ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
যে দেশে একাত্তরে তিরিশ লাখ মানুষ শহীদ হলো, সেখানে এখন পাকিস্তানের পতাকা কীভাবে ওড়ে?
উগ্রপন্থী ওসমান হাদির কফিনে পতাকা থাকলেও ছিল না সুদানে নিহত সেনাদের কফিনে
নজরুল-জয়নুল-কামরুল বনাম ছাপড়ি টোকাই হাদি: এ লজ্জা কোথায় রাখি!
প্রেস সচিব শফিকের উস্কানিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম সংকটে
মার্কিন পরিকল্পনায় নির্বাচন বানচালের দ্বারপ্রান্তে জামায়াত
যারা লুটপাট, হাত কাটা, পা কাটা, চোখ তোলা, নির্যাতন করে, নারীদের ধর্ষণ করে তারা কি বেহেশতে যাবে?” –জননেত্রী শেখ হাসিনা
হাদির হত্যাকারী ভারতের পালিয়ে গেছে এমন কোনো প্রমাণ নেই।
ধর্ম অবমাননা’র গুজবে সংখ্যালঘু নিধন: বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও মব জাস্টিসের ভয়াবহ বিস্তার
বাংলাদেশে ‘ধর্ম অবমাননা’র অভিযোগ এখন আর নিছক কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং এটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের একটি পরিকল্পিত ও প্রতিষ্ঠিত হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া সহিংসতা, মব জাস্টিস এবং প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন বা ছকে এই হামলাগুলো পরিচালিত হচ্ছে। ফেসবুক পোস্ট বা গুজবের ওপর ভিত্তি করে মুহূর্তের মধ্যে হাজারো মানুষ জড়ো করে সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয় ধ্বংস করা হচ্ছে, অথচ পরবর্তীতে তদন্তে অধিকাংশ অভিযোগই ভুয়া প্রমাণিত হচ্ছে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, পাবনার বনগ্রাম থেকে শুরু করে রামু, নাসিরনগর, শাল্লা এবং সর্বশেষ ময়মনসিংহের ভালুকা—প্রতিটি ঘটনায় চিত্রনাট্য প্রায় একই। রামুতে বৌদ্ধ বিহার পোড়ানো হয়েছিল
একটি এডিট করা ছবির অজুহাতে। নাসিরনগরে হামলার কারণ ছিল এমন একটি পোস্ট, যা অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেই দেননি। শাল্লায় রাজনৈতিক সমালোচনাকে ‘ধর্ম অবমাননা’ সাজিয়ে গ্রাম লুট করা হয়েছিল। প্রতিটি ঘটনার পর রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে তৎপর হলেও মূল অপরাধীদের বিচারে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, যারা মাইকিং করে, লিফলেট ছেপে হাজারো মানুষ জড়ো করে হামলা চালিয়েছে, তারা বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে। অন্যদিকে, ঝুমন দাসের মতো ভুক্তভোগীদের মাসের পর মাস কারাগারে কাটাতে হয়েছে। এই ‘নির্বাচিত বিচার’ ব্যবস্থায় হামলাকারীরা জামিনে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর সংখ্যালঘুরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। সম্প্রতি ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা এবং লাশ গাছে বেঁধে পুড়িয়ে
ফেলার ঘটনাটি মব জাস্টিসের ভয়াবহতাকে নতুন করে সামনে এনেছে। কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ বা নির্ভরযোগ্য সাক্ষী ছাড়াই ধর্ম অবমাননার ধুয়া তুলে ঠান্ডা মাথায় এই লিঞ্চিং সংঘটিত হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এটি কোনো সাধারণ ‘উন্মত্ত জনতা’র কাজ নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কুমিলল্লা ও পীরগঞ্জের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ থাকার পরও দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হওয়ায় দুর্বৃত্তরা এমন নৃশংসতা দেখানোর সাহস পাচ্ছে। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, বিশেষ করে ইউনুস সরকারের শাসনামলে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রকাশ্য উত্থান নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংখ্যালঘু অধিকারকর্মীরা। অভিযোগ উঠছে, প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে একটি গোষ্ঠী সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিকভাবে জিম্মি করার চেষ্টা করছে। ভোট, মিছিল ও সামাজিক সমর্থনের ক্ষেত্রে হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে
