ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
সোনাদিয়া নিয়ে নতুন ভূরাজনীতি: রেয়ার অর্থ রিজার্ভের মিথ্যা প্রপাগাণ্ডার আড়ালে বিদেশীদের দখল দেওয়ার চক্রান্ত!
‘জুলাই সনদ’ কড়চা এবং অতঃপর …
বিশ্ব মিডিয়ায় শেখ হাসিনার সদর্প উপস্থিতি, ডিপ স্টেটের গভীর ষড়যন্ত্র এবং স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমে শেখ হাসিনাঃ তিনিই জাতির কান্ডারী- সৈয়দ বোরহান কবীর
‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা’ স্লোগানদাতারা কেন চাকরিতে নারী কোটার পক্ষে ফিরতে চায় এখন?
সংবিধান অনুযায়ী ‘জুলাই সনদ’ অবৈধ এবং সমর্থনকারীর জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান
বিএনপি’র সন্ত্রাস আর ড. ইউনূসের সন্ত্রাস জামাতকে ক্ষমতায় বসার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।
‘জ্যোতিই এখন সর্বেসর্বা’
জাহানারা আলমের যৌন হয়রানির বিস্ফোরক অভিযোগের পর থেকে উত্তাল দেশের ক্রিকেট অঙ্গন। জাহানারার পর এবার ইউ এস বাংলা 24 সঙ্গে একান্ত আলাপে মঞ্জুরুল ইসলাম ও জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রুমানা আহমেদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সেকান্দার আলী।
ইউ এস বাংলা 24: জাহানারা আলম যে অভিযোগ তুলেছেন, এমন অভিজ্ঞতার শিকার কি আপনি বা আপনার সতীর্থরা হয়েছেন?
রুমানা: দেখুন, সাফার (ভুক্তভোগী) একেকজন একেকভাবে হয়েছে। সবার অভিজ্ঞতা তো এক রকম হয় না। আমার ব্যক্তিগতভাবে গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা পছন্দ না, আমি তাই উনাকে (মঞ্জুরুল) ওইভাবে সাইড করে যেতাম। আমি দেখেছি, অনেকে এভাবেই এড়িয়ে চলত। এখন
এই আচরণে তাদের কতটা ভালো বা খারাপ লেগেছে, সেটা তো আমি বলতে পারবো না। ইউ এস বাংলা 24: জাহানারা বা আপনি সিনিয়র হিসেবে হয়তো প্রতিবাদ করতে পেরেছেন, কিন্তু জুনিয়র ক্রিকেটারদের এমন কোনো অভিযোগের কথা শুনেছেন? রুমানা: এটা তো ওইভাবে করে কেউ কথা বলবে না। কারণ উনার (মঞ্জুরুলের) ওই সময়ে এমন আধিপত্য ছিল যে, এই রকম কথা বলার মতো অবস্থা কারও ছিল না। আমরা যাকেই বলতাম, দেখা গেছে উল্টো রিয়্যাকশন আসত। যেমন জাহানারা তখন কথা তুলেছিল, আমিও তুলেছিলাম তার (মঞ্জুরুলের) আচরণগত সমস্যা নিয়ে। এসব নিয়ে আমরা উল্টো প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। সেক্ষেত্রে তো জুনিয়রদের প্রশ্নই উঠে না এসব নিয়ে কথা বলার। কারণ তাদের টিমে থাকতে
