
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

পদত্যাগে প্রস্তুত জেলেনস্কি

‘অহংকারী’ ভারতের পতনের আশায় পাকিস্তানে হিন্দুদের প্রার্থনা

কয়েদিদের সঙ্গে বসে পাক-ভারত ম্যাচ দেখছেন ইমরান খান

যুদ্ধ বন্ধের আলোচনার মধ্যেই রাশিয়ার হামলা

বাংলাদেশকেই ঠিক করতে হবে তারা কেমন সম্পর্ক চায়: জয়শংকর

হাসান নাসরুল্লাহকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল

হামাসের হাতে কত জিম্মি রয়ে গেছেন
নেতানিয়াহু ‘নোংরা খেলা’ খেলছেন: হামাস

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি বানচাল করতে নেতানিয়াহু ‘নোংরা খেলা’ খেলছেন বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। দলটির দাবি, ইসরায়েল সরকার চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের বিষয়ে কোনো আলোচনা করছে না, যা ১ মার্চ শেষ হওয়ার কথা।
এই চুক্তির দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় ছয় সপ্তাহের প্রথম পর্যায়ের মধ্যে চূড়ান্ত করার কথা ছিল। প্রথম পর্যায়ে ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেওয়া, গাজা থেকে আংশিকভাবে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করা হয়। ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় পর্যায় চূড়ান্ত হলে সব ইসরায়েলি বন্দির মুক্তি এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা।
শনিবার আল জাজিরাকে দেওয়া এক
সাক্ষাৎকারে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সিনিয়র সদস্য বাসেম নাইম বলেন, আমরা মনে করি, এটি ডানপন্থি সরকারের একটি কৌশল, যা চুক্তি বানচাল ও যুদ্ধের দিকে ফেরার বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। তিনি জানান, হামাস এখনো চুক্তিতে অটল রয়েছে এবং তাদের সব শর্ত মেনে চলেছে। তবে তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। নাইম বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১০০-র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, নির্ধারিত মানবিক সহায়তার অধিকাংশ গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, এবং নেতজারিম করিডোর (গাজার উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে সংযোগকারী সংকীর্ণ পথ) থেকে সেনা প্রত্যাহার বিলম্বিত করা হয়েছে। এর আগে, নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা স্বীকার করেন, হামাসের অভিযোগ সত্য। তবে সরকারিভাবে
ইসরায়েল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইসরায়েল ৬০ হাজার ভ্রাম্যমাণ ঘর এবং ২ লাখ তাঁবু গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি। গাজার ২৪ লাখ মানুষের মধ্যে ৯০ শতাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং অঞ্চলটির বিশাল অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এদিকে যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আরও ছয় জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর বিনিময়ে ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও তা অমান্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রোববার ইসরায়েল ঘোষণা করেছে, তারা শত শত ফিলিস্তিন বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা পিছিয়ে দিয়েছে, যতক্ষণ না হামাস তাদের শর্ত পূরণ করে। এই সিদ্ধান্ত গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তির
ভঙ্গুরতা প্রকাশ করছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস রোববার ভোরে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েল ৬২০ জন ফিলিস্তিন বন্দী ও আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছে, যতক্ষণ না পরবর্তী দফায় জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত হচ্ছে এবং অপমানজনক আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া তাদের হস্তান্তর করা হয়। গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪৮ হাজার ৩১৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা ১৩ হাজার জনেরও বেশি মানুষকেও মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামাসের ওই দিনের হামলায় অন্তত ১১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২৪০ জনকে বন্দী করা হয়।
সাক্ষাৎকারে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সিনিয়র সদস্য বাসেম নাইম বলেন, আমরা মনে করি, এটি ডানপন্থি সরকারের একটি কৌশল, যা চুক্তি বানচাল ও যুদ্ধের দিকে ফেরার বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। তিনি জানান, হামাস এখনো চুক্তিতে অটল রয়েছে এবং তাদের সব শর্ত মেনে চলেছে। তবে তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। নাইম বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১০০-র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, নির্ধারিত মানবিক সহায়তার অধিকাংশ গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, এবং নেতজারিম করিডোর (গাজার উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে সংযোগকারী সংকীর্ণ পথ) থেকে সেনা প্রত্যাহার বিলম্বিত করা হয়েছে। এর আগে, নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা স্বীকার করেন, হামাসের অভিযোগ সত্য। তবে সরকারিভাবে
ইসরায়েল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইসরায়েল ৬০ হাজার ভ্রাম্যমাণ ঘর এবং ২ লাখ তাঁবু গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি। গাজার ২৪ লাখ মানুষের মধ্যে ৯০ শতাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং অঞ্চলটির বিশাল অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এদিকে যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আরও ছয় জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর বিনিময়ে ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও তা অমান্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রোববার ইসরায়েল ঘোষণা করেছে, তারা শত শত ফিলিস্তিন বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা পিছিয়ে দিয়েছে, যতক্ষণ না হামাস তাদের শর্ত পূরণ করে। এই সিদ্ধান্ত গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তির
ভঙ্গুরতা প্রকাশ করছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস রোববার ভোরে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েল ৬২০ জন ফিলিস্তিন বন্দী ও আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছে, যতক্ষণ না পরবর্তী দফায় জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত হচ্ছে এবং অপমানজনক আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া তাদের হস্তান্তর করা হয়। গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪৮ হাজার ৩১৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা ১৩ হাজার জনেরও বেশি মানুষকেও মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামাসের ওই দিনের হামলায় অন্তত ১১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২৪০ জনকে বন্দী করা হয়।