নির্দিষ্ট ইসলামী দল বা তাদের সহযোগীদের পক্ষে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। রাষ্ট্রের নীরবতাকে ‘পরোক্ষ সম্মতি’ হিসেবে উল্লেখ করে ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল মনে করছেন, সরকার যদি এখনই কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তবে এই সময়কাল ইতিহাসে ‘সংখ্যালঘু নিধনের অধ্যায়’ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, রাষ্ট্র কি আদৌ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী? ধর্ম অবমাননার গুজবে মব সংগঠিত করাকে কেন রাষ্ট্রদ্রোহ বা সন্ত্রাসী অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে না? সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি, কেবল মৌলবাদী রাজনীতির নির্মূল এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। নিরপেক্ষতার নামে রাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয়তা সাম্প্রদায়িক শক্তিকেই শক্তিশালী করছে। এই মব জাস্টিস ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধে দ্রুত ও
দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
একটি এডিট করা ছবির অজুহাতে। নাসিরনগরে হামলার কারণ ছিল এমন একটি পোস্ট, যা অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেই দেননি। শাল্লায় রাজনৈতিক সমালোচনাকে ‘ধর্ম অবমাননা’ সাজিয়ে গ্রাম লুট করা হয়েছিল। প্রতিটি ঘটনার পর রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে তৎপর হলেও মূল অপরাধীদের বিচারে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, যারা মাইকিং করে, লিফলেট ছেপে হাজারো মানুষ জড়ো করে হামলা চালিয়েছে, তারা বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে। অন্যদিকে, ঝুমন দাসের মতো ভুক্তভোগীদের মাসের পর মাস কারাগারে কাটাতে হয়েছে। এই ‘নির্বাচিত বিচার’ ব্যবস্থায় হামলাকারীরা জামিনে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর সংখ্যালঘুরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। সম্প্রতি ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা এবং লাশ গাছে বেঁধে পুড়িয়ে
ফেলার ঘটনাটি মব জাস্টিসের ভয়াবহতাকে নতুন করে সামনে এনেছে। কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ বা নির্ভরযোগ্য সাক্ষী ছাড়াই ধর্ম অবমাননার ধুয়া তুলে ঠান্ডা মাথায় এই লিঞ্চিং সংঘটিত হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এটি কোনো সাধারণ ‘উন্মত্ত জনতা’র কাজ নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কুমিলল্লা ও পীরগঞ্জের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ থাকার পরও দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হওয়ায় দুর্বৃত্তরা এমন নৃশংসতা দেখানোর সাহস পাচ্ছে। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, বিশেষ করে ইউনুস সরকারের শাসনামলে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রকাশ্য উত্থান নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংখ্যালঘু অধিকারকর্মীরা। অভিযোগ উঠছে, প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে একটি গোষ্ঠী সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিকভাবে জিম্মি করার চেষ্টা করছে। ভোট, মিছিল ও সামাজিক সমর্থনের ক্ষেত্রে হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে
নির্দিষ্ট ইসলামী দল বা তাদের সহযোগীদের পক্ষে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। রাষ্ট্রের নীরবতাকে ‘পরোক্ষ সম্মতি’ হিসেবে উল্লেখ করে ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল মনে করছেন, সরকার যদি এখনই কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তবে এই সময়কাল ইতিহাসে ‘সংখ্যালঘু নিধনের অধ্যায়’ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, রাষ্ট্র কি আদৌ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী? ধর্ম অবমাননার গুজবে মব সংগঠিত করাকে কেন রাষ্ট্রদ্রোহ বা সন্ত্রাসী অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে না? সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি, কেবল মৌলবাদী রাজনীতির নির্মূল এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। নিরপেক্ষতার নামে রাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয়তা সাম্প্রদায়িক শক্তিকেই শক্তিশালী করছে। এই মব জাস্টিস ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধে দ্রুত ও
দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।