হবে, খেলতে হবে। ইউ এস বাংলা 24: দলের মধ্যে গ্রুপিং, বর্তমান অধিনায়কের (নিগার সুলতানা জ্যোতি) জন্য লাগেজ টানার মতো অভিযোগও উঠেছে... রুমানা: হ্যাঁ, ভেতরে গ্রুপিংয়ের ব্যাপারটা আসলেই আছে। কিন্তু ব্যাগ টানানো এটাকে আমি ওইভাবে বলব না। এটা দুই রকম হতে পারে। এক, কেউ জোর করে করানো; আরেকটা হচ্ছে, কেউ স্বেচ্ছায় করা। দেখা গেছে, ও (জ্যোতি) তো জুনিয়রদের নিয়েই টিম করে। ওর কথা যারা শোনে, ও তাদের নিয়েই টিমটা গঠন করেছে সবসময়। সেক্ষেত্রে ওর কাজ করার জন্য দুই-তিনজন জুনিয়র রেডিই থাকত, যারা স্বেচ্ছায় তার কাজ করে দিতে চাইত। ব্যাগ টানার কাজ আমরাও দেখেছি, জাহানারাও দেখেছে। এটা স্বেচ্ছায় করেছে, কারণ তাকে তো টিমে থাকতে হবে।
জ্যোতির যদি একটু ‘খেদমত’ করতে পারে, তাহলে তো টিমে থাকতে পারবে। সে (ওই জুনিয়র) তো তার ভ্যালুটা জানে না। সে যে জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড়, সেটা সে ফিল করে না। সে ভাবে, তার তোষামোদ করলে আমাদের ভবিষ্যত ভালো হতে পারে। এমন অনেক খেলোয়াড়ই আছে। ও যে জোরপূর্বক ব্যাগ টানাচ্ছে এমন না, দেখা গেছে ও বলার আগেই অনেকে চলে আসে। ইউ এস বাংলা 24: এই গ্রুপিংয়ের কারণেই কি বিশ্বকাপে আমরা ভালো অবস্থান থেকেও কয়েকটি ম্যাচ হেরেছি? রুমানা: না, এটা শুধু গ্রুপিংয়ের জন্য না। এটা হতে পারে সিন্ডিকেটের জন্য। আমাদের বর্তমান নির্বাচক ও আগে যারা ছিল, তারা সবাই মিলেই একটা সিন্ডিকেটে পরিণত করেছে। তাদের
পছন্দমতো খেলোয়াড়... এবার যে সুমাইয়া নামের মেয়েটাকে নিল, ও আসলে কী পারফরম্যান্স করল? ওকে কোন হিসেবে টিমে নিল? এই যে নতুন অফ স্পিনারকে নিল, ও কেবল শিখছে। ওর তো বিশ্বকাপে যাওয়ার মতো অভিজ্ঞতাটা তৈরি হয়নি। ইচ্ছা হলো যাকে যেভাবে খুশি দলে নিয়ে নিলাম। দেখেন, বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে আমরা বারবার টিমে পরিবর্তন করেছি। একদিন ও, আরেকদিন আরেকজন ওপেন করতাছে। তাহলে ৬ মাস, ৮ মাস ক্যাম্প করে লাভটা কী হলো? ইউ এস বাংলা 24: এই দায় আসলে কার? রুমানা: প্রথমত, এখানে অভিভাবকের অভাব আছে, যে একটু খেয়াল করবে টিমে কী হচ্ছে। ওই একজনের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, সিলেক্টর যেটা করবে সেটাই ওকে। আর প্রত্যেকটা
টিমে দেখেন সিনিয়র-জুনিয়র কম্বিনেশন থাকে। কিন্তু এখানে জ্যোতির আধিপত্য। জ্যোতি ‘অল ইন অল’। এখানে আর কারও আধিপত্য নাই। ওর ওপরে কথা বলার মতো একজনও নেই। ইউ এস বাংলা 24: আপনিও কি জ্যোতির মাধ্যমে কোনোভাবে মানসিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন? রুমানা: আমাকে তো সেই সুযোগটাই দেয়নি। ও ক্যাপ্টেন হওয়ার পর থেকেই আমাকে টিম থেকে বের করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। সেটা সে সফল হয়েছে। আমি টিমে নেই কেন? ম্যানেজমেন্ট আমাকে বলছে আমি পারফর্মার, কিন্তু আমি নাকি আনফিট। উনাদের জানা উচিত একজন আনফিট খেলোয়াড় কখনও পারফর্মার হতে পারে না। ইউ এস বাংলা 24: মঞ্জুরুলের বিরুদ্ধে জাহানারা যে যৌন হয়রানির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনেছেন, এটা শুনে আপনি কি বিস্মিত
