ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক: ইউনূসের ইসলামাবাদপন্থী নীতিতে উদ্বেগ
বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা: ১০০ মিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র মোতায়েন পরিকল্পনা আরকান আর্মির
বিপর্যয়ের পথে অর্থনীতি: মূল্যস্ফীতির আগুনে পুড়ছে জনজীবন, নীতিনির্ধারকদের উদাসীনতা চরমে
ছাত্রদল সভাপতি পাভেলের নেতৃত্বে পদ্মা রেল প্রকল্পের শত কোটি টাকার লোহা লুটপাট
রাজধানীতে বনলতা এক্সপ্রেস থেকে বিপুল অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
মেট্রোরেলের ২৭৪ কোটি টাকার কাজ ৪৬৫ কোটি টাকায় পেল ভারতীয় কোম্পানি: সমালোচনার ঝড়
কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণ প্রকল্পে প্রাথমিক বরাদ্দের প্রায় দ্বিগুণ মূল্যে কাজ পাচ্ছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসন অ্যান্ড টুব্রো।
মেট্রোরেলে সরকারের ব্যয় বৃদ্ধির তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (আরডিপিপি) ‘ইলেকট্রোমেকানিক্যাল’ খাতে ২৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। কিন্তু দরপত্রের পর ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি একই কাজের জন্য দাবি করে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা। দীর্ঘ দর-কষাকষির পর অবশেষে ৪৬৫ কোটি টাকায় চুক্তি করতে সম্মত হয় উভয় পক্ষ।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, এ অংশের কাজের অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। তাদের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী, নির্দিষ্ট তালিকাভুক্ত ঠিকাদার
দিয়েই কাজ করতে হবে। ফলে অন্য কোনো দেশীয় বা তৃতীয় পক্ষকে কাজ দেওয়ার সুযোগ ছিল না। সদ্য বিদায়ী প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া বলেন, “২০২২ সালের ডলার দর অনুযায়ী ২৭৪ কোটি টাকায় কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু ডলারের দাম ও আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এখন ৪৬৫ কোটি টাকায় করতে হচ্ছে।” ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, “ঠিকাদার যা চেয়েছিল, তার থেকে প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ কমে কাজ করাতে পেরেছি। এতে কমলাপুর অংশের কাজ দ্রুত শেষ হবে।” নতুন চুক্তির আওতায় কমলাপুর অংশে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা, এসকালেটর, লিফট, সিসি ক্যামেরা, মনিটর ও সিগন্যাল টেলিকমিউনিকেশনসহ টেকনিক্যাল কাজ করবে ভারতীয় কোম্পানিটি। তবে বরাদ্দের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি মূল্যে কাজ দেওয়া নিয়ে
সমালোচনায় মুখর অনেকে। মেট্রোরেলের নিয়মিত ব্যবহারকারী চাকরিজীবী আলীম সালেহী লিখেছেন, “গুজব ছড়িয়ে বলা হয়েছিল শেখ হাসিনা নাকি মেট্রোরেলের মত ‘অপ্রয়োজনীয়’ খাতে বিপুল অর্থের অপচয় করেছেন, আরও বলা হয়েছিল, যে খরচে শেখ হাসিনা মেট্রোরেল করেছেন তার একটার খরচে তিনটা করে মেট্রোরেল প্রকল্প করা যাবে। কিন্তু এখন কী দেখতে পেলাম আমরা?” শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ভারতবিরোধী স্লোগান তুলে ক্ষমতায় আসা ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলেই ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের হাতে দ্বিগুণ মূল্যে কাজ তুলে দেওয়া সরকার ও জাইকার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচকরা। ফেসবুকে রিপন দে লিখেছেন, “ভারতবিরোধিতা করা হয় শুধু আমাদের মাতাল করে রাখতে। আসলে যারা শাসক তারা জানে, এতে আমরা এত খুশি থাকব যে
আর কোনো চাওয়া থাকবে না।”
দিয়েই কাজ করতে হবে। ফলে অন্য কোনো দেশীয় বা তৃতীয় পক্ষকে কাজ দেওয়ার সুযোগ ছিল না। সদ্য বিদায়ী প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া বলেন, “২০২২ সালের ডলার দর অনুযায়ী ২৭৪ কোটি টাকায় কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু ডলারের দাম ও আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এখন ৪৬৫ কোটি টাকায় করতে হচ্ছে।” ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, “ঠিকাদার যা চেয়েছিল, তার থেকে প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ কমে কাজ করাতে পেরেছি। এতে কমলাপুর অংশের কাজ দ্রুত শেষ হবে।” নতুন চুক্তির আওতায় কমলাপুর অংশে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা, এসকালেটর, লিফট, সিসি ক্যামেরা, মনিটর ও সিগন্যাল টেলিকমিউনিকেশনসহ টেকনিক্যাল কাজ করবে ভারতীয় কোম্পানিটি। তবে বরাদ্দের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি মূল্যে কাজ দেওয়া নিয়ে
সমালোচনায় মুখর অনেকে। মেট্রোরেলের নিয়মিত ব্যবহারকারী চাকরিজীবী আলীম সালেহী লিখেছেন, “গুজব ছড়িয়ে বলা হয়েছিল শেখ হাসিনা নাকি মেট্রোরেলের মত ‘অপ্রয়োজনীয়’ খাতে বিপুল অর্থের অপচয় করেছেন, আরও বলা হয়েছিল, যে খরচে শেখ হাসিনা মেট্রোরেল করেছেন তার একটার খরচে তিনটা করে মেট্রোরেল প্রকল্প করা যাবে। কিন্তু এখন কী দেখতে পেলাম আমরা?” শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ভারতবিরোধী স্লোগান তুলে ক্ষমতায় আসা ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলেই ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের হাতে দ্বিগুণ মূল্যে কাজ তুলে দেওয়া সরকার ও জাইকার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচকরা। ফেসবুকে রিপন দে লিখেছেন, “ভারতবিরোধিতা করা হয় শুধু আমাদের মাতাল করে রাখতে। আসলে যারা শাসক তারা জানে, এতে আমরা এত খুশি থাকব যে
আর কোনো চাওয়া থাকবে না।”



