‘নারীদের প্রতি সমাজ-রাষ্ট্রের এক ধরণের অবহেলা আছে’ – ইউ এস বাংলা নিউজ




‘নারীদের প্রতি সমাজ-রাষ্ট্রের এক ধরণের অবহেলা আছে’

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৬ জুলাই, ২০২৫ | ৮:১১ 15 ভিউ
জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন ছিলেন প্রথম সারির তারকাদের একজন। ফ্যাসিবাদি আওয়ামী সরকারের পতনের দাবিতে প্রকাশ্যেই রাস্তায় নেমেছিলেন তিনি। এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পরেও বিভিন্ন জাতীয় ঘটনায় নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন। যদিও তিনি একাধিকবার হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন যে, জুলাই আন্দোলনের পর তিনি দেশের কাছে আরও ভালো কিছু প্রত্যাশা করেছিলেন, কিন্তু কিছু ঘটনা তাকে নিরাশ করেছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, অনলাইন হয়রানি এবং তাকে ‘খারাপ মেয়ে’হিসেবে আখ্যায়িত করার পেছনে সমাজের এক ধরনের অবহেলা ও দ্বিচারিতা কাজ করছে। তিনি মনে করেন, নারীদের প্রতি সমাজ-রাষ্ট্রের এক ধরণের অবহেলা আছে। একটু ব্যাখ্যা দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘অনলাইনে মেয়েদের নানাভাবে হ্যারেজ করা হচ্ছে।

আমিও যার শিকার। তারা মনে করছে, আমি এটা ডিজার্ভ করি। কারণ, আমি একটা খারাপ মেয়ে....!’ কেন খারাপ মেয়ে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বাঁধন বলেন, ‘আমার ঠোঁটকাটা। সময়ের প্রয়োজনে দেশের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলাম। বাজে ব্যাপার হচ্ছে, তারা আমাকে কোনো দলে ফেলতে পারছে না। যে কারণে সবকিছুতেই সমস্যা দেখছে।’ বাঁধন আরও বলেন, ‘জুলাইয়ের গণঅভুত্থ্যানে যখন গিয়েছি, তখন একটা আশার আলো দেখেছি। যারা টিভিতে সংবাদ দেখেছে, তারা আসলে বুঝতে পারবে না বাস্তবের অভিজ্ঞতাটা কেমন ছিল। ভেবেছিলাম, এবার একটা পরিবর্তন আসবে। তবে আমরা এতটাই দুর্নীতিগ্রস্থ একটা জাতি, যিনি পালিয়ে গেছেন, তার রেখে যাওয়া সেই করাপ্টেড সিস্টেম থেকে বের হতে পারিনি।’ সম্প্রতি জুলাইয়ের স্মৃতিচারণ করে এক স্ট্যাটাসে বাঁধন বলেন, যারা

বলে জুলাই বিপ্লব ভুল ছিল — সত্যি বলতে, তাদের জন্য আমার দুঃখ হয়। ওই সময় ওই বিপ্লব একদম প্রয়োজনীয় ছিল। মানুষ যে পরিমাণ অবিচার, অন্যায় এবং দমন-পীড়নের মুখোমুখি হচ্ছিল, তা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সরকার তো একদিনে ফ্যাসিস্ট হয়ে যায়নি— ধাপে ধাপে মানুষের অধিকার আর কণ্ঠস্বর কেড়ে নিতে নিতে তারা ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছিল। তখন আর কোনো রাস্তা খোলা ছিল না। ৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে অভিনেত্রী বলেন, যারা সেদিন, ৫ আগস্ট রাস্তায় ছিল না, তারা কোনো দিন বুঝতে পারবে না সেই আনন্দ কতটা বিশুদ্ধ ছিল— যখন সে ভীতুর মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই আনন্দ ছিল একদম বাস্তব, এবং আমি তা

নিজের প্রতিটি হৃদস্পন্দনে অনুভব করেছিলাম। ওইরকম স্বাধীনতা আর শক্তি রাস্তায় দাঁড়িয়ে একসঙ্গে অনুভব করার অভিজ্ঞতা জীবনে একবারই আসে। সবশেষ বাঁধন লিখেছেন, হ্যাঁ, বিপ্লবের পরে অনেক কিছু ঘটেছে, এবং সবকিছু সুখকর হয়নি। কিন্তু এক জিনিস স্পষ্ট: জুলাই বিপ্লব সঠিক সময়ে, সঠিক কাজ ছিল।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে। অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন মার্কিন-ইসরায়েলি ত্রাণকেন্দ্রে খাবার নিতে এসে নিহত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি আফগানদের ইরান ছাড়ার শেষ দিন আজ, কাল থেকে গ্রেপ্তার নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সোমবার থেকে এনসিটি চালাবে ড্রাইডক রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসিকে আটকে ‘চাঁদাবাজির’ অভিযোগ সাজা মাথায় নিয়ে ঘুরছিলেন ধামাকার চেয়ারম্যান মোজতবা আলী ক্লাব বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে কে কার মুখোমুখি? টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১, নিখোঁজ শিশুদের খুঁজছেন উদ্ধারকারীরা জাতীয় শোকের মাস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আগস্ট মাসব্যাপী কর্মসূচি