ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
অবিনশ্বর বিজয় দিবস ২০২৫
নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর যেদিন বিজয়ের সূর্য হেসেছিল বাংলার আকাশে
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা
প্রহসন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, জনগণের রায় ছাড়াই ক্ষমতার বন্দোবস্ত মানবে না দেশ
নিয়াজীর আত্মসমর্পণের চুক্তিনামা নিয়ে আসেন
ক্যু করে পদচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়ে ইউনুসের কাছে রাষ্ট্রপতি এখন অচ্ছুৎ!
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের লুটপাট: জুলাইয়ের খুনিদের আসল চেহারা
৭১–কে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রে ইউনুস সরকার: কুচকাওয়াজ বাতিল ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলা নিয়ে সরব আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম
ডিসেম্বর এলেই বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে ফিরে আসে বিজয়ের চেতনা। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিবছর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সামরিক কুচকাওয়াজ ছিল স্বাধীন রাষ্ট্রের শক্তি, ঐতিহ্য ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার প্রতীক। কিন্তু পরপর দুই বছর সেই ঐতিহাসিক কুচকাওয়াজ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার—যা ঘিরে দেশ-বিদেশে তীব্র বিতর্ক, প্রশ্ন ও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার, যার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন মুহাম্মদ ইউনুস। ক্ষমতায় আসার মাত্র চার মাসের মাথায় ‘নিরাপত্তা’ কারণ দেখিয়ে ২০২৪ সালের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ স্থগিত করা হয়। এক বছর পর ২০২৫ সালেও একই সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে।
গত ১৯ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, বিজয় দিবসে অস্থিরতার
আশঙ্কা নেই এবং অন্যান্য কর্মসূচি আগের চেয়ে বেশি থাকলেও সামরিক প্যারেড অনুষ্ঠিত হবে না। শুধু রাজধানী নয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও কুচকাওয়াজ বাতিল করা হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কুচকাওয়াজ কেবল একটি আনুষ্ঠানিক আয়োজন নয়; এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সামরিক সক্ষমতা ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রকাশ। বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ মনে করেন, কুচকাওয়াজ হলে সামরিক বাহিনীকে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন-কে সালাম জানাতে হতো, যা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য ‘বিব্রতকর’ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। এই বাস্তবতাও কুচকাওয়াজ বাতিলের পেছনে একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন তিনি। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন ধ্বংস ও অবমাননার ঘটনাও গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ভাঙচুর, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান এবং মুক্তিযুদ্ধকে জুলাই
অভ্যুত্থানের সঙ্গে এক কাতারে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠছে। ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে স্মৃতিফলক থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার ঘটনায় নতুন করে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সেই স্মৃতিফলকটি একটি সাদা বোর্ডে পরিণত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও সাংবাদিক আবু সালেহ রনি বলেন, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে এই মিরপুরেই হত্যা করা হয়েছিল দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২২ ডিসেম্বর এই স্মৃতিসৌধের ফলক উদ্বোধন করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ঐতিহাসিক স্মৃতিফলক মুছে ফেলা নিছক অবহেলা, নাকি পরিকল্পিতভাবে ইতিহাস আড়াল করার চেষ্টা—এই প্রশ্ন এখন জনমনে তীব্রভাবে উচ্চারিত হচ্ছে। এদিকে এসব ঘটনায়
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নীরবতার অভিযোগ উঠলেও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম দাবি করেছেন, এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী নয়; বরং তাদের কার্যক্রম মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ ও গভীর আশঙ্কা: পরপর দুই বছর বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ বাতিল, বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নে আঘাত—সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের ইতিহাস ও চেতনা নিয়ে গভীর উদ্বেগের সুর শোনা যাচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এসব ঘটনাপ্রবাহ মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর দাঁড়িয়ে প্রশ্ন উঠছে—বিজয়ের কুচকাওয়াজ বন্ধ, ইতিহাসের নাম মুছে ফেলা আর নীরব প্রশাসন—সব মিলিয়ে কি তবে ৭১–কে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রই ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে?
আশঙ্কা নেই এবং অন্যান্য কর্মসূচি আগের চেয়ে বেশি থাকলেও সামরিক প্যারেড অনুষ্ঠিত হবে না। শুধু রাজধানী নয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও কুচকাওয়াজ বাতিল করা হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কুচকাওয়াজ কেবল একটি আনুষ্ঠানিক আয়োজন নয়; এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সামরিক সক্ষমতা ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রকাশ। বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ মনে করেন, কুচকাওয়াজ হলে সামরিক বাহিনীকে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন-কে সালাম জানাতে হতো, যা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য ‘বিব্রতকর’ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। এই বাস্তবতাও কুচকাওয়াজ বাতিলের পেছনে একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন তিনি। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন ধ্বংস ও অবমাননার ঘটনাও গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ভাঙচুর, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান এবং মুক্তিযুদ্ধকে জুলাই
অভ্যুত্থানের সঙ্গে এক কাতারে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠছে। ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে স্মৃতিফলক থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার ঘটনায় নতুন করে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সেই স্মৃতিফলকটি একটি সাদা বোর্ডে পরিণত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও সাংবাদিক আবু সালেহ রনি বলেন, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে এই মিরপুরেই হত্যা করা হয়েছিল দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২২ ডিসেম্বর এই স্মৃতিসৌধের ফলক উদ্বোধন করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ঐতিহাসিক স্মৃতিফলক মুছে ফেলা নিছক অবহেলা, নাকি পরিকল্পিতভাবে ইতিহাস আড়াল করার চেষ্টা—এই প্রশ্ন এখন জনমনে তীব্রভাবে উচ্চারিত হচ্ছে। এদিকে এসব ঘটনায়
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নীরবতার অভিযোগ উঠলেও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম দাবি করেছেন, এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী নয়; বরং তাদের কার্যক্রম মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ ও গভীর আশঙ্কা: পরপর দুই বছর বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ বাতিল, বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নে আঘাত—সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের ইতিহাস ও চেতনা নিয়ে গভীর উদ্বেগের সুর শোনা যাচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এসব ঘটনাপ্রবাহ মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর দাঁড়িয়ে প্রশ্ন উঠছে—বিজয়ের কুচকাওয়াজ বন্ধ, ইতিহাসের নাম মুছে ফেলা আর নীরব প্রশাসন—সব মিলিয়ে কি তবে ৭১–কে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রই ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে?



