বিশ্ব মিডিয়ায় শেখ হাসিনার সদর্প উপস্থিতি, ডিপ স্টেটের গভীর ষড়যন্ত্র এবং স্বদেশ প্রত্যাবর্তন – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১ নভেম্বর, ২০২৫
     ৪:৩১ অপরাহ্ণ

বিশ্ব মিডিয়ায় শেখ হাসিনার সদর্প উপস্থিতি, ডিপ স্টেটের গভীর ষড়যন্ত্র এবং স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১ নভেম্বর, ২০২৫ | ৪:৩১ 18 ভিউ
লেখাটির সূচনা করতে চাই হযরত আলী (রাঃ) একটি কথা দিয়ে। সেই যুগের মোস্ট ওয়ান্টেড তিনি ঘুরে বেড়াতেন প্রবল সাহস নিয়ে। কোনো একদিন তাকে প্রশ্ন করা হলো, “আপনি কেন দেহরক্ষী সাথে নিয়ে চলাফেরা করেন না? আপনার তো সব সময় বিপদ আর চারিপাশে শত্রু।” উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “যে ব্যক্তি নিজেকে নিজে রক্ষা করতে পারেনা, তাকে দেহরক্ষী বাঁচাতে পারেনা।” কেন এই কথাটি উল্লেখ করলাম তার ব্যাখ্যা করবো ধীরে ধীরে। কয়েকদিন পূর্বে, বাংলাদেশের জনপ্রিয় উপস্থাপক, খালেদ মুহিউদ্দিন হঠাৎ দেশে হাজির হলেন। বাংলাদেশে এখন, যখন তালব্য শ উচ্চারণ করা যায় না, যেখানে তিনি দিব্যি বলে বসলেন, ইউনুস তার সরকার না। ব্যাখ্যাও দিলেন। এরপরে তিনি বললেন, শেখ

হাসিনা চাইলে তিনি সাক্ষাৎকার নিবেন। টুইস্টের বিষয় হলো, ঐ লিংকে ক্লিক জমতে জমতে পরের দিনই শেখ হাসিনার বক্তব্য বিশ্ব মিডিয়ায় দাপটে কয়েকটি পত্রিকাতে হাজির! আমরা আওয়ামী লীগের দালালী বা শেখ হাসিনার দালালী করি, আমরা আপ্লুত হলাম, শেখ হাসিনা আবার আসছেন! এই আশা করাটাই স্বাভাবিক। কারণ তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র আশার প্রদীপ এখন। তবে বাস্তবতা কী বলে? বিশ্ব রাজনীতির খোলনলচে পাল্টে ফেলা ডিপ স্টেট কুটচালে বিশ্বের বাঘা বাঘা সব নেতা যেমন, সাদ্দাম হোসেন, মুয়াম্মার গাদ্দাফি প্রায় পরিবারসহ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছেন। তাদেরকে নির্মমভাবে নিজ জনগণের হাতে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। এর কারণ হলো, ডিপ স্টেট জানতো, এদেরকে বাঁচিয়ে রাখলে তাদের প্রজেক্ট সফল হবেনা। একদিন সাধারণ জনতা

বুঝে ফেলবে এবং তাদের সকল পরিকল্পনা ধুলিসাৎ হবে। এক কথায় বিরাট অংকের অর্থ অপচয় এবং বিশাল পরিমাণের খনিজ সম্পদের মালিকানা হাতছাড়া হবে। অপরদিকে সাদ্দাম হোসেন বা মুয়াম্মার গাদ্দাফিদের দুর্ভাগ্য ছিল তাদের পাশে ভারতের মতো দেশ ছিলোনা অথবা তারা সেই সম্পর্ক ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানেই সবার থেকে আলাদা। কীভাবে? বাংলাদেশ ধ্বংসের নীলনকশা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর থেকেই শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনা তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধুর মতো ব্যক্তিকে খাবার টেবিলে, পারিবারিক আড্ডায়, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে আলাপচারিতায় দেখেছেন কীভাবে ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে হয়। উনাকে ফেসবুক, গুগল ঘেঁটে এইসব ষড়যন্ত্র শেখা লাগেনি। উনি মায়ের পেট থেকেই রাজনীতির সব কৌশল জানেন। তাইতো, বহু

