিকতার মানুষ একটা হারমোনিয়াম, একটা তানপুরা পুড়িয়ে ফেলতে পারে? কোন ধরনের বিকৃত চিন্তা একটা শিশুর গানের বই ছিঁড়ে ফেলার সাহস দেয়?
মুহাম্মদ ইউনুস আর তার তথাকথিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন পর্যন্ত যা করে দেখিয়েছে, তাতে এটা পরিষ্কার যে জুলাইয়ের সেই রক্তাক্ত অভ্যুত্থান শুধু একটা সরকার পরিবর্তনের জন্য ছিল না। এটা ছিল বাংলাদেশের মূল চরিত্রটাকেই বদলে দেওয়ার একটা বিশাল প্রজেক্ট। নির্বাচিত সরকারকে সামরিক
বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় ক্যু করে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে যা হচ্ছে, তা একটা পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ ছাড়া আর কিছু নয়। জামায়াতে ইসলামী আর তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো যে এই সরকারের আসল চালিকাশক্তি, সেটা এখন আর গোপন কিছু নয়। ইনকিলাব মঞ্চ, হিফাজত, আরও কত নাম। একেকটা ইসলামি লেবাস লাগানো রাজনৈতিক সংগঠন, যাদের একমাত্র কাজ হলো এই দেশের অসাম্প্রদায়িক চরিত্রকে নষ্ট করা। ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ছায়ানট আর ধানমন্ডি ৩২-এ হামলা চালানো হয়েছে, কিন্তু এই দুটো জায়গার সাথে সেই ঘটনার কী সম্পর্ক? কোনো সম্পর্ক নেই। এগুলো শুধু অজুহাত। আসল লক্ষ্য হলো এই দেশের সাংস্কৃতিক স্তম্ভগুলোকে একটা একটা করে ভেঙে ফেলা। মুহাম্মদ ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংক দিয়ে
গরিব মানুষের কাছ থেকে সুদের টাকা তোলার যে দীর্ঘ ইতিহাস, সেটাও এই প্রসঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক নয়। যে মানুষ সারাজীবন গরিবের রক্ত চুষে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তিনি এখন এসে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের রক্ত চুষছেন। আর এই কাজে তার সবচেয়ে বড় সহযোগী হলো জামায়াত আর তাদের মতাদর্শী সব সংগঠন। এরা হলো সেই যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরি, যারা ১৯৭১ সালে এই দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। তখনও লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করা, আজও সেই একই লক্ষ্য, শুধু পদ্ধতি আলাদা। বিদেশি রাষ্ট্রের অর্থায়নের কথাটা এখন আর কেউ অস্বীকার করতে পারে না। জুলাইয়ের সেই দাঙ্গা আর অভ্যুত্থান যে শুধু স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র আন্দোলন ছিল না, সেটা এখন পরিষ্কার। এটা ছিল একটা
সুপরিকল্পিত অভ্যুত্থান, যেখানে অর্থ এসেছে বাইরে থেকে, সংগঠন এসেছে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো থেকে, আর সাহস এসেছে সামরিক বাহিনীর একাংশের নীরব সমর্থন থেকে। এবং এখন সেই অভ্যুত্থানের আসল ফসল তোলার সময় এসেছে। সেই ফসল হলো বাংলাদেশকে একটা মধ্যযুগীয় ধর্মীয় রাষ্ট্রে পরিণত করা। ছায়ানটের সেই ভাঙা হারমোনিয়ামের ছবি দেখে কার না মনে হবে যে এটা শুধু একটা বাদ্যযন্ত্র নয়, এটা আমাদের সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের প্রতীক? রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, লোকগান, এগুলো শুধু গান নয়, এগুলো আমাদের পরিচয়। কিন্তু জামায়াত আর তাদের মতাদর্শী সংগঠনগুলোর কাছে এগুলো হলো হারাম, এগুলো হলো ধ্বংস করার মতো জিনিস। তারা চায় এই দেশের মানুষ গান ভুলে যাক, নাচ ভুলে যাক, সংস্কৃতি ভুলে
