ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউবে কথা বলবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা
‘জনপ্রিয়তা সহ্য করতে না পেরেই হাদিকে সরিয়েছে’— মির্জা আব্বাসের দিকে ইঙ্গিত জামায়াত আমিরের
বাংলাদেশে হিংসার নেপথ্যে পাকিস্তানের ‘ঢাকা সেল’? ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ নেতা, শিল্পী ও ব্যবসায়ীদের ছবি প্রকাশ
পারাপারের সময় ফেরি থেকে পড়ে নদীতে ডুবল ৫ যান, ৩ জনের মৃত্যু
দহগ্রাম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে বিএসএফ সদস্যের প্রবেশ, বিজিবির হাতে আটক
চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের কার্যক্রম স্থগিত
পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও শয়তানপুজার সংযোগ
মাইকেল এ. অ্যাকুইনো: একজন শয়তানপুজারী যে মার্কিন সেনাবাহিনীর মনস্তাত্বিক যুদ্ধের একজন জনক। এই শয়তানবাদ এসেছে জার্মানী থেকে এবং মার্কিন সেনাবাহিনী থেকে ছড়িয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে, সেখান থেকে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনীতে। মাইকেল অ্যাকুইনোরি বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের ব্যপক অভিযোগ আছে যেটা সম্প্রতি ফাঁস হওয়া মার্কিন ডেমোক্র্যাট ও ডিপ স্টেটের এপিস্টিন শিশু নির্যাতনে কেলেঙ্কারির সাথে মিলে যায়।
মাইকেল এ. অ্যাকুইনো একজন আমেরিকান সামরিক কর্মকর্তা এবং মনস্তাত্বিক যুদ্ধ (Psychological Warfare) বিশেষজ্ঞ ছিলেন, যিনি ১৯৬৮ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সামরিক শক্তি (Green Berets) এর সাথে কাজ করেছিলেন এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধে মনস্তাত্বিক যুদ্ধের কৌশল প্রয়োগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭০-এর দশকে এবং ১৯৮০-এর প্রথম
দিকে তিনি NATO-এর ইউরোপীয় দেশগুলোতে যোগাযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। তিনি "MindWar" নামে একটি নতুন মানসিক যুদ্ধের তত্ত্ব উন্নয়ন করেন, যা সাধারণ শারীরিক যুদ্ধের (PhysWar) পরিবর্তে শত্রুদের মন ও ধারণাকে প্রভাবিত করার উপর নির্ভর করে। এই তত্ত্বটি তিনি পল ই. ভ্যালি-এর সাথে ১৯৮০ সালে "From PSYOP to MindWar: The Psychology of Victory" নামক প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, যেখানে তিনি মিডিয়া, তথ্য প্রযুক্তি এবং পর্যায়ক্রমিক প্রভাবের মাধ্যমে শত্রু বাহিনী ও নাগরিকদের মনে প্রভাব ফেলার কৌশল বর্ণনা করেন। উদাহরণস্বরূপ, ভিয়েতনাম যুদ্ধে তিনি প্রচারণা ও মানসিক প্রভাবের মাধ্যমে বিদ্রোহীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির কৌশল ব্যবহার করেছিলেন, যা পরবর্তীতে আধুনিক সাইকোলজিকাল ওপারেশনের ভিত্তি হয়ে ওঠে। মাইকেল অ্যাকুইনো
