
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

মুখে লাল কাপড় বেঁধে ধর্ষকের বিচার দাবি ঢামেক শিক্ষার্থীদের

আড়াই বছরেও দৃশ্যমান হয়নি ১৭৭ কোটি টাকার সেতু

সুইটির কোলজুড়ে একসঙ্গে এলো চার সন্তান

সহকর্মীকে ভয় দেখিয়ে তরুণীকে গণধর্ষণের পর ভিডিও, গ্রেফতার ২

গাজীপুরে ঝুটের গোডাউনে আগুন

পুত্রবধূর পরকীয়া প্রেমিকের কান কামড়ে ছিঁড়ে নিলেন শ্বশুর

গারো পাহাড়ের বনে আগুন, পুড়ছে ক্ষুদ্র প্রাণী-গুল্মলতা গাছপালা
ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধে ঢাকা রেঞ্জের ১৩ জেলায় ৫শ’ টিম ২৪ ঘণ্টা টহল

ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধ ও ট্টাফিক ব্যবস্থা সহজ করতে ঢাকা রেঞ্জের ১৩ জেলা দু’টি জোনে ভাগ করে ৫০০ টিম ২৪ ঘন্টা টহল ও গ্রেফতার অভিযানে মাঠে নেমেছে পুলিশ। দিনের পাশাপাশি রাতের বেলায় ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধে গত ৪ মার্চ থেকে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন হাইওয়ে পুলিশের সাথে সমন্বয় করে টহল ও গ্রেফতার অভিযান চালানোর পাশাপাশি সব ধরনের অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপারদের। এর প্রেক্ষিতে প্রতিরাতেই রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ও জেলার এসপি সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করছেন। রমজান উপলক্ষে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টির অপতৎপরতা রোধে টহল জোরদার করা হয়েছে। সার্বক্ষনিক মনিটরিং ও উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের
মাঠ পর্যায়ের তদারকির কারনে এরই মধ্যে হাইওয়েতে ডাকাতিসহ সব ধরনের অপরাধ কমে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন বলেন, রমজান ও পবিত্র ঈদ নির্বিঘœ করতে ঢাকা রেঞ্জের ১৩টি জেলার পুলিশ রাত-দিন কাজ করছে। রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ও জেলার এসপিগণ সমন্বয় করে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সাথে নিয়ে সার্বিক নিরাপত্তা ও যানজট নিরসনে কাজ করছেন। দুটি জোনে ভাগ করে হাইওয়ে পুলিশের সাথে সমন্বয় করে এ দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। একটি জোন আমিন বাজার থেকে যমুনা ব্রিজ এবং অন্যটি মেঘনা থেকে ভৈরব হয়ে হাইওয়েতে সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে অন্যান্য জেলায় বিশেষ করে নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর
ও টাঙ্গাইলসহ যে সব পয়েন্টে অতিরিক্ত যানজট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ডাকাতি-ছিনতাই প্রবন এলাকাগুলোতে বিশেষ দৃষ্টি দেয়া হচ্ছে। যানজট নিরসনের পাশাপাশি ডাকাতি-ছিনতাইসহ সব ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ভুমিকা রাখছে। সাধারন মানুষকে সাথে নিয়ে এ বছর রমজান ও পবিত্র ঈদ নির্বিঘেœ পালন করতে পারব ইনশাল্লাহ। তিনি আরও বলেন, পবিত্র রমজানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চলমান ‘ডেভিল হান্ট’ অপারেশনের মধ্যে এ ধরণের অভিযান চলমান থাকবে। সড়কে যানজট মুক্ত রাখতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ কাজ করছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রমজান ও পবিত্র ঈদ নির্বিঘœ করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়েসহ ১৩ জেলা জুড়ে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি দ্বিগুণ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পাশিপাশি ছদ্মবেশে অপরাধীদের শনাক্ত করবে বিশেষ টিম। ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) মোহাম্মদ আবদুল মাবুদ নিজেও সারারাত হাইওয়েতে পুলিশের টহল ও বিশেষ অভিযান পর্ববেক্ষণে দায়িত্ব পালন করছেন। এরই মধ্যে ঢাকা রেঞ্জের ১৩ জেলা দু’টি জোনে ভাগ করে ৫০০ টিম ২৪ ঘন্টা টহল ও গ্রেফতার অভিযানে মাঠে নেমেছে পুলিশ। এর মধ্যে ঢাকা জেলায় ৫৩টি টিম, মানিকগঞ্জে ৩৪টি, নারায়নগঞ্জে ৪৭টি, কিলোরগঞ্জে ৫৫টি, গাজীপুরে ৫০টি, টাঙ্গাইলে ৪৮টি, মুন্সিগঞ্জে ২৯টি, নরসিংদীতে ৪৫টি, গোপালগঞ্জে ৩৩টি, শরীয়তপুরে ২৫টি, মাদারীপুরে ২৮টি, রাজবাড়ী ২২টি এবং ফরিদপুরে ৩১টি টিম দায়িত্ব পালন করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর জেলার