যাক। তারা চায় এই দেশ পরিণত হোক একটা সাংস্কৃতিকভাবে মৃত জায়গায়, যেখানে শুধু থাকবে একটাই মতবাদ, একটাই চিন্তা। মুহাম্মদ ইউনুস আর তার সরকার এই সব কিছুর নীরব সমর্থক। তারা মুখে বলছে সবার স্বাধীনতার কথা, গণতন্ত্রের কথা, কিন্তু বাস্তবে একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা হচ্ছে আর তারা চুপচাপ বসে আছে। কারণ তারা জানে, এই হামলাগুলো তাদেরই পরিকল্পনার অংশ। জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশে যা হচ্ছে, তা একটা সুপরিকল্পিত সাংস্কৃতিক গণহত্যা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ, সাংস্কৃতিক কর্মীদের ভয় দেখানো, এসব কিছুই একটা বড় পরিকল্পনার অংশ। ছায়ানটে যে শিশুটি গান শিখতে যেত, তার সেই বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উদীচীতে যে তরুণটি
প্রতিদিন সংগীতের সাধনা করত, তার সেই স্বপ্ন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই ভাঙাগড়া শুধু ইট আর পাথরের নয়, এটা মানুষের স্বপ্ন, আশা, পরিচয়ের ভাঙাগড়া। এবং এই ভাঙাগড়ার দায় শুধু যারা আগুন দিয়েছে তাদের নয়, দায় সেই সরকারেরও, যারা এই আগুন দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করেছে। জামায়াতে ইসলামী আর তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো এখন আর আগের মতো লুকিয়ে নেই। তারা এখন প্রকাশ্যে রাজপথে, তারা প্রকাশ্যে হামলা করছে, তারা প্রকাশ্যে আগুন দিচ্ছে। কারণ তারা জানে, তাদের পিছনে আছে মুহাম্মদ ইউনুসের সরকার, আছে সামরিক বাহিনীর একাংশের সমর্থন, আছে বিদেশি অর্থায়ন। এই ত্রিমুখী সমর্থন তাদের এতটাই সাহসী করে তুলেছে যে তারা একটা জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাতে দ্বিধা
করছে না। বাংলাদেশের ইতিহাস একটা জিনিস বারবার প্রমাণ করেছে, সেটা হলো সংস্কৃতি আর রাজনীতি এখানে অবিচ্ছেদ্য। যখন রাজনীতিতে মৌলবাদ মাথা চাড়া দেয়, তখন সংস্কৃতিই হয় তার প্রথম শিকার। কারণ সংস্কৃতি মানুষকে চিন্তা করতে শেখায়, প্রশ্ন করতে শেখায়, প্রতিরোধ করতে শেখায়। আর সেটাই সবচেয়ে বড় হুমকি যেকোনো স্বৈরাচারী, মৌলবাদী শক্তির কাছে। ছায়ানট আর উদীচীতে যে আগুন লেগেছে, সেটা নিভবে। ভাঙা ভবন আবার তৈরি হবে। কিন্তু যে বার্তা এই হামলার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে, সেটা অনেক বেশি ভয়ংকর। বার্তাটা হলো, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিচয় এখন আক্রমণের লক্ষ্য। যে দেশ একদিন ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছিল, সেই দেশে আজ গানের স্কুলে আগুন দিতে হচ্ছে। এর চেয়ে বড় পতন আর কী হতে পারে? মুহাম্মদ ইউনুস আর তার সহযোগীরা ইতিহাসের বিচারে দাঁড়াবে একদিন। তারা দাঁড়াবে সেই মানুষ হিসেবে, যারা বিদেশি অর্থ আর ইসলামি জঙ্গিদের সাহায্য নিয়ে একটা নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়েছিল। তারা দাঁড়াবে সেই মানুষ হিসেবে, যারা এই দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল। আর জামায়াত আর তার মতাদর্শী সংগঠনগুলো দাঁড়াবে সেই শক্তি হিসেবে, যারা ১৯৭১ সালেও এই দেশের বিরুদ্ধে ছিল, ২০২৪ সালেও আছে। ছায়ানটের সেই পোড়া গানের বই, উদীচীর সেই ভাঙা বাদ্যযন্ত্র, এগুলো এখন শুধু ক্ষতির হিসাব নয়। এগুলো হলো একটা সাক্ষ্য। সাক্ষ্য এই কথার যে, বাংলাদেশ এখন একটা সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। একদিকে আছে তার সাংস্কৃতিক পরিচয়, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, আর অন্যদিকে আছে মৌলবাদের অন্ধকার। এবং এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে জিতবে, সেটা নির্ভর করবে বাংলাদেশের মানুষের ওপর। তারা কি ছায়ানটের সেই পোড়া হারমোনিয়ামের কান্না শুনতে পাবে, নাকি এটাকে শুধু একটা খবর ভেবে ভুলে যাবে?
বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় ক্যু করে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে যা হচ্ছে, তা একটা পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ ছাড়া আর কিছু নয়। জামায়াতে ইসলামী আর তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো যে এই সরকারের আসল চালিকাশক্তি, সেটা এখন আর গোপন কিছু নয়। ইনকিলাব মঞ্চ, হিফাজত, আরও কত নাম। একেকটা ইসলামি লেবাস লাগানো রাজনৈতিক সংগঠন, যাদের একমাত্র কাজ হলো এই দেশের অসাম্প্রদায়িক চরিত্রকে নষ্ট করা। ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ছায়ানট আর ধানমন্ডি ৩২-এ হামলা চালানো হয়েছে, কিন্তু এই দুটো জায়গার সাথে সেই ঘটনার কী সম্পর্ক? কোনো সম্পর্ক নেই। এগুলো শুধু অজুহাত। আসল লক্ষ্য হলো এই দেশের সাংস্কৃতিক স্তম্ভগুলোকে একটা একটা করে ভেঙে ফেলা। মুহাম্মদ ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংক দিয়ে
গরিব মানুষের কাছ থেকে সুদের টাকা তোলার যে দীর্ঘ ইতিহাস, সেটাও এই প্রসঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক নয়। যে মানুষ সারাজীবন গরিবের রক্ত চুষে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তিনি এখন এসে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের রক্ত চুষছেন। আর এই কাজে তার সবচেয়ে বড় সহযোগী হলো জামায়াত আর তাদের মতাদর্শী সব সংগঠন। এরা হলো সেই যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরি, যারা ১৯৭১ সালে এই দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। তখনও লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করা, আজও সেই একই লক্ষ্য, শুধু পদ্ধতি আলাদা। বিদেশি রাষ্ট্রের অর্থায়নের কথাটা এখন আর কেউ অস্বীকার করতে পারে না। জুলাইয়ের সেই দাঙ্গা আর অভ্যুত্থান যে শুধু স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র আন্দোলন ছিল না, সেটা এখন পরিষ্কার। এটা ছিল একটা
সুপরিকল্পিত অভ্যুত্থান, যেখানে অর্থ এসেছে বাইরে থেকে, সংগঠন এসেছে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো থেকে, আর সাহস এসেছে সামরিক বাহিনীর একাংশের নীরব সমর্থন থেকে। এবং এখন সেই অভ্যুত্থানের আসল ফসল তোলার সময় এসেছে। সেই ফসল হলো বাংলাদেশকে একটা মধ্যযুগীয় ধর্মীয় রাষ্ট্রে পরিণত করা। ছায়ানটের সেই ভাঙা হারমোনিয়ামের ছবি দেখে কার না মনে হবে যে এটা শুধু একটা বাদ্যযন্ত্র নয়, এটা আমাদের সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের প্রতীক? রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, লোকগান, এগুলো শুধু গান নয়, এগুলো আমাদের পরিচয়। কিন্তু জামায়াত আর তাদের মতাদর্শী সংগঠনগুলোর কাছে এগুলো হলো হারাম, এগুলো হলো ধ্বংস করার মতো জিনিস। তারা চায় এই দেশের মানুষ গান ভুলে যাক, নাচ ভুলে যাক, সংস্কৃতি ভুলে
যাক। তারা চায় এই দেশ পরিণত হোক একটা সাংস্কৃতিকভাবে মৃত জায়গায়, যেখানে শুধু থাকবে একটাই মতবাদ, একটাই চিন্তা। মুহাম্মদ ইউনুস আর তার সরকার এই সব কিছুর নীরব সমর্থক। তারা মুখে বলছে সবার স্বাধীনতার কথা, গণতন্ত্রের কথা, কিন্তু বাস্তবে একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা হচ্ছে আর তারা চুপচাপ বসে আছে। কারণ তারা জানে, এই হামলাগুলো তাদেরই পরিকল্পনার অংশ। জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশে যা হচ্ছে, তা একটা সুপরিকল্পিত সাংস্কৃতিক গণহত্যা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ, সাংস্কৃতিক কর্মীদের ভয় দেখানো, এসব কিছুই একটা বড় পরিকল্পনার অংশ। ছায়ানটে যে শিশুটি গান শিখতে যেত, তার সেই বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উদীচীতে যে তরুণটি
