
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

প্রবাসীর পাসপোর্ট ও বিমান টিকিট ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ ডিবির ওসির বিরুদ্ধে

ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৪৯ রোগী

নগরভবনে বিরতিহীন কর্মসূচির ঘোষণা দিলেন ইশরাক

সওজের প্রবেশপথেই ময়লার স্তূপ

রোববার ঢাকার যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ

এনজিও তুষ্টিতে সড়ক নিরাপত্তা আইন

আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের কিস্তির প্রস্তাব উঠছে আইএমএফ পর্ষদে
শুধু এক এসআইর দায় পেয়েছে তদন্ত কমিটি

রাজধানীর কলাবাগানে মনোবিজ্ঞান গবেষক ড. আব্দুল ওয়াদুদের বাসায় ‘সাজানো অভিযানের’ ঘটনায় শুধু পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এসআই) দায় পেয়েছে তদন্ত কমিটি। অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া এসআই বেলাল উদ্দিনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে কমিটি।
সম্প্রতি তদন্ত কমিটির প্রধান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক প্রতিবেদনটি ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর কাছে জমা দেন। তবে এই তদন্ত প্রতিবেদন একপেশে এবং এতে ওসিকে বাঁচানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুল ওয়াদুদ। তিনি এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন।
গত ২৯ এপ্রিল মধ্যরাতে কলাবাগানের সোনারগাঁ রোডে ড. ওয়াদুদের বাড়িতে এসআই বেলালের নেতৃত্বে
একটি অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে গত ২ মে ডিএমপি কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেছিলেন ড. ওয়াদুদ। সেই অভিযোগে বলা হয়, সেদিন অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে আরও ১০ থেকে ১৫ জন বিএনপির নেতাকর্মী পরিচয়ধারী ব্যক্তি ছিলেন। পুলিশের সঙ্গে তারাও বাড়িতে প্রবেশ করেন। ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হয় তার বাড়ির দরজা। একপর্যায়ে তিনি দরজা খুলে বেরিয়ে এলে তার ঘরে অস্ত্র খুঁজতে থাকেন পুলিশের সদস্যরা। কিছু না পেয়ে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয় তার কাছে। টাকা না দিলে ১০টি মামলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে নগদ ২ লাখ টাকা নিয়ে পুলিশ সদস্যরা চলে যান। তবে যাওয়ার আগে পুলিশ সদস্যরা তিনজনকে ওয়াদুদের বাসায়
পাহারায় রেখে যান এবং বলা হয়, ব্যাংক আওয়ারে বাকি টাকা তুলে পরিশোধের পর পাহারা তোলা হবে। তবে পাহারাদারদের চোখ এড়িয়ে তিনি বাসা থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে তিনি ডিএমপি কমিশনারের কাছে অভিযোগ দেন। পরে ড. ওয়াদুদের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসআই বেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ড. ওয়াদুদের বাসায় থাকা অবস্থায় বহিরাগতরা ‘মব’ তৈরি করে, যা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন এসআই বেলাল। যার ফলে ওয়াদুদের বাসায় মিনি চিড়িয়াখানায় থাকা একটি হরিণ লোকজনের ভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে মারা যায়। এ ছাড়া সেই সময় বহিরাগতরা প্রবেশ করে কিছু পোষা পাখি নিয়ে যায়। প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, রাত সাড়ে ১২টায় এসআই বেলাল হোয়াটসঅ্যাপে কলাবাগান থানার ওসিকে জানান, ওয়াদুদ সাহেবের বাসায় প্রবেশ করা বহিরাগতদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রতিবেদনের মতামত অংশে বলা হয়েছে, বাসায় দীর্ঘ সময় অভিযান পরিচালনা করা এবং অভিযান পরিচালনা শেষে এসআই বেলাল উদ্দিন কোনো জব্দ তালিকা তৈরি না করেই সেখান থেকে চলে যান। তার এরূপ কর্মকাণ্ড অপেশাদারিত্বের পরিচয় বহন করে মর্মে প্রতীয়মান হয়। আর কলাবাগান থানার তৎকালীন ওসির বিষয়ে প্রতিবেদনের মতামত অংশে বলা হয়েছে, ঘটনার পারিপার্শ্বিক বিষয় বিবেচনায় তৎকালীন ওসি মোক্তারুজ্জামান ঘটনার সময় থানায় উপস্থিত না থেকে উত্তরার বাসায় গমন করে (সিডিআর পর্যালোচনায়) দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। ডিএমপি কমিশনারের কাছে ড.
