ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
মেট্রোরেল বন্ধের প্রভাবে রাজধানী জুড়ে তীব্র যানজট
পুরান ঢাকায় বাসার সিঁড়িতে আবারও এক শিক্ষার্থীর লাশ!
একই মাদ্রাসার ৫ শিক্ষার্থীকে বলাৎকার, জানাজানি হতেই পালালেন হাফেজ
যুবককে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া, ভিডিও ভাইরাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে যুবদলের সাবেক সভাপতিকে গুলি
ইয়াবা-ককটেল দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন তিন বন্ধু
উপদেষ্টা রিজওয়ানার প্রভাবে পিতা ‘মন্দির কমিটির সভাপতি’ হওয়ায় চাকরি হয়নি হিন্দুপ্রার্থীর
ক্রয় সক্ষমতায় পিছিয়ে থাকা পাকিস্তানেই পণ্য বিক্রিতে ঝুঁকছে বাংলাদেশ
দুই দশক পর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) বৈঠকে নতুন করে বাণিজ্য সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়ানোর আগ্রহ জানিয়েছে। তবে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানো কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে।
আজ ২৭শে অক্টোবর, সোমবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে নবম বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং পাকিস্তানের পক্ষে দেশটির পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক সভায় নেতৃত্ব দেন। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
পাকিস্তানের পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক বলেন, দুই দেশের বাণিজ্যের
পরিমাণ এখনো ১ বিলিয়ন ডলারও নয়। এটি বাড়ানো দরকার। আমরা বাংলাদেশ থেকে পাটসহ কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে চাই। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সভায় আকাশ ও নৌপথে যোগাযোগ বাড়ানোসহ খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে অগ্রগতি আনতে নৌ মন্ত্রণালয় ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে। প্রায় ২০ বছর পর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। সর্বশেষ জেইসি বৈঠক হয়েছিল ২০০৫ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর ঢাকায়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্কে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা তৈরি হয়। গত বছর জঙ্গি হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের পর আবারও সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় ড.
ইউনূস ও তার সরকার স্টেক হোল্ডারদের আগ্রহে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে ৭৮ কোটি ৭০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করেছে, কিন্তু রপ্তানি করতে পেরেছে মাত্র ৮ কোটি ডলারের পণ্য। অর্থাৎ, বাণিজ্য ভারসাম্য পাকিস্তানের পক্ষেই বেশি। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ক্রয় সক্ষমতা ও বৈদেশিক মুদ্রা সংকটে থাকা পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর উদ্যোগে বাংলাদেশ তেমন লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা কম। বরং রপ্তানির চেয়ে আমদানিনির্ভর বাণিজ্য ভারসাম্য আরও ঘাটতিতে পড়তে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।
পরিমাণ এখনো ১ বিলিয়ন ডলারও নয়। এটি বাড়ানো দরকার। আমরা বাংলাদেশ থেকে পাটসহ কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে চাই। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সভায় আকাশ ও নৌপথে যোগাযোগ বাড়ানোসহ খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে অগ্রগতি আনতে নৌ মন্ত্রণালয় ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে। প্রায় ২০ বছর পর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। সর্বশেষ জেইসি বৈঠক হয়েছিল ২০০৫ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর ঢাকায়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্কে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা তৈরি হয়। গত বছর জঙ্গি হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের পর আবারও সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় ড.
ইউনূস ও তার সরকার স্টেক হোল্ডারদের আগ্রহে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে ৭৮ কোটি ৭০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করেছে, কিন্তু রপ্তানি করতে পেরেছে মাত্র ৮ কোটি ডলারের পণ্য। অর্থাৎ, বাণিজ্য ভারসাম্য পাকিস্তানের পক্ষেই বেশি। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ক্রয় সক্ষমতা ও বৈদেশিক মুদ্রা সংকটে থাকা পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর উদ্যোগে বাংলাদেশ তেমন লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা কম। বরং রপ্তানির চেয়ে আমদানিনির্ভর বাণিজ্য ভারসাম্য আরও ঘাটতিতে পড়তে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।