প্রতিদিন সংগীতের সাধনা করত, তার সেই স্বপ্ন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই ভাঙাগড়া শুধু ইট আর পাথরের নয়, এটা মানুষের স্বপ্ন, আশা, পরিচয়ের ভাঙাগড়া। এবং এই ভাঙাগড়ার দায় শুধু যারা আগুন দিয়েছে তাদের নয়, দায় সেই সরকারেরও, যারা এই আগুন দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করেছে। জামায়াতে ইসলামী আর তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো এখন আর আগের মতো লুকিয়ে নেই। তারা এখন প্রকাশ্যে রাজপথে, তারা প্রকাশ্যে হামলা করছে, তারা প্রকাশ্যে আগুন দিচ্ছে। কারণ তারা জানে, তাদের পিছনে আছে মুহাম্মদ ইউনুসের সরকার, আছে সামরিক বাহিনীর একাংশের সমর্থন, আছে বিদেশি অর্থায়ন। এই ত্রিমুখী সমর্থন তাদের এতটাই সাহসী করে তুলেছে যে তারা একটা জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাতে দ্বিধা
করছে না। বাংলাদেশের ইতিহাস একটা জিনিস বারবার প্রমাণ করেছে, সেটা হলো সংস্কৃতি আর রাজনীতি এখানে অবিচ্ছেদ্য। যখন রাজনীতিতে মৌলবাদ মাথা চাড়া দেয়, তখন সংস্কৃতিই হয় তার প্রথম শিকার। কারণ সংস্কৃতি মানুষকে চিন্তা করতে শেখায়, প্রশ্ন করতে শেখায়, প্রতিরোধ করতে শেখায়। আর সেটাই সবচেয়ে বড় হুমকি যেকোনো স্বৈরাচারী, মৌলবাদী শক্তির কাছে। ছায়ানট আর উদীচীতে যে আগুন লেগেছে, সেটা নিভবে। ভাঙা ভবন আবার তৈরি হবে। কিন্তু যে বার্তা এই হামলার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে, সেটা অনেক বেশি ভয়ংকর। বার্তাটা হলো, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিচয় এখন আক্রমণের লক্ষ্য। যে দেশ একদিন ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছিল, সেই দেশে আজ গানের স্কুলে আগুন দিতে হচ্ছে। এর চেয়ে বড় পতন আর কী হতে পারে? মুহাম্মদ ইউনুস আর তার সহযোগীরা ইতিহাসের বিচারে দাঁড়াবে একদিন। তারা দাঁড়াবে সেই মানুষ হিসেবে, যারা বিদেশি অর্থ আর ইসলামি জঙ্গিদের সাহায্য নিয়ে একটা নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়েছিল। তারা দাঁড়াবে সেই মানুষ হিসেবে, যারা এই দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল। আর জামায়াত আর তার মতাদর্শী সংগঠনগুলো দাঁড়াবে সেই শক্তি হিসেবে, যারা ১৯৭১ সালেও এই দেশের বিরুদ্ধে ছিল, ২০২৪ সালেও আছে। ছায়ানটের সেই পোড়া গানের বই, উদীচীর সেই ভাঙা বাদ্যযন্ত্র, এগুলো এখন শুধু ক্ষতির হিসাব নয়। এগুলো হলো একটা সাক্ষ্য। সাক্ষ্য এই কথার যে, বাংলাদেশ এখন একটা সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। একদিকে আছে তার সাংস্কৃতিক পরিচয়, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, আর অন্যদিকে আছে মৌলবাদের অন্ধকার। এবং এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে জিতবে, সেটা নির্ভর করবে বাংলাদেশের মানুষের ওপর। তারা কি ছায়ানটের সেই পোড়া হারমোনিয়ামের কান্না শুনতে পাবে, নাকি এটাকে শুধু একটা খবর ভেবে ভুলে যাবে?