এসপি ড. চৌধুরী মো: যাবের সাদেক বলেন, ঈদ যাত্রা নির্বিঘœ করার লক্ষ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে হাইওয়ের সার্ভিস লেন হকারমুক্ত করা হয়েছে। সকল ফুটপাত হকারমুক্ত করার কাজ চলছে। হাইওয়ে যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। জেলা পুলিশ ২৪ ঘন্টা টহল চালু করেছে। পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর সাথে সমন্বয় করে সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে। ড. চৌধুরী মো: যাবের সাদেক বলেন, ঈদকে সামনে রেখে শহরে মানুষের আনাগোনা বৃদ্ধি পায়। সেই লক্ষ্যেও শহরের সুনির্দিষ্ট কিছু স্থানেও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। রমজান ও ঈদ উপলক্ষে পুলিশের কার্যক্রম আরো বেগবান করে গাজীপুরবাসীকে অধিকতর নিরাপদে রাখার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। এসপি
মুন্সিগঞ্জ জেলার এসপি মোহাম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। এসব গৃহীত পদক্ষেপ সমুহের মধ্যে পূর্বের মুলতুবি থাকা এবং বর্তমান সময়ের সম্পত্তি সংক্রান্ত ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি ও মানবদেহ সংক্রান্ত হত্যা/ অপহরণ ঘটনার সকল মামলার যথাযথ তদন্ত নিশ্চিত করে রহস্য উদঘাটন, জড়িত প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতার ও আইনী প্রক্রিয়ার বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হইতেছে। ৫ আগষ্ট কেন্দ্রীক ঘটনায় রুজুকৃত হত্যা সহ সকল মামলার যথাযথ তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িত অধিকাংশ আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কে দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা টহল নিশ্চিত করে
ভিআইপি সহ যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। নদীবেষ্টিত মুন্সীগঞ্জ জেলার নদীপথে নৌপুলিশ সহ নৌদস্যু, মাটি-বালুখেকো/ ভূমিদস্যু দের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেয়া হয়েছে। নৌযান চলাচলের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিভিন্ন চর এলাকায় বিবাদমান পক্ষ সমুহ চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা সমুহ নেয়া হয়েছে। মোহাম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সনাতন সম্প্রদায়ের পূজা-অর্চনা, বড়দিন পালন সহ সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দল সমুহের সকল অনুষ্ঠানে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিভিন্ন গুজব, অপপ্রচার, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে জনসাধারণকে ভিন্ন মোটিভেটে পরিচালনা সহ সকল অপরাধ মূলক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার পদক্ষেপ সমুহ নেয়া হয়েছে। ৫ আগষ্ট কেন্দ্রীক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্হ স্হাপনা মেরামত ও যানবাহন প্রতিস্থাপন নিশ্চিত করা হয়েছে। সকল থানা এলাকায় পর্যাপ্ত দিবারাত্রি টহল এবং উর্ধতন কর্মকর্তার প্রতিদিন তদারকি নিশ্চিত করা হয়েছে। নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার মো: আব্দুল হান্নান বলেন, রমজান ও পবিত্র ঈদ নির্বিঘœ করতে জেলার পুলিশ রাত-দিন কাজ করছে। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোন ছাড় দেয়া হচ্ছে না। ট্টাফিক ব্যবস্থাপনাও ঢেলে সাজানো হয়েছে। ডাকাতি-ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাদা পোষাকেও পুলিশ কাজ করছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেন আব্দুল হান্নান।
মাঠ পর্যায়ের তদারকির কারনে এরই মধ্যে হাইওয়েতে ডাকাতিসহ সব ধরনের অপরাধ কমে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন বলেন, রমজান ও পবিত্র ঈদ নির্বিঘœ করতে ঢাকা রেঞ্জের ১৩টি জেলার পুলিশ রাত-দিন কাজ করছে। রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ও জেলার এসপিগণ সমন্বয় করে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সাথে নিয়ে সার্বিক নিরাপত্তা ও যানজট নিরসনে কাজ করছেন। দুটি জোনে ভাগ করে হাইওয়ে পুলিশের সাথে সমন্বয় করে এ দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। একটি জোন আমিন বাজার থেকে যমুনা ব্রিজ এবং অন্যটি মেঘনা থেকে ভৈরব হয়ে হাইওয়েতে সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে অন্যান্য জেলায় বিশেষ করে নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর
