হলে রাজনীতি বিরোধিতার পেছনে নিপীড়নের স্মৃতি ও নতুন তৎপরতা – ইউ এস বাংলা নিউজ




হলে রাজনীতি বিরোধিতার পেছনে নিপীড়নের স্মৃতি ও নতুন তৎপরতা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১০ আগস্ট, ২০২৫ | ৭:৪৮ 5 ভিউ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আবাসিক হলে রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ১৮ আবাসিক হলে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের পর গত শুক্রবার রাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েকশ শিক্ষার্থী। বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রলীগের নিপীড়নের স্মৃতি, বর্তমানে হলগুলোতে ছাত্র সংগঠনের গোপন ও প্রকাশ্য তৎপরতা এই তাৎক্ষণিক আন্দোলনের কারণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন– এমন কয়েকজন ছাত্রনেতাও আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন। নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় দেখা গেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কয়েক নেতাকে। নাম এসেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা এবং ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের। হলে রাজনীতি বন্ধে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে বেআইনি আখ্যা

দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে ছাত্রদল। পাশাপাশি এ বিষয়ে তারা আলোচনায় রাজি বলে জানিয়েছে। আর ইসলামী ছাত্রশিবির হলে রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিচালনার রূপরেখা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে। চব্বিশের অভ্যুত্থানে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসছাড়া হওয়ার পর গত এক বছরে আবাসিক হলে নিপীড়নের ঘটনা সামনে আসেনি। তবে শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, রাজনীতি ফিরলে হল দখলের সংস্কৃতি, সিট বাণিজ্য, গেস্টরুমের নামে নির্যাতন, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নেওয়ার জবরদস্তি ফেরার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ছাত্রদল এবং অন্য সংগঠনের নেতারা বলেছেন, নিপীড়নের রাজনীতি ফিরে আসার আর সুযোগ নেই। ছাত্রদল গেস্টরুম, সিট বাণিজ্য, নির্যাতন বন্ধের ৯ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ৩ আগস্টের ছাত্র সমাবেশ থেকে। তবে এতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশে

পরিচালিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি বৈধ। ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, এ অধিকার ক্ষুণ্নের এখতিয়ার প্রশাসনের নেই। গত বছরের ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। সেখান থেকে সূত্রপাত হয় শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতন ঘটানো অভ্যুত্থানের। ওই বছরের ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল থেকে ছাত্রলীগকে বিতাড়িত করেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানসহ নেতাকর্মীর দখলে থাকা হলের কক্ষগুলো নিয়ন্ত্রণে নেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির মুখে সেদিন ঢাবির হলগুলোকে রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করে প্রশাসন। ৫ আগস্টের পর মেধার ভিত্তিতে সিট

বরাদ্দ করে প্রশাসন। অতীতে সিট বরাদ্দ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বদলে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখন আর কোনো ছাত্র সংগঠনের খবরদারি নেই। এই মুক্ত পরিবেশ হারাতে চান না– যুক্তিতেই আবাসিক হলে রাজনীতির বিরোধিতা করছেন শিক্ষার্থীরা। বন্ধ হয়নি আসন বরাদ্দের সংস্কৃতি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে সিট দেওয়ার আশ্বাস দেন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাদিক মুনওয়ার মুনেম নামে এক ছাত্র। ‘জিয়া হল ১০৩-১০৪’ নামে মেসেঞ্জার গ্রুপটিতে নানা নির্দেশনাও দেওয়া হতো। গত বুধবার এ-সংক্রান্ত একাধিক স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। একজন ছাত্র কীভাবে হলে সিট দেওয়ার আশ্বাস দেন– এ প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। সরাসরি কোনো রাজনৈতিক সংগঠনে যুক্ত নন বলে দাবি

মুনেমের। তবে তিনি ‘শিবিরের প্রোগ্রামগুলো অ্যাপ্রিশিয়েট’ করেন বলে জানিয়েছেন। এ নিয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুল হোসাইন বলেন, এ বিষয়ে জবাব চাওয়া হলে মুনেম দুঃখ প্রকাশ করেছে। গ্রুপটির আরেক অ্যাডমিন আবিদ হোসেন জানান, সিট প্রত্যাশীদের কাছে নোটিশগুলো পৌঁছে দিতেই গ্রুপ খোলা হয়েছিল। সেবামূলক কর্মসূচির নামে বিভিন্ন গ্রুপ, সংগঠন ইত্যাদি করে সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা হলগুলোতে সক্রিয় বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। গত বছরের ৬ আগস্ট হলে উঠতে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শিক্ষার্থী আবুজার গিফারী মাহফুজ। তবে সেদিন তিনি সমন্বয়কদের কারণে উঠতে পারেননি বলে দাবি করেছেন। পরে তিনি হলে সিট পেলেও তাঁকে থাকতে দেয়নি শিবিরকর্মীরা। মাহফুজ বলেন, সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ৩১০ নম্বর