চেষ্টার পরেও ভারতের সাথে শেখ পরিবারের সম্পর্ক ভারতের কোনো সরকারের আমলেই খারাপ হয়নি। ভারত তার নিজ নিরাপত্তার স্বার্থেই শেখ হাসিনাকে নিরাপত্তা দিতে বাধ্য। অন্যভাবে বললে, শেখ হাসিনা এই বিশ্বাস আর আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন। আর এখানেই ডিপ স্টেটের ষড়যন্ত্রকে কাঁচকলা দেখিয়ে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিতে শেখ হাসিনাকে বেগ পেতে হয়নি। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন হযরত আলী (রাঃ)-এর কথাটি। এখন পরের অংশে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো, ডিপ স্টেট আর খালেদ মুহিউদ্দিনের সাম্প্রতিক কৌশল নিয়ে। ডিপ স্টেট আমরা যত সহজে ভেবে থাকি, তত সহজে কাজ করেনা। প্রতিটি অংশ পড়াশোনা করে, ফিজিবিলিটি যাচাই-বাছাই করে তারা এগোয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ডিপ স্টেটের

মাল্টি মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের জন্য একটি বিরাট হুমকি। কেন? প্রথমত, ডিপ স্টেট প্রথম ফেরাউন তৈরি করে। যেমন, বাংলাদেশে ড. ইউনুস, নাহিদ ইসলাম, সার্জিস আলম, আসিফ মুহাম্মদ সজীব ভুঁইয়া, আসিফ নজরুলসহ অসংখ্য ব্যক্তিত্ব। তারা মিডিয়া কেনে। সংস্কৃতি কেনে। এই যে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, এইটা তারা একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যয় করে এবং তারও অল্পতম সময়ে লাভের অংক ঘরে তুলে। যেমন, ইরাক আর সিরিয়ার তেল এখন আর নাই। তাদের আগ্রহও নাই। এই দেশগুলো এখন কেমন আছে, তাতে বিশ্ব মিডিয়ারও আগ্রহ নেই। তো, ডিপ স্টেট যে ফেরাউন তৈরি করে, তাদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ফেরেশতা হিসেবে দেখানো হয়। মানুষের মেন্টালিটি জাজ করে ডিপ স্টেট জানে,

এক সময়ের ফেরেশতা ড. ইউনুস, নাহিদ ইসলাম, সার্জিস আলম, আসিফ মুহাম্মদ সজীব ভুঁইয়া, আসিফ নজরুলসহ অসংখ্য ব্যক্তিত্ব কখন বাংলার জনগণের কাছে শয়তানে রূপান্তরিত হবেন। আশার কথা হলো, ডিপ স্টেটের প্রজেক্ট পুরোপুরি স্বার্থক হবার আগেই ড. ইউনুস, নাহিদ ইসলাম, সার্জিস আলম, আসিফ মুহাম্মদ সজীব ভুঁইয়া, আসিফ নজরুলরা বাংলাদেশের মানুষের কাছে শয়তানে পরিণত হয়ে গেছেন। এই কারণে অন্যান্য দেশে নির্দিষ্ট সময়ের পরে তাদেরকে জনগণের হাতে তুলে দিলেও বাংলাদেশে ধীরে ধীরে নিজেদের ফেরাউনই ডিপ স্টেটের জন্য এখন হুমকি! বাঙালি বুঝে গেছে তারা শেখ হাসিনাকে অপমান করে বিতাড়িত করে কত বড় ভুল করেছে। রাজনীতির টুইস্ট এখানেই। বিশ্ব রাজনীতিতে শেখ হাসিনাই একজন ব্যক্তিত্ব যাঁকে বিশ্বের কোনো পরাশক্তিই পরাস্ত

