
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
বাংলাদেশ ব্যাংকের হ্যাক করা ৮১ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার: ইতিহাসের বৃহত্তম ব্যাংক-হ্যাকের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয়

বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাইবার হ্যাকিংয়ের শিকার বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফিলিপাইন্স থেকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। ২০১৬ সালের এই ঘটনায় সাইবার অপরাধীরা প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার চুরির চেষ্টা করলেও ১০১ মিলিয়ন ডলার সফলভাবে স্থানান্তরিত হয়, যার মধ্যে ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইন্সে চলে যায়।
দীর্ঘ ৯ বছরের আন্তর্জাতিক তদন্ত ও আইনি লড়াইয়ের ফলে এখন এই অর্থটি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে, যা বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় ও ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)-এর যৌথ প্রচেষ্টার ফল।
সিআইডির মিডিয়া শাখার বিশেষ সুপার স্পেশাল পুলিশ সুপার (এসপি) জাসিম উদ্দিন খান রোববার সকালে নিশ্চিত করেন, “আদালতের নির্দেশে ফিলিপাইন্সের ম্যানিলায় রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি)-এর অ্যাকাউন্ট থেকে ৮১
মিলিয়ন ডলার ফ্রিজ ও জব্দ করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের মানি লন্ডারিং আইন এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় সম্পন্ন হয়েছে।” এই অপারেশন ফিলিপাইন্সের বিচার বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে চালানো হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে অর্থটি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে ফিরিয়ে আনা হবে। ২০১৬ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি রাতে অজানা হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করে সুইফট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৫টি জালিয়াতি লেনদেনের নির্দেশ পাঠায়। এতে প্রায় ৯৫১ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তরের চেষ্টা করা হয়। তবে ভুল বানানের কারণে ৩০টি লেনদেন আটকে যায়। যদিও ৫টি সফল হয়। এতে ২০ মিলিয়ন ডলার শ্রীলঙ্কায় (পরে উদ্ধারকৃত) এবং ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইন্সের আরসিবিসি
ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার হয়ে যায়। ফিলিপাইন্সে চীনা নববর্ষের ছুটির দিনে অর্থটি দ্রুত ক্যাসিনোগুলোতে লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে হারিয়ে যায়, যা মানি লন্ডারিং আইনের আওতার বাইরে থাকায় সেখানে হাত দেওয়া সম্ভব হয়নি। পূর্বে শুধুমাত্র ১৮ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল, কিন্তু এবারের এই সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক। সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিচালক এমডি সিবগাত উল্লাহ রোববার বিকেলে মালিবাগের সিআইডি হেডকোয়ার্টার্সে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন। তিনি বলেন, “এটি চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধার এবং দায়ীদের বিচারের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক মাইলফলক। আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারীদের সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের অবিরাম চেষ্টার ফল।” এই হ্যাকিংয়ের পেছনে উত্তর কোরিয়ার লাজারাস গ্রুপের হাত থাকার অভিযোগ রয়েছে, যা সিমান্টেক ও বি.এ.ই. সিস্টেমসের মতো সাইবার সিকিউরিটি ফার্মগুলো নিশ্চিত করেছে। ফিলিপাইন্সের
অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের অভিযোগ অনুসারে, অর্থটির একটি অংশ চীনা ব্যবসায়ী কিম ওয়াং-এর ইস্টার্ন হাওয়াই কোম্পানির অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল, যা ক্যাসিনোর জুয়ায় বিজয়ী দেখিয়ে নগদে পরিশোধের নামে পাচার করা হয়। বাকি অংশ সোলাইর ক্যাসিনোসহ অন্যান্য জায়গা থেকে পাচার হয়। এই অর্থ উদ্ধার বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় স্বস্তি, যা বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি বিশ্বব্যাংকিং ব্যবস্থায় সাইবার নিরাপত্তার গুরুত্ব তুলে ধরে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উদাহরণ। আওয়ামী লীগ সরকার এই হ্যাকিংয়ের ঘটনার পর থেকে আন্তর্জাতিকভাবে যেভাবে মামলা পরিচালনা করে গেছে এবং কূটনৈতিক চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে, তারই সুফল মনে করেন তারা। ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অফিসিয়াল বক্তব্য আসেনি,
তবে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে যে, উদ্ধার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। এই ঘটনা সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ়তার প্রমাণ।
মিলিয়ন ডলার ফ্রিজ ও জব্দ করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের মানি লন্ডারিং আইন এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় সম্পন্ন হয়েছে।” এই অপারেশন ফিলিপাইন্সের বিচার বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে চালানো হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে অর্থটি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে ফিরিয়ে আনা হবে। ২০১৬ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি রাতে অজানা হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করে সুইফট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৫টি জালিয়াতি লেনদেনের নির্দেশ পাঠায়। এতে প্রায় ৯৫১ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তরের চেষ্টা করা হয়। তবে ভুল বানানের কারণে ৩০টি লেনদেন আটকে যায়। যদিও ৫টি সফল হয়। এতে ২০ মিলিয়ন ডলার শ্রীলঙ্কায় (পরে উদ্ধারকৃত) এবং ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইন্সের আরসিবিসি
ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার হয়ে যায়। ফিলিপাইন্সে চীনা নববর্ষের ছুটির দিনে অর্থটি দ্রুত ক্যাসিনোগুলোতে লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে হারিয়ে যায়, যা মানি লন্ডারিং আইনের আওতার বাইরে থাকায় সেখানে হাত দেওয়া সম্ভব হয়নি। পূর্বে শুধুমাত্র ১৮ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল, কিন্তু এবারের এই সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক। সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিচালক এমডি সিবগাত উল্লাহ রোববার বিকেলে মালিবাগের সিআইডি হেডকোয়ার্টার্সে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন। তিনি বলেন, “এটি চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধার এবং দায়ীদের বিচারের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক মাইলফলক। আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারীদের সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের অবিরাম চেষ্টার ফল।” এই হ্যাকিংয়ের পেছনে উত্তর কোরিয়ার লাজারাস গ্রুপের হাত থাকার অভিযোগ রয়েছে, যা সিমান্টেক ও বি.এ.ই. সিস্টেমসের মতো সাইবার সিকিউরিটি ফার্মগুলো নিশ্চিত করেছে। ফিলিপাইন্সের
অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের অভিযোগ অনুসারে, অর্থটির একটি অংশ চীনা ব্যবসায়ী কিম ওয়াং-এর ইস্টার্ন হাওয়াই কোম্পানির অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল, যা ক্যাসিনোর জুয়ায় বিজয়ী দেখিয়ে নগদে পরিশোধের নামে পাচার করা হয়। বাকি অংশ সোলাইর ক্যাসিনোসহ অন্যান্য জায়গা থেকে পাচার হয়। এই অর্থ উদ্ধার বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় স্বস্তি, যা বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি বিশ্বব্যাংকিং ব্যবস্থায় সাইবার নিরাপত্তার গুরুত্ব তুলে ধরে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উদাহরণ। আওয়ামী লীগ সরকার এই হ্যাকিংয়ের ঘটনার পর থেকে আন্তর্জাতিকভাবে যেভাবে মামলা পরিচালনা করে গেছে এবং কূটনৈতিক চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে, তারই সুফল মনে করেন তারা। ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অফিসিয়াল বক্তব্য আসেনি,
তবে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে যে, উদ্ধার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। এই ঘটনা সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ়তার প্রমাণ।