শয়তানপূজার সাথে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৯ সালে তিনি এন্টন লেভে পরিচালিত চার্চ অফ শয়তানে যোগ দেন এবং দ্রুত উচ্চ পদে উন্নীত হন। ১৯৭৫ সালে লেভের সাথে মতভেদের কারণে তিনি চার্চ ছাড়েন এবং নিজস্ব শয়তানতন্ত্র গোষ্ঠী 'টেম্পল অফ সেট' প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি দাবি করেন যে শয়তান (যাকে পরে তিনি সেট নামে চিহ্নিত করেন) তাঁকে "দ্য বুক অফ কামিং ফরথ বাই নাইট" নামক গ্রন্থ প্রকাশিত করায়, যা তাঁর গোষ্ঠীর আধ্যাত্মিক ভিত্তি হয়ে ওঠে। এই গোষ্ঠী প্রাচীন মিশরীয় দেবতা সেটের উপাসনার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল এবং ব্রিটিশ আলোকবিজ্ঞানী এলিস্টার ক্রোলির তত্ত্ব থেকে প্রভাবিত হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে টেম্পল অফ সেট ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি নন-প্রফিট
চার্চ হিসেবে নিবন্ধিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, তিনি ১৯৭০-এর দশকে জার্মানির Wewelsburg Castle-এ একটি শয়তানী রীতি সম্পন্ন করেন, যা SS এবং হেনরিখ হিমলারের সাথে সম্পর্কিত ছিল, যা তাঁর শয়তানপূজার গভীর আগ্রহের প্রমাণ। তিনি এই আগ্রহকে শুধুমাত্র বৈজ্ঞানিক বলে দাবি করেছিলেন এবং নাত্সিবাদের প্রতি অনুগত বা ফ্যাসিস্ট হওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৮০-এর দশকে, বিশেষ করে ১৯৮৬ সালে, মাইকেল অ্যাকুইনোর বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগ সান ফ্রান্সিসকোর প্রেসিডিও সেনা বেসে অবস্থিত চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে শিশুদের প্রতি যৌন নির্যাতনের সাথে যুক্ত ছিল। একটি শিশু তাঁকে "মাইকি" নামে চিহ্নিত করে এবং তাঁর বাড়ির বর্ণনা দিয়ে অভিযোগ করে। ১৯৮৭ সালের আগস্টে এই অভিযোগটি সামনে আসে,
যখন একটি শিশু সেনা বেসে অ্যাকুইনো ও তাঁর স্ত্রীকে দেখে ভীত হয়ে পড়ে এবং তাদেরকে চেনে। সান ফ্রান্সিসকো পুলিশ এবং মার্কিন সেনাবাহিনীর অপরাধ তদন্ত বিভাগ (CID) তদন্ত শুরু করে। CID-এর প্রতিবেদনে তাঁকে "indecent acts with a child, sodomy, conspiracy, kidnapping, and false swearing" এর জন্য "টাইটেল্ড" করা হয়, তবে কোনো আদালতী মামলা শুরু হয়নি বা দোষারোপ প্রমাণিত হয়নি। অ্যাকুইনো দাবি করেন যে তিনি ও তাঁর স্ত্রী সেই সময় ওয়াশিংটন ডি.সি.-তে ছিলেন এবং এই অভিযোগটি "শয়তানপূজার প্যানিক" (Satanic Panic) এর ফলাফল। তাঁর জীবন ও কাজ সম্পর্কে গবেষণা এখনো চলছে, বিশেষ করে তাঁর মানসিক যুদ্ধের তত্ত্ব এবং শয়তানপূজার সাথে সামরিক সংযোগ নিয়ে।
মাইকেল অ্যাকুইনোর জীবন একটি জটিল ও বিতর্কিত ইতিহাস প্রকাশ করে, যেখানে তিনি সামরিক মানসিক যুদ্ধে অবদান রাখার পাশাপাশি শয়তানপূজা এবং শিশু নির্যাতনের অভিযোগের মধ্যে কেন্দ্রীভূত ছিলেন। ছবি: বামে - মাইকেল এ. অ্যাকুইনো, ডানে - ১৯৭৩ সালে একুইনো শয়তানী অনুষ্ঠান প্রদর্শনের জন্য পোশাক পরে পোজ দিচ্ছেন।
দিকে তিনি NATO-এর ইউরোপীয় দেশগুলোতে যোগাযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। তিনি "MindWar" নামে একটি নতুন মানসিক যুদ্ধের তত্ত্ব উন্নয়ন করেন, যা সাধারণ শারীরিক যুদ্ধের (PhysWar) পরিবর্তে শত্রুদের মন ও ধারণাকে প্রভাবিত করার উপর নির্ভর করে। এই তত্ত্বটি তিনি পল ই. ভ্যালি-এর সাথে ১৯৮০ সালে "From PSYOP to MindWar: The Psychology of Victory" নামক প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, যেখানে তিনি মিডিয়া, তথ্য প্রযুক্তি এবং পর্যায়ক্রমিক প্রভাবের মাধ্যমে শত্রু বাহিনী ও নাগরিকদের মনে প্রভাব ফেলার কৌশল বর্ণনা করেন। উদাহরণস্বরূপ, ভিয়েতনাম যুদ্ধে তিনি প্রচারণা ও মানসিক প্রভাবের মাধ্যমে বিদ্রোহীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির কৌশল ব্যবহার করেছিলেন, যা পরবর্তীতে আধুনিক সাইকোলজিকাল ওপারেশনের ভিত্তি হয়ে ওঠে। মাইকেল অ্যাকুইনো