রুমে উঠি। আমার ইচ্ছা ছিল সিট বৈধ করার। কিন্তু পরদিন সমন্বয়ক পরিচয়ে আমাকে ১০ থেকে ১৫ জন হল থেকে বের করে দেন। এর মধ্যে একজন আমার গায়েও হাত তোলেন। এরপর আমার আবেদনে এক্সটেশন ভবনে সিট দেওয়া হয়। সেপ্টেম্বরে সিটে উঠতে গেলে আমাকে শিবিরকর্মীরা হলে উঠতে দেয়নি। শিক্ষার্থীরা কেন রাজনীতিবিরোধী গত ৫ আগস্টের পর ক্যাম্পাসে ফেরে আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিতাড়িত ছাত্রদল। অন্যদিকে, প্রকাশ্যে আসা শিবির তাদের হল কমিটি রয়েছে কিনা– কখনও স্বীকার করেনি, আবার অস্বীকারও করেনি। গত মে মাসে জগন্নাথ হলে ১৫ সদস্যের কমিটি দেয় ছাত্র ইউনিয়ন। তবে তা আলোচনায় আসেনি। ছাত্রদল অভ্যুত্থানের এক বছর হলো কমিটি ঘোষণা করে। এর পর শুরু

হওয়া প্রতিক্রিয়ায় গত শুক্রবার রাতে ঢাবির হলগুলো ছাত্রদল ও শিবিরের স্থাপন করা পানি বিশুদ্ধকরণের ফিল্ডার, ভেন্ডিং মেশিন ভেঙে ফেলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শামসুন নাহার হলের ছাত্রী সামিয়া মাসুদ মম বলেন, হল দখলের রাজনীতির প্রথম ধাপ হলো কমিটি। তার পর একত্রিত হয়ে ফ্লোর দখল করবে, আবার গেস্টরুম-গণরুম ফিরবে। মেয়েদের ক্লাস-পরীক্ষা বাদ দিয়ে দলীয় কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য করা হবে। সিট সংকটের বিপদে পড়া ছাত্রীদের প্রলোভন দিয়ে এনে খবরদারি করবে। এ জন্য হলে আর রাজনীতি চাই না। হলের বাইরে যে কেউই রাজনীতি করতে পারেন। গত বছর ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীদের সর্বসম্মতিক্রমে অঙ্গীকার ছিল, হলভিত্তিক রাজনীতি চলবে না। এর সঙ্গে বেইমানি করে কমিটি করা হয়েছে। তাই গুপ্ত অথবা প্রকাশ্য সব হল কমিটির বিলুপ্তি চাই। যারা ১৭ জুলাইয়ের অঙ্গীকার ভেঙেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই। ছাত্রদলের বিজয় একাত্তর হল শাখার সদ্য ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক তানভীর হাদী মায়েদ বলেন, রাজনীতি না থাকলে হিযবুত তাহ্‌রীরের মতো গোপন এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম তৈরি হবে। শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করতে চাই, ছাত্রলীগের মতো দখলদারিত্ব, গেস্টরুম ও গণরুমের রাজনীতি করব না। শিক্ষার্থীরা যেভাবে চান, সেভাবে আমরা দলীয় আদর্শের প্রচার করব। ছেলেদের হলগুলোতে প্রথম মিছিল বের হয় হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে। মিছিলে অংশ নেওয়া হলের ছাত্র সোহরাব হোসেন বলেন, হলে ছাত্র রাজনীতির ফল দেখেছি। সিট বাণিজ্য, গেস্টরুম ও গণরুম হয়। এ রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা নেই। হলে শুধু ছাত্র সংসদের রাজনীতি থাকতে পারবে। তাদের কাজ হবে শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া নিয়ে। নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের একাধিক নেতা আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই রাজনীতিতে যুক্ত নন। তবে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের একাধিক নেতাকে শুক্রবার রাতের মিছিলে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। তাদের অন্যতম সংগঠনটির যুগ্ম সদস্য সচিব শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন। তিনি ডাকসু নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী। অতীতে ছাত্রলীগের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার কয়েকটি ছবি ফেসবুকে ঘুরছে। ইয়ামিন গতকাল গণরুমের ঘিঞ্জি পরিবেশের দুটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে লেখেন, ‘যে কারণে আবাসিক হলে রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান! এই গণরুম, গেস্টরুম কালচার এবং দলীয় প্রোগ্রামে বাধ্য করে নিয়ে গিয়ে জীবনের হাজার হাজার কর্মঘণ্টা নষ্ট করা– এসবের তিক্ততা ভুলবার নয়। এভাবে দুই বছর হলে ছিলাম।’ ইয়ামিন বলেন, বিগত সময়ের মতো হল দখলে রাখা, শিক্ষার্থীদের জিম্মি করার সংস্কৃতি পুনর্বাসনের চেষ্টা দেখতে পাচ্ছি। আমি নিজেও ছাত্র সংগঠনে যুক্ত। রাজনীতি করার অনেক জায়গা আছে ক্যাম্পাসে। তাই হলে রাজনীতি রাখার যৌক্তিকতা নেই। গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম সদস্য সচিব আনিকা তাহসিনা, মো. সাইফুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব রেজওয়ান আহমেদ রিফাতসহ কয়েকজনের ছবি ফেসবুকে উঠে এসেছে। তাদের ফেসবুক প্রোফাইলে দেখা যায়, তারা হলে রাজনীতি বন্ধে একাধিক পোস্ট দিয়েছেন। ডাকসু নির্বাচনের সঙ্গে যোগসূত্র ছাত্রদলে হল কমিটি ঘোষণার পরপরই সোচ্চার হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। তিনি ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব ছিলেন। ৯ সেপ্টেম্বরের ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। উমামা বলেন, শিবিরকে কমিটি প্রকাশ করতে হবে। ছাত্রদলকে ঘোষিত কমিটি বাতিল করতে হবে। ৫ আগস্ট আগস্টের পর হলগুলোতে ব্যাচভিত্তিক হল প্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এসব কমিটির অধিকাংশ সদস্য শিবিরের রাজনীতিতে যুক্ত। ঢাবি শিবিরের সভাপতি সম্প্রতি স্বীকার করেছেন, হলে কল্যাণমূলক কাজের জন্য কমিটি রয়েছে। হল প্রতিনিধিদের অনেকে শিবিরের প্যানেল থেকে ডাকসুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। বাগছাসের ঢাবি আহ্বায়ক আব্দুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, সাংগঠনিক ক্ষতি সত্ত্বেও আমরা হল কমিটি করিনি, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে। কিন্তু শিবির প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কমিটি বহাল রেখে, কার্যক্রম চালাচ্ছে। হলের শৃঙ্খলা কমিটির অধিকাংশ সদস্য শিবিরের। অন্য কেউ কাজ করতে গেলে কিংবা হলে উঠতে গেলে মব তৈরি করছে। ছাত্রনেতাদের ভাষ্য শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের মতামতকে সম্মান জানিয়ে হলগুলোতে কার্যক্রম শুরু করিনি। ছাত্র রাজনীতির পরিশুদ্ধির জন্য রূপরেখা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছি। রাজনৈতিক কর্মসূচি মধুর ক্যান্টিন কিংবা টিএসসিতে হবে। আবাসিক হলে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম থাকবে না, শুধু কল্যাণমূলক কর্মসূচি থাকতে পারে, যা প্রশাসনের মাধ্যমে হবে। ছাত্রদলের নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, আগস্টের পর এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, যাতে ছাত্রদলকে দায়ী করা যেতে পারে। ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে অনেকে মব করে প্রশাসনকে রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। হল রাজনীতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। ফলে কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে ছাত্র সংগঠন, প্রশাসন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। তবে বিরাজনীতিকরণ একটি ষড়যন্ত্র। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু হলে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের ঘোষণাকে অপরিণামদর্শী ও চটকদার বলে আখ্যায়িত করেছেন। গতকাল তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের ট্রমাকে (মানসিক আঘাত) আমরা সম্মান করি। কিন্তু যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এটাকে সমাধান করা হয়েছে, তা কোনো গঠনমূলক সমাধান নয়। মেঘমল্লার বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল– একটা ক্যাম্পাস চার্টার তৈরির মধ্য দিয়ে হলগুলোতে এবং ফ্যাকাল্টিগুলোতে রাজনীতি কী ফরমেটে থাকবে, কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে, তার একটি রূপরেখা নিশ্চিত করা; কীভাবে হলের আসন বরাদ্দের বিষয়টি পরিপূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে থাকে, তার একটা পদ্ধতি নির্ধারণ করা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সারাদিন মোটরসাইকেলে ঘুরিয়ে রাতে ছেলেকে পুকুরে ফেলে দিলেন বাবা ৩৩টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম কমেছে হলে রাজনীতি বিরোধিতার পেছনে নিপীড়নের স্মৃতি ও নতুন তৎপরতা হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টাদের সততার ওপরের পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করল বিএনপি রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে ১১০০ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার সিঙ্গাপুরের সামনে যত চ্যালেঞ্জ গাজীপুরে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে এনসিপি নেতার পদত্যাগ ভারত থেকে পোশাক কেনা স্থগিত করছে মার্কিন কোম্পানি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্র হাতে মহড়ার ছবিতে তোলপাড় আদিবাসী অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি তুষারের ‘নগ্ন ভিডিও’ ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি নীলার বিসিবির প্রধান কিউরেটর পদে হেমিং, গামিনীকে নিয়ে যা জানা গেল ‘বাংলাদেশের এক বাঁহাতি স্পিনার অনেক গালি দিয়েছিল’ সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় ৭ আসামির দুই দিনের রিমান্ড ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন: সিইসি কল্লা শহীদ মাজারে ওরস শুরু রোববার সরকারি দপ্তরে পদবি ও বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে লালকার্ড প্রদর্শন পবিপ্রবির দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