
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ফরিদপুরে থানার সামনে বাসে আগুন

‘হাতে বানানো মদ’ খেয়ে খুলনায় ৫ জনের মৃত্যু

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে মারধরের অভিযোগ স্ত্রীর

কলাপাড়ায় ইউএনওর পুকুরে মিলল জীবন্ত ইলিশ

মুরাদনগরে বাস স্টেশনে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা-পুলিশ মোতায়েন

পরিবারের সবাই ইয়াবা বিক্রেতা, অতঃপর…

জন্মাষ্টমী ও দুর্গাপূজার প্রস্তুতির আহ্বান পূজা পরিষদের
ভুল চিকিৎসায় হাত-পা হারালেন শিশু তানভির, চিকিৎসক আটক

ভোলার বোরহানউদ্দিনে চিকিৎসক স্যাকমো শফিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত চেম্বারে ভুল চিকিৎসায় আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছে তানভীর নামে আট বছর বয়সী এক শিশু। এমন অভিযোগ তুলেছে শিশুটির পরিবার।
এ ঘটনায় বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী শিশুর মা ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনার সত্যতা পেয়ে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ মামলা রুজু করে।
শনিবার চিকিৎসক শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোরহানউদ্দিন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান।
জানা যায়, চিকিৎসক শফিকুলের ভুল চিকিৎসার কারণে গত ১৫ জুলাই অস্ত্রোপচার হয়েছে। শিশুটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অভিযুক্ত চিকিৎসক শফিকুলের বিরুদ্ধে আগেও নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। শফিকুল ইসলাম বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যাকমো হিসেবে কর্মরত আছেন। শিশু তানভীর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ফুলকাচিয়া গ্রামের কৃষক মোসলেমের পুত্র। তানভীরের বাবা মোসলেম জানান, তানভীর চরমোনাই মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করে। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল সে ছুটিতে বাড়ি আসে। ২২ এপ্রিল গায়ে জ্বর আসে, পরদিন তাকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশে নিয়ে গেলে হাসপাতাল চিকিৎসক শফিকুল ছেলেকে দেখে কিছু টেস্ট করাতে বলেন। টেস্ট শেষে রিপোর্ট দেখে শফিকুল ইসলাম জানান, আমার ছেলের ডেঙ্গু হয়েছে। এরপর চারটি ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। ইনজেকশন প্রয়োগের কিছু সময় পর আমার ছেলের গায়ে
ছোট ছোট কালো বিচির মতো উঠতে থাকে। আমি তাৎক্ষণিক বিষয়টি শফিকুল ইসলামকে জানালে তিনি আমাকে বলেন, ‘এলার্জির জন্য এমনটা হচ্ছে ঠিক হয়ে যাবে। তিনি ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর অবস্থার আরো অবনতি হলে তানভীরকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর তারা বরিশালে নিয়ে যেতে বলেন। তিনি আরও বলেন, বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পর সেখানকার ডাক্তাররা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অক্সিজেনের সাহায্যে তানভীরকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। ঢাকায় নিয়ে প্রথমে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে ডাক্তার দেখাই। তানভীরের শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে কিওর স্পেশিয়ালাইজড হাসপাতালের আইসিউতে (ICU)আট দিন ভর্তি রাখি। আইসিইউ থেকে
বের করে শিশু হাসপাতালে নিয়ে আরও ৯দিন ভর্তি রাখি। শিশুটির বাবা বলেন, শিশু হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করলে বার্ন ইউনিটে আরও এক মাস দশ দিন চিকিৎসা শেষে ১৮ জুন ছাড়পত্র প্রদান করে। ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার আমাকে বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তানভীরের দুটি হাত ও দুটি পা কেটে ফেলতে হবে’। পনেরো দিন পর এসে আবার যেন ভর্তি করাই। তিনি বলেন, আমি দরিদ্র মানুষ, আমার ছেলের চিকিৎসা করাতে ধারদেনা করে এ পর্যন্ত প্রায় ৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। চিকিৎসার জন্য আনুমানিক আরও ৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিভাবে টাকা জোগাড় করব তা জানি না। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বোরহানউদ্দিন উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম জানান, গত তিন মাস আগে তানভীর নামে রোগীকে নিয়ে তার স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে কেউ তাকে চিকিৎসা না করালে আমার কাছে নিয়ে আসে। আমি তার ভালোর জন্য শুধু জ্বরের ট্রিটমেন্ট দিয়েছি। অথচ এখন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, আমি নাকি তাকে ভুল চিকিৎসা দিয়েছি। বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. কেএম রিজওয়ানুল ইসলাম জানান, আমাদের এখানে কর্মরত স্যাকমো শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তানভীরের বাবা একটি অভিযোগ করেছেন। হয় তো সেফট্রিয়াক্সোন দেওয়ার ফলে রিঅ্যাকশন হয়েছে।
অভিযুক্ত চিকিৎসক শফিকুলের বিরুদ্ধে আগেও নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। শফিকুল ইসলাম বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যাকমো হিসেবে কর্মরত আছেন। শিশু তানভীর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ফুলকাচিয়া গ্রামের কৃষক মোসলেমের পুত্র। তানভীরের বাবা মোসলেম জানান, তানভীর চরমোনাই মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করে। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল সে ছুটিতে বাড়ি আসে। ২২ এপ্রিল গায়ে জ্বর আসে, পরদিন তাকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশে নিয়ে গেলে হাসপাতাল চিকিৎসক শফিকুল ছেলেকে দেখে কিছু টেস্ট করাতে বলেন। টেস্ট শেষে রিপোর্ট দেখে শফিকুল ইসলাম জানান, আমার ছেলের ডেঙ্গু হয়েছে। এরপর চারটি ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। ইনজেকশন প্রয়োগের কিছু সময় পর আমার ছেলের গায়ে
ছোট ছোট কালো বিচির মতো উঠতে থাকে। আমি তাৎক্ষণিক বিষয়টি শফিকুল ইসলামকে জানালে তিনি আমাকে বলেন, ‘এলার্জির জন্য এমনটা হচ্ছে ঠিক হয়ে যাবে। তিনি ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর অবস্থার আরো অবনতি হলে তানভীরকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর তারা বরিশালে নিয়ে যেতে বলেন। তিনি আরও বলেন, বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পর সেখানকার ডাক্তাররা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অক্সিজেনের সাহায্যে তানভীরকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। ঢাকায় নিয়ে প্রথমে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে ডাক্তার দেখাই। তানভীরের শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে কিওর স্পেশিয়ালাইজড হাসপাতালের আইসিউতে (ICU)আট দিন ভর্তি রাখি। আইসিইউ থেকে
বের করে শিশু হাসপাতালে নিয়ে আরও ৯দিন ভর্তি রাখি। শিশুটির বাবা বলেন, শিশু হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করলে বার্ন ইউনিটে আরও এক মাস দশ দিন চিকিৎসা শেষে ১৮ জুন ছাড়পত্র প্রদান করে। ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার আমাকে বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তানভীরের দুটি হাত ও দুটি পা কেটে ফেলতে হবে’। পনেরো দিন পর এসে আবার যেন ভর্তি করাই। তিনি বলেন, আমি দরিদ্র মানুষ, আমার ছেলের চিকিৎসা করাতে ধারদেনা করে এ পর্যন্ত প্রায় ৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। চিকিৎসার জন্য আনুমানিক আরও ৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিভাবে টাকা জোগাড় করব তা জানি না। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বোরহানউদ্দিন উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম জানান, গত তিন মাস আগে তানভীর নামে রোগীকে নিয়ে তার স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে কেউ তাকে চিকিৎসা না করালে আমার কাছে নিয়ে আসে। আমি তার ভালোর জন্য শুধু জ্বরের ট্রিটমেন্ট দিয়েছি। অথচ এখন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, আমি নাকি তাকে ভুল চিকিৎসা দিয়েছি। বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. কেএম রিজওয়ানুল ইসলাম জানান, আমাদের এখানে কর্মরত স্যাকমো শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তানভীরের বাবা একটি অভিযোগ করেছেন। হয় তো সেফট্রিয়াক্সোন দেওয়ার ফলে রিঅ্যাকশন হয়েছে।