
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

উত্তাল ভারত, মুসলিমদের গণবিক্ষোভ

জম্মু-কাশ্মীরে প্রবল বৃষ্টি-ভূমিধসে নিহত ৩, বন্ধ সড়ক যোগাযোগ

সৌদির নতুন হজ বিধিমালায় যা যা রয়েছে

বেনিনে ৭০ সেনা সদস্যকে হত্যার দাবি আল কায়েদার

ইস্টার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, পালটাপালটি অভিযোগ রাশিয়া-ইউক্রেনের

রাখাল-কৃষক সংঘর্ষে ৫৬ জনের প্রাণহানি

ভিডিওটি আমার নয়: পাকিস্তানের জনপ্রিয় টিকটকার
পশ্চিম তীরের রামাল্লা এখন ইসরাইলি ‘খোয়াড়’

ইসরাইলের অত্যাচারে দিন দিন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের জীবন। বেড়েছে সেনাদের দখলদারিত্ব। গড়ে উঠেছে চেকপয়েন্ট আর লোহার গেট। যার ফলে নিজ গ্রামে ঢুকতেও বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন রামাল্লার বাসিন্দারা।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রামাল্লার গ্রামগুলোতে কমপক্ষে ১১৯টি লোহার গেট স্থাপন করেছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। তাদের নির্দেশেই খোলা রাখা হয় গেটগুলো।
ঘরে ফিরতে দেরি হলেই বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই প্রবেশপথগুলো। ফলে মাঝে মধ্যে তীব্র ঠান্ডায় রাস্তায় দিন কাটাতে হয় বাসিন্দাদের। আতারা গ্রামে বসবাসকারী বারঘৌতি বলেছেন, ‘প্রতিটি গ্রামে এখন একটি গেট আছে এবং খোঁয়ারে যেমন ভেড়া আটকে রাখা হয় ঠিক সেভাবেই
তারা আমাদেরকে আটকে রাখে।’ এক কথায় পশ্চিম তীরের রামাল্লা এখন ইসরাইলের ‘খোয়াড়’। ইসরাইল-হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রামাল্লায় নতুন চেকপয়েন্ট এবং গেট তৈরি করছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। এগুলো গ্রাম এবং শহরে প্রবেশাধিকার কঠিন করে তুলেছে। প্রধান পরিবহণ রুট থেকে পুরো সম্প্রদায়কে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। পিএ জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে এখন প্রায় ৯০০টি বাধা রয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, এসব বাধা কেবল চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং কৃষি, সামাজিক ও জীবিকার সুযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলে। ইসরাইলি সেনাদের নির্দেশে রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত গেট বন্ধ রাখা হয়। বাকি সময় খুলে রাখা হয়। কেউ রাত ৯টা পার করলেই আর ফিরতে পারেন না
নিজ ঘরে। রামাল্লার রেস্তোরাঁয় কাজ করা বাসিন্দারা তাদের গ্রাম আতারায় ফিরতে দেরি হলে ঠান্ডায় বাইরেই রাত কাটাতে হয় তাদের। ৬৮ বছর বয়সী রামজিয়া দাহাব্রেহ বলেছেন, ‘আমাকে চিকিৎসার জন্য প্রায়ই রামাল্লায় যেতে হয়। কিন্তু চেকপয়েন্টের কারণে তাদের যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে।’ এদিকে ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলেছেন, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর আসন্ন হুমকি মোকাবিলা করার জন্য পশ্চিম তীরে তাদের আক্রমণাত্মক অভিযান এবং সেখানে অবাধ চলাচলের নতুন বাধাগুলো তৈরি করা প্রয়োজন। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, চেকপয়েন্টগুলোর মাধ্যমে গ্রেফতার, অস্ত্র জব্দ এবং আক্রমণ প্রতিরোধ করা হয়। এদিকে শুক্রবার অনলাইনে পোস্ট করা একটি ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি গ্রাম তুরমুসায়ার কাছে একটি নতুন
অবৈধ ফাঁড়ি স্থাপন শুরু করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিম তীরে অবৈধ দখলের পাশাপাশি সহিংসতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। পশ্চিম তীরেও সামরিক বাহিনী বৃহৎ পরিসরে হামলা চালিয়ে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত মাসে, প্রায় ৫০ জন ইসরাইলির একটি দল উত্তর পশ্চিম তীরের দুমা গ্রামের বাড়িঘরে হামলা চালায়, তাদের সম্পত্তি পুড়িয়ে দেয়।
তারা আমাদেরকে আটকে রাখে।’ এক কথায় পশ্চিম তীরের রামাল্লা এখন ইসরাইলের ‘খোয়াড়’। ইসরাইল-হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রামাল্লায় নতুন চেকপয়েন্ট এবং গেট তৈরি করছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। এগুলো গ্রাম এবং শহরে প্রবেশাধিকার কঠিন করে তুলেছে। প্রধান পরিবহণ রুট থেকে পুরো সম্প্রদায়কে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। পিএ জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে এখন প্রায় ৯০০টি বাধা রয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, এসব বাধা কেবল চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং কৃষি, সামাজিক ও জীবিকার সুযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলে। ইসরাইলি সেনাদের নির্দেশে রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত গেট বন্ধ রাখা হয়। বাকি সময় খুলে রাখা হয়। কেউ রাত ৯টা পার করলেই আর ফিরতে পারেন না
নিজ ঘরে। রামাল্লার রেস্তোরাঁয় কাজ করা বাসিন্দারা তাদের গ্রাম আতারায় ফিরতে দেরি হলে ঠান্ডায় বাইরেই রাত কাটাতে হয় তাদের। ৬৮ বছর বয়সী রামজিয়া দাহাব্রেহ বলেছেন, ‘আমাকে চিকিৎসার জন্য প্রায়ই রামাল্লায় যেতে হয়। কিন্তু চেকপয়েন্টের কারণে তাদের যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে।’ এদিকে ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলেছেন, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর আসন্ন হুমকি মোকাবিলা করার জন্য পশ্চিম তীরে তাদের আক্রমণাত্মক অভিযান এবং সেখানে অবাধ চলাচলের নতুন বাধাগুলো তৈরি করা প্রয়োজন। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, চেকপয়েন্টগুলোর মাধ্যমে গ্রেফতার, অস্ত্র জব্দ এবং আক্রমণ প্রতিরোধ করা হয়। এদিকে শুক্রবার অনলাইনে পোস্ট করা একটি ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি গ্রাম তুরমুসায়ার কাছে একটি নতুন
অবৈধ ফাঁড়ি স্থাপন শুরু করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিম তীরে অবৈধ দখলের পাশাপাশি সহিংসতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। পশ্চিম তীরেও সামরিক বাহিনী বৃহৎ পরিসরে হামলা চালিয়ে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত মাসে, প্রায় ৫০ জন ইসরাইলির একটি দল উত্তর পশ্চিম তীরের দুমা গ্রামের বাড়িঘরে হামলা চালায়, তাদের সম্পত্তি পুড়িয়ে দেয়।