‘শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো দেখেই মানুষ রাস্তায় নেমেছিলো, সমন্বয়কদের ডাকে নয়’ – ইউ এস বাংলা নিউজ




‘শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো দেখেই মানুষ রাস্তায় নেমেছিলো, সমন্বয়কদের ডাকে নয়’

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ আগস্ট, ২০২৫ | ৬:৪৫ 19 ভিউ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী হানিয়াম মারিয়া মনে করেন, কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনাই ছিলো গণমানুষের সড়কে নামার প্রধান কারণ— কোনো সমন্বয়কের আহ্বানে নয়। রোববার (৩ আগস্ট) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, সাধারণ মানুষ রাজনীতির জটিল হিসাব বোঝে না। তারা সন্তানসম শিক্ষার্থীদের গুলিতে লুটিয়ে পড়তে দেখে চুপ করে বসে থাকতে পারেনি। সে কারণেই রাজপথে নেমেছিল। এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে অধ্যাপক মারিয়া বলেন, কয়েকজন ছাত্রছাত্রী আবেগঘন কণ্ঠে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এদের একজন, গণিত বিভাগের দেলোয়ার, বলেন— তার ডাকে আন্দোলনে এসে কেউ প্রাণ হারিয়েছে, এ কথা ভাবলেই তার অপরাধবোধ হয়। অধ্যাপকের ভাষায়, ‘ছোট্ট একটা ছেলেমেয়ে কত কষ্ট বুকে

চেপে আছে!’ তিনি বলেন, অনেক নাম না জানা আন্দোলনকারী ছিলো, যাদের খোঁজ আর কেউ রাখেনি। যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের নামও নথিভুক্ত হয়নি। এই শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে কোনো ব্যক্তিগত লাভের আশায় আসেনি, বরং বিচার ও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা নিয়েই মাঠে নেমেছিল। অধ্যাপক আরও লেখেন, অনেকে জুলাই মাসকে এখন রাজনীতির হাতিয়ার বানালেও, আসল ত্যাগ স্বীকারকারী শিক্ষার্থীরা আজও আড়ালে রয়ে গেছে। তাদের আত্মত্যাগ যেন কিছু লোকের স্বার্থসিদ্ধির পন্থা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই কামনাও করেন তিনি। পরিশেষে তিনি লেখেন, দেলোয়ার, ফারিয়া এবং তাদের মতো নাম না জানা অন্যদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো। এই শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগ যেন কখনো বৃথা না যায়— সেটিই তাঁর প্রত্যাশা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবি: নিহত বেড়ে ১৪৪ রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য অযৌক্তিক: ভারত ছাত্রলীগ পরিচয়ে নির্যাতনের অংশীদার হতেন ‘ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা’, আবদুল কাদেরের পোস্ট ‘বাংলাদেশি ভাষার’ অনুবাদক কেন খুঁজছে দিল্লি পুলিশ? সারাদেশে আওয়ামী লীগের ১ হাজার ৫৯৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার রাজধানীর দুই পুলিশ বক্সের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ রাজধানীসহ ৬ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস কলকাতায় ‘মিনি বাংলাদেশে’ বছরে ক্ষতি ১ হাজার কোটি রুপি রাশিয়া যাচ্ছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত ট্রাম্পকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে বললেন ইসরায়েলের শীর্ষ সাবেক কর্মকর্তারা খাবারের সন্ধানে ৫ ঘণ্টার পথ পাড়ি, চোখে গুলি খেয়ে ফিরল ফিলিস্তিনি কিশোর কারো সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য আমি আসিনি: অপু বিশ্বাস সমুদ্রপাড়ে খোলামেলা রূপে ধরা দিলেন ববি চুক্তিপ্রস্তাব প্রত্যাখ্যান: যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মঘটে বোয়িংয়ের ৩২০০-এর বেশি কর্মী হঠাৎ বাড়ল পেঁয়াজ-ডিমের দাম প্রথমবার লটারি কিনেই ৬৫ কোটি টাকা জিতলেন বাংলাদেশি দর্জি সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদ আর নেই ‘নতুন’ ফোন কিনতেই বাড়িতে পুলিশ, বিপাকে নবদম্পতি গাজায় মানবিক করিডোর খুললে জিম্মিদের ত্রাণের অনুমতি দেবে হামাস সিডনিতে নজিরবিহীন মিছিল, ফিলিস্তিনের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ জনস্রোত