ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম ইনকিলাব মঞ্চের
জাতীয় কবির সমাধির পাশে সমাহিত হাদি
অবৈধ দখলদার সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় সারা দেশে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, গুম-খুন ও মবসন্ত্রাসের মাধ্যমে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি
এ. কে. খন্দকারের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শোক
চরম অরাজকতায় ধুঁকছে বাংলাদেশ: ইউনুস-সেনাপ্রধান দ্বন্দ্বে শাসনব্যবস্থা অচল, কৌশলগত অবস্থানে ভারত
রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে মবসন্ত্রাসের নগ্ন নৃত্য চলছে: আ.লীগ
জানাজার ভিড় কি জান্নাতের মানদণ্ড? ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও ভ্রান্ত ধারণার অপনোদন
প্রেস সচিবের উস্কানি ও সরকারের চরম ব্যর্থতা: ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দেশের গণমাধ্যম
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আজ এক ভয়াবহ ও নজিরবিহীন সংকটের মুখে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের শাসনামলে দেশ আজ অরাজকতা ও মবতন্ত্রের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। যার চূড়ান্ত ও নৃশংস বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর রাতে কারওয়ান বাজারে। সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ক্রমাগত বিষোদগার ও উস্কানির ফলে দেশের শীর্ষ দুই গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ ও ‘ডেইলি স্টার’-এর কার্যালয়ে উগ্র জনতা যে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে, তা স্বাধীন সাংবাদিকতার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য সাংবাদিক সমাজ ও বিশ্লেষকরা সরাসরি আঙুল তুলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের দিকে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সরকারি পদে থেকে দায়িত্বশীল আচরণের পরিবর্তে ক্রমাগত
গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি করছেন। গণমাধ্যমকে তিনি বারবার ‘তথ্য বিকৃতকারী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে জনতার সামনে শত্রু হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। এমনকি হামলাকারী ও উগ্র প্রতিবাদকারীদের ‘প্রেসার গ্রুপ’ বা চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করে তিনি প্রকারান্তরে এই সহিংসতাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তার এই দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উস্কানিমূলক বক্তব্যই মব বা উশৃঙ্খল জনতাকে সাংবাদিকদের ওপর হামলায় উৎসাহিত করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ১৮-১৯ ডিসেম্বর রাতে কারওয়ান বাজার এলাকা পরিণত হয়েছিল রণক্ষেত্রে। উন্মত্ত জনতার হামলায় দেশের অন্যতম প্রধান দুই পত্রিকার কার্যালয় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাংবাদিকরা ধোঁয়ার মধ্যে আটকা পড়ে প্রাণভয়ে আর্তনাদ করেছেন। চোখের সামনে পুড়ে ছাই হয়েছে নথিপত্র ও
মূল্যবান যন্ত্রপাতি। ফলে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই দুই পত্রিকার প্রিন্ট ও অনলাইন কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ এই ঘটনাকে “সংবাদপত্রের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার রাত” হিসেবে অভিহিত করেছেন। ড. ইউনুসের সরকার সংস্কারের বুলি আওড়ালেও বাস্তবে তারা গণমাধ্যম দমনে আগের যেকোনো সরকারের চেয়ে বেশি আগ্রাসী। ‘রাইটস অ্যান্ড রিস্কস অ্যানালাইসিস গ্রুপ’-এর তথ্যমতে, সরকারের প্রথম আট মাসেই (আগস্ট ২০২৪ থেকে মার্চ ২০২৫) ৬৪০ জন সাংবাদিককে টার্গেট করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী সরকারের তুলনায় ২৩০% বেশি। পরবর্তীতে এই সংখ্যা বেড়ে ৮৭৮-এ দাঁড়িয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার করে প্রগতিশীল সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার, রিমান্ড এবং হয়রানি এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান
