ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
নানা সংকটে রিক্রুটিং এজেন্সি, হুমকির মুখে শ্রম রপ্তানি
চলতি বছর স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫০ বার, কমেছে কত বার?
বিশ্ববাজারে গমের দাম কমতে কমতে অর্ধেকে নামলেও দেশে আটার দাম আকাশছোঁয়া, এই বৈষম্য কমবে কবে?
আজকের স্বর্ণের দাম: ১ নভেম্বর ২০২৫
তীব্র অর্থ সংকটে সরকার
বাংলাদেশের রিজার্ভ-মূল্যস্ফীতি নিয়ে আইএমএফের সন্তোষ প্রকাশ
বৈদেশিক অর্থায়ন ব্যর্থ, তহবিলের টাকায় ইস্টার্ন রিফাইনারি-২ নির্মাণের সিদ্ধান্ত
গভর্নরের ব্যর্থতা, ইউনূস সরকারের নীরবতা: অলস টাকার পাহাড়ে ডুবছে অর্থনীতি
বিনিয়োগ স্থবির, ঋণের চাহিদা নেই, অথচ ব্যাংক খাতে অলস টাকার পাহাড় দিন দিন উঁচু হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০২৫ সালের জুন শেষে দেশের ৬১টি তফসিলি ব্যাংকে উদ্বৃত্ত তারল্য দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা। অথচ তারল্যের প্রকৃত প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩ লাখ ২ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা। বাস্তবে ব্যাংক খাতে জমা হয়েছে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা—অর্থাৎ প্রকৃত চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ।
এক বছরের ব্যবধানে এ উদ্বৃত্ত বেড়েছে প্রায় ৯১ হাজার কোটি টাকা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ইউনূস সরকারের ব্যর্থ নীতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের অদক্ষ ও দায়িত্বহীন পদক্ষেপই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
অর্থনীতিবিদদের মতে, গত আগস্টের
রাজনৈতিক সংঘাতের পর বিনিয়োগের পরিবেশ ভেঙে পড়েছে। নতুন ঋণ না নেওয়ায় ব্যাংকগুলোতে অলস টাকা জমছে। কিন্তু গভর্নর দায় স্বীকার না করে নিয়মিত কাগুজে পদক্ষেপ আর বাজার নিয়ন্ত্রণের ফাঁকা বুলি আওড়াচ্ছেন। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, “ব্যাংকে আমানত সামান্য বেড়েছে, কিন্তু তারল্য বেড়েছে অনেক বেশি। করপোরেট ঋণের চাহিদা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার কেনায় বাজারে টাকার সরবরাহ বেড়েছে। সব মিলিয়ে উদ্বৃত্ত তারল্য তৈরি হয়েছে।” মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের মতে, “বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ এতটাই সীমিত যে ব্যাংকের হাতে অতিরিক্ত তারল্য জমে পাহাড় হয়ে আছে।” সাংবাদিক সওগত আলী সাগর অভিযোগ করেছেন, গভর্নর ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু
ব্যাংক নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে বাজারে সেনসেশন তৈরি করছেন। তার দাবি, এর পেছনে উদ্দেশ্য হলো একীভূত হতে যাওয়া কিছু ব্যাংককে বিশেষ গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া। যাতে করে এই প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। সওগত আলীর মতে, গভর্নরের এ ধরনের অপকৌশল ব্যাংক খাতকে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারি ৬টি ব্যাংকের হাতে জুন শেষে তারল্য দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা, যেখানে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৭৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ উদ্বৃত্ত হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। জনতা ব্যাংকের এমডি মো. মজিবর রহমান বলেছেন, “নতুন বিনিয়োগ না থাকায় ব্যাংকগুলো মূলত সরকারি সিকিউরিটিজে টাকা রাখছে। তারপরও উদ্বৃত্ত তারল্য রয়ে গেছে।” বিশ্লেষকদের
মতে, সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের ওপর অতিনির্ভরতা প্রকৃত উৎপাদনশীল বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছে। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারও এ নিয়ে নীরব, যা অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করছে। শরিয়াহভিত্তিক নয় এমন ৩৪টি বেসরকারি ব্যাংকের হাতে তারল্য দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। তাদের উদ্বৃত্ত ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। ইসলামী ব্যাংকগুলোর তারল্য এক বছরে নেমে এসেছে ৪০ হাজার ৬৫৬ কোটিতে। বিদেশি ৯টি ব্যাংকের হাতে আছে ৪৭ হাজার ২০৮ কোটি টাকা, যা প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি। ইউনূস সরকারের নীরবতা, গভর্নরের অজুহাত বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান দাবি করেছেন, “ডলার কেনার কারণে ব্যাংকে নগদ টাকার সরবরাহ বেড়েছে। তবে ঋণের চাহিদা না থাকায় অলস
