ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে বৈঠক: বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও জাতিসংঘের প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ছে, তালিকায় ৩০টির বেশি দেশ
ভারত চাইলে নিরবচ্ছিন্ন তেল সরবরাহে প্রস্তুত রাশিয়া : পুতিন
নতুন ‘বাবরি মসজিদের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শনিবার
১৯ দেশ থেকে অভিবাসন স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র, তালিকায় নেই বাংলাদেশ
গাজায় শান্তি বাস্তবায়নে জোর যৌথ প্রতিরক্ষায় গুরুত্বারোপ
রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ, ১১ বছর পর ফের বিমানের খোঁজে অভিযান
ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে বৈঠক: বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও জাতিসংঘের প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের ‘ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিস’ (EEAS)-এর মানবাধিকার ডেস্কের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাসেলস-ভিত্তিক একটি পলিসি থিঙ্ক ট্যাংকের সহযোগিতায় আয়োজিত এই বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ইইউ-এর মানবাধিকার ডেস্কের কর্মকর্তা মি. অগনিয়ান কারাস্তামাতোভ (Mr. Ognyan Karastamatov) এবং ইইউ ইইএএস-এর দক্ষিণ এশীয় প্রতিনিধি মিস লিন ভিলাডসেন (Ms. Lene Villadsen)। অন্যদিকে, হ্যান্ড ইন হ্যান্ড ফাউন্ডেশনের মহাসচিব আ ফ ম গোলাম জিলানীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার, বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা লাফিট শহীদ, গোলাম মোস্তফা, সাইদুল করিম মজুমদার এবং মি. ইয়াকুব জিয়েন্তালা।
বৈঠকে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাংলাদেশে
মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ তুলে ধরেন। তারা সংখ্যালঘু নির্যাতন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার এবং বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের আটক করার বিষয়গুলো ইইউ কর্মকর্তাদের সামনে সবিস্তারে তুলে ধরেন। এছাড়া, দেশটিতে ভিন্নমতাবলম্বী, মানবাধিকার কর্মী এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর চাপ প্রয়োগ ও নাগরিক পরিসর (Civic Space) সংকুচিত হয়ে আসার বিষয়টিও আলোচনায় গুরুত্ব পায়। বৈঠকের অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল জাতিসংঘের সাম্প্রতিক মানবাধিকার তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনের (Fact-finding report) বিরোধিতা। প্রতিনিধিদলটি একটি আনুষ্ঠানিক খণ্ডনলিপি (Rebuttal) পেশ করে দাবি করে যে, জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনের বেশ কিছু সিদ্ধান্তে প্রাসঙ্গিক গভীরতার অভাব রয়েছে এবং তা মাঠপর্যায়ের প্রকৃত বাস্তবতাকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিফলিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা ঝুঁকিপূর্ণ
গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের সুরক্ষায় স্বচ্ছ তদন্ত প্রক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও জোরালো ভূমিকার আহ্বান জানান। ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিনিধিরা উত্থাপিত সমস্যাগুলো গুরুত্বসহকারে আমলে নেন। তারা বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। বৈঠক শেষে হ্যান্ড ইন হ্যান্ড ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলমান সংকট মোকাবিলা এবং কার্যকর সংস্কারের দাবিতে আন্তর্জাতিক অংশীদার, প্রবাসী প্রতিনিধি এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সঙ্গে তাদের আলোচনা ও পরামর্শ অব্যাহত থাকবে।
মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ তুলে ধরেন। তারা সংখ্যালঘু নির্যাতন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার এবং বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের আটক করার বিষয়গুলো ইইউ কর্মকর্তাদের সামনে সবিস্তারে তুলে ধরেন। এছাড়া, দেশটিতে ভিন্নমতাবলম্বী, মানবাধিকার কর্মী এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর চাপ প্রয়োগ ও নাগরিক পরিসর (Civic Space) সংকুচিত হয়ে আসার বিষয়টিও আলোচনায় গুরুত্ব পায়। বৈঠকের অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল জাতিসংঘের সাম্প্রতিক মানবাধিকার তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনের (Fact-finding report) বিরোধিতা। প্রতিনিধিদলটি একটি আনুষ্ঠানিক খণ্ডনলিপি (Rebuttal) পেশ করে দাবি করে যে, জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনের বেশ কিছু সিদ্ধান্তে প্রাসঙ্গিক গভীরতার অভাব রয়েছে এবং তা মাঠপর্যায়ের প্রকৃত বাস্তবতাকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিফলিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা ঝুঁকিপূর্ণ
গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের সুরক্ষায় স্বচ্ছ তদন্ত প্রক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও জোরালো ভূমিকার আহ্বান জানান। ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিনিধিরা উত্থাপিত সমস্যাগুলো গুরুত্বসহকারে আমলে নেন। তারা বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। বৈঠক শেষে হ্যান্ড ইন হ্যান্ড ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলমান সংকট মোকাবিলা এবং কার্যকর সংস্কারের দাবিতে আন্তর্জাতিক অংশীদার, প্রবাসী প্রতিনিধি এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সঙ্গে তাদের আলোচনা ও পরামর্শ অব্যাহত থাকবে।



