ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
মসজিদের শহর ঢাকা থেকে লাশের শহরের অভিমুখে যাত্রা
ড. ইউনুস দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে কূটনৈতিক দৌড়ঝাপ
এবার বাংলাদেশ পুলিশকে পুলিশিং শেখাতে আসছে পাকিস্তান
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শুভেচ্ছা বার্তা
২০১৭ সালে মৃত ব্যক্তিও মামলার আসামি! ফেসবুকে ছেলের স্ট্যাটাস
‘সাজানো নির্বাচনের’ লক্ষ্যেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা এখনই কার্যকর হচ্ছে না: জয়
“আমার কোনো অভিভাবক নেই, তোমরাই আমার অভিভাবক” – জেনারেল ওয়াকার
হেফাজত আমির: জামায়াত সাহাবাদের দুষমন, মওদুদীর ইসলাম আর আমাদের ইসলাম এক নয়
যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলামীর মতাদর্শের কঠোর সমালোচনা করে আবারও বক্তব্য দিলেন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। জামায়াতের আকিদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তাদেরকে নাস্তিকদের চেয়েও খতরনাক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আজ ২০শে নভেম্বর, বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় উলামা কাউন্সিলের আত্মপ্রকাশ ও উলামা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করেন।
হেফাজতের আমির বলেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় এলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত বাংলাদেশে থাকতে পারবে না। তারা সাহাবাদের দুষমন, নাস্তিকের চেয়েও খতরনাক।’
তিনি বলেন, ‘মওদুদীর ইসলাম আর আমাদের ইসলাম এক নয়। জামায়াতের ইসলাম মওদুদীর ইসলাম।’
একই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জামায়াত নেতাদের অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক।
তিনি বলেন, এখন
ইসলামি রাজনীতির ‘সোনালী সময় চলছে’। বাংলাদেশে এখন ইসলামি রাজনীতি উত্থানের সোনালী সময়। এই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে ভবিষ্যতে আফসোস করতে হবে। তার দাবি, ‘আগামীর বাংলাদেশে যেকোনো জাতীয় সিদ্ধান্ত ইসলামপন্থীদের বাইরে রেখে নেওয়া সম্ভব হবে না।’ নুরাল পাগলার মাজার এলাকায় হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ীতে আলেম–ইমামদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন মামুনুল হক। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘রাজবাড়ীর প্রশাসন যদি দমন-পীড়ন বন্ধ না করে, জাতীয় পর্যায় থেকে এর কঠোর প্রতিবাদ করা হবে।’ এর আগে গত ৮ই নভেম্বর এক আলোচনা সভা ও জাতীয় উলামা মাশায়েখ সম্মেলনে হেফাজত আমির বলেছিলেন, “আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আকিদার মূলভিত্তি হলো কোরান ও সুন্নাহ, এবং সাহাবায়ে কিরাম ও
সালফে সালেহীনের পথ অনুসরণ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজ কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ইসলামের এই বিশুদ্ধ ঐতিহ্য থেকে সরে গিয়ে নতুন নতুন মতবাদ প্রচার করছে।” তিনি বলেন, “আবুল আলা মওদুদী তার লেখনিতে এমন কিছু ধারণা উপস্থাপন করেছেন, যা আহলে সুন্নতের মূলধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সাহাবায়ে কিরাম সম্পর্কে তার মন্তব্য এবং ইসলামি রাজনীতির ব্যাখ্যা বহু ক্ষেত্রে ইসলামের ঐতিহ্যবাহী ব্যাখ্যার বিপরীত। এ কারণে আকাবিরে দেওবন্দ স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন— মওদুদীর চিন্তা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আকিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ইসলাম কেবল একটি রাজনৈতিক মতবাদ নয়; বরং এটি আখলাক, তাযকিয়া ও ইলমে ওহির ওপর প্রতিষ্ঠিত পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা।” হেফাজতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, “জামায়াত সবসময় ইসলামের শেকড় উৎপাটনের মিশনে লিপ্ত।