তারল্য তৈরি হয়েছে।” কিন্তু অর্থনীতিবিদদের মতে, এ বক্তব্য কেবল দায়সারা অজুহাত। বাস্তবে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি ব্যর্থতা ও গভর্নরের অব্যবস্থাপনাই অর্থনীতিকে এই দুঃস্বপ্নের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, দায়িত্বশীল পদে বসে গভর্নরের এই ব্যর্থতা কেবল তাঁর ব্যক্তিগত অযোগ্যতাকেই নয়, পুরো ব্যাংকিং খাতকে বিপজ্জনক ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। বিনিয়োগ স্থবির, ব্যাংক খাতে অলস টাকা অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে, অথচ ইউনূস সরকারের নীরবতা এবং গভর্নরের ব্যর্থতা দেশকে অর্থনৈতিক সংকটের গভীর অতলে ঠেলে দিচ্ছে।
রাজনৈতিক সংঘাতের পর বিনিয়োগের পরিবেশ ভেঙে পড়েছে। নতুন ঋণ না নেওয়ায় ব্যাংকগুলোতে অলস টাকা জমছে। কিন্তু গভর্নর দায় স্বীকার না করে নিয়মিত কাগুজে পদক্ষেপ আর বাজার নিয়ন্ত্রণের ফাঁকা বুলি আওড়াচ্ছেন। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, “ব্যাংকে আমানত সামান্য বেড়েছে, কিন্তু তারল্য বেড়েছে অনেক বেশি। করপোরেট ঋণের চাহিদা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার কেনায় বাজারে টাকার সরবরাহ বেড়েছে। সব মিলিয়ে উদ্বৃত্ত তারল্য তৈরি হয়েছে।” মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের মতে, “বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ এতটাই সীমিত যে ব্যাংকের হাতে অতিরিক্ত তারল্য জমে পাহাড় হয়ে আছে।” সাংবাদিক সওগত আলী সাগর অভিযোগ করেছেন, গভর্নর ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু
ব্যাংক নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে বাজারে সেনসেশন তৈরি করছেন। তার দাবি, এর পেছনে উদ্দেশ্য হলো একীভূত হতে যাওয়া কিছু ব্যাংককে বিশেষ গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া। যাতে করে এই প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। সওগত আলীর মতে, গভর্নরের এ ধরনের অপকৌশল ব্যাংক খাতকে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারি ৬টি ব্যাংকের হাতে জুন শেষে তারল্য দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা, যেখানে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৭৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ উদ্বৃত্ত হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। জনতা ব্যাংকের এমডি মো. মজিবর রহমান বলেছেন, “নতুন বিনিয়োগ না থাকায় ব্যাংকগুলো মূলত সরকারি সিকিউরিটিজে টাকা রাখছে। তারপরও উদ্বৃত্ত তারল্য রয়ে গেছে।” বিশ্লেষকদের
মতে, সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের ওপর অতিনির্ভরতা প্রকৃত উৎপাদনশীল বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছে। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারও এ নিয়ে নীরব, যা অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করছে। শরিয়াহভিত্তিক নয় এমন ৩৪টি বেসরকারি ব্যাংকের হাতে তারল্য দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। তাদের উদ্বৃত্ত ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। ইসলামী ব্যাংকগুলোর তারল্য এক বছরে নেমে এসেছে ৪০ হাজার ৬৫৬ কোটিতে। বিদেশি ৯টি ব্যাংকের হাতে আছে ৪৭ হাজার ২০৮ কোটি টাকা, যা প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি। ইউনূস সরকারের নীরবতা, গভর্নরের অজুহাত বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান দাবি করেছেন, “ডলার কেনার কারণে ব্যাংকে নগদ টাকার সরবরাহ বেড়েছে। তবে ঋণের চাহিদা না থাকায় অলস
তারল্য তৈরি হয়েছে।” কিন্তু অর্থনীতিবিদদের মতে, এ বক্তব্য কেবল দায়সারা অজুহাত। বাস্তবে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি ব্যর্থতা ও গভর্নরের অব্যবস্থাপনাই অর্থনীতিকে এই দুঃস্বপ্নের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, দায়িত্বশীল পদে বসে গভর্নরের এই ব্যর্থতা কেবল তাঁর ব্যক্তিগত অযোগ্যতাকেই নয়, পুরো ব্যাংকিং খাতকে বিপজ্জনক ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। বিনিয়োগ স্থবির, ব্যাংক খাতে অলস টাকা অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে, অথচ ইউনূস সরকারের নীরবতা এবং গভর্নরের ব্যর্থতা দেশকে অর্থনৈতিক সংকটের গভীর অতলে ঠেলে দিচ্ছে।