শয়তানপূজার সাথে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৯ সালে তিনি এন্টন লেভে পরিচালিত চার্চ অফ শয়তানে যোগ দেন এবং দ্রুত উচ্চ পদে উন্নীত হন। ১৯৭৫ সালে লেভের সাথে মতভেদের কারণে তিনি চার্চ ছাড়েন এবং নিজস্ব শয়তানতন্ত্র গোষ্ঠী 'টেম্পল অফ সেট' প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি দাবি করেন যে শয়তান (যাকে পরে তিনি সেট নামে চিহ্নিত করেন) তাঁকে "দ্য বুক অফ কামিং ফরথ বাই নাইট" নামক গ্রন্থ প্রকাশিত করায়, যা তাঁর গোষ্ঠীর আধ্যাত্মিক ভিত্তি হয়ে ওঠে। এই গোষ্ঠী প্রাচীন মিশরীয় দেবতা সেটের উপাসনার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল এবং ব্রিটিশ আলোকবিজ্ঞানী এলিস্টার ক্রোলির তত্ত্ব থেকে প্রভাবিত হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে টেম্পল অফ সেট ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি নন-প্রফিট
চার্চ হিসেবে নিবন্ধিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, তিনি ১৯৭০-এর দশকে জার্মানির Wewelsburg Castle-এ একটি শয়তানী রীতি সম্পন্ন করেন, যা SS এবং হেনরিখ হিমলারের সাথে সম্পর্কিত ছিল, যা তাঁর শয়তানপূজার গভীর আগ্রহের প্রমাণ। তিনি এই আগ্রহকে শুধুমাত্র বৈজ্ঞানিক বলে দাবি করেছিলেন এবং নাত্সিবাদের প্রতি অনুগত বা ফ্যাসিস্ট হওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৮০-এর দশকে, বিশেষ করে ১৯৮৬ সালে, মাইকেল অ্যাকুইনোর বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগ সান ফ্রান্সিসকোর প্রেসিডিও সেনা বেসে অবস্থিত চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে শিশুদের প্রতি যৌন নির্যাতনের সাথে যুক্ত ছিল। একটি শিশু তাঁকে "মাইকি" নামে চিহ্নিত করে এবং তাঁর বাড়ির বর্ণনা দিয়ে অভিযোগ করে। ১৯৮৭ সালের আগস্টে এই অভিযোগটি সামনে আসে,
যখন একটি শিশু সেনা বেসে অ্যাকুইনো ও তাঁর স্ত্রীকে দেখে ভীত হয়ে পড়ে এবং তাদেরকে চেনে। সান ফ্রান্সিসকো পুলিশ এবং মার্কিন সেনাবাহিনীর অপরাধ তদন্ত বিভাগ (CID) তদন্ত শুরু করে। CID-এর প্রতিবেদনে তাঁকে "indecent acts with a child, sodomy, conspiracy, kidnapping, and false swearing" এর জন্য "টাইটেল্ড" করা হয়, তবে কোনো আদালতী মামলা শুরু হয়নি বা দোষারোপ প্রমাণিত হয়নি। অ্যাকুইনো দাবি করেন যে তিনি ও তাঁর স্ত্রী সেই সময় ওয়াশিংটন ডি.সি.-তে ছিলেন এবং এই অভিযোগটি "শয়তানপূজার প্যানিক" (Satanic Panic) এর ফলাফল। তাঁর জীবন ও কাজ সম্পর্কে গবেষণা এখনো চলছে, বিশেষ করে তাঁর মানসিক যুদ্ধের তত্ত্ব এবং শয়তানপূজার সাথে সামরিক সংযোগ নিয়ে।
মাইকেল অ্যাকুইনোর জীবন একটি জটিল ও বিতর্কিত ইতিহাস প্রকাশ করে, যেখানে তিনি সামরিক মানসিক যুদ্ধে অবদান রাখার পাশাপাশি শয়তানপূজা এবং শিশু নির্যাতনের অভিযোগের মধ্যে কেন্দ্রীভূত ছিলেন। ছবি: বামে - মাইকেল এ. অ্যাকুইনো, ডানে - ১৯৭৩ সালে একুইনো শয়তানী অনুষ্ঠান প্রদর্শনের জন্য পোশাক পরে পোজ দিচ্ছেন।



