
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ভারতের

সৌদিতে নারী যাত্রীদের জন্য বিশেষ সেবা আনছে উবার

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে গত মাসে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে জয়ী হয়েছেন জোহরান মামদানি। এটি শহরটির অনেক মানুষের জন্য আনন্দের খবর হলেও কপালে উদ্বেগের ভাঁজ পড়েছে আবাসন ব্যাবসায়ীদের। তারা ক্ষতির ঝুঁকি দেখছেন। এরই মধ্যে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন খাতসংশ্লিষ্ট অনেকে। তারা বলছেন, পরিবর্তনশীল এ সময়ে গ্রাহকরা ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না; তারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। নিউইয়র্কে আবাসন ব্যবসার ব্রোকার জে বাত্রা জানান, তাঁর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ম্যানহাটানে লাখ লাখ ডলারের সম্পত্তির দুই পৃথক ক্লায়েন্ট বাত্রাকে জানিয়েছেন, তারা নিউইয়র্কের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করতে চান। বাত্রার উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল সোমবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক ধনী ও বিলাসবহুল ক্রেতা একটু বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন। মামদানি যত বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন, ততই তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে– ‘হায়, শহরটি কোথায় যাচ্ছে!’ ৩৩ বছর বয়সী গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক মামদানি গত জুনের শেষ দিকে নিউইয়র্কের মেয়র প্রাইমারিতে জয়লাভ করেন। এর পর থেকে বেশ কয়েকজন পেশাদার আবাসন ব্যবসায়ী সিএনএনকে জানান, উচ্চস্তরের ক্রেতারা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ বন্ধ করতে শুরু করেছেন। মামদানির প্রস্তাবিত নীতিগুলোর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে অনিশ্চিত। তারা আরও বলেন, মামদানির জয়ের ফলে তাঁর রাজনীতির সঙ্গে একমত না হওয়া নিউইয়র্কের কিছু ধনী বাসিন্দা শহর ত্যাগের পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করেছেন। মামদানি ১০ লাখ ডলারের বেশি আয়কারী নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের ওপর ২ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন। তাঁর কাছে আবাসন প্রস্তাবের একটি তালিকাও আছে, যার মধ্যে রয়েছে– ভাড়া স্থির করার প্রতিশ্রুতি, ব্যাপক পাবলিক হাউজিং নির্মাণ ও সংস্কার এবং কঠোর তদারকি। মার্কিন গণমাধ্যমটি বলছে, মামদানি মেয়র হলেও তাঁর প্রস্তাবগুলো বাস্তবে পরিণত নাও হতে পারে। এর অনেক কারণ রয়েছে। তবুও তাঁর প্রাথমিক জয় বাত্রার কিছু ক্লায়েন্টকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। কেউই আসলে তাদের কর বাড়ুক, এমনটা চান না। নিউইয়র্ক সিটি বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল আবাসন বাজারের আবাসস্থল। এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে ঝলমলে বিলাসবহুল টাওয়ারের লোকেরা শ্রমিক শ্রেণির বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাস করেন। এ শ্রমজীবী শ্রেণির মানুষ ক্রমবর্ধমান ভাড়া ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে লড়াই করছেন। শহরের আবাসন খাতের অবস্থা চরম। নিউইয়র্ক শহরের আপার ইস্ট সাইড এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ যাচাই করে সিএনএন জানাতে পেরেছে, ওই এলাকার বাসিন্দারা বেনামে মামদানির প্রাথমিক জয়ের পর শহর ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু এখনও এসব গল্প কাল্পনিক। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক ফল পছন্দ না হলে স্থানান্তরিত হওয়ার হুমকি দেওয়ার একটি দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য রয়েছে। মামদানির আবাসন ও অর্থনৈতিক প্রস্তাবগুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন নিউইয়র্কের ভাড়া ক্রমাগত বাড়ছে। রিয়েলেটর ডটকমের মতে, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে শহরে গড় চাওয়া ভাড়া ছিল ৩ হাজার ৩৯৭ ডলার, যা এক বছরের আগের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এটা ২০২০ সালের শুরু থেকে ১৮ শতাংশ বেশি। বাত্রা জানান, কিছু ক্লায়েন্ট যারা ভাড়া আয়ের জন্য ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ভবন কেনার পরিকল্পনা করছিলেন, তারা এখন প্রস্তাবিত ভাড়া স্থগিত করার কারণে পুনর্বিবেচনা করছেন। নিউইয়র্কের এ পরিস্থিতির সুবিধা পেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রেরই ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য। সেখানে আবাসন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকে জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক ছেড়ে আবারও ফ্লোরিডায় আসতে পারেন অনেকে। এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

মামদানির জয়ে নিউইয়র্কের আবাসন খাতে আতঙ্ক

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে বিভক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন

সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা

জোটে ভাঙন, ইসরায়েলে পতনের মুখে নেতানিয়াহুর সরকার
ভারতের আধিপত্য কখনোই মেনে নেবে না পাকিস্তান : সেনাপ্রধান আসিম মুনির

কাশ্মীর পাকিস্তানের অবিচ্ছেদ্য অংশ- এবার সেই আবেগই কঠোর বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন দেশটির সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দেশটির শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপাচার্য, অধ্যক্ষ ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে কোনো আপস নয়। ভারত বুঝে নিক- কাশ্মীরকে আমরা ভুলব না, ছেড়েও দেব না। খবর দ্য ইন্টারন্যাশনাল নিউজ।
তিনি আরও বলেন, কাশ্মীর এখন আর কেবল আঞ্চলিক সংকট নয়, এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। কাজেই ভারত চাইলেও তা চেপে রাখতে পারবে না।
পাক সেনাপ্রধান দৃঢ় ভাষায় জানান, পাকিস্তান ভারতের আধিপত্য কখনোই মেনে নেবে না। বিশেষ করে পানি ইস্যুকে ‘রেড লাইন’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২৪
কোটির অধিক মানুষের পানির অধিকার নিয়ে কোনো আপস হতে পারে না। শিক্ষকদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, আপনারাই জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাতা। আজ আমি যে অবস্থানে আছি, তা আমার পিতা-মাতা ও শিক্ষকদের অবদানে। তিনি তাদের অনুরোধ করেন যেন পাকিস্তানের ইতিহাস ও আত্মত্যাগের গল্প আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেন। ভারতের সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ফিল্ড মার্শাল মুনির বলেন, ভারতের ভেতরকার মুসলিম ও সংখ্যালঘু নিপীড়নই তাদের আসল সংকট। কাশ্মীর নয়, বরং ভারতের ভেতরের বৈষম্যই সন্ত্রাসবাদ উসকে দিচ্ছে। তিনি দাবি করেন, বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভারত সমর্থন করছে, কিন্তু তাদের প্রকৃত বেলুচ জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার পটভূমিতে তিনি বলেন, ‘মারকা-ই-হক’-এ আল্লাহর সহায়তায় আমরা দৃঢ় থেকেছি। একটি জাতি
যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে কোনো শক্তিই তাকে হারাতে পারে না। এদিনই আন্তর্জাতিক পরিসরে পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুতে আরেকটি কূটনৈতিক উচ্চারণ করে। তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে এক সম্মেলনে অংশ নিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতের কর্মকাণ্ডকে ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ও যুদ্ধ ঘোষণা’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে অবস্থান নেন। তাজিক প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাহমন শাহবাজের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, তিনি ৭ মে’র ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা ও শান্তির পক্ষে পাকিস্তানের ভূমিকা দেখেছেন এবং সবসময়ই এই অঞ্চলকে শান্তিপূর্ণ রাখতে কাজ করবেন।
কোটির অধিক মানুষের পানির অধিকার নিয়ে কোনো আপস হতে পারে না। শিক্ষকদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, আপনারাই জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাতা। আজ আমি যে অবস্থানে আছি, তা আমার পিতা-মাতা ও শিক্ষকদের অবদানে। তিনি তাদের অনুরোধ করেন যেন পাকিস্তানের ইতিহাস ও আত্মত্যাগের গল্প আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেন। ভারতের সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ফিল্ড মার্শাল মুনির বলেন, ভারতের ভেতরকার মুসলিম ও সংখ্যালঘু নিপীড়নই তাদের আসল সংকট। কাশ্মীর নয়, বরং ভারতের ভেতরের বৈষম্যই সন্ত্রাসবাদ উসকে দিচ্ছে। তিনি দাবি করেন, বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভারত সমর্থন করছে, কিন্তু তাদের প্রকৃত বেলুচ জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার পটভূমিতে তিনি বলেন, ‘মারকা-ই-হক’-এ আল্লাহর সহায়তায় আমরা দৃঢ় থেকেছি। একটি জাতি
যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে কোনো শক্তিই তাকে হারাতে পারে না। এদিনই আন্তর্জাতিক পরিসরে পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুতে আরেকটি কূটনৈতিক উচ্চারণ করে। তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে এক সম্মেলনে অংশ নিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতের কর্মকাণ্ডকে ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ও যুদ্ধ ঘোষণা’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে অবস্থান নেন। তাজিক প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাহমন শাহবাজের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, তিনি ৭ মে’র ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা ও শান্তির পক্ষে পাকিস্তানের ভূমিকা দেখেছেন এবং সবসময়ই এই অঞ্চলকে শান্তিপূর্ণ রাখতে কাজ করবেন।