ওয়াদুদ অভিযোগ করার পর তাৎক্ষণিকভাবে ওসি মোক্তারুজ্জামান, এসআই বেলাল ও এসআই আবু হোরায়রা জিহানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তবে তদন্ত কমিটি ঘটনার সঙ্গে এসআই জিহানের কোনো সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়নি, যা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে, তদন্ত প্রতিবেদনটিকে একপেশে বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারী ড. আব্দুল ওয়াদুদ। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনটি একপেশে। ওসি কোনোভাবে জড়িত নয়—এ কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। বিষয়টির ওপর একটি নিরপেক্ষ প্রতিবেদন আশা করছি।’ তিনি বলেন, ‘সত্যকে সাময়িক মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায়। আমার সঙ্গে ওসির কথোপকথনের রেকর্ড আছে। কল রেকর্ড তো মিথ্যা হতে পারে না। তার কল রেকর্ডই তো প্রমাণ করে সে এর সঙ্গে জড়িত। কল রেকর্ডই প্রমাণ করবে সেদিন মব
নিয়ন্ত্রণ করতে ওসি পুলিশ পাঠায়নি। মব নিয়ন্ত্রণ করতে এলে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যেত, দরজা ভেঙে আমাকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করত না। আমার কাছে কোটি টাকা দাবি করত না, নগদ টাকা নিয়ে যেত না।’ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ঘটনার সময় তার বাড়ির সিসি ক্যামেরার ডিভিআর মেশিন, সিলিং ফ্যান, কম্পিউটার ও একটি ল্যাপটপ এবং তার মিনি চিড়িয়াখানার ম্যাকাও পাখি ১২ জোড়া, ইলেকট্রিকস ক্যারোট পাখি ২ জোড়া, রেইনবো লরি পাখি ৭ জোড়া ও কাইক পাখি ৩ জোড়া লুটপাট করে নিয়ে যায়। যেগুলোর আনুমানিক মূল্য ৫০ লাখ টাকা। গত ১ মে ল্যাপটপটি ফেরত দেন কলাবাগান থানার তৎকালীন ওসি। বাকি কিছু ফেরত দেয়নি পুলিশ। তিনি বলেন,
‘পিসিতে আমার অনেক মূল্যবান ডকুমেন্ট রয়েছে। আমি কম্পিউটারের সিপিইউ ফেরত চাই।’ ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘এটা আমার জানা নেই। কলাবাগান থানার ওসি বলতে পারবেন।’ কলাবাগান থানার বর্তমান ওসি মো. ফজলে আশিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সিপিইউর বিষয়টি আমার জানা নেই। ঊর্ধ্বতন স্যারদের কাছে হয়তো জানতে পারবেন।’
একটি অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে গত ২ মে ডিএমপি কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেছিলেন ড. ওয়াদুদ। সেই অভিযোগে বলা হয়, সেদিন অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে আরও ১০ থেকে ১৫ জন বিএনপির নেতাকর্মী পরিচয়ধারী ব্যক্তি ছিলেন। পুলিশের সঙ্গে তারাও বাড়িতে প্রবেশ করেন। ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হয় তার বাড়ির দরজা। একপর্যায়ে তিনি দরজা খুলে বেরিয়ে এলে তার ঘরে অস্ত্র খুঁজতে থাকেন পুলিশের সদস্যরা। কিছু না পেয়ে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয় তার কাছে। টাকা না দিলে ১০টি মামলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে নগদ ২ লাখ টাকা নিয়ে পুলিশ সদস্যরা চলে যান। তবে যাওয়ার আগে পুলিশ সদস্যরা তিনজনকে ওয়াদুদের বাসায়
