
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

চলতি বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর ৩ যৌথ মহড়া

৪৮তম বিসিএস পরীক্ষার ফল প্রকাশ

স্বজনরা রাজি না হওয়ায় লাশের ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

চীনের মেগা বাঁধ নির্মাণ নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ ও ভারত

তুলে নেওয়া হলো গোপালগঞ্জের কারফিউ ও ১৪৪ ধারা

শিশু হাসপাতালের সেই ৬৫ চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল

গোপালগঞ্জে সহিংসতা: পুলিশের ৪ হত্যা মামলায় আসামি ৫৪০০
জব্দ করা সম্পত্তি বিক্রির কথা নয় : দুদক

যুক্তরাজ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের মালিকানাধীন সম্পত্তি লেনদেনের তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। যেখানে বলা হয়েছে, লন্ডনে থাকা তাদের বেশ কয়েকটি সম্পত্তি বিক্রি, বন্ধক বা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন দাবি করেছেন, ‘যে সম্পত্তিগুলো বাংলাদেশের অনুরোধে যুক্তরাজ্যে জব্দ বা ফ্রিজ করা হয়েছে, সেগুলো অন্যত্র লেনদেনের কথা নয়।’
আজ রোববার (২০ জুলাই) দুদকের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার জানতে হবে। এনসিএ (ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি-যুক্তরাজ্য নিরাপত্তা সংস্থা) যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে তাতে; যে সম্পত্তিগুলো ইতোমধ্যে ফ্রিজ বা অ্যাটাচ করা হয়েছে সেগুলো
অন্যত্র বিক্রি করার কথা নয়।’ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এর মধ্যে সিস্টেম ব্যবহারের বিষয়ে স্বাক্ষর তিনি বলেন, ‘এখান থেকে যেগুলো পাঠানো হয়েছে সেগুলোর ভিত্তিতে তারা তাদের কাজ করেছে। আপনারা যদি সুনির্দিষ্ট কোনো সম্পত্তির কথা বলতে পারেন, সেই ক্ষেত্রে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা যাবে। তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’ এর আগে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের জমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের মালিকানাধীন অন্তত ২০টি সম্পত্তি লেনদেনের আবেদন জমা পড়েছে। এসব আবেদন বিক্রি, হস্তান্তর কিংবা বন্ধক সংক্রান্ত। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে গত মে মাসে যুক্তরাজ্যের এনসিএ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর
উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও ভাতিজা আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের লন্ডনের প্রায় ১ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল সম্পত্তি জব্দ করে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ২ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকার সম্পদ যুক্তরাজ্যে জব্দ করা হয়। দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশ-বিদেশে ৩০০টির বেশি সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে আদালত তার ও পরিবারের নামে থাকা ৫৮০টি স্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেয়। চলতি বছরের মার্চে মাসে সালমান এফ রহমানের পরিবারের বিরুদ্ধেও ঋণ জালিয়াতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। তদন্ত চলাকালে এইসব ব্যক্তিরা যেন সম্পত্তি
লেনদেন করতে না পারেন, সে লক্ষ্যে আরও সম্পদ জব্দ ও নজরদারি করতে যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ জানিয়েছে। দুদক সূত্র বলছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত চললে কিংবা আদালতের আদেশে যদি স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ থাকে, তাহলে সেটি বিক্রি, হস্তান্তর বা বন্ধক রাখা আইনগতভাবে অবৈধ। বিচার ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা ও আনুষ্ঠানিক সহযোগিতা প্রয়োজন হওয়ায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ সব ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না।
অন্যত্র বিক্রি করার কথা নয়।’ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এর মধ্যে সিস্টেম ব্যবহারের বিষয়ে স্বাক্ষর তিনি বলেন, ‘এখান থেকে যেগুলো পাঠানো হয়েছে সেগুলোর ভিত্তিতে তারা তাদের কাজ করেছে। আপনারা যদি সুনির্দিষ্ট কোনো সম্পত্তির কথা বলতে পারেন, সেই ক্ষেত্রে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা যাবে। তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’ এর আগে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের জমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের মালিকানাধীন অন্তত ২০টি সম্পত্তি লেনদেনের আবেদন জমা পড়েছে। এসব আবেদন বিক্রি, হস্তান্তর কিংবা বন্ধক সংক্রান্ত। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে গত মে মাসে যুক্তরাজ্যের এনসিএ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর
উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও ভাতিজা আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের লন্ডনের প্রায় ১ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল সম্পত্তি জব্দ করে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ২ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকার সম্পদ যুক্তরাজ্যে জব্দ করা হয়। দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশ-বিদেশে ৩০০টির বেশি সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে আদালত তার ও পরিবারের নামে থাকা ৫৮০টি স্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেয়। চলতি বছরের মার্চে মাসে সালমান এফ রহমানের পরিবারের বিরুদ্ধেও ঋণ জালিয়াতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। তদন্ত চলাকালে এইসব ব্যক্তিরা যেন সম্পত্তি
লেনদেন করতে না পারেন, সে লক্ষ্যে আরও সম্পদ জব্দ ও নজরদারি করতে যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ জানিয়েছে। দুদক সূত্র বলছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত চললে কিংবা আদালতের আদেশে যদি স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ থাকে, তাহলে সেটি বিক্রি, হস্তান্তর বা বন্ধক রাখা আইনগতভাবে অবৈধ। বিচার ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা ও আনুষ্ঠানিক সহযোগিতা প্রয়োজন হওয়ায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ সব ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না।