করতে পারেনি। তিনি বেঁচে থাকতে দেশ বিক্রি হতে তিনি দেবেন না। তিনি যদি আজকে ডাক দেন, ন্যূনতম দশ কোটি বাঙালি পথে নেমে ডিপ স্টেটের দালাল ড. ইউনুস, নাহিদ ইসলাম, সার্জিস আলম, আসিফ মুহাম্মদ সজীব ভুঁইয়া, আসিফ নজরুলদের ভবলীলা সাঙ্গ করে দিতে পারে নিমিষেই। ডিপ স্টেটের মাথাব্যথা ঐখানেই। ধরেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কথাই যদি বলি, সেখানে বন্দরের গেটে যে লোকটি বংশের পরে বংশ চা বেচে খায়, তাদেরকে আপনি হটাতে পারবেন না। আর শেখ হাসিনা তাদের মতো মানুষের রাজনীতি করেন বলেই, বন্দর ছেড়ে দিতে রাজি ছিলেন না। শেখ হাসিনার মতো রাজনীতিবিদ সেন্টমার্টিনে সিঙ্গাপুর বানানোর পূর্বে, সেন্টমার্টিনের মানুষের কথা ভাবেন। তাই, শেখ হাসিনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত ডিপ স্টেটের সকল প্রজেক্ট মূলত একেকটা লস প্রজেক্ট। তাই, এইখানেই খালেদ মুহিউদ্দিনের আগমন। সময়কাল দেখলেই বোঝা যায়, একদিন আগে খালেদ মুহিউদ্দিনের হঠাৎ করে শেখ হাসিনাকে নিয়ে ব্যাপক আগ্রহের পরের দিনেই, তাতে জল ঢেলে দিলেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার এই কথা দিয়ে মূলত সহজ সরল আওয়ামীপন্থীদের চাঙ্গা করা, পথে নামানো আর ধরিয়ে দেবার একটা পথ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। এরসাথে চেষ্টা করা হয়েছিলো, যেন ডিসেম্বরেই শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং আবার মব সৃষ্টি করে তাকে হত্যা করানো যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা, শেখ হাসিনা আবারো সেই আশাতে গুড়ে বালি ছিটিয়ে দিয়ে বলেছেন, তিনি ভারতেই থাকতে চান, যতক্ষণ না বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয় এবং একটি রাজনৈতিক দল সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করে। এখানে, একটি কথা যোগ করা প্রয়োজন, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতের একটি উদাসীনতা দেখা যায়। তারা হয়তো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুঁচকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া দেখে হিংসিত ছিলেন। বিশ্ব রাজনীতিতে এটা খুব কমন প্র্যাকটিস। তবে শেখ হাসিনার সরকার প্রধান থেকে সাময়িক বিরতিতেই ভারত বুঝে গেছে শেখ হাসিনা তাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণে শেখ হাসিনা এখন বল ঠেলে দিয়েছেন ভারতের দিকে। ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চায়? সন্ত্রাসবাদ নাকি সীমান্ত নিরাপত্তা। তিনি একই সাথে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ডিপ স্টেট যতই চেষ্টা করুক, তার নাম শেখ হাসিনা। তিনি বিশ কোটির বাঙালির আশার প্রদীপ।জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু। জয় শেখ হাসিনা। জার্মান প্রবাসী

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
গণভোট ইস্যুতে মুখোমুখি বিএনপি-জামায়াত শাহজালালে যাত্রীর পাকস্থলীতে মিলল ৬৩৭৮ ইয়াবা চলতি বছর স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫০ বার, কমেছে কত বার? সকাল ৯টার মধ্যে ঢাকাসহ যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস বিএনপির একজন নেতার চাঁদাবাজির টাকা দিয়েই গণভোট আয়োজন সম্ভব: পাটওয়ারী ঢাকায় জুলাইযোদ্ধা শাফিনের রহস্যজনক মৃত্যু জামায়াত নিষিদ্ধে আলালের বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানালেন আবদুল হালিম বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে বোঝাপড়া হচ্ছে বলে শুনতে পাচ্ছি: পাটওয়ারী জামায়াত-বিএনপি ও এনসিপির কাঠামোর মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়: জাপা মহাসচিব নির্বাচন কমিশন ভাগাভাগি হয়ে গেছে: হাসনাত ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে মন্দিরে পদদলিত হয়ে নিহত ৯ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালে সরকার পতনের কারণ জানালেন অজিত দোভাল! আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে ১০টির বেশি সিম নিবিড় হচ্ছে ঢাকা-ইসলামাবাদ সামরিক বন্ধন: অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেলের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর রাওয়ালপিন্ডি যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভোলায় বিএনপি-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, আহত অর্ধশতাধিক বর্তমান বাস্তবতায় অন্তবর্তী সরকার গঠনকল্পে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে পাঠানো মহামান্য রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সটি রি-কল (Recall) হওয়া উচিত নবজাগরণে জ্বলে উঠুক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকায় স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল: অবৈধ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আওয়ামী লীগ, ১০ মাসে গ্রেপ্তার ৩ হাজার বিশ্ববাজারে গমের দাম কমতে কমতে অর্ধেকে নামলেও দেশে আটার দাম আকাশছোঁয়া, এই বৈষম্য কমবে কবে? বিশ্ব মিডিয়ায় শেখ হাসিনার সদর্প উপস্থিতি, ডিপ স্টেটের গভীর ষড়যন্ত্র এবং স্বদেশ প্রত্যাবর্তন