রাইটস ওয়াচ এবং সিপিজে এই দমনপীড়নকে “গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত” বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে। উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলোকে ছাড় দেওয়ার নীতি দেশকে এক গভীর খাদের কিনারে নিয়ে গেছে। বিএনপি নেতারাও এই হামলার নিন্দা জানিয়ে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন, “সরকার মবক্র্যাসি বা জনতাতন্ত্র নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ অক্ষম, যার ফলে দেশ উগ্রবাদের ছায়ায় তলিয়ে যাচ্ছে।” গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার এই চরম ক্রান্তিকালে প্রশ্ন উঠছে—প্রেস সচিবের উস্কানি এবং সরকারের এই ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তা কি ভিন্নমতকে স্তব্ধ করারই কোনো নীল নকশা? আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর হস্তক্ষেপ ছাড়া বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও গণতন্ত্রের
এই মুমূর্ষু অবস্থা থেকে উত্তরণ অসম্ভব বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি করছেন। গণমাধ্যমকে তিনি বারবার ‘তথ্য বিকৃতকারী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে জনতার সামনে শত্রু হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। এমনকি হামলাকারী ও উগ্র প্রতিবাদকারীদের ‘প্রেসার গ্রুপ’ বা চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করে তিনি প্রকারান্তরে এই সহিংসতাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তার এই দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উস্কানিমূলক বক্তব্যই মব বা উশৃঙ্খল জনতাকে সাংবাদিকদের ওপর হামলায় উৎসাহিত করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ১৮-১৯ ডিসেম্বর রাতে কারওয়ান বাজার এলাকা পরিণত হয়েছিল রণক্ষেত্রে। উন্মত্ত জনতার হামলায় দেশের অন্যতম প্রধান দুই পত্রিকার কার্যালয় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাংবাদিকরা ধোঁয়ার মধ্যে আটকা পড়ে প্রাণভয়ে আর্তনাদ করেছেন। চোখের সামনে পুড়ে ছাই হয়েছে নথিপত্র ও
মূল্যবান যন্ত্রপাতি। ফলে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই দুই পত্রিকার প্রিন্ট ও অনলাইন কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ এই ঘটনাকে “সংবাদপত্রের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার রাত” হিসেবে অভিহিত করেছেন। ড. ইউনুসের সরকার সংস্কারের বুলি আওড়ালেও বাস্তবে তারা গণমাধ্যম দমনে আগের যেকোনো সরকারের চেয়ে বেশি আগ্রাসী। ‘রাইটস অ্যান্ড রিস্কস অ্যানালাইসিস গ্রুপ’-এর তথ্যমতে, সরকারের প্রথম আট মাসেই (আগস্ট ২০২৪ থেকে মার্চ ২০২৫) ৬৪০ জন সাংবাদিককে টার্গেট করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী সরকারের তুলনায় ২৩০% বেশি। পরবর্তীতে এই সংখ্যা বেড়ে ৮৭৮-এ দাঁড়িয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার করে প্রগতিশীল সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার, রিমান্ড এবং হয়রানি এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান
রাইটস ওয়াচ এবং সিপিজে এই দমনপীড়নকে “গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত” বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে। উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলোকে ছাড় দেওয়ার নীতি দেশকে এক গভীর খাদের কিনারে নিয়ে গেছে। বিএনপি নেতারাও এই হামলার নিন্দা জানিয়ে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন, “সরকার মবক্র্যাসি বা জনতাতন্ত্র নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ অক্ষম, যার ফলে দেশ উগ্রবাদের ছায়ায় তলিয়ে যাচ্ছে।” গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার এই চরম ক্রান্তিকালে প্রশ্ন উঠছে—প্রেস সচিবের উস্কানি এবং সরকারের এই ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তা কি ভিন্নমতকে স্তব্ধ করারই কোনো নীল নকশা? আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর হস্তক্ষেপ ছাড়া বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও গণতন্ত্রের
এই মুমূর্ষু অবস্থা থেকে উত্তরণ অসম্ভব বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।