আমাদের কাছে ইসলাম এসেছে সাহাবায়ে কেরামের মাধ্যমে। মওদুদীর গোটা জীবন কেটেছে সেই সাহাবায়ে কেরামকে বিতর্কিত করার কাজে। সাহাবায়ে কেরামকে সত্যের মাপকাঠি স্বীকার না করা হলে এবং তাদেরকে বিতর্কিত করা গেলে কোরান ও হাদিস বিতর্কিত হয়ে যাবে। জামায়াতে ইসলামী সাহাবায়ে কেরামকে বিতর্কিত করার মাধ্যমে কোরান ও হাদিসের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।” এর আগে গত ১৫ই সেপ্টেম্বর হেফাজত আমিরের বক্তব্য- ‘জামায়াত সরকারে আসতে পারলে কওমি, দেওবন্দি ও সুন্নিয়াত মাদ্রাসার অস্তিত্ব রাখবে না’-এর প্রতিবাদ জানায় যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলামী। বিবৃতিতে হেফাজতের আমিরের বক্তব্যকে অসত্য, মনগড়া এবং এতে সত্যের লেশমাত্রও নেই বলে উল্লেখ করা হয়।
ইসলামি রাজনীতির ‘সোনালী সময় চলছে’। বাংলাদেশে এখন ইসলামি রাজনীতি উত্থানের সোনালী সময়। এই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে ভবিষ্যতে আফসোস করতে হবে। তার দাবি, ‘আগামীর বাংলাদেশে যেকোনো জাতীয় সিদ্ধান্ত ইসলামপন্থীদের বাইরে রেখে নেওয়া সম্ভব হবে না।’ নুরাল পাগলার মাজার এলাকায় হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ীতে আলেম–ইমামদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন মামুনুল হক। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘রাজবাড়ীর প্রশাসন যদি দমন-পীড়ন বন্ধ না করে, জাতীয় পর্যায় থেকে এর কঠোর প্রতিবাদ করা হবে।’ এর আগে গত ৮ই নভেম্বর এক আলোচনা সভা ও জাতীয় উলামা মাশায়েখ সম্মেলনে হেফাজত আমির বলেছিলেন, “আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আকিদার মূলভিত্তি হলো কোরান ও সুন্নাহ, এবং সাহাবায়ে কিরাম ও
সালফে সালেহীনের পথ অনুসরণ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজ কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ইসলামের এই বিশুদ্ধ ঐতিহ্য থেকে সরে গিয়ে নতুন নতুন মতবাদ প্রচার করছে।” তিনি বলেন, “আবুল আলা মওদুদী তার লেখনিতে এমন কিছু ধারণা উপস্থাপন করেছেন, যা আহলে সুন্নতের মূলধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সাহাবায়ে কিরাম সম্পর্কে তার মন্তব্য এবং ইসলামি রাজনীতির ব্যাখ্যা বহু ক্ষেত্রে ইসলামের ঐতিহ্যবাহী ব্যাখ্যার বিপরীত। এ কারণে আকাবিরে দেওবন্দ স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন— মওদুদীর চিন্তা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আকিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ইসলাম কেবল একটি রাজনৈতিক মতবাদ নয়; বরং এটি আখলাক, তাযকিয়া ও ইলমে ওহির ওপর প্রতিষ্ঠিত পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা।” হেফাজতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, “জামায়াত সবসময় ইসলামের শেকড় উৎপাটনের মিশনে লিপ্ত।
আমাদের কাছে ইসলাম এসেছে সাহাবায়ে কেরামের মাধ্যমে। মওদুদীর গোটা জীবন কেটেছে সেই সাহাবায়ে কেরামকে বিতর্কিত করার কাজে। সাহাবায়ে কেরামকে সত্যের মাপকাঠি স্বীকার না করা হলে এবং তাদেরকে বিতর্কিত করা গেলে কোরান ও হাদিস বিতর্কিত হয়ে যাবে। জামায়াতে ইসলামী সাহাবায়ে কেরামকে বিতর্কিত করার মাধ্যমে কোরান ও হাদিসের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।” এর আগে গত ১৫ই সেপ্টেম্বর হেফাজত আমিরের বক্তব্য- ‘জামায়াত সরকারে আসতে পারলে কওমি, দেওবন্দি ও সুন্নিয়াত মাদ্রাসার অস্তিত্ব রাখবে না’-এর প্রতিবাদ জানায় যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলামী। বিবৃতিতে হেফাজতের আমিরের বক্তব্যকে অসত্য, মনগড়া এবং এতে সত্যের লেশমাত্রও নেই বলে উল্লেখ করা হয়।



