বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমের মৃত্যু: যিনি রাজাকার, দেশদ্রোহী, বেঈমানদের ছাড় দেননি – ইউ এস বাংলা নিউজ




বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমের মৃত্যু: যিনি রাজাকার, দেশদ্রোহী, বেঈমানদের ছাড় দেননি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৭ জুন, ২০২৫ | ১১:৩২ 13 ভিউ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মঙ্গলবার মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাঁচজন রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যার জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন, যা তাকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের কাছে দেশপ্রেম ও সাহসের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তার মৃত্যুর খবরে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সখিনা বেগমের বীরত্বগাথা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়। ১৯৭১ সালে, দেশদ্রোহী রাজাকারদের বিরুদ্ধে তার নির্ভীক প্রতিরোধ তরুণ প্রজন্মের কাছে প্রেরণার উৎস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে তাকে “মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় সৈনিক” হিসেবে আখ্যায়িত করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। একজন এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, “সখিনা বেগম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের উত্তরসুরি, যারা রাজাকারদের কখনো ছাড় দেননি।” কিশোরগঞ্জের হাওর-অধ্যুষিত নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন

সখিনা বেগম। তার বাবার নাম সোনাফর মিয়া এবং মায়ের নাম দুঃখী বিবি। সখিনা নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই মারা যান তার স্বামী কিতাব আলী। এই নারী মুক্তিযোদ্ধাকে শেষ বয়সে দেখাশোনা করতেন তার ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তার। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিকেলে আসরের নামাজ শেষে নিকলী উপজেলার গুরুই মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে গুরুই এলাকার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। স্থানীয় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কয়েকটি বই থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধে সখিনা বেগমের ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে হানাদার পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের হাতে শহিদ হন। ভাগনের অকালমৃত্যু সখিনাকে প্রতিশোধপরায়ণ করে তোলে। ওই সময় সখিনা বেগম গুরুই এলাকায় ‘বসু বাহিনীর’ নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন।

কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। একপর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। আসার সময় সেখান থেকে তিনি একটি ধারালো দা নিয়ে আসেন। পরে সেই দা দিয়ে নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে মারেন। সেই দা বর্তমানে ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে এবং নামফলকে সখিনা বেগমের নাম উল্লেখ আছে। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ সরকার ও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনগুলো গভীর শোক প্রকাশ করেছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “সখিনা বেগমের সাহস ও ত্যাগ আমাদের জাতীয় মুক্তির সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তার অবদান চিরস্মরণীয় থাকবে।”

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
এআই যুদ্ধের সূচনা, কতটা সফল হবে ডিপসিক? শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনটা বাংলাদেশের ধ্বংসযজ্ঞে অনড় ইরান-ইসরায়েল তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী ঘাটতি বাজেটের অর্থায়নই প্রধান সমস্যা ঢাকাসহ দেশের ১৭টি অঞ্চলে ঝড়ের সম্ভাবনা শপথ ছাড়াই ‘নির্দেশনা’ দিচ্ছেন ইশরাক, সরকার নীরব তেহরান থেকে বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ ঢাকায় পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার ইমরান হায়দার টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার প্রেমিকের খোঁজে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী, গ্রেপ্তার ৩ শহীদ ওমরের লাশ উত্তোলনের নির্দেশ আদালতের পুলিশ ডেকে প্রতিবেশীকে আটকের দাবিতে আত্মহত্যার চেষ্টা, গৃহবধূ গ্রেপ্তার ‘জামায়াত আগে ছিল হেলমেট বাহিনী, এখন তারাই টুপি লাগিয়ে হামলা করে’ নতুন নোটে বিড়ম্বনা, নিচ্ছে না এটিএম ও মেট্রো রেলের বুথ প্রেমিকের সন্ধানে যাওয়া তরুণীকে গণধর্ষণ মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে এসে ফেঁসে গেলেন রতন বাজারে আসছে ‘ট্রাম্প মোবাইল’, দাম কত? ইরানের আকাশসীমা আমরা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি: ট্রাম্প আত্মসাতের মামলায় আদালতে তোলা হলো সাবেক জজ ও ডিসিকে