হয়েছিলেন, নাকি এটা আপনার কাছে অবধারিতই মনে হয়েছে? রুমানা: আমার কাছে এটা কষ্টই লেগেছে যে, বিষয়টি এতদিন ধরে ধামাচাপা ছিল। ও এটা এতদিন পরে তুলেছে, এটা খারাপ লেগেছে। আর উনার (মঞ্জুরুলের) ক্যারেক্টার নিয়ে আমি আগেও বলেছি, উনি এই টাইপের। এখন ওর (জাহানারা) সাথে যা করা হয়েছে সেগুলো আমার স্বচক্ষে দেখা না, আমি এটা নিয়ে জানি না। তবে আমি এইটুকু জানি, একটা মেয়ে মানুষ এইটুকু বুঝতে পারার কথা যে কখন তাকে ‘গুড টাচ’ বা ‘ব্যাড টাচ’ করা হয়।
এই আচরণে তাদের কতটা ভালো বা খারাপ লেগেছে, সেটা তো আমি বলতে পারবো না। ইউ এস বাংলা 24: জাহানারা বা আপনি সিনিয়র হিসেবে হয়তো প্রতিবাদ করতে পেরেছেন, কিন্তু জুনিয়র ক্রিকেটারদের এমন কোনো অভিযোগের কথা শুনেছেন? রুমানা: এটা তো ওইভাবে করে কেউ কথা বলবে না। কারণ উনার (মঞ্জুরুলের) ওই সময়ে এমন আধিপত্য ছিল যে, এই রকম কথা বলার মতো অবস্থা কারও ছিল না। আমরা যাকেই বলতাম, দেখা গেছে উল্টো রিয়্যাকশন আসত। যেমন জাহানারা তখন কথা তুলেছিল, আমিও তুলেছিলাম তার (মঞ্জুরুলের) আচরণগত সমস্যা নিয়ে। এসব নিয়ে আমরা উল্টো প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। সেক্ষেত্রে তো জুনিয়রদের প্রশ্নই উঠে না এসব নিয়ে কথা বলার। কারণ তাদের টিমে থাকতে
হবে, খেলতে হবে। ইউ এস বাংলা 24: দলের মধ্যে গ্রুপিং, বর্তমান অধিনায়কের (নিগার সুলতানা জ্যোতি) জন্য লাগেজ টানার মতো অভিযোগও উঠেছে... রুমানা: হ্যাঁ, ভেতরে গ্রুপিংয়ের ব্যাপারটা আসলেই আছে। কিন্তু ব্যাগ টানানো এটাকে আমি ওইভাবে বলব না। এটা দুই রকম হতে পারে। এক, কেউ জোর করে করানো; আরেকটা হচ্ছে, কেউ স্বেচ্ছায় করা। দেখা গেছে, ও (জ্যোতি) তো জুনিয়রদের নিয়েই টিম করে। ওর কথা যারা শোনে, ও তাদের নিয়েই টিমটা গঠন করেছে সবসময়। সেক্ষেত্রে ওর কাজ করার জন্য দুই-তিনজন জুনিয়র রেডিই থাকত, যারা স্বেচ্ছায় তার কাজ করে দিতে চাইত। ব্যাগ টানার কাজ আমরাও দেখেছি, জাহানারাও দেখেছে। এটা স্বেচ্ছায় করেছে, কারণ তাকে তো টিমে থাকতে হবে।
