
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

এবার ভুয়া থানার সন্ধান!

ট্রাম্পের শুল্কের প্রতিবাদ: ভারতে মার্কিন পণ্য বয়কটের ডাক

পাক সেনাপ্রধানের হুমকির জবাবে যা বলল ভারত

ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতা বিশ্ব দরবারে লুকিয়ে রাখতেই সাংবাদিকদের হত্যা : শিফা পরিচালক

আরব সাগরে ‘মুখোমুখি’ ভারত-পাক, মিসাইল লঞ্চ নৌসেনার

দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত ২, আহত ১৭

গাজায় যেন ‘স্কুইড গেম’র মৃত্যুখেলা খেলছে ইসরাইল!
গাজায় ইসরাইলি হামলায় আল জাজিরার ৫ সাংবাদিক নিহত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার ৫ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। ভূখণ্ডটির গাজা সিটিতে আল-শিফা হাসপাতালের কাছে হওয়া ইসরাইলি হামলায় তারা প্রাণ হারান।
সোমবার (১১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা সিটিতে আল-শিফা হাসপাতালের কাছে ইসরাইলি হামলায় আল জাজিরার পাঁচ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, নিহতরা হচ্ছেন- প্রতিবেদক আনাস আল-শরীফ ও মোহাম্মদ কুরাইকেহ এবং ক্যামেরাপার্সন ইব্রাহিম জাহের, মোহাম্মদ নুফাল ও মোয়ামেন আলিওয়া। তারা হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে সাংবাদিকদের জন্য স্থাপিত একটি তাঁবুতে ছিলেন। সেটিকে লক্ষ্য করে ইসরাইল হামলা চালায়।
আল জাজিরা এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ওপর পরিকল্পিত ও প্রকাশ্য হামলা
এবং টার্গেটেড অ্যাসাসিনেশন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এদিকে হামলার পরপরই ইসরাইলিসেনাবাহিনী (আইডিএফ) টেলিগ্রামে জানায়, তারা আনাস আল-শরীফকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। আইডিএফের দাবি, তিনি হামাসের একটি সশস্ত্র সেলের প্রধান ছিলেন। তবে নিহত বাকি চার সাংবাদিকের বিষয়ে তারা কিছু জানায়নি। আল জাজিরার হিসাবে, এই হামলায় মোট সাতজন নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তারা চার সাংবাদিক নিহত হওয়ার কথা জানালেও কয়েক ঘণ্টা পর তা সংশোধন করে পাঁচজন বলে জানায়। বিবিসিকে আল জাজিরার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহাম্মদ মোয়াওয়াদ জানান, আল-শরীফ একজন অনুমোদিত সাংবাদিক ছিলেন এবং গাজায় চলমান পরিস্থিতি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার একমাত্র কণ্ঠ ছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘তারা ফ্রন্টলাইনে ছিলেন না, সাংবাদিকদের তাঁবুতেই ছিলেন। ইসরাইলি সরকার গাজার ভেতরের
সংবাদ কাভারেজ বন্ধ করতে চায়—এটি তারই প্রমাণ। আধুনিক ইতিহাসে এমন কিছু আমি দেখিনি। ‘ ২৮ বছর বয়সি আল আল-শরীফ মৃত্যুর কিছু আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে গাজা সিটিতে তীব্র ইসরাইলি গোলাবর্ষণের কথা পোম্ট করেন। মৃত্যুর পর তার এক বন্ধুর মাধ্যমে একটি পূর্বলিখিত পোস্টও প্রকাশিত হয়। আইডিএফের অভিযোগ, আল-শরীফ সাংবাদিক সেজে কাজ করছিলেন এবং ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিক ও সেনাদের ওপর রকেট হামলা পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন। সেনাবাহিনীর দাবি, তার সামরিক সংশ্লিষ্টতার প্রমাণস্বরূপ তারা আগেই গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করেছিল, যাতে ‘সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ কোর্সের তালিকাও’ অন্তর্ভুক্ত ছিল। আইডিএফ জানায়, হামলার আগে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য নির্ভুল অস্ত্র, আকাশ থেকে নজরদারি এবং অতিরিক্ত গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করা হয়। গত
মাসে আল জাজিরা, জাতিসংঘ এবং কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) আলাদা বিবৃতিতে আল-শরীফের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছিল। আল জাজিরা অভিযোগ করেছে, গাজায় তাদের সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে আইডিএফ ধারাবাহিকভাবে ‘উসকানিমূলক প্রচারণা’ চালিয়েছে, যা সাংবাদিকদের সরাসরি টার্গেট করার যুক্তি তৈরির চেষ্টা। সিপিজের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৮৬ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
এবং টার্গেটেড অ্যাসাসিনেশন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এদিকে হামলার পরপরই ইসরাইলিসেনাবাহিনী (আইডিএফ) টেলিগ্রামে জানায়, তারা আনাস আল-শরীফকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। আইডিএফের দাবি, তিনি হামাসের একটি সশস্ত্র সেলের প্রধান ছিলেন। তবে নিহত বাকি চার সাংবাদিকের বিষয়ে তারা কিছু জানায়নি। আল জাজিরার হিসাবে, এই হামলায় মোট সাতজন নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তারা চার সাংবাদিক নিহত হওয়ার কথা জানালেও কয়েক ঘণ্টা পর তা সংশোধন করে পাঁচজন বলে জানায়। বিবিসিকে আল জাজিরার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহাম্মদ মোয়াওয়াদ জানান, আল-শরীফ একজন অনুমোদিত সাংবাদিক ছিলেন এবং গাজায় চলমান পরিস্থিতি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার একমাত্র কণ্ঠ ছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘তারা ফ্রন্টলাইনে ছিলেন না, সাংবাদিকদের তাঁবুতেই ছিলেন। ইসরাইলি সরকার গাজার ভেতরের
সংবাদ কাভারেজ বন্ধ করতে চায়—এটি তারই প্রমাণ। আধুনিক ইতিহাসে এমন কিছু আমি দেখিনি। ‘ ২৮ বছর বয়সি আল আল-শরীফ মৃত্যুর কিছু আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে গাজা সিটিতে তীব্র ইসরাইলি গোলাবর্ষণের কথা পোম্ট করেন। মৃত্যুর পর তার এক বন্ধুর মাধ্যমে একটি পূর্বলিখিত পোস্টও প্রকাশিত হয়। আইডিএফের অভিযোগ, আল-শরীফ সাংবাদিক সেজে কাজ করছিলেন এবং ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিক ও সেনাদের ওপর রকেট হামলা পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন। সেনাবাহিনীর দাবি, তার সামরিক সংশ্লিষ্টতার প্রমাণস্বরূপ তারা আগেই গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করেছিল, যাতে ‘সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ কোর্সের তালিকাও’ অন্তর্ভুক্ত ছিল। আইডিএফ জানায়, হামলার আগে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য নির্ভুল অস্ত্র, আকাশ থেকে নজরদারি এবং অতিরিক্ত গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করা হয়। গত
মাসে আল জাজিরা, জাতিসংঘ এবং কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) আলাদা বিবৃতিতে আল-শরীফের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছিল। আল জাজিরা অভিযোগ করেছে, গাজায় তাদের সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে আইডিএফ ধারাবাহিকভাবে ‘উসকানিমূলক প্রচারণা’ চালিয়েছে, যা সাংবাদিকদের সরাসরি টার্গেট করার যুক্তি তৈরির চেষ্টা। সিপিজের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৮৬ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।