ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
যে দেশে একাত্তরে তিরিশ লাখ মানুষ শহীদ হলো, সেখানে এখন পাকিস্তানের পতাকা কীভাবে ওড়ে?
উগ্রপন্থী ওসমান হাদির কফিনে পতাকা থাকলেও ছিল না সুদানে নিহত সেনাদের কফিনে
নজরুল-জয়নুল-কামরুল বনাম ছাপড়ি টোকাই হাদি: এ লজ্জা কোথায় রাখি!
প্রেস সচিব শফিকের উস্কানিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম সংকটে
মার্কিন পরিকল্পনায় নির্বাচন বানচালের দ্বারপ্রান্তে জামায়াত
যারা লুটপাট, হাত কাটা, পা কাটা, চোখ তোলা, নির্যাতন করে, নারীদের ধর্ষণ করে তারা কি বেহেশতে যাবে?” –জননেত্রী শেখ হাসিনা
হাদির হত্যাকারী ভারতের পালিয়ে গেছে এমন কোনো প্রমাণ নেই।
কারা হেফাজতে ফের মৃত্যু: বিনা চিকিৎসায় আ.লীগ নেতাকে ‘পরিকল্পিত হত্যার’ অভিযোগ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শাসনামলে জেলখানায় মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। এবার কাশিমপুর কারাগারে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যু হলো বাড্ডা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ওয়াসিকুর রহমান বাবুর। রোববার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এই মৃত্যুকে ‘স্বাভাবিক’ মানতে নারাজ নিহতের পরিবার ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তাদের অভিযোগ, এটি নিছক মৃত্যু নয়, বরং কারা কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা এবং সরকারের প্রতিহিংসপরায়ণ আচরণের কারণে ঘটা ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’।
দলীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর পান্থপথে একটি মিছিলের সময় ওয়াসিকুর রহমান বাবুকে নির্মমভাবে মারধর করে বিএনপি জামায়াত সন্ত্রাসীা। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে
পুলিশে সোপর্দ করা হলেও তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আহত অবস্থায় গ্রেপ্তারের পর বাবু ভাইকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। জখম শরীর নিয়ে তিনি দিনের পর দিন কারাগারে ধুঁকেছেন, কিন্তু প্রশাসন ছিল নির্বিকার।” আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবি, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জেলখানায় এ নিয়ে ৫৬ জন নেতাকর্মীর মৃত্যু হলো। তাদের অভিযোগ, ভিন্নমতের দমনে সরকার জামায়াত-শিবির ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। নেতাকর্মীরা বলছেন, “এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বেছে বেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং জেলখানায় বিনা
চিকিৎসায় তিলে তিলে মেরে ফেলা হচ্ছে। ওয়াসিকুর বাবুর মৃত্যু এই পরিকল্পিত নিধনযজ্ঞেরই অংশ।” সহকারী কারা মহাপরিদর্শক জান্নাত উল ফরহাদ জানান, রোববার বিকেলে রিমান্ডের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তরের সময় কারাগারের ফটকেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন ওয়াসিকুর। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তবে সমালোচকরা প্রশ্ন তুলছেন, একজন বন্দীর শারীরিক অবস্থা এতটা খারাপ হওয়া সত্ত্বেও কেন তাকে আগেই হাসপাতালে ভর্তি করা হলো না? কেন হস্তান্তরের আগমুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো? তাদের মতে, এই কালক্ষেপণই প্রমাণ করে যে বন্দীদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষ চরমভাবে ব্যর্থ। ওয়াসিকুর রহমান বাবুর মৃত্যুর খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও দলীয় অঙ্গনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের ‘পুতুল
প্রশাসন’ ও কারা কর্তৃপক্ষের এমন অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, এখনই এই ‘পরিকল্পিত হত্যা’ বন্ধ না হলে রাজপথে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
পুলিশে সোপর্দ করা হলেও তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আহত অবস্থায় গ্রেপ্তারের পর বাবু ভাইকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। জখম শরীর নিয়ে তিনি দিনের পর দিন কারাগারে ধুঁকেছেন, কিন্তু প্রশাসন ছিল নির্বিকার।” আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবি, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জেলখানায় এ নিয়ে ৫৬ জন নেতাকর্মীর মৃত্যু হলো। তাদের অভিযোগ, ভিন্নমতের দমনে সরকার জামায়াত-শিবির ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। নেতাকর্মীরা বলছেন, “এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বেছে বেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং জেলখানায় বিনা
চিকিৎসায় তিলে তিলে মেরে ফেলা হচ্ছে। ওয়াসিকুর বাবুর মৃত্যু এই পরিকল্পিত নিধনযজ্ঞেরই অংশ।” সহকারী কারা মহাপরিদর্শক জান্নাত উল ফরহাদ জানান, রোববার বিকেলে রিমান্ডের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তরের সময় কারাগারের ফটকেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন ওয়াসিকুর। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তবে সমালোচকরা প্রশ্ন তুলছেন, একজন বন্দীর শারীরিক অবস্থা এতটা খারাপ হওয়া সত্ত্বেও কেন তাকে আগেই হাসপাতালে ভর্তি করা হলো না? কেন হস্তান্তরের আগমুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো? তাদের মতে, এই কালক্ষেপণই প্রমাণ করে যে বন্দীদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষ চরমভাবে ব্যর্থ। ওয়াসিকুর রহমান বাবুর মৃত্যুর খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও দলীয় অঙ্গনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের ‘পুতুল
প্রশাসন’ ও কারা কর্তৃপক্ষের এমন অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, এখনই এই ‘পরিকল্পিত হত্যা’ বন্ধ না হলে রাজপথে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।