জ্যোতির যদি একটু ‘খেদমত’ করতে পারে, তাহলে তো টিমে থাকতে পারবে। সে (ওই জুনিয়র) তো তার ভ্যালুটা জানে না। সে যে জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড়, সেটা সে ফিল করে না। সে ভাবে, তার তোষামোদ করলে আমাদের ভবিষ্যত ভালো হতে পারে। এমন অনেক খেলোয়াড়ই আছে। ও যে জোরপূর্বক ব্যাগ টানাচ্ছে এমন না, দেখা গেছে ও বলার আগেই অনেকে চলে আসে। ইউ এস বাংলা 24: এই গ্রুপিংয়ের কারণেই কি বিশ্বকাপে আমরা ভালো অবস্থান থেকেও কয়েকটি ম্যাচ হেরেছি? রুমানা: না, এটা শুধু গ্রুপিংয়ের জন্য না। এটা হতে পারে সিন্ডিকেটের জন্য। আমাদের বর্তমান নির্বাচক ও আগে যারা ছিল, তারা সবাই মিলেই একটা সিন্ডিকেটে পরিণত করেছে। তাদের
পছন্দমতো খেলোয়াড়... এবার যে সুমাইয়া নামের মেয়েটাকে নিল, ও আসলে কী পারফরম্যান্স করল? ওকে কোন হিসেবে টিমে নিল? এই যে নতুন অফ স্পিনারকে নিল, ও কেবল শিখছে। ওর তো বিশ্বকাপে যাওয়ার মতো অভিজ্ঞতাটা তৈরি হয়নি। ইচ্ছা হলো যাকে যেভাবে খুশি দলে নিয়ে নিলাম। দেখেন, বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে আমরা বারবার টিমে পরিবর্তন করেছি। একদিন ও, আরেকদিন আরেকজন ওপেন করতাছে। তাহলে ৬ মাস, ৮ মাস ক্যাম্প করে লাভটা কী হলো? ইউ এস বাংলা 24: এই দায় আসলে কার? রুমানা: প্রথমত, এখানে অভিভাবকের অভাব আছে, যে একটু খেয়াল করবে টিমে কী হচ্ছে। ওই একজনের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, সিলেক্টর যেটা করবে সেটাই ওকে। আর প্রত্যেকটা
টিমে দেখেন সিনিয়র-জুনিয়র কম্বিনেশন থাকে। কিন্তু এখানে জ্যোতির আধিপত্য। জ্যোতি ‘অল ইন অল’। এখানে আর কারও আধিপত্য নাই। ওর ওপরে কথা বলার মতো একজনও নেই। ইউ এস বাংলা 24: আপনিও কি জ্যোতির মাধ্যমে কোনোভাবে মানসিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন? রুমানা: আমাকে তো সেই সুযোগটাই দেয়নি। ও ক্যাপ্টেন হওয়ার পর থেকেই আমাকে টিম থেকে বের করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। সেটা সে সফল হয়েছে। আমি টিমে নেই কেন? ম্যানেজমেন্ট আমাকে বলছে আমি পারফর্মার, কিন্তু আমি নাকি আনফিট। উনাদের জানা উচিত একজন আনফিট খেলোয়াড় কখনও পারফর্মার হতে পারে না। ইউ এস বাংলা 24: মঞ্জুরুলের বিরুদ্ধে জাহানারা যে যৌন হয়রানির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনেছেন, এটা শুনে আপনি কি বিস্মিত
হয়েছিলেন, নাকি এটা আপনার কাছে অবধারিতই মনে হয়েছে? রুমানা: আমার কাছে এটা কষ্টই লেগেছে যে, বিষয়টি এতদিন ধরে ধামাচাপা ছিল। ও এটা এতদিন পরে তুলেছে, এটা খারাপ লেগেছে। আর উনার (মঞ্জুরুলের) ক্যারেক্টার নিয়ে আমি আগেও বলেছি, উনি এই টাইপের। এখন ওর (জাহানারা) সাথে যা করা হয়েছে সেগুলো আমার স্বচক্ষে দেখা না, আমি এটা নিয়ে জানি না। তবে আমি এইটুকু জানি, একটা মেয়ে মানুষ এইটুকু বুঝতে পারার কথা যে কখন তাকে ‘গুড টাচ’ বা ‘ব্যাড টাচ’ করা হয়।