পাহারায় রেখে যান এবং বলা হয়, ব্যাংক আওয়ারে বাকি টাকা তুলে পরিশোধের পর পাহারা তোলা হবে। তবে পাহারাদারদের চোখ এড়িয়ে তিনি বাসা থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে তিনি ডিএমপি কমিশনারের কাছে অভিযোগ দেন। পরে ড. ওয়াদুদের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসআই বেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ড. ওয়াদুদের বাসায় থাকা অবস্থায় বহিরাগতরা ‘মব’ তৈরি করে, যা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন এসআই বেলাল। যার ফলে ওয়াদুদের বাসায় মিনি চিড়িয়াখানায় থাকা একটি হরিণ লোকজনের ভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে মারা যায়। এ ছাড়া সেই সময় বহিরাগতরা প্রবেশ করে কিছু পোষা পাখি নিয়ে যায়। প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, রাত সাড়ে ১২টায় এসআই বেলাল হোয়াটসঅ্যাপে কলাবাগান থানার ওসিকে জানান, ওয়াদুদ সাহেবের বাসায় প্রবেশ করা বহিরাগতদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রতিবেদনের মতামত অংশে বলা হয়েছে, বাসায় দীর্ঘ সময় অভিযান পরিচালনা করা এবং অভিযান পরিচালনা শেষে এসআই বেলাল উদ্দিন কোনো জব্দ তালিকা তৈরি না করেই সেখান থেকে চলে যান। তার এরূপ কর্মকাণ্ড অপেশাদারিত্বের পরিচয় বহন করে মর্মে প্রতীয়মান হয়। আর কলাবাগান থানার তৎকালীন ওসির বিষয়ে প্রতিবেদনের মতামত অংশে বলা হয়েছে, ঘটনার পারিপার্শ্বিক বিষয় বিবেচনায় তৎকালীন ওসি মোক্তারুজ্জামান ঘটনার সময় থানায় উপস্থিত না থেকে উত্তরার বাসায় গমন করে (সিডিআর পর্যালোচনায়) দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। ডিএমপি কমিশনারের কাছে ড.
ওয়াদুদ অভিযোগ করার পর তাৎক্ষণিকভাবে ওসি মোক্তারুজ্জামান, এসআই বেলাল ও এসআই আবু হোরায়রা জিহানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তবে তদন্ত কমিটি ঘটনার সঙ্গে এসআই জিহানের কোনো সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়নি, যা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে, তদন্ত প্রতিবেদনটিকে একপেশে বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারী ড. আব্দুল ওয়াদুদ। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনটি একপেশে। ওসি কোনোভাবে জড়িত নয়—এ কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। বিষয়টির ওপর একটি নিরপেক্ষ প্রতিবেদন আশা করছি।’ তিনি বলেন, ‘সত্যকে সাময়িক মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায়। আমার সঙ্গে ওসির কথোপকথনের রেকর্ড আছে। কল রেকর্ড তো মিথ্যা হতে পারে না। তার কল রেকর্ডই তো প্রমাণ করে সে এর সঙ্গে জড়িত। কল রেকর্ডই প্রমাণ করবে সেদিন মব
নিয়ন্ত্রণ করতে ওসি পুলিশ পাঠায়নি। মব নিয়ন্ত্রণ করতে এলে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যেত, দরজা ভেঙে আমাকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করত না। আমার কাছে কোটি টাকা দাবি করত না, নগদ টাকা নিয়ে যেত না।’ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ঘটনার সময় তার বাড়ির সিসি ক্যামেরার ডিভিআর মেশিন, সিলিং ফ্যান, কম্পিউটার ও একটি ল্যাপটপ এবং তার মিনি চিড়িয়াখানার ম্যাকাও পাখি ১২ জোড়া, ইলেকট্রিকস ক্যারোট পাখি ২ জোড়া, রেইনবো লরি পাখি ৭ জোড়া ও কাইক পাখি ৩ জোড়া লুটপাট করে নিয়ে যায়। যেগুলোর আনুমানিক মূল্য ৫০ লাখ টাকা। গত ১ মে ল্যাপটপটি ফেরত দেন কলাবাগান থানার তৎকালীন ওসি। বাকি কিছু ফেরত দেয়নি পুলিশ। তিনি বলেন,
‘পিসিতে আমার অনেক মূল্যবান ডকুমেন্ট রয়েছে। আমি কম্পিউটারের সিপিইউ ফেরত চাই।’ ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘এটা আমার জানা নেই। কলাবাগান থানার ওসি বলতে পারবেন।’ কলাবাগান থানার বর্তমান ওসি মো. ফজলে আশিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সিপিইউর বিষয়টি আমার জানা নেই। ঊর্ধ্বতন স্যারদের কাছে হয়তো জানতে পারবেন।’