ও টাঙ্গাইলসহ যে সব পয়েন্টে অতিরিক্ত যানজট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ডাকাতি-ছিনতাই প্রবন এলাকাগুলোতে বিশেষ দৃষ্টি দেয়া হচ্ছে। যানজট নিরসনের পাশাপাশি ডাকাতি-ছিনতাইসহ সব ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ভুমিকা রাখছে। সাধারন মানুষকে সাথে নিয়ে এ বছর রমজান ও পবিত্র ঈদ নির্বিঘেœ পালন করতে পারব ইনশাল্লাহ। তিনি আরও বলেন, পবিত্র রমজানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চলমান ‘ডেভিল হান্ট’ অপারেশনের মধ্যে এ ধরণের অভিযান চলমান থাকবে। সড়কে যানজট মুক্ত রাখতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ কাজ করছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রমজান ও পবিত্র ঈদ নির্বিঘœ করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়েসহ ১৩ জেলা জুড়ে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি দ্বিগুণ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পাশিপাশি ছদ্মবেশে অপরাধীদের শনাক্ত করবে বিশেষ টিম। ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) মোহাম্মদ আবদুল মাবুদ নিজেও সারারাত হাইওয়েতে পুলিশের টহল ও বিশেষ অভিযান পর্ববেক্ষণে দায়িত্ব পালন করছেন। এরই মধ্যে ঢাকা রেঞ্জের ১৩ জেলা দু’টি জোনে ভাগ করে ৫০০ টিম ২৪ ঘন্টা টহল ও গ্রেফতার অভিযানে মাঠে নেমেছে পুলিশ। এর মধ্যে ঢাকা জেলায় ৫৩টি টিম, মানিকগঞ্জে ৩৪টি, নারায়নগঞ্জে ৪৭টি, কিলোরগঞ্জে ৫৫টি, গাজীপুরে ৫০টি, টাঙ্গাইলে ৪৮টি, মুন্সিগঞ্জে ২৯টি, নরসিংদীতে ৪৫টি, গোপালগঞ্জে ৩৩টি, শরীয়তপুরে ২৫টি, মাদারীপুরে ২৮টি, রাজবাড়ী ২২টি এবং ফরিদপুরে ৩১টি টিম দায়িত্ব পালন করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর জেলার
এসপি ড. চৌধুরী মো: যাবের সাদেক বলেন, ঈদ যাত্রা নির্বিঘœ করার লক্ষ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে হাইওয়ের সার্ভিস লেন হকারমুক্ত করা হয়েছে। সকল ফুটপাত হকারমুক্ত করার কাজ চলছে। হাইওয়ে যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। জেলা পুলিশ ২৪ ঘন্টা টহল চালু করেছে। পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর সাথে সমন্বয় করে সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে। ড. চৌধুরী মো: যাবের সাদেক বলেন, ঈদকে সামনে রেখে শহরে মানুষের আনাগোনা বৃদ্ধি পায়। সেই লক্ষ্যেও শহরের সুনির্দিষ্ট কিছু স্থানেও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। রমজান ও ঈদ উপলক্ষে পুলিশের কার্যক্রম আরো বেগবান করে গাজীপুরবাসীকে অধিকতর নিরাপদে রাখার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। এসপি
মুন্সিগঞ্জ জেলার এসপি মোহাম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। এসব গৃহীত পদক্ষেপ সমুহের মধ্যে পূর্বের মুলতুবি থাকা এবং বর্তমান সময়ের সম্পত্তি সংক্রান্ত ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি ও মানবদেহ সংক্রান্ত হত্যা/ অপহরণ ঘটনার সকল মামলার যথাযথ তদন্ত নিশ্চিত করে রহস্য উদঘাটন, জড়িত প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতার ও আইনী প্রক্রিয়ার বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হইতেছে। ৫ আগষ্ট কেন্দ্রীক ঘটনায় রুজুকৃত হত্যা সহ সকল মামলার যথাযথ তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িত অধিকাংশ আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কে দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা টহল নিশ্চিত করে
ভিআইপি সহ যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। নদীবেষ্টিত মুন্সীগঞ্জ জেলার নদীপথে নৌপুলিশ সহ নৌদস্যু, মাটি-বালুখেকো/ ভূমিদস্যু দের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেয়া হয়েছে। নৌযান চলাচলের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিভিন্ন চর এলাকায় বিবাদমান পক্ষ সমুহ চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা সমুহ নেয়া হয়েছে। মোহাম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সনাতন সম্প্রদায়ের পূজা-অর্চনা, বড়দিন পালন সহ সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দল সমুহের সকল অনুষ্ঠানে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিভিন্ন গুজব, অপপ্রচার, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে জনসাধারণকে ভিন্ন মোটিভেটে পরিচালনা সহ সকল অপরাধ মূলক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার পদক্ষেপ সমুহ নেয়া হয়েছে। ৫ আগষ্ট কেন্দ্রীক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্হ স্হাপনা মেরামত ও যানবাহন প্রতিস্থাপন নিশ্চিত করা হয়েছে। সকল থানা এলাকায় পর্যাপ্ত দিবারাত্রি টহল এবং উর্ধতন কর্মকর্তার প্রতিদিন তদারকি নিশ্চিত করা হয়েছে। নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার মো: আব্দুল হান্নান বলেন, রমজান ও পবিত্র ঈদ নির্বিঘœ করতে জেলার পুলিশ রাত-দিন কাজ করছে। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোন ছাড় দেয়া হচ্ছে না। ট্টাফিক ব্যবস্থাপনাও ঢেলে সাজানো হয়েছে। ডাকাতি-ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাদা পোষাকেও পুলিশ কাজ করছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেন আব্দুল